মুসলিম ছাত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি
ভারতের কেরালা রাজ্যে মোদী সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তর্ক করায় এক ছাত্রীকে পাকিস্তানে চলে যেতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন তার স্কুল শিক্ষক। কেরালার ত্রিশূর শহরের একটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
ওই শিক্ষকের নাম কালেশান কে কে বলে জানা গেছে। তিনি ওই স্কুলে হিন্দির শিক্ষক। অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস নেয়ার সময় তিনি অবজ্ঞার সুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বলেন। এসময় একজন মুসলিম ছাত্রী এ বিষয়ে তর্ক করলে তাকে ভারত ছেড়ে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেন কালেশান।
মুসলিম শিক্ষার্থীর অভিভাবক পরে এব্যাপারে অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারপারসন সুনীল দত্ত বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি অভিযযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কে কে কালেশানকে বরখাস্ত করা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি জানায় যে, কে কে কালেশানের ব্যাপারে তারা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি হিন্দির শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীদের বায়োলজি পড়াতে বেশি আগ্রহী। ছাত্রীদের সামনে বায়োলজী পড়ানোর সময় না কি তিনি অনেক ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক বিজ্ঞান পড়ানোচ্ছলে প্রায়ই হিন্দুত্ববাদীতা নিয়ে আলোচনা করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
সুনীল দত্ত জানান, এই শিক্ষক সিএএ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একবার না বারবার পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এমনকি তিনি প্যারেন্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় অভিভাবকদের সামনেও একই ধরনের আচরণ করেন। এই স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক।
সূত্র: অমৃতবাজার
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31569/
ভারতের কেরালা রাজ্যে মোদী সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তর্ক করায় এক ছাত্রীকে পাকিস্তানে চলে যেতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন তার স্কুল শিক্ষক। কেরালার ত্রিশূর শহরের একটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
ওই শিক্ষকের নাম কালেশান কে কে বলে জানা গেছে। তিনি ওই স্কুলে হিন্দির শিক্ষক। অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস নেয়ার সময় তিনি অবজ্ঞার সুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বলেন। এসময় একজন মুসলিম ছাত্রী এ বিষয়ে তর্ক করলে তাকে ভারত ছেড়ে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেন কালেশান।
মুসলিম শিক্ষার্থীর অভিভাবক পরে এব্যাপারে অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারপারসন সুনীল দত্ত বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি অভিযযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কে কে কালেশানকে বরখাস্ত করা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি জানায় যে, কে কে কালেশানের ব্যাপারে তারা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি হিন্দির শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীদের বায়োলজি পড়াতে বেশি আগ্রহী। ছাত্রীদের সামনে বায়োলজী পড়ানোর সময় না কি তিনি অনেক ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক বিজ্ঞান পড়ানোচ্ছলে প্রায়ই হিন্দুত্ববাদীতা নিয়ে আলোচনা করতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
সুনীল দত্ত জানান, এই শিক্ষক সিএএ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একবার না বারবার পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এমনকি তিনি প্যারেন্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় অভিভাবকদের সামনেও একই ধরনের আচরণ করেন। এই স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক।
সূত্র: অমৃতবাজার
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/19/31569/
Comment