Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২০শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২০শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    মসজিদে আকসার ইমামকে বরখাস্ত করল সন্ত্রাসী ইসরাইল



    নবী-রাসুলদের স্মৃতি বিজড়িত মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদে আকসা। অবৈধ দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল দখল করে রেখেছে এটি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের পবিত্র এ মসজিদের খতিব শায়খ ইকরামা সাবেরিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দখলদার ইসরাইল।

    ডেইলি সাবাহ (আরবি) এর তথ্য মতে, ‘শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মসজিদে আকসার একাংশে জুমআর খুতবায় দখলদারিত্বের বিষয়ে কথা বলায় তাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কথা বলে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

    সন্ত্রাসবাদী অবৈধ দেশটির তরফ থেকে তাদের সিদ্ধান্তে জানানো হয় যে, ‘জেরুজালেমের সর্বোচ্চ ইসলামিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও আল আকসার খতিব শায়খ ইকরিমা সাবেরিকে এক সপ্তাহের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    এ বক্তব্যের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানায় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। জিজ্ঞাসাবাদের পর এ নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়তে পারে বলে ডেইলি সাবাহ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    ওয়াফা নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জেরুজালেম নগরীতে বসবাসরত মুসলমানদের ওপর অস্বাভাবিক কঠোরতা শুরু করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনা কর্তৃপক্ষ। তারা স্থানীয় সিলওয়ানের কয়েকটি দোকান ও বাসস্টান্ডেও হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31661/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সিরিয়ায় গোপনে ৭৫ ট্রাক সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র!



    যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় ৭৫ ট্রাক সেনা ও অস্ত্র পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি।

    গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক খবরে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই গোপনে সিরিয়ার তেলসমৃদ্ধ কয়েকটি এলাকায় অন্তত ৭৫ ট্রাক সেনা, অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

    এ ব্যাপারে সিরিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তেলসমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে এসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য তেলসহ প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট করা।

    এ দিকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি অংশ ইতোমধ্যে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করেছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31629/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কানাডায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ ভুগছে খাদ্য কষ্টে



      কানাডার মতো ধনী দেশেও অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যায়। ৪০ লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার জোটাতে পারে না। এমনকি ক্ষুধার কারণে অনেক মানুষ গড় আয়ু পর্যন্ত যাওয়ার আগেই মৃত্যুর পথে ধাবিত হয়।

      সম্প্রতি এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধের তথ্য উল্লেখ করে আজ সোমবার এএফপির খবরে জানানো হয়, কানাডার যেসব নাগরিক রোজকার খাবার জোটাতে পারে না, তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি।

      কানাডার প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ওপর করা ওই জরিপে দেখা গেছে, ক্যানসারের পরই মৃত্যুহার বাড়ার অন্যতম কারণ হলো ক্ষুধা। খাবার জোটাতে যারা সমর্থ, তাদের তুলনায় যারা সমর্থ নয়, তাদের মধ্যে রোগজীবাণু সংক্রমিত অসুখ, অনিচ্ছাকৃত আঘাত ও আত্মহত্যার হার দ্বিগুণ।

      নিবন্ধের লেখক ফেই মেন বলেন, ‘এটি অনেকটা প্রথম বিশ্বের দেশে তৃতীয় বিশ্বের কারণ। কানাডায় খাদ্যনিরাপত্তাহীন লোকজন সংক্রমণ ও মাদক সেবনের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, যেমনটা আমরা উন্নয়নশীল দেশে হতে দেখি। ফলাফলও বেশ অন্য রকম। কানাডার মতো কথিত উন্নত বিশ্বে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এখনো মৃত্যুর কারণ।’

      নিবন্ধে বলা হয়, কানাডায় বাস করা ৪০ লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায় না।

      সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটির বেশি মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবারের অভাবে থাকে এবং এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। এই জনগোষ্ঠীর ৮ শতাংশই উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর মানুষ।

      সূত্রঃ আমাদের সময়


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31656/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দাবানলের পর বন্যার কবলে ন্যাটো মিত্র অস্ট্রেলিয়া



        দাবানলের আগুনে পুড়ে যাবার পর এবার নতুন করে বন্যার কবলে পড়লো ন্যাটো মিত্র অস্ট্রেলিয়া। ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়াসহ কয়েকটি শহর। তবে আবহাওয়া আরো খারাপ হবে বলে সতকর্তা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

        দাবানরের ক্ষত থেমে মুক্ত না হতেই প্রকৃতির এমন বৈরি আচরণে বিপাকে পরেছে দেশটির হাজারো মানুষ। এরইমধ্যে বড় বড় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে গাড়ি আটকে থাকার ভিডিও দেখা গেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। কিছু এলাকাতে পানির উচ্চতা ১৩ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত আরো বাড়তে পারে সামনের দিনগুলোতে। এর আগে দাবানলে হাজার হাজার হেক্টর জমি গাছপালা পুড়ে গিয়ে সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি ও কয়েক লাখ প্রাণির মৃত্যু হয়েছে।

        সূত্রঃ ভোরের কাগজ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31669/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক কোটি মুসলিমকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুঁমকি দিল মালাউন দিলিপ ঘোষ



          ভারতের ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি মালাউন দিলিপ ঘোষ রাজ্যটিতে বাস করা এক কোটি বাংলাদেশি মুসলিমকে ফেরত পাঠানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে। গতকাল রোববার চব্বিশ পরগনার এক সমাবেশে দেয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।

          তিনি বলেন, যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে তারা ভারত ও বাঙালি বিরোধী। তারা ভারতের ধারণার বিরোধি। তাই তারা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিরোধিতা করছে। তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী এক কোটি অবৈধ মুসলিম সরকারের দুই রুপির ভর্তুকির চাল খেয়ে বেঁচে আছে। আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।

          তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমরা রাজ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে জড়িত। যারা সিএএ’র বিরোধিতা করছে তারা ভারত ও বাঙালি বিরোধী। তারা ভারতের ধারণার বিরোধি। তাই তারা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিরোধিতা করছে।

          সিএএ’র বিরোধিতাকারী প্রখ্যাত ভারতীয়দের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা বলেন, তাদের মন অনুপ্রবেশকারীদের জন্য কাঁদে। কিন্তু হিন্দু শরণার্থীদের বেলায় তাদের কোনও জবাব নেই। এটা হলো দ্বিচারিতা।

          এর আগে শনিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন থেকে চার মাস সময় দেবেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সবাইকেই সিএএ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করতে হবে।

          প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার প্রণীত এই আইনটিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আইনটির বিরোধিতায় অন্যতম জোরালো স্বরে পরিণত হয়েছেন। তবে বিজেপি আইনটির সমর্থনে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31627/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            হাদিসের ভাষ্যমতে সিরিয়ার অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে। আল মালহামাতুল কুবরা। সিরিয়ার কথা নবীজি ( সাঃ) বলে গেছেন, কথামতোই সিরিয়ার অবস্থা সেদিকেই যাচ্ছে। সবগুলো কুফফার জোট একত্রিত হচ্ছে। আল্লাহর সৈনিকরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আল্লাহ এভাবেই কুফফারদের সমূলে ধংস করবেন, ইনশাআল্লাহ।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              আল্লাহ ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার মুসলমানদের হেফাজত করুক ৷ খুবই করুণ অবস্থা ৷
              আমি জঙ্গি, আমি নির্ভীক ৷
              আমি এক আল্লাহর সৈনিক ৷

              Comment


              • #8
                পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি আতঙ্কে যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা !



                জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় নিজের শরীরে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক ব্যক্তি। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাহির উদ্দিন শেখ নামে ৩৪ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের পূর্বমেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার অধীন বাসন্তিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

                রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এন.আর.এস মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে।

                শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “পেশায় রাজমিস্ত্রি তাহিরউদ্দিনের সারা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এই মুহূর্তে তার চিকিৎসার প্রয়োজন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে সে। তবে চিকিৎসক সবুজসংকেত না দিলে বিষয়টি নিয়ে রোগীর সাথে কথা বলা সম্ভব নয়।”

                তার এক আত্মীয় বলেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (ক্যা) ও এনআরসি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাহির উদ্দিন। এই আইনের ফলে ভবিষ্যৎ কি হতে পারে, তা নিয়ে একাধিক মানুষের সাথে কথাও বলতেন। পুরনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি না থাকার কারণে ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ওই সব জোগাড়ের জন্য বেশ কিছু জায়গায় দৌঁড়াদৌঁড়ি ও করেছিলেন। সম্প্রতি ক্যা ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভেও অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল তাহিরকে।”

                জানা গেছে ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের নিজের নামের বানান ভুল রয়েছে তাহিরের। এই ভুল সংশোধনের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করছিলেন তিনি। তার ভয় ছিল ঠিক না থাকলে হয়তো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। আর এই আতঙ্ক থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলা ধারনা করা হচ্ছে।

                সূত্র:বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31617/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আবারও মেয়ে হওয়ার আশঙ্কায় হিন্দু স্ত্রীকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা



                  আবারও কন্যা সন্তানই হতে পারে- এই আশঙ্কায় ২৭ বছরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলো হিন্দু স্বামী। শুধু কুপিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। স্ত্রীর মরদেহ ছোট ছোট টুকরো করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই ছাই দূরে নিয়ে ফেলে আসেন এই হিন্দু স্বামী।

                  সম্প্রতি এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। খুনের ঘটনাটি ঘটে গত ৪ জানুয়ারি। কিন্তু এটি সামনে আসে গত মঙ্গলবার। নিহত নারী উর্মিলার বড় মেয়ে যখন মামা বাড়িতে অজান্তেই সেদিনের ঘটনার কথা বলে, তখনই সবার টনক নড়ে। তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

                  মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত রবীন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে। উত্তপ্রদেশের রায়বেরিলির বাইরে থেকে যে ছাই উদ্ধার হয়েছে তা লখনউয়ের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।

                  সার্কেল অফিসার বিনীত সিং জানিয়েছেন, ওই নারীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবীন্দ্রের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। নিখোঁজ নারীকে ট্রেস করতে পারছিল না তারা। গত ১০ জানুয়ারি, উর্মিলার বোন বিদ্যা দেবী দেহ পুলিশ স্টেশন গিয়ে রবীন্দ্রর নামে খুনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগ, বোনকে খুন করেছে তার স্বামীই।

                  সার্কেল অফিসার আরও জানান, হত্যার ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের ১১২ নম্বরে ফোন করে রবীন্দ্র জানান, উর্মিলা নিখোঁজ।

                  জানা গেছে, ২০১১ সালে রবীন্দ্র ও উর্মিলার বিয়ে হয়। তাদের দুটি মেয়ে রয়েছে। একজনের বয়স ৭ ও অন্যজনের ১১ বছর। ফের অন্তঃসত্ত্বা হন উর্মিলা। রবীন্দ্র ও তার পরিবার চাইছিল, এবার একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হোক। কিন্তু পর পর মেয়ে হওয়ায় এবারও আশঙ্কা ছিল যে মেয়ে হবে। এই আশঙ্কাকে বিশ্বাস করে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে রবীন্দ্র। উর্মিলার মেয়ের মুখে জানা যায় কীভাবে তাদের মাকে খুন করা হয়।

                  এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে শ্বশুর কারাম ছন্দ্র ও দেওর সঞ্জীব ও ব্রিজেসও জড়িত ছিল বলে মেয়ে জানিয়েছে। বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের ছয় জনের একটি দল।

                  এদিকে, পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়েন রবীন্দ্র। সে সময় তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন পুলিশকে। তিনি জানান, রাগের মাথায় স্ত্রীকে সজোরে ধাক্কা মারেন। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, গমকলের গ্রাইন্ডারে দেহ পিষে দেওয়া হয়। নৃশংস খুনের পর দেহের টুকরোতে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এরপর একটি ব্যাগে অস্থি-ছাই নিয়ে বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ফেলে আসে অভিযুক্ত।

                  সূত্রঃ আমাদের সময়


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31652/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাদ!


                    ২০১৭ সালে দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক স্পেশাল র*্যাপোর্টিয়ার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, চীন, সৌদি আরব, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স ও জাপান সম্মিলিতভাবে কথিত জাতীয় নিরাপত্তা খাতে যত অর্থ ব্যয় করে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী কথিত উন্নত বিশ্বের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। স্পেশাল র*্যাপোর্টিয়ার ওই সময় বিশদ তথ্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন। সেখানে তিনি আমেরিকার সমাজব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অসম সমাজ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, আমেরিকায় অন্তত চার কোটি মানুষ দরিদ্র। সেখানে মৃত্যুহার বাড়ছে এবং সামাজিক অস্থিরতা ও নেশার কবলে পড়ে বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, এই সবকিছুর পেছনে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা একটি বড় ভূমিকা রাখছে।

                    বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই মনে করেন বর্তমান অবস্থায় পুঁজিবাদ যতটুকু ভালো করছে তার চেয়ে খারাপই করছে বেশি। চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোস শহরে ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অনুষ্ঠিতব্য একটি বৈঠকের আগেই এ বিষয়ে একটি বৈশ্বিক জরিপের তথ্য সামনে এলো।
                    এ বছরই প্রথমবারের মতো পুঁজিবাদ সম্পর্কে এ ধরনের তথ্য তুলে ধরল এডেলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটার। গত দু’দশক ধরে কয়েক হাজার লোকের কাছ থেকে জনমত গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পুঁজিবাদকে কিভাবে দেখা হচ্ছে সে বিষয়টি বোঝার জন্যই এই জরিপ হয়েছে। ২০০০ সালে এই জরিপ শুরু হয়।
                    বিশ্বের ২৮টি পশ্চিমা যেমন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের মতো ২৮টি দেশের ৩৪ হাজার মানুষ এই জরিপে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে ৫৬ ভাগই মনে করে, আজকের বিশ্বে পুঁজিবাদের অস্তিত্ব ভালোর চেয়ে ধ্বংসই ডেকে আনছে। পুঁজিবাদে আস্থা নেই এমন দেশের শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ড এবং ভারত। দেশ দু’টিতে যথাক্রমে ৭৫ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ মানুষের পুঁজিবাদের নীতিতে কোনো আস্থা নেই।
                    আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থার চিরশত্রু বলে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলোতে বিনা মূল্যে যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয় তা আমেরিকায় বিনা মূল্যে এমন উন্নত চিকিৎসাসেবা কল্পনাও করা যায় না। এর কারণ হলো, পুঁজিবাদের ধ্বজাধারী আমেরিকা যুদ্ধ বাধানো এবং করপোরেট মুনাফা অর্জনের পেছনে এত বেশি সময় দেয় যে মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় সে পায় না। ভেনেজুয়েলার একটি ক্লিনিকের একজন নারী চিকিৎসক আমাকে বলছিলেন, বিশ্বের যেখানেই যুদ্ধ সেখানেই মার্কিন সেনাবাহিনীর দেখা পাওয়া যাবে। আর সেসব যুদ্ধবিধ্বস্ত জায়গায় কিউবার লোকও থাকে। তবে তারা সেনা নন, তাঁরা চিকিৎসক।
                    আমেরিকান সমাজে এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক। এই সমাজের একটি বিরাট অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। অর্থ আর মুনাফা অর্জনের সীমাহীন নেশা এখানকার মানুষের জীবনকে এতটাই অস্থির করে তুলছে যে বহু মানুষের পক্ষে আক্ষরিক অর্থেই এই সমাজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর ২০১৮ সালের জরিপে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার এই অস্থির ও নির্বান্ধব জীবনকে মেনে নিতে না পারায় সমগ্র দেশের মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে।
                    সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব্য উদার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষ অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্রমাগত একা হয়ে যাচ্ছে। পারস্পরিক বন্ধন ছুটে যাচ্ছে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এই নিষ্ঠুর নিঃসঙ্গতা মানুষের জীবনে হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ ভোগবাদী জীবনের অস্থিরতার জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিষণ্ণতা থেকে আরোগ্য লাভের জন্য সেখানে ‘বিষমিশ্রিত’ বিশাল বিশাল ওষুধ কোম্পানি খোলা হচ্ছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো কোটি কোটি ডলারের মুনাফা তুলে নিলেও দিন শেষে বিষণ্ণ মানুষগুলোর জীবনে প্রাণখোলা হাসি-আনন্দ আসছে না।
                    মার্কিন পুঁজিবাদ শুধু যে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বা আশপাশের দেশের মানুষের পারিবারিক বা সামাজিক বন্ধনের জন্য হুমকি, তা নয়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও ভোগবাদী সমাজ সম্প্রসারণের কারণে পণ্যের অতি ব্যবহার, অপব্যবহার ও বিষক্রিয়া বাড়ছে। এটি গোটা পৃথিবীকে এমন এক ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব হবে না। ১৯৮৯ সালের আগে মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল সুইজি বলেছিলেন, অধিক ভোগ ও উৎপাদন প্রবণতার কারণে গ্রিনহাউস ইফেক্ট বা কার্বন নিঃসরণ ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। পুঁজিবাদ যত বেশি বিকশিত হবে, এই ধারা তত বাড়তে থাকবে। ক্রমেই পৃথিবী ধ্বংসের দিকে যেতে থাকবে।
                    দ্য পেরিল অ্যান্ড প্রমিজ অব আরবান লাইফ ইন দ্য এজ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ বইয়ের লেখক অ্যাশলে ডওসোন গত ডিসেম্বরে ভারসো বুকস ওয়েবসাইটে লেখা একটি দীর্ঘ প্রবন্ধে দেখিয়েছেন, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ‘উগ্র পুঁজিবাদ’ এবং ‘পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভকে অপরাধ সাব্যস্ত করার চেষ্টা’ দিয়ে গোটা বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাশলে ডওসোন বলছেন, সন্ত্রাসী ট্রাম্প নিজেও পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যে আটকা পড়ে গেছে। এ থেকে সে বের হতে পারবে না। আমেরিকাও বের হতে পারবে না। অতএব পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এই পুঁজিবাদি ব্যবস্থাভাঙতেই হবে। বিশ্বকে জাগতেই হবে।

                    সূত্রঃ ইনকিলাব


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31660/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা !



                      শরীরে তাপমাত্রা বাড়লে আমরা প্রথমেই ছুটে যাই থার্মোমিটার আনতে। যদি দেখা যায় তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাহলে আমরা আর এ নিয়ে মাথাব্যথা করি না। জ্বর মাপার সময় সাধারণত থার্মোমিটারে যে তাপমাত্রাকে (৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) আমরা স্বাভাবিক বলে ধরে নেই।

                      স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ মেডিসিন’-এর সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, ১৬০ বছর বা তার কিছুটা বেশি সময় আগে আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা ছিল, সেই উনিশ শতকের উষ্ণতা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে গিয়েছে ০.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ০.২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই তাপমাত্রা নেমেছে বলে জানা গেছে। গত ২০০ বছরে সেই স্বাভাবিকতা নেমে পৌঁছেছে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। কমেছে নারীদের দেহের তাপমাত্রাও। তবে সেই হার পুরুষের তুলনায় সামান্য কম। নারীদের শরীরের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা এখন ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

                      জুলে পার্সনেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক এবং তার দল ১৯০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গবেষকদের মতে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে মানুষের ওজন, জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং উন্নত চিকিৎসার। এ ছাড়া গবেষণা পত্র থেকে আরও জানা গেছে আমাদের দেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রার এই অবনমন হঠাৎই হয়নি। তা ধাপে ধাপে নেমেছে। মানুষের জন্ম-সময়ের নিরিখে একটি দশক থেকে পরবর্তী দশকে। ধারাবাহিক ভাবে। সেই ধারাবাহিকতায় কোনও ব্যাতিক্রম ঘটতে দেখিনি আমরা।

                      শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা

                      শরীরের তাপমাত্রা সবার জন্য এক নয় এবং লিঙ্গ, বয়স এবং অন্যান্য কারণের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকতে পারে। আবার শিশুদের ক্ষেত্রে ৯৭.৯ থেকে ১০০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি আমাদের শরীরে তাপমাত্রা সব সময় এক থাকে না। দিনের বেলা আপনার শরীরে তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারে এমন কয়েকটি জিনিস- শরীর চর্চা, দিনের সময়, কেমন ধরণের খাওয়া-দাওয়া হল, এমনকী নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুর সময়ও তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে।

                      সূত্র: এই সময়।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31618/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        মানুষ আসলে ভয় পায় কেন?



                        ভয় একটি শারীরিক প্রক্রিয়া নাকি পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ আসলে ভয় পায় কেন? ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের মনোবিজ্ঞানী এবং ভীতি সংক্রান্ত এক বইয়ের লেখক ড. ওয়ারেন ম্যানসেল বলছেন, এটা অভিব্যক্তিমূলক, এটা জীববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত এবং এর মূল ব্যাপার হচ্ছে টিকে থাকা। যেকোনো ধরণের ভীতি বা ঝুঁকির মুখে পালানো বা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের শরীরের একটা প্রস্তুতি থাকা দরকার।

                        সমাজবিজ্ঞানী ড. মারগী কের বলেছেন, ভয়ের কারণ দ্রুত শনাক্ত করা এবং পরিত্রাণের উপায় বের করা জরুরি। এটাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

                        বেশিরভাগ সময় মানুষ ভয় পেলে ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ অর্থাৎ ভীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে সেটা সামলাোর চেষ্টা করে অথবা সে পরিস্থিতির মুখে পালিয়ে যায় বা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যায়। এ সময় মানুষের হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়, যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
                        তবে, অনেকেই ঐ পরিস্থিতি সাহসের সাথে মোকাবেলা করে। কেউ আবার ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে যান, লাফিয়ে ওঠেন।

                        এর কারণ মূলত যে ধরণের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে প্রস্তুতি নেবার মত যথেষ্ট সময় পায়নি আপনার মস্তিষ্ক, কিন্তু আচমকা এবং বিকট ভাবেই সে পরিস্থিতির সামনে পড়েছেন আপনি।

                        মনোবিজ্ঞানী ড. ম্যানসেল বলছেন, আপনি যদি খুব সহজেই চমকে যান, কিংবা বিশেষ কোন ভীতি বা ফোবিয়া থাকে আপনার, তাহলে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনি নিজে কিছু জিনিস চর্চা করতে পারেন, আবার প্রয়োজনে একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে, নিজের মনকে প্রস্তুত করা, মানে আপনি জানেন বিশেষ কোন পরিস্থিতি আপনাকে বিব্রত করে, সুতরাং এখনই তার মুখোমুখি না হয়ে, আপনার মন পুরোপুরি তৈরি হবার পরই আপনি তার মোকাবেলা করুন।

                        যেমন অনেকের উচ্চতা ভীতি রয়েছে, তাদের উচিত একটু একটু করে মনকে প্রস্তুত করা। এজন্য প্রয়োজনে এক্সপোজার থেরাপি, কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যায়ামও উপকার করে বলে তিনি মনে করেন।

                        কিন্তু সবকিছুর পরেও আচমকা মাকড়সা দেখলে, বা উঁচু কোন ভবনের ছাদে কোন ক্লাউন দেখে চমকে উঠবেন না এমন মানুষ কমই আছে।

                        কিন্তু তেমন ঘটনা সচরাচর ঘটেই বা কদিন? সুতরাং অত ভয় পেয়ে সারাক্ষণ সিটকে থাকার হয়ত কিছু নেই- নিজেকে বিষয়টি বোঝান।

                        সূত্র: বিবিসি বাংলা


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31624/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          পর্তুগালে সন্ত্রাসী আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১



                          পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পর্তুগাল সন্ত্রাসী বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী ও পর্তুগাল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফরহাদ মিয়ার নেতৃত্বে উভয় দলের নেতা কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছে।

                          গত শনিবার বাংলা মার্কেট খ্যাত লিজবনের মার্টিম মনিজে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দা-চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সসন্ত্রাসী এই দু’দল।

                          স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম সাহেদ (৩৮)। তিনি সিলেটের ফেন্সুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ কর্মী। সংঘর্ষে একই উপজেলার কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।

                          এদিকে গতকাল রোববার রাত থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পর্তুগাল পুলিশ। রাতে পুলিশ অলিউর রহমান চৌধুরী আরইশস্থ বাসভবনে তল্লাশী চালায়। এ সময় তার দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে।

                          প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফরহাদ মিয়ার দেশের বাড়ি সিলেটের ওসমানি নগর উপজেলার পশ্চিম কৈলনপুর ইউনিয়নে এবং বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমানের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

                          ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত উভয়পক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে। উক্ত ঘটনায় বাঙ্গালী পাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারী ও পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

                          সূত্রঃ আমাদের সময়


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31648/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            কুমিল্লা মহাসড়ক যেন এক আবর্জনার ভাগাড়!



                            কুমিল্লা মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন এলাকায় উৎকট পঁচা দুর্গন্ধে যেন দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম ঘটে। সড়কের পাশ দিয়ে হেটে চলা শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চলাফেরা করতে হয় নাকে মুখে কাপড় বেঁধে। উৎকট গন্ধে যাত্রীরা বাধ্য হয় অনেক সময় বমি করতে।

                            নিমসার, চান্দিনা বাস স্টেশন, দেবিদ্বার, নাজিরা বাজার, পদুয়ার বাজার, চৌদ্দগ্রাম সহ কুমিল্লার বিভিন্ন অংশের মহাসড়ক যেন খোলা আবর্জনার ভাগার। মরা পুশুপাখি হাসপাতালের বর্জ্য, কারখানা, হাট বাজার, পৌরসভা ও আবাসিক এলাকার সকল ময়লা গাড়ি দিয়ে এনে স্তুপ করে ফেলা হচ্ছে মহাসড়ক ও ফুটপাতের উপরেই। স্থানীয় সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর শোধনাগার না থাকায় রুগীদের ব্যবহৃত বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে মহাসড়কে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পরেছে আশেপাশের পরিবেশ। ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু সহ বাড়ছে ডেঙ্গু মশার বিস্তার। কেবল পরিবেশ দূষণই হয় মাহাসড়কের পাশে জনবহুল খোলা যায়গায় এমন কি স্থানীয় কৃষকদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও জোর করে ফসলি জমির ওপরে ফেলা হচ্ছে এসব বর্জ্য। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা। তাছাড়া এসব ময়লার স্তুপ পরিস্কারের নামে অনেক সময় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারি গাছ।

                            রাতের আধারে এসব গাছ কৌশলে কেটে নিয়ে বিক্রি করেছে একটি চক্র।প্রায় সহস্রাধীক মূল্যবান গাছ অনুমতি ছাড়াই কেটে নেয়া হয়েছে। রাতের আধাঁরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব গাছ প্রথমে উপড়ে ফেলে দিয়ে পরে তা টুকরো করে কেটে নেয়। মহাসড়কের পাশে ও ফুটপাতে এসব দুষিত বর্জ্য ও আবর্জনা থেকে রোগ বালাই তো ছড়াচ্ছেই সেই সাথে আশেপাশের পরিবেশের ওপর এর বিরুপ প্রভাবও পরছে। উন্মুক্ত স্থানে ফেলে দেয়া বিষাক্ত ঔষধ ও বিষ জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী জীবজন্তু ও পাখি মারা যাচ্ছে।

                            এবিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে এর আগে বহুবার বিভিন্ন পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে, মৌখিক ভাবেও বহুবার তাদের বলা হয়েছে। কিন্ত তারা কেউ বিষয়টি কর্ণপাত করেন নি। যার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যবান গাছ নষ্ট হচ্ছে। শুধু গাছই নয় সড়কের সৌন্দর্য ও পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

                            সূত্রঃ ভোরের কাগজ


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31666/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য



                              গত শনিবার ভোররাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা হেফাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি সরকারি একটা প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর ইনচার্জ ও লাইট ম্যানের কাজ করতেন।

                              পরিবার ও সহকর্মীরা বলছে, আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছেন।

                              আজ সোমবার মিললো এ মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুর ময়নাতদন্ত শেষে মাথায় ও পায়ে আঘাতের দাগ পেয়েছে মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগ।

                              সোমবার বিকাল ৪টায় ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

                              বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ আরো বলেন, মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ পেয়েছি। আমরা যেসব জায়গা থেকে আঘাতের দাগ পেয়েছি তার প্রতিটির টিস্যু সংগ্রহ করেছি।

                              এর আগে শনিবার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সন্ত্রাসী পুলিশ সন্ধ্যার পর বাবুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষণা করলে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।

                              নিহত বাবু নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

                              সূত্রঃ বিডি জার্নাল


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/20/31672/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X