Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৫শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২১শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৫শে জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২১শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    খাদ্যাভাবে ভুগছে আফ্রিকার ৪৫ মিলিয়ন মানুষ: সাহায্যের আবেদন!



    আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ১৬ টি দেশের প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যাভাবে ভুগছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতিসংঘের ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লুএফপি) বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

    বার বার খরা, বন্যা ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ১৬টি দেশ খাদ্য অভাবে ভুগছে।

    আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ডাব্লুএফপি’র আঞ্চলিক প্রধান লোলা কাস্ট্রো বলেন, এরকম খাদ্য অনিরাপত্তা আমি আগে কখনও দেখিনি। আর প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সামনের দিকে যার অবস্থা আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সাইক্লোনের সময় আবার এসেছে। তবে এ বছর আমরা আর সাইক্লোনের ক্ষতি পোষাতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না। যদি সঠিক মত দাতা দেশগুলো সাহায্য না দেয় তাহলে এটি একটি নিশ্চিত মহামারি রূপ নেবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31685/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    রক্তাক্ত ইরাক | মুরতাদ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে দু’জন বিক্ষোভকারী নিহত এবং 60 জন আহত!



    ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রস্থলে দেশটির মুরতাদ সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পর সোমবার, দু’জন ইরাকি বিক্ষোভকারী নিহত এবং আরো 60 জন আহত হয়েছেন।

    “আনাদোল” এজেন্সি জানিয়েছে যে, বুধবার থেকে বিমান বন্দর এবং মুহাম্মদ আল-কাসিম মহাসড়ক, তাহরির স্কয়ার ও আল-কিলানী অঞ্চল সহ মধ্য বাগদাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ করেন দেশটির সাধারণ জনগণ। এসময় দেশটির মুরতাদ সরকারের সামরিক বাহিনী সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।

    সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, সোমবার দিন ইরাকী মুরতাদ বাহিনীর হামলার ফলে দু’জন সাধারন ইরাকী বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং আরো 60 জনেরও বেশি লোক আহত হন।

    ইরাকী বিক্ষোভকারীরা সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় এবং দক্ষিণ অঞ্চলের শহরগুলির বহু বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রধান রাস্তা বন্ধ করে তাদের প্রতিবাদকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

    ইতিপূর্বে বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবির পুরণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে একটি সময়সীমা দিয়েছিল, কিন্তু উক্ত সময়ের মধ্য দেশটির মুরতাদ সরকার বিক্ষোভকারীদের কোন দাবিই পুরণ করেনি, তাই উক্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইরাকী জনগণ আবারো আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিক্ষোভ অভূতপূর্বভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31703/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইয়ামান | মুরতাদ বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা, শতাধিক সেনা নিহত



      ইয়ামানের রাজধানী সানার প্রায় ১৭০ কিলোমিটার পূর্বে মরিব প্রদেশে সামরিক সেনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে মাগরিবের সময় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে কমপক্ষে ১১১ সেনা নিহত ও আরও বেশ কতক সেনা আহত হয়েছে।

      ইয়ামানের উপমন্ত্রী আবদুল রাকিব আল হায়দার জানায় যে, এই হামলায় কমপক্ষে ১১১ সেনা মারা গিয়েছে। এবং আরও কয়েক ডজন সেনা আহত হয়েছে।

      অন্যদিকে বেসরকারি কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানায় যে, উক্ত হামলায় ৯০ সেনা নিহত এবং ১৩০ সেনা আহত হয়েছে।

      এর আগে সেখানের এক হাসপাতাল সূত্র ৮৩ জনের মৃত্যুর ১৪৮ জন আহ’ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল।

      সৌদি সমর্থিত ইয়ামান মুরতাদ রাষ্ট্রপতি “মনসুর হাদী আবদুল রব” এই হামলার জন্য আরেক মুরতাদ বাহিনী শিয়া সন্ত্রাসী “হুতী” মিলিশিয়াদের দোষী করছে, তবে মুরতাদ “হুতী” শিয়ারা এখনও গণমাধ্যমকে এই হামলা সম্পর্কে কিছু বলেনি।

      লক্ষণীয় যে, সৌদি আরব গত ২০১৫ সালে হাদিদের পক্ষ নিয়ে (ছয় বছর ধরে) ইয়ামানের মুরতাদ শিয়া “হুতিদের” বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে, কিন্তু কোনও সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

      অন্যদিকে উভয় বাহিনীর অমানবিক বিমান ও স্থল পথের হামলায় গত পাঁচ বছরের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আর, সৌদি আরবীয় সেনাদের অবরোধের শিকার হয়ে অনাহারে প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছে ইয়ামানী শিশুরা।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31698/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        তুর্কি সীমান্তসন্ত্রাসীদের গুলিতে ৩ শিশুসহ ৭ সিরিয়ান মুসলিম নিহত



        ইদলিবে মুসলিমদের বসতবাড়ি লক্ষ্য করে বৃষ্টিরমত বোমা হামলা চালাচ্ছে কুফ্ফার রাশিয়া ও মুরতাদ শিয়া জোট বাহিনীগুলো। ফলে কুফ্ফার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তুরস্ক সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে ঢুকার চেষ্টা করেন সিরিয়ান মুসলিমরা।

        এসময় প্রতারক তুরস্কের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালায় সিরিয়ান মজলুম মুসলিদের উপর। ফলে তাদের মধ্য হতে 7 জন নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছিল। যাদের মাঝে 4 মহিলা এবং 3 শিশু।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31715/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পিছিয়ে পড়ছে অর্থনীতি, আরও গভীর সংকটে মোদি সরকার



          প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিল পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে ভারতকে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু গত ছয় বছরের শাসনে অর্থনৈতিক হাল ধীরে ধীরে বেহাল হচ্ছে বলে বারবার সোচ্চার হয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের মতো অনেকে। এবার সেই পথে হাঁটল ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ)।

          আইএমএফ এর দেওয়া তথ্য বলছে, আরও গভীর সংকটে মোদি সরকার, কেননা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে ভারতের অর্থনীতি। সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে ভারত। প্রতিবছরে প্রায় তিনমাস অন্তর ভারতের অর্থনীতির মান পড়ছে। পতন হতে হতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখনই পতন থেকে বাঁচতে দেশটির সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে আইএমএফ। কারণ অর্থনীতির পতনের কারণে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে।

          এছাড়া ধনী দরিদ্রের ফারাক প্রকট হয়েছে ভারতে। সেই ফারাক মেটানো এখুনি অসম্ভব। জিডিপি বৃদ্ধি কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। এমনকি ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআইয়) দেওয়া মাত্রা অতিক্রম করেছে মুদ্রাস্ফীতি। এমনই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশটির।

          তবে যাইহোক, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে ভারতেকে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার। দেশটির যা হাল তাতে সেটা একেবারেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন আইএমএফ। এমনকী দেশটির আর্থিক সংকট এতোটাই প্রবল আকার নিয়েছে যে রিজার্ভ ব্যাংতের তহবিলে হাত পড়েছে।

          সূত্র : ইকোনোমিক টাইমস।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31679/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            *‘কোনো আন্দোলনেই নাগরিকত্ব আইন বাতিল হবে না’:-দিলীপ ঘোষ



            ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি মালাউন দিলীপ ঘোষ এমপি বলেছে, কোনো আন্দোলনেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিল হবে না। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) হবে এবং সবাইকে এজন্য নথি দেখাতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

            রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারসতে সিএএর সমর্থনে এক মিছিল ও সমাবেশে দিলীপ ঘোষ ওই মন্তব্য করেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ বুদ্ধিজীবীমহল ও ছাত্ররা যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তাদের ঠান্ডা করার উপায় জানা আছে বলে তিনি জানান।

            এদিন মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত পর্যন্ত বিজেপি’র পক্ষ থেকে সিএএর সমর্থনে ‘অভিনন্দন যাত্রা’র আয়োজন করা হয়। মিছিল শেষে বারাসতের হেলাবটতলা মোড়ের সমাবেশে যোগ দেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর সব দল ভোটার খুঁজেছে। মানুষকে ভোটার বানিয়ে রেখেছে, নাগরিক বানায়নি। ’

            তিনি জানান, হিন্দুদের সমর্থন করার জন্য, তাদের পাশে থাকার জন্য একশো শতাংশ সাম্প্রদায়িক আখ্যা পেতেও রাজি।

            রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিমদের দিকে ইঙ্গিত করে দিলীপ ঘোষ বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেজন্য দায়ী ‘লুঙ্গি বাহিনী’ অর্থাৎ বাঙ্গালী।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31682/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              পশ্চিমবঙ্গের শহর থেকে গ্রামে এনআরসি, সিএএ নিয়ে ভয়ের আবহ!



              গ্রাম এবং শহরজুড়ে এনআরসি, সিএএ নিয়ে ভয়ের আবহ। সাধারণ মানুষের আলাপে বারবার উঠে আসছে এই ভয়ের কথা।

              পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং রাজনীতির সাথে জড়িত মানুষদের সাথে আলাপ করে দৈনিক কালের কণ্ঠের এই প্রতিবেদন।

              ভয়ের কারণ:
              আসামে এনআরসির অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ বুঝেছেন যে নাগরিকপঞ্জিতে নাম তুলতে লাগবে নানা রকমের তথ্য। যেমন বাবা মার জন্মস্থান, জন্মতারিখ, ১৯৭১ এর ২৪শে মার্চ এর আগের জমির দলিল বা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এমনকি শহরের বসবাসকারী মানুষদের কাছেও এত তথ্য নেই। তাই মানুষের মনে এক অজানা আশঙ্কা।

              ভয়ের প্রমাণ:
              ১. হঠাৎ করে ভোটার তালিকায় নিজের নাম সুনিশ্চিত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্যবাসী। ১৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ভোটার তালিকা সংশোধনে অংশগ্রহণকারী নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৩ লক্ষ, যা সর্বকালীন রেকর্ড। নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক থেকেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধনের হিড়িক পড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যাদের ভোটার তালিকায় বা ভোটার কার্ডে কোনো ভুল আছে, তারা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। সেই সংখ্যাও অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে।

              ২.তিন মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬.২ কোটি মানুষ নিজেদের রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ করিয়েছেন এই আশায় যে, এনআরসি হলে এই সংযুক্ত্করণের কারণে হয়তো তারা বেঁচে যাবেন। ভারতে বিজেপি সরকার আসার পর ব্যাংক একাউন্টের সাথে এবং আয়করের জন্য একাউন্টের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে বারবার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে কারণ মানুষের থেকে সাড়া মেলেনি। কিন্তু রেশন কার্ড, যা একটি প্রামাণ্য ডকুমেন্ট, আধার এর সাথে সংযুক্তি করার জন্য মানুষ নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

              ৩.গ্রাম থেকে শহরে হঠাৎ করে স্কুল, পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। স্কুল বা কলেজে গিয়ে মানুষ নিজেদের সার্টিফিকেট এর ভুল সংশোধন করছেন। পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে এবার লাইন পড়ছে কারণ মানুষ নিজেদের আধার কার্ডের কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করিয়ে নিচ্ছেন। অবস্থা এমন যে, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলোতে, যেখান থেকে অনেক মানুষ ভারতের অন্য রাজ্যে কাজ করতে যান,সেখান গরিব মানুষ অন্য রাজ্যে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31688/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                নাগরিকত্ব আইন কি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়?



                বাংলাদেশের হিন্দু ঘেষা মুরতাদ শাসকরা বার বার এটাই বলে আসছে যে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কিংবা নাগরিকপঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও এটাই দাবি করছে।

                শেখ হাসিনার গত অক্টোবর মাসে দিল্লি সফরের সময় নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বলেছে, ‘এই আইন পাস করা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

                তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে জানানো দরকার, রোহিঙ্গা সমস্যা যেমন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়, তেমনি ভারতের নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।

                মিয়ানমারও প্রথমে দাবি করেছিল এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণহত্যার বিষয়টি তো তারা অস্বীকারই করেছিল। পরে বিশ্ব আদালতে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অং সান সু চিকে তাঁর সেনাবাহিনীর বর্বর অত্যাচারের কথা স্বীকার করতে হয়েছিল। আর এই বর্বরতার মাসুল গুনতে হচ্ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে। আশ্রিত ১১ লাখ রোহিঙ্গারা এখন ভিটেমাটি হারিয়ে দরিদ্র বাংলাদেশের কাঁধে।

                ভারত নাগরিকত্ব আইন বহাল হলে একমাত্র হিন্দু ছাড়া মুসলমান, খ্রিস্টান, দলিত সম্প্রদায় এবং উপজাতিসমূহের লোকের নাগরিকত্ব হারানোর ভয় আছে। আসামে আবার বাঙালি বিতাড়ন শুরু হতে পারে। দেখাদেখি মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও। প্রকাশ্যে গোমাংস খেলে কিংবা গোমাংস বিক্রি করলে বজরং গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা ভিন্নধর্মের মানুষকে হত্যা করবে। এরই মধ্যে তা করেছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে কোনো মুসলমান নাগরিক জয়রাম জয় সীতারাম ধ্বনি উচ্চারণ না করলে গোঁড়া সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদীরা তাঁকে প্রহারে প্রহারে জর্জরিত করবে। এর মধ্যেই কয়েক স্থানে করেছে। তার কোনো প্রতীকার নেই। কোনো কোনো রাজ্যে মসজিদ অতীতে মন্দির ছিল দাবি করে তা ভেঙে মন্দির করা হয়েছে। গেরুয়াধারী হিন্দুত্ববাদীদের অত্যাচারে সারা ভারত আজ জর্জরিত।

                বিজেপি যে আজ সারা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তা স্পষ্ট। দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলমান নামে যেসব শহর, বন্দর, রাস্তাঘাট আছে, যেমন উরুঙ্গাবাদ, আহমেদাবাদ, আফজালনগর প্রভৃতির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাঠ্য ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। মুসলমান শাসকদের নাম বাদ দিয়ে কল্পিত হিন্দু বীরদের গালগল্প ইতিহাস বলে সাজানো হচ্ছে। ডাকটিকিটে নেহরু-গান্ধীর ছবি বিলুপ্ত হচ্ছে। উঠে আসছে শিবাজি, সাভারকরের ছবি।

                গোটা ভারতকে এভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদে সারা দেশ উত্তাল। এক উত্তর প্রদেশেই পুলিশের গুলিতে মারা গেছে ১৩ জন। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ঝাড়খণ্ডসহ বহু রাজ্য নাগরিক সংশোধনী আইন এবং নাগরিকপঞ্জি অনুযায়ী বিধি-ব্যবস্থা তাদের রাজ্যে বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

                পার্লামেন্টে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা হলে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে ঘোষিত ব্যক্তিদের জন্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্প তৈরির ব্যবস্থা হয়েছে। একাধিক রাজ্য এই কনসেনট্রেশন ক্যাম্প তৈরিতে অসংগতি জানিয়েছে। এ ধরনের পাগলামি আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু করেছিল। ছয়টি কি সাতটি মুসলিম রাষ্ট্রের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। নাৎসিদের কায়দায় সীমান্তে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প করে তাতে মায়ের বুক থেকে শিশু কেড়ে নিয়ে আলাদাভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছিল। এর ফলে শুধু আমেরিকায় নয়, সারা বিশ্বে ধিক্কার ধ্বনি উঠেছিল। ফলে ট্রাম্পকে তাঁর নিন্দিত ইমিগ্রেশন নীতি থেকে কিছুটা পিছু হটতে হয়েছিল।

                ট্রাম্পের উগ্র জাতীয়তাবাদী ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি এবং বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ ধরনের নীতি থেকেই ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়।

                ভারত যদি হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়ায়, তার প্রতিক্রিয়া সারা উপমহাদেশে ছড়াবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিক গণনার ফলে আসামে ১৯ লাখ নর-নারী ভারতের নাগরিক তালিকার বাইরে থাকে। এরা ঘরছাড়া হলে বাংলাদেশেই আশ্রয় গ্রহণ করতে চাইবে। ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর আরো কয়েক লাখ ভারতীয় মুসলমান বাংলাদেশে ঢুকলে তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা কী দাঁড়াবে? অবিভক্ত আসামে সাদুল্লা বরদৌলাই গভর্নমেন্টের আমলে ‘বঙ্গাল খেদাও’ আন্দোলনের সময় অনেকেই বাংলাদেশে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বর্তমানে শুধু আসামে নয়, সারা ভারতেই যদি সংখ্যালঘু—বিশেষ করে ‘মুসলমান খেদাও’ নীতি অনুসৃত হয়, তাহলে তারা কি পাকিস্তান ও বাংলাদেশমুখী হবে না? যদি হয়, তাহলে বিজেপি সরকার কী করে দাবি করে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়?

                ভারতের সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলনের ফলে কোণঠাসা বিজেপি সরকার এখন বলছে, তারা কারো নাগরিকত্ব হরণ করবে না। বিশেষ করে মুসলমান নাগরিকদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাই যদি হবে, তাহলে তারা কী করে আইন করে যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কোনো হিন্দু ভারতে গিয়ে তাদের নাগরিকত্ব চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তা মঞ্জুর করা হবে। এটা একদিক থেকে বর্ণবৈষম্যমূলক আইন। অন্যদিকে সরাসরি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশ ত্যাগে উসকানি প্রদান। এটা কী করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়?

                ভারতের বিজেপি সরকারের এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতি অনুসরণের সমালোচনা করা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সহজ নয়। তাতে দুই দেশের বর্তমান সরকারের মধ্যে সৌহার্দ ও মৈত্রী ক্ষুণ্ন হতে পারে। বেসরকারি পর্যায়ে এ ব্যাপারে লেখক ও বুদ্ধিজীবীরাও বেশি সরব নন। তাই মুসলমানদেরই উচিত বিজেপির এই চণ্ডনীতির প্রতিবাদ করা। গত শতকে ইউরোপে অতি জাতীয়তাবাদ থেকে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়েছিল। একুশ শতকে উপমহাদেশে তার পুনরাবৃত্তি ঘটুক—এটা কারো কাম্য হতে পারে না।

                সূত্র: কালের কণ্ঠ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/21/31690/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ! হে সর্ব শক্তির আধার! আপনি মুসলিম জাতিকে জাগিয়ে তুলুন! তাদেরকে আপনার গায়েবী শক্তিতে বলিয়ান করে তুলুন!
                  বিশ্ব কাফের,মুর্তাদ,মালাউনদের জন্য আমাদেরকে জম দূত হয়ে আবির্ভাব হওয়ার তাওফিক দিন!
                  তাদেরকে নিঃশেষ করার শক্তি দিন! আমীন।

                  Comment

                  Working...
                  X