Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৪ঠা জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ইনফোগ্রাফি | ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে ৭,৪২৩টি বোমা বর্ষণ করেছে ক্রুসেডার মার্কিন জোট!

    আফগানিস্তান, হাদীসে বর্ণিত প্রচীন সীমানা খোরাসানের অন্তর্গত একটি দেশ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটি সবসময়ই ছিল ক্রুসেডারদের অন্তর্জালা সৃষ্টির কারণ। ইংরেজ থেকে শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও নব্য ক্রুসেডার সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বদাতা আমেরিকার জন্য এই দেশের মুসলিমরা এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এখানের মুসলিমরা কখনো নত শিকার হননি, দাসত্বকে মেনে নেননি, ইসলামের ক্ষেত্রে কখনো কোন ছাড় দেওয়াকেও তারা পছন্দ করেননি।

    তাই ক্রুসেডাররা সবসময়ই চেষ্টা করেছে একে দমিয়ে রাখতে, মুসলিমদের এই ঘাঁটিকে শেষ করে দিতে। অতীতে চেষ্টা চালিয়েছে ইংরেজ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন, কিন্তু মহান রবের মজবুত ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান এই জাতিকে তারা পরাজিত করতে পারেনি, বরং নিজেরািই লাঞ্ছিত, অপদস্থ ও অপমানিত হয়ে এখান থেকে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এরপর সেখানে আগ্রাসন চালিয়ে নব্য ক্রুসেড যুদ্ধের নেতৃত্বদাতা আমেরিকা, ২০০১ সালের পর হতে তারাও সেই একই চেষ্টা চালায়। কিন্তু, দৃঢ়চেতা আফগান মুসলিম জাতির সামনে আমেরিকার কাপুরুষ সৈন্যরা ময়দানে অপমানিত অবস্থায় পরাজিত হয়েছে।
    ময়দানে মুজাহিদগণের সাথে না পেরে অধিকাংশ সময়ই ক্রুসেডার সন্ত্রাসীরা সাধারণ মুসলিমদের উপর বোমা হামলা চালিয়েছে।

    ২০০১ সালের পর হতে দেশটির মুসলিমদেরকে শেষ করে দিতে বৃষ্টির মত বোমা হামলা চালাতে থাকে ক্রুসেডার আমেরিকা, আজও তাদের সেই কাপরুষোচিত আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

    ক্রুসেডার আমেরিকার এয়ার ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড সোমবার তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায় যে, গত ১০ বছরের মধ্যে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি বোমা বর্ষণ করেছে।

    তাদের প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদন হতে জানা যায় যে, ২০১৯ সালে তারা আফগানিস্তানে ৭,৪২৩টি বোমা বর্ষণ করেছে। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট সন্ত্রাসী বারাক ওবামার আমলে ২০০৯ সালে ৪১৪৭টি বোমা বর্ষণ করা হয়েছিল। সেটি ছিল এর আগের ১০ বছরের মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি বোমা বর্ষণের ঘটনা।

    আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী আফগানিস্তানে বিমান হামলা জোরদার করে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিমান হামলার উপর থেকে সীমাবদ্ধতাও তুলে নেয়া হয়। ফলে, মার্কিন সন্ত্রাসীদের বোমা বর্ষণের কারণে আফগানিস্তানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

    আসুন তাহলে এবার দেখে নেয়া যাক গত ২০১৯ সালের কোন মাসে আফগান মুসলিমদের উপর কী পরিমাণ বোমা হামলা চালিয়েছে ক্রুসেডার আমেরিকা।

    ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর বোমাবর্ষণের পরিসংখ্যান ইনফোগ্রাফিতে দেখুন-



    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32243/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ক্রুসেডার ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনা পুরোটাই ইসরায়েলের পক্ষে



    দীর্ঘ বিলম্বের পর অবশেষে ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি কথিত শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। পরিকল্পনাটি পুরোটাই ইসরায়েলের পক্ষে। পরিকল্পনাটিকে সে ‘নতুন ভোর’–এর প্রতিশ্রুতি হিসেবে উল্লেখ করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এটিকে স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এটাকে একপেশে এবং ‘ইতিহাসের ভাগাড়’ বলে মন্তব্য করেছে।

    বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে সন্ত্রাসী ট্রাম্প এই মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনা প্রকাশ করে। তাঁর মতে, সেখানে দশকের পর দশক ধরে মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও তাঁর এই পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    দর্শকদের সামনে ট্রাম্প বলেছে, ‘আমরা একসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন ভোর আনতে পারব।’ দর্শক সারিতে ইসরায়েলি ও ইহুদি আমেরিকান অতিথি ছিল। কোনো ফিলিস্তিন প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। ইসরায়েলের জন্য ওই পরিকল্পনাকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষ করে জেরুজালেম নিয়ে বিরাজমান সংকট এতে মেটেনি। জেরুজালেম হলো ফিলিস্তিনের পবিত্র নগরী। তবে মার্কিন পরিকল্পনায় এই জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিদের পরিবর্তে ‘অবিভক্ত’ রাজধানী হিসেবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা বলেছে। পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরে গড়ে তোলা পত্তনগুলো ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে ট্রাম্প কথিত ‘শান্তির পথে বড় পদক্ষেপ’ নেওয়ায় ইসরায়েলের প্রশংসা করে। পরিকল্পনাটিতে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য একের পর কঠিন শর্ত পালনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সামরিক মুক্ত থাকতে হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে পরিকল্পনায়। পাশাপাশি ইসরায়েলে অধিকৃত অঞ্চলের পত্তনগুলোতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

    ভবিষ্যতের এই চিত্রের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার কথা বলেছে সন্ত্রাসী ট্রাম্প। সেই সঙ্গে সে ইসরায়েল যেন কখনো নিজেদের নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা না করে সেটার ওপরও জোর দিয়েছে। সে এ ব্যাপারে আগের মার্কিন কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলোকে অসার উল্লেখ করে সমালোচনা করে। ট্রাম্প জানায়, তাঁর এই পরিকল্পনাটি ৮০ পৃষ্ঠার এবং এতে প্রস্তাবিত ভবিষ্যৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য মানচিত্র অঙ্কিত রয়েছে।

    এই পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের চুক্তি কখনো বাস্তবায়িত হবে না। আমাদের জনগণ এটাকে ইতিহাসের আবর্জনায় ফেলে দেবে।’

    সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জেরুজালেম নিয়ে ট্রাম্প বলেছে, অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা উচিত। একই সময়ে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের মধ্যে ফিলিস্তিনকে একটি রাজধানী ঘোষণা করতে দেওয়া যেতে পারে।

    গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস জানিয়েছে, তারা জেরুজালেমের ব্যাপারে কোনো ধরনের সমঝোতা মেনে নেবে না।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে লোকজন। রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে।

    পরিকল্পনা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল তিন আরব দেশ ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতেরা। ট্রাম্পের দাবির পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যে সমর্থন বাড়ার পক্ষে কিছু প্রমাণও তুলে ধরে তাঁরা।

    সৌদি আরব ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানায়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32251/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ক্রুসেডার ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা, পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার প্রস্তাব



      মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য বহুল আলোচিত কথিত শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ক্রুসেডার সন্ত্রাসী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

      ৮০ পাতার প্রস্তাবটি বাস্তবিক দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান হবে জানিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে ইসরাইলও এতে একমত হয়েছে বলে সে জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

      ৮০ পৃষ্ঠার এ পরিকল্পনার ৫০ পৃষ্ঠাই ব্যয় করা হয়েছে রাজনৈতিক পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য। পরিকল্পনার বাকি ৩০ পৃষ্ঠা গত বছরের জুলাইয়েই প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে মূলত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিকল্পনায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে সন্ত্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

      ট্রাম্পের প্রস্তাবে পশ্চিমতীরে ইসরাইলের দখলকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিনিময়ে চার বছরের জন্য ইসরাইল দখলকৃত এলাকার সম্প্রসারণ বন্ধ রাখবে। এ সময়টিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলবে।

      ৫ হাজার কোটি ডলারের সেই পরিকল্পনাটি তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল ট্রাম্প জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার।

      হোয়াইট হাউসে দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলে, আজ শান্তির জন্য ইসরাইল এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।

      পরিকল্পনায় ট্রাম্প প্রশাসন একটি সম্ভাব্য মানচিত্রও তুলে ধরেছে, যেখানে বর্তমানে ফিলিস্তিন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের দ্বিগুণ এরিয়া ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32260/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কথিত শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনিরা, ব্যাপক বিক্ষোভ, ইসরাইলের হামলা



        আমেরিকা-ইসরাইলি ষড়যন্ত্র ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। গাজার সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ হিসেবে ধর্মঘট পালন করছেন।

        তারা নিজেদের ঘরবাড়ি এবং অফিস-আদালতে কালো পতাকা উড়িয়েছেন। সর্বত্রই শোকের আবহ বিরাজ করছে। এটাকে তারা বেলফোর ঘোষণার সঙ্গে তুলনা করছেন।

        ফিলিস্তিনিরা বলছেন, ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস আর্থার বেলফোর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিবাদীদের জন্য কথিত আবাসভূমি বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ঘোষণা দিয়ে যে ক্ষতি করেছিল, একবিংশ শতাব্দিতে এসে ট্রাম্প ঠিক সে ধরণের আরেকটি ক্ষতি করল।

        পশ্চিম তীর থেকেও একই ধরণের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনিরা আজকের ধর্মঘট ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আমেরিকা ও ইসরাইলকে এই বার্তা দিয়েছেন যে, তারা কোনো ভাবেই এই ষড়যন্ত্র মেনে নেবেন না। যেকোনো উপায়ে তা মোকাবেলা করা হবে।

        ফিলিস্তিনিদের প্রবল বিরোধিতা উপেক্ষা করে ক্রুসেডার সন্ত্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ইহুদিবাদী পরিকল্পনা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ উপস্থাপন করেছে।তিনি মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে তার একপেশে এই আপোষ প্রক্রিয়া উপস্থাপন করে।

        এদিকে এছাড়া বেথেলহাম, দক্ষিণ জেরুজালেম, জর্ডান উপত্যকা ও হেবরনেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ইসরাইলের সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী।

        ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৪১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32273/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ফিলিস্তিনে ইহুদি সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিমান হামলা!



          ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে বুধবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের মধ্যেই ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা চালায়। সামরিক সূত্রের বরাতে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এমন খবর দিয়েছে।

          দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামাসের সামরিক শাখা ইজ আদ-দ্বিন আল-কাসেম ব্রিগেডসের অবস্থান ও আল-বালাহ শহরের কৃষি জমি লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। অবৈধ রাষ্ট্রটির যুদ্ধবিমান থেকে এসব এলাকায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

          তবে এ হামলার ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

          এর আগে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকার সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ইসরাইল।

          পশ্চিমতীরের বাইবেলের পরিভাষা ব্যবহার করে এক বিবৃতিতে ইসরাইল বলছে– চলমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে জুদেই ও সামারিয়া এবং গাজা বিভাবে শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর আল-আরাবিয়াহর

          এদিকে ট্রাম্পের প্রকাশ করা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ফিলিস্তিন। এ পরিকল্পনাকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, এ চুক্তি পাস হবে না।

          মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

          তার পরিকল্পনায় জেরুজালেমকে ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে রাখা এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে কেবল পূর্ব জেরুজালেমের একটি অংশ আবু দিসকে রাখার কথা বলা হয়েছে। আর পশ্চিমতীরে গড়ে তোলা ইহুদি বসতিসহ সবটাই ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলা হয়েছে।

          মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার বলেছেন, জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়। আমাদের অধিকার বিক্রির জন্য নয় কিংবা দরকষাকষির জন্যও নয়।

          তিনি বলেন, কোনো ফিলিস্তিনি, আরব, মুসলিম কিংবা খ্রিস্টানের পক্ষে জেরুজালেমকে রাজধানী করা ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেয়া অসম্ভব। আমি হাজার বার বলেছি– এ পরিকল্পনা মানি না, মানি না, মানি না। আমরা শুরু থেকেই এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে আসছি এবং আমাদের অবস্থানও ঠিক আছে।

          গাজা উপত্যকাতেও মঙ্গলবার ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দিবস পালিত হয়েছে। গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিন দল হামাসও পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32275/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            শাম | একজন প্রবীণ ব্যাক্তিকে হত্যা করার পর তার দেহকে অগ্নিদগ্ধ করলো দখলদার রাশিয়া!



            “সন্ত্রাসবাদের” অভিযোগে রাশিয়ান দখলদার মিলিশিয়ারা সিরিয়ার ইদলিব সিটির মারাত “আল-নুমান” শহরে হতভাগ্য এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে

            “সন্ত্রাসবাদের” অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে বৃদ্ধের মৃতদেহের উপরে দাঁড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় কুফ্ফার বাহিনীর নেতাকর্মীদের।

            অতঃপর পেট্রোল দ্বারা তার মরাদেহকে জ্বালিয়ে দেয় কুফ্ফার রাশিয়ান বাহিনী। কুফ্ফার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যা হওয়া “আহমেদ আল-জাফফাল” নামক উক্ত বৃদ্ধ ব্যাক্তি প্লাষ্টিক ও নাইলন কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

            জানা যায় যে, আহমদ আল-জাফলের, তিনি মারাত “আল-নুমান” শহর মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার আগে এই শহর ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেছিলেন।

            লক্ষণীয় যে, দুঃখজন হল তীব্র লড়াইয়ের পরে কুফ্ফার রাশিয়ান দখলদার মিলিশিয়া ও নুসাইরী মুরতাদ শিয়ারা মারাত আল-নুমান শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। এরপর সেখানে এই নিকৃষ্টতম হত্যাকান্ড ঘটায়।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32283/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              নেকাব পরতে পারবেন না কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা



              মিসরে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের নেকাব পরার ওপর কুফরি নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত সপ্তাহে মিসরের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক এ আপিল নিষ্পত্তির রায় ঘোষণা করে।

              আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের নিম্ন আদালত ২০১৬ সালে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে এর বিরুদ্ধে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের নেকাবপরা নারী শিক্ষিকারা নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল করেন।

              কিন্তু গত সপ্তাহে দেশটির কথিত সর্বোচ্চ কুফরি আদালত আপিল খারিজ করে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বব্যাপী শুরু হয় সমালোচনার ঝড় ও প্রতিবাদ।

              আদালতের যুক্তি, নেকাব শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সম্পর্ক ও যোগাযোগের বিষয়টি সহজ ও ফলপ্রসূ হওয়ার অন্তরায়।

              নেকাব পরা নারী শিক্ষিকাদের আইনজীবী আহমাদ মেহরান বলেছে, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ নারী ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। গত সপ্তাহে দেশটির কথিত সর্বোচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেই রায় দেয়।

              কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ত্বগুত জাবির নেসার ২০১৩ সালের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের নেকাব পরায় নিষেধাজ্ঞার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

              পরে এই উপাচার্য ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের নেকাব পরায় নিষেধাজ্ঞা আইন বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রশাসনিকভাবে নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

              কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারির পর নারী শিক্ষিকারা ২০১৬ সালে আদালতের স্মরণাপন্ন হন। অবশেষে কুফরি আদালত উপাচার্য জাবির নেসারের প্রশাসনিক আদেশ বহাল রেখেই এই রায় দেয়।

              আইনজীবী আহমাদ মেহরান বলে, ‘আদালতের এ রায় বাস্তবায়ন সহজ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা আদালত বহাল রাখলেও শিক্ষিকারা নেকাব জড়িয়েই কাজ করে আসছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে তারা উন্নতি করেছেন। নেকাব পরা শিক্ষিকারাও আদালতের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32257/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ‘এই নাও আজাদি’ বলে জামিয়ার শিক্ষার্থীদের গুলি চালাল সন্ত্রাসী হিন্দু যুবক



                দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে এক বন্দুকধারী। এতে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলিবর্ষণের সময় বন্দুকধারী চিৎকার করে বলে, ‘এই নাও তোমাদের আজাদি (মুক্তি)। দিল্লি পুলিশ জিন্দাবাদ। হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ।’

                বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘গুলি করে মারো শালাদের’ স্লোগান দেওয়ার কয়েকদিন পর এই ঘটনা ঘটলো।

                জামিয়ার শিক্ষার্থী আমনা আসিফ এনডিটিভিকে বলেন, আমরা ব্যারিকেডের কাছে যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন এই বহিরাগত, যাকে আমরা কেউ চিনি না, সে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বিঘ্ন ঘটায়। হাতে রিভলবার নিয়ে সে এগিয়ে আসে। আমরা সবাই তাকে থামাতে ও শান্ত করতে চেষ্টা করছিলাম। আমরা লোকটির দিকে এগিয়ে গিয়ে থামাতে চেষ্টা করি। পুলিশও উপস্থিত ছিল। কিন্তু পুলিশ সেখানে অটল দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা যখন ওই লোকের হাত থেকে রিভলবার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করি, তখন সে আমাদের এক বন্ধুকে গুলি করে।

                দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তি হামলার পূর্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার গুলি করার আগে রাম ভক্ত গোপাল নামের এই ব্যক্তি ফেসবুকে তার কর্মকাণ্ড সরাসরি প্রচার করে। তার গুলিতে জামিয়ার এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে।

                হামলাকারী নিজেকে রামভক্ত গোপাল বলে পরিচয় দিয়েছে। তার ফেসবুকে লাইভ ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমটিতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে ফেলা হয়।

                ফেসবুক প্রোফাইলে গোপাল নিজের সম্পর্কে লিখেছে, ‘রাম ভক্তিই যথেষ্ট, বাকিটা সময় আসলে দেখা যাবে’।

                বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহীন বাগে চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে তার প্রোফাইলে বেশ কিছু উক্তি রয়েছে। এছাড়া প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনাও পাওয়া গেছে। এক পোস্টে সে বলেছে, ‘শাহীনবাগ… গেম ওভার’।

                এক পোস্টে সে তার বন্ধুদের আহ্বান জানিয়েছে ফোন না করার জন্য। তার সবগুলো পোস্ট হিন্দি ভাষায় প্রকাশ করা।

                জামিয়ার শিক্ষার্থীদের জমায়েতে গুলির পর বিক্ষোভকারীরা তাকে ধরে ফেলে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32294/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  পাসপোর্ট অফিসে নাগরিকদের প্রতি এমন অবহেলা কেন?



                  আমাদের কাজ মামুলিই ছিল বলা চলে। আমাদের পাসপোর্ট আছে, মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। রি-ইস্যু করতে হবে। কোনো পরিবর্তন নেই। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। জানতে পারলাম, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাঁরা আসতে পারবেন, তাঁদের পাসপোর্টই গ্রহণ করা হবে; কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন সেই সময়ের ১০ মিনিট আগেই জানালেন যে এরপর থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ততক্ষণে আরও কিছু লোক এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা সময়ের মধ্যেই এসেছেন বলে নিশ্চিন্তই ছিলেন এতক্ষণ। হঠাৎ সময়ের আগেই আর ঢুকতে দেওয়া হবে না শুনেই নানা অনুনয় করতে শুরু করল লাইনে দাঁড়ানো নাগরিকদের একদল। আমি তখন ভাবছি, এই নাগরিকদের পয়েন্ট আছে। তাঁরা কীভাবেই–বা জানবেন যে আজকে লোকজনের চাপ বেশি বা যেকোনো কারণেই হোক নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই বন্ধ করা হবে দরজা? নানা অনুনয়-বিনয়ের পরও দায়িত্বপ্রাপ্ত এনসিও অনড় থাকলেন। বুঝতে পারলাম, আমি নির্ভার থাকলেও আমার পেছনের অনেকেরই আর আজকে আবেদন জমা দেওয়া হবে না। একটু হলে আমারও এই অবস্থা হতো ভেবেও আমি ঠিক স্বস্তি বোধ করতে পারলাম না! ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে ও ধুলাবালু খেয়ে এই লোকগুলোকে আবার আসতে হবে?

                  একটু পর একজন নারী এসে বললেন, অনেক দূর থেকে ছোট শিশু নিয়ে এসেছেন, একটু যাতে বিবেচনা করা হয়। ভাবলাম, এইবার যদি করে। ততক্ষণে এনসিওর চেহারায় একটা আত্মতৃপ্তির ভাব ফুটে উঠেছে। অনেক মানুষকেই তিনি না বলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন। ওই নারীকে একটা উঁচু জায়গা দেখিয়ে বললেন, ‘এই দিক দিয়ে গিয়ে স্যারকে বলেন। দেখেন কিছু হয় কি না।’ কিন্তু এত মানুষকে যে না করলেন, ফিরিয়ে দিলেন, কথায় বা ভাবে দুঃখিত হওয়ার কোনো চিহ্ন ফুটে উঠল না লোকটার মুখে। আমি অবাক বিস্ময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে এসব দেখলাম!

                  আঙুলের ছাপ ও পাসপোর্ট স্ক্যান করে একটা রসিদ দিতে মোট তিনটি লাইনে দাঁড়াতে হলো। প্রথমবার ঢোকার লাইনটা ধরলে চারবার লাইনে। মোট সময় লাগল চার ঘণ্টা। যেসব রুমে দাঁড়াতে হলো, সেসব রুম ধুলায় ধূসরিত। টয়লেট দুর্গন্ধময়, এমনকি কোনো কোনো টয়লেটে ছিটকিনি নেই। বিষয়টি অবহিত করার জন্য উর্দি পরে থাকা একজন কর্মীকে কিছু বলতে গেলে লক্ষ করলাম, তিনি নিজের স্মার্টফোন থেকে নজর সরাতে পারছিলেন না। আমি ‘এক্সকিউজ মি’ শব্দটা একটু চড়া গলায় উচ্চারণ করাতে আমার দিকে তাকালেন। ছিটকিনি নেই শুনে প্রথম উত্তর: এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমি বললাম: তাহলে কারা দায়িত্বে আছেন? একটু দেখা করিয়ে দিন বা অভিযোগ বাক্সটি কোথায় দেখিয়ে দিন। ইংরেজি শব্দের কারণেই কি না জানি না, ততক্ষণে আমার দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, দেখব।’ আমি তখন ভাবছি, একটু আগে কেন বললেন কিছু করার নেই! এই অব্যবস্থাপনার জন্য একটু সরি তো বলতেই পারতেন!

                  চার ঘণ্টা পর দুপুরের খাবারের সময় হলো। যেসব জায়গায় লাইন আছে, সেসব স্থানে কোনো খাবারের দোকান নেই। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা কোনো সময় করা হয়েছিল, কিন্তু সম্ভবত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা নষ্ট পড়ে ছিল। বয়স্কদের কোনো লাইন দেখতে পারলাম না। এই পুরো সময়ে একজন ষাটোর্ধ্ব ভদ্রলোক তাঁর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানকে নিয়ে আমার সামনে থাকলেন। লাইন ভেঙে একটু ঘুরে এসে আবার আমাদের সঙ্গেই যোগ দেওয়াতে জানতে চাইলাম, ‘এলডারলি পিপলদের কোনো লাইন পেলেন না?’ বললেন, ‘না।’ পরে দেখলাম, সে রকম একটা নির্দেশনা আছে, কিন্তু সেটা দেয়ালেই। বাস্তবায়নের জন্য যে প্রয়োজনীয় স্থানে সহায়তা দরকার, তার কিছুই নেই। এ কারণে আমরা সবাই এক লাইনে!

                  আরও কিছু বিস্ময় তখনো আমার জন্য অপেক্ষা করছে। কোনো কিছু পর্যবেক্ষণের জন্য চার ঘণ্টা অনেক সময়! আমার পেছনে এক তরুণ দাঁড়িয়ে। একটু দাড়ি, বড় চুল। একজন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের কর্মী জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কী করো?’ তরুণ ছেলেটি প্রথমে তাঁর প্রশ্ন বুঝতে না পেরে উত্তর দিলেন না। দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করাতে বললেন, ‘ছাত্র।’ এরপরই সেই দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বলে বসলেন, ‘বাউল–টাউল হওয়ার ইচ্ছা নাই তো!’ কথাটা শুনে তরুণটির সঙ্গে আমার বিস্ময়সূচক চাহনিটি শেয়ার করতে যাব ভেবে তাকালাম, কিন্তু তাকিয়ে মনে হলো তরুণটি খুব একটা আহত হননি। আমি এতেও একটু অবাক হলাম। ইউনিফর্মে থাকা কারও (সে যত ছোট বা বড় পদই হোক না কেন) কাছ থেকেও এই ধরনের মন্তব্য খুবই বেমানান ঠেকল আমার কাছে।

                  এসবই পাসপোর্ট অফিসে আমার এক দিনের অভিজ্ঞতা। একে কোনোভাবেই ভালো বলা সম্ভব নয়। যেদিকেই তাকাচ্ছিলাম, মানুষকে ভীষণ অবসন্ন দেখাচ্ছিল। সামান্য একটা কাজে তিন–চার কাউন্টার কেন ঘুরতে হবে, আমার এই মন্তব্য শুনে লাইনে থাকা এক ভদ্রমহিলা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন, ‘বুঝতে হবে, এটা বাংলাদেশ। এখানে অনেক নাটক!’

                  লাইনে থাকা অনেককেই বলতে দেখলাম যে তাঁরা নানা কারণে পাসপোর্ট সময়মতো হাতে পাননি বা পাচ্ছেন না। হয়তো অনেক কারণই আছে, তবে সরকারি কোনো দপ্তরে আমাদের কেন সব ক্ষেত্রেই বৈরী পরিবেশের মধ্যেই পড়তে হবে? আমরা তো পাসপোর্ট সংগ্রহ করার মতো একটি সাধারণ কাজেই গিয়েছি সেখানে? এর থেকে বেশি আইন মান্য করার কাজ আর কীই–বা হতে পারে? লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশির ভাগ লোক ভীষণ বিরক্তি নিয়ে থাকলেন। পর্যাপ্ত বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। এতটা অমানবিক হওয়ার দরকার কী? এমনকি হতে পারত না যে লোকজন খুব সহজ প্রক্রিয়ায়, অল্প সময়ে এবং হয়রানি ছাড়াই আনন্দের সঙ্গে পাসপোর্টের কাজ করে বাড়ি ফিরছেন? পাসপোর্ট হাতে পেয়ে ছবি তুলছেন!

                  জানি, এই সব ক্ষেত্রে ভিআইপি লাইন ধরা যায়। প্রায়ই দেখি, লোকজন সরকারি অফিসে কোনো কাজ থাকলেই পরিচিত কাউকে খুঁজে বের করেন। কেন? পরিচিত লোক ছাড়া কি কোনো কাজ করতে নেই? সরকারি কর্মকর্তারা এত গর্ব করেন কিসের? জনগণের ট্যাক্সেই তো সব চলে। তাহলে এই সাধারণ নাগরিকদের প্রতি এমন অবহেলাসুলভ আচরণ কেন? জবাব কি পাওয়া যাবে?

                  সূত্রঃ প্রথম আলো


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32241/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ২৪টি গরুসহ ট্রাক ছিনতাই, গ্রেফতার হয়নি কেউ



                    নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েনবাজার গোরস্থান এলাকায় ২৪টি গরুসহ একটি ট্রাক ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। ছিনতাইয়ে বাধা দিতে গেলে ট্রাকের চালক, হেলপার, রাখাল ও এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেছে তারা। বুধবার ভোর রাতে কয়েনবাজার গোরস্থানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
                    আহতরা হলেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভেরচি গ্রামের আবু বকর শেঠের ছেলে গরু ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে বিধান চন্দ্র দাস (৪০), খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুখনগর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে, ট্রাকের চালক শিবু (২৮) এবং ট্রাকের হেলপার, একই উপজেলার মাদরোকোনা গ্রামের টিটু (২৫)। আহত অবস্থায় তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

                    বিডি প্রতিদিন থেকে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ হাট থেকে নয় লাখ টাকায় ২৪ টি গরু কিনে যশোরের দিকে যাচ্ছিলেন গরু ব্যবসায়ী আসাদুল ও বিধান। পথিমধ্যে কয়েনবাজার গোরস্থান এলাকায় গরুসহ ট্রাক পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা অন্য একটি ট্রাক দিয়ে পথরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী ও চালকদের উপর হামলা করে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গরুসহ ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকেই গ্রেফতার করেনি আওয়ামী দালাল পুলিশ।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32280/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল: শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ অবস্থা



                      পিএইচডি অভিসন্দর্ভে ৯৮ ভাগ নকল করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ছিলেন।

                      গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

                      পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শিক্ষক আবুল কালাম লুৎফুর কবীরকে অব্যাহতির পাশাপাশি অভিযোগটি তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে।

                      শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন উদাহরণ শুধু যে একটাই এমন নয়। হাজার হাজার পিএইচডি হচ্ছে এমনই সব ঠুনকো ব্যবস্থায়। কে কিভাবে ডিগ্রি নিচ্ছে তার যেন কোন ব্যবস্থাপনাই নেই। অসাড় সব বিচ্ছিন্নতায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা!

                      সূত্রঃ প্রথম আলো


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32239/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ‘মা বয়স্ক ভাতার কার্ডটাও দেইখ্যা মরতে পারলো না ’



                        ‘ট্যাহা-পয়সা পাওয়া তো দূরের কথা, মা বয়স্ক ভাতার কার্ডটাও দেইখ্যা মরতে পারলো না। বাবা মইরে যাওয়ার পর কতই না কষ্ট কইরা আমাগোর চার ভাই-বোনরে মানুষ করছে, বিয়ে-শাদিও দিছে। শেষ বয়সে আইসা একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বরদের বাড়ি বাড়ি কতই না ঘুরছে।’ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে স্বজনদের জড়িয়ে ধরে এভাবেই আহাজারি করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন বয়স্ক ভাতার কার্ড আনতে গিয়ে নিহত সাহারা বানুর ছোট মেয়ে রাজিয়া খাতুন (২০)।

                        ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুরের কলাতাপাড়ায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে সাহারা বানু নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় তিনিসহ ভাংনামারি ইউনিয়নের উজান কাশিয়াচর গ্রামের চার জন মারা যান।

                        রাজিয়া আরও জানান, ১৪ বছর আগে অসুস্থ হয়ে বাবা মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে এবং পরের সাহায্য সহযোগিতা এনে মা তাদের খাইয়ে বড় করেছে। বড় দুই ভাই বিয়ে করে এখন আলাদা থাকে। তাদের দুই বোনকেও বিয়ে দিয়েছেন পাশের গ্রামে। বোনরা মাঝেমধ্যে এসে মায়ের খোঁজ খবর নিলেও ভাই ও তাদের বউরা কোনও খোঁজ নেয় না। বুড়ো বয়সেও তার মা পরের বাড়ি কাজ করে যা পায় তা দিয়েই চলছিলেন। অবশেষে চেয়ারম্যান একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দিবে বলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কাগজ জমা দেওয়ার জন্য বলেছিল। বয়স্ক ভাতার কার্ডের কাগজ জমা দিতে গিয়ে এভাবে তার মা মারা যাবে এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তিনি।

                        প্রতিবেশী রমজান ফকির বলেন, ‘স্বামী আব্দুল হালিম মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়িঘরে কাজ করে সাহারা বানু ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন। বড় হয়ে ছেলেরা মায়ের খোঁজ খবর নিতো না। মাঝেমধ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে এসে দুই মেয়ে মাকে দেখতে আসতো। মারা যাওয়ার আগেও সাহারা বানু খুব কষ্ট করে গেছেন।’

                        গৌরীপুর ভাংনামারি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অনেকবার সাহারা বানু একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে এসেছেন। বেশ কয়েকবার তার সঙ্গেও দেখা করেছেন। তাকে কার্ড দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল।

                        গত বুধবার দুপুরে কাগজপত্র জমা দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাহারা বানু মারা যাবে এটা খুবই দুঃখজনক।

                        উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে গৌরীপুরের কলতাপাড়ায় বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গৌরীপুরের উজান কাশিয়াচরের রাবেয়া খাতুন (৮০), রাবেয়ার পুত্র লাল মিয়া (৫৫), সাহারা বানু(৬৫) ও অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম (৫০) মারা যান।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32233/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে পঞ্চম দিনেও ঢাবি শিক্ষার্থীর অবস্থান



                          ভারতীয় সীমান্তরসন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ’র শিক্ষার্থী নাসির আবদুল্লাহ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

                          সীমান্তে হত্যা বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অবস্থান কর্মসূচি থেকেই আগামী রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এমবিএ’র পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

                          সীমান্ত হত্যা বন্ধে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি ‘গণস্বাক্ষর কর্মসূচি’ শুরু করেছেন শিক্ষার্থী নাসির আবদুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকে ওই শিক্ষার্থীর দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।

                          গণস্বাক্ষর খাতায় ছাত্র ফেডারেশনের একজন লিখেছেন, ‘মানুষ নিষ্ক্রিয় থাকলেও যে নিরাপদ থাকে না, সীমান্ত হত্যা তারই প্রমাণ।’

                          তারেক হাসান নির্ঝর নামের অপর এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে নাসির আবদুল্লাহ যে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন, তার দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

                          প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন ওই শিক্ষার্থী।

                          সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32232/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            মানব রচিত কুফরী গণতন্ত্রের প্রতি মানুষ চরম অসন্তুষ্ট!



                            বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষ চরম অসন্তুষ্ট বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। আর গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের অসন্তুষ্টির এ মাত্রা ‘রেকর্ড উচ্চপর্যায়ে’ রয়েছে। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের চালানো এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফলে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিশ্বের দেশে দেশে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা এখন ‘উদ্বেগের’ পর্যায়ে রয়েছে।

                            বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় গত ২৫ বছরের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি বা উচ্চমাত্রায় অসন্তুষ্টি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে।

                            কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অব দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসি’ নামের একটি বিভাগ এ জরিপ চালায়। ১৯৯৫ সাল থেকে এটি গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের জরিপে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টির মাত্রা ১০ ধাপ বেড়ে ৪৮ থেকে ৫৮ হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টির সর্বোচ্চ পর্যায়।

                            গবেষকেরা বলছেন, গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের মনোভাব জানার ক্ষেত্রে ৪০ লাখ লোকের ওপর সাড়ে তিন হাজার জরিপ চালানো হয়। আর সবচেয়ে বেশি বা উচ্চমাত্রায় অসন্তুষ্টি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে। জরিপ পরিচালনকারীদের একজন রবার্তো ফাও বলেন, বিশ্বে গণতন্ত্রের অবস্থা অস্বস্তি বা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।

                            রবার্তো ফাও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বিশ্বে গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টির মাত্রা বেড়ে চলেছে দিনকে দিন। অসন্তুষ্টি বাড়তে বাড়তে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টির মাত্রা সবচেয়ে বেশি উন্নত বিশ্বে।’

                            কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসির গবেষকেরা বিশ্বের ১৫৪টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মানুষের কাছে তাঁদের প্রশ্ন ছিল, নিজ দেশের গণতন্ত্রের প্রতি আপনারা সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট।

                            গত এক দশকে গণতন্ত্রের অগ্রহণযোগ্যতা বাড়তে শুরু করেছে। বেশির ভাগ দেশে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা চলে যাচ্ছে অনাস্থার দিকে।

                            সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের প্রতি এই অসন্তুষ্টি ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা ও ২০১৫ সালের বৈশ্বিক শরণার্থী সংকটের প্রতিধ্বনিও হতে পারে। আবার এ অসন্তুষ্টি রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বিবেচনার প্রতিফলনও হতে পারে।

                            জরিপে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে এটি নিম্নমুখী হয়েছে। বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক প্রবণতা, আর্থিক সংকট ও দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের অর্থ ব্যয় নিয়ে বিতর্কিত ঘটনার কারণেই গণতন্ত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ।

                            গবেষকেরা বলছেন, গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টি একটি সাম্প্রতিক প্রবণতা। গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের আগে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্টির মাত্রা পৌঁছেছে ৬১ শতাংশে। অথচ ১৯৯৫ সালে যুক্তরাজ্যে গণতন্ত্র নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল ৪৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা ছিল ৩৩ শতাংশ।

                            এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্ট মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের সন্তুষ্টির মাত্রা ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ। এরপরই তা কমতে শুরু করে। বর্তমানে সেটি ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি, রাজনৈতিক মেরুকরণসহ বিভিন্ন কারণে গণতন্ত্রের প্রতি অসন্তুষ্ট হচ্ছে মার্কিনরা।

                            রবার্তো ফাও বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা কমছে, কারণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে না। আর এই প্রবণতা বিশ্বের প্রতি হুমকিও বটে। এর কারণে অর্থনৈতিক ঝক্কি বাড়তে পারে।


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/30/32287/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              হিন্দুস্থান অঞ্চলের সাপের মাথা হলো ভারত তথা বর্তমান ইন্ডিয়া। তুলনামূলকভাবে ইন্ডিয়ান মুসলিম অন্যান্য দেশের মুসলিমদের থেকে অনিরাপদ। ইন্ডিয়াতে মুসলিমদেরকে কচুকাটা করার ইতিহাস নতুন নয়। সেই সাদাবল্লুক থেকে আজকের মোদি। মাঝ খানে শুধু রক্ত আর রক্ত। এমেরিকার অভ্যন্তরে মুসলিমরা যারা আছেন তারা ইন্ডিয়ান মুসলিমদের থেকে অনেক অনেক নিরাপিদে আছেন। এমেরিকা নিজের দেশের মুসলিমদের নির্যাতন কম করে। এটি এমেরিকার একটি কৌশল। আমাদের দেশের মধ্যে যতগুলো দল আছে, ইসলাম ও মুসলিমদের সব চেয়ে বেশি নির্যাতন কিরে আওমেলীগ। আমাদের বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের দ্বারা মুসলিমরা দেশ ভাগের পর থেকেই নির্যাতিত হয়ে আসছে। বর্তমান আওয়ামী লীগের একটি কৌশল হলো শত্রু কমিয়ে ফেলা। তাদের কৌশল হলো শত্র কমিয়ে ফেলা, নিজেদের আদর্শে পরিবর্তন আনা নয়। তাই তারা কওমির হুজুরদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। কওমিদের চুপ রাখার জন্য কওমিদের কিছু দাবী দাওয়া মেনে নিয়েছে। আমাদের কওমিরা বিষয়টি ভুলে চলবে না। এদেশে ইসলামের বড় শত্রু হলো এই আওয়ামীলীগ।
                              والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                              Comment

                              Working...
                              X