Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৫ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ৩১শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৫ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ৩১শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    জামিয়ায় গুলি চালানো হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীকে সম্মান জানাল হিন্দু মহাসভা



    বৃহস্পতিবার জামিয়ায় চলা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এক প্রতিবাদ মিছিলের উপর প্রকাশ্যে এক হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়েছিল এক ছাত্র। এই ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে চলে। সকলেই এই দুষ্কৃতীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অথচ, সেই দুষ্কৃতীকে এবার সম্মানিত করতে চাইছে হিন্দু মহাসভা।



    এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দলটি শুক্রবার এক ঘোষণার মাধ্যমে জানায় যে নাথুরাম গডসের মত এক প্রকৃত দেশপ্রেমীর মত কাজ করেছে সন্ত্রাসী বন্দুকবাজ।

    হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র অশোক পাণ্ডে জানিয়েছে, “জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যারা সরকারের আইন বিরোধী কাজ করতে যাচ্ছিলেন, তাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার এবং দ্রুত আজাদি দেওয়া চেষ্টা করায় সেই ছেলেটির জন্য আমরা এবং আমাদের সংগঠন অত্যন্ত গর্বিত।”

    পাশাপাশি তিনি নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের মৃত্যুও কামনা করেছেন সংগঠনের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, “সব দেশবিরোধীদের শাস্তি দিতে হবে। শার্জিল ইমাম সহ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ ও শাহিনবাগের যেসব মানুষ এমন দেশবিরোধী কাজ করবে, তাদের গুলি করেই মারা উচিত। “ ওঁরা গুলি খেয়ে মরারই যোগ্য।”

    তবে শুধুমাত্র সম্মান প্রদান নয়, জামিয়ায় গুলি চালানো ঐ ছেলেটিকে পুরষ্কার ও সমস্ত আইনি খরচ দেবে হিন্দু মহাসভা।

    গুলিচালনার সময়ে দর্শকের ভূমিকায় থাকা পুলিশ পরে ঐ দুষ্কৃতীকে লোক দেখানোর জন্য গ্রেফতার করলে ছেলেটি স্পষ্টভাবে তার দোষ স্বীকার করেছে এবং এই ঘটনায় গর্ববোধও করেছে সে। পাশাপাশি নিজের প্রবল হিন্দুত্ববাদের পরিচয়ও দিয়েছে সে সকলের সামনে। তার সন্ত্রাসী কাজের জন্য পুরস্কার দিতে চাইছে এই উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠন।

    একই সঙ্গে তাঁরা ঘোষণা করেছে, ওই হামলাকারী সন্ত্রাসীর সমস্ত আইনি খরচ জোগাবে হিন্দু মহাসভা।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32328/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    CAA-প্রতিবাদ করায় তরুণীকে ‘ও কি মরতে চায়?’ বলে দিলীপের আক্রমণ



    ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। এ বার এক প্রতিবাদী তরুণীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করল। তাঁর এহেন মন্তব্যে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার কলকাতার পাটুলিতে CAA-র সমর্থনে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল দলের রাজ্য সভাপতি সন্ত্রাসী দিলীপ। বিজেপির র*্যালির মাঝেই CAA, NRC এবং NPR-এর বিরুদ্ধে পোস্টার হাতে একাকী প্রতিবাদ জানান এক তরুণী। সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মী সন্ত্রাসীরা ওই তরুণীর উপরে চড়াও হয়ে হাত থেকে পোস্টার ছিঁড়ে দেন।

    পরে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রতিবাদী তরুণীকে কুরুচিকর আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ। সে বলেছে, ‘তাঁর হাত থেকে শুধু প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিয়েই যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এটাই চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য। চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য যে আমাদের লোকরা তাঁকে অন্য কিছু করেনি। ও কি মরতে চায়? শহরে সার্কাস দেখানোর অনেক জায়গা আছে। অনেক হয়েছে, আর সহ্য করা যায় না।’

    সাম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষ এবং বিতর্ক যেন সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। সিএএ বিরোধীদের গুলি করে মারার হুমকি থেকে শুরু করে বাংলা থেকে ৫০ লক্ষ মানুষকে বের করে দেওয়ার আস্ফালন, আবার শাহিনবাগ-পাক সার্কাসে CAA বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু কামনা- সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর একের পর এক মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচনাও কম হয়নি। তবুও স্বমহিমাতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

    পাটুলির প্রতিবাদী তরুণী সম্পর্কেও দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যে স্বভাবতই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের শাসক তৃণমূল থেকে বিরোধী বাম-কংগ্রেস একযোগে এই বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্যের কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে। বিজেপি এবং তার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সম্মতিতেই কি দিলীপ ঘোষ এই ধরনের একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করে চলেছেন কি-না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32303/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গুলির ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া



      বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে রামভক্ত গোপাল নামে এক যুবক ‘এই নাও আজাদি’ বলে গুলিবর্ষণ করে। এতে আহত হয়ে এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। অভিযোগ উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে।

      ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের জেবার এলাকায়।

      পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। প্রতিবাদ মিছিল ঠেকাতে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভে যোগ দেয় অর্ধ সহস্র শিক্ষার্থী। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

      গত ১ ডিসেম্বর আইনে পরিণত হয় ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব বিল। তারপর থেকে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক আকার নিয়েছিল জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32304/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘যোগী রামদেবের গোমূত্র থেরাপি’: মুসলমানদের আক্রমণ করে গোমূত্র পান করার আহ্বান



        গোমূত্র দিয়ে অন্ধ বিশ্বাসের চিকিৎসা করা ভারতে নতুন নয়। সাবেক কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখর সকালে খালিপেটে গোমূত্র পান করত। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে বড় বড় ব্যাধির চিকিৎসার জন্য গোমূত্রের ব্যবহারের ব্যাপক প্রচারণা নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভারতের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায়। বলা হচ্ছে, গোমূত্র হজমশক্তি বাড়ায়, কলিক পেইন, ব্লটিং, অন্ত্রনালীর ওয়ার্ম, চর্মরোগ, অ্যানিমিয়া, মুটিয়ে যাওয়া, ডি-টক্সিফিকেশন, লিউকোডার্মা, লিভার, ডায়াবেটিস, একজিমা, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ নিরাময় করে। বিশেষ করে হরিয়ানায় জন্ম নেয়া যোগী গুরু রামদেব, আসল নাম, রামকৃষ্ণ যাদব টিভি শোতে মুসলমানদের গোমূত্র পান করার আহ্বান জানিয়েছে। সে দাবি করেছে, ‘চিকিৎসার জন্য গোমূত্র পান করার কথা নাকি কুরআনে লেখা আছে।’

        এখানে অনেক কথাই উঠে আসে। পবিত্র কুরআনে এমন কোনো বাক্য নেই, যেখানে গোমূত্র পান করার কথা বলা হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতেও নেই। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কী খাবে কী খাবে না, তার কোড অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে, গোমূত্র হারাম বা নিষিদ্ধ। বেদ, গীতা বা উপনিষদে গোমূত্র পানের কথা বলা আছে কি না জানা নেই। রামদেব ও এমন কোনো গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেননি।

        দিল্লি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর শামসুল ইসলাম বলেছেন, মুসলমানদের আক্রমণ করা এবং ভারতীয় মুসলমানদের ভেতর বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য তিনি এখন ‘গোমূত্র থেরাপি’ চালু করছেন। এই প্রফেসর প্রশ্ন রাখেন- সাধারণ হিন্দুরাই গোমূত্র পান করছেন না, মুসলমান তো দূরের কথা। তবু কেন এহেন প্রচারণা? সহজলভ্য গোমূত্রকে একটি প্যাটেন্ট হিসেবে চালু করার প্রয়াস চলছে বলেই মনে হচ্ছে।

        গোমূত্র, গোময়, দুগ্ধ, দই ও ঘৃতের মিশ্রণ পঞ্চগব্য পূজা-অর্চনায় এবং ‘পবিত্রতার নামে অপবিত্রতার’ বিধানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গুজরাট প্রদেশের গান্ধীনগরে এন্টারপ্রিনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভ খাতিরিয়া বলেন, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার’ আওতায় যারা গো-সংক্রান্ত পণ্যের ব্যবসা করবেন, তাদের প্রাথমিক মূলধনের ৬০ শতাংশ সহায়তা করবে সরকার। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ‘গোমূত্র চিকিৎসা ক্লিনিক’। বিক্রি হচ্ছে ‘গোমূত্র ক্যাপসুল’এবং ‘ডিস্টিল্ড’ ও ‘মেডিক্যাটেড’ গোমূত্রও!

        এ কারণে রাজস্থানসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গোমূত্রের দাম বাড়ছে। গরুর দুধের চেয়ে মূত্রের দাম এখন কয়েক গুণ বেশি। রামদেবের গোমূত্রের ব্র্যান্ড নাম হচ্ছে, ‘গোধন আরক’। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ফার্মাকোলজির শিক্ষক স্বপন জানার বলেন, ‘গোটাটাই ভণ্ডামি। গাছগাছালি থেকে রাসায়নিক বের করে ওষুধ হতে পারে। তার ফার্মাকো কাইনেটিক্স ও ডায়নামিক্স রয়েছে। গোমূত্রের এমন কিছুই নেই।’

        ভারতে বাবা রামদেব একজন হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তিত্ব। বিগত নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন এবং বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাবা রামদেবকে মাথা নিচু করে প্রণাম করেন। ভারতের তাবৎ বড় বড় নেতা রামদেবের ভক্ত।

        গুরু রামদেব সাধারণ মিতাচারী কোনো ‘বাবা’ নন। একজন বিলিয়নিয়ার। তিনি ইন্ডিয়া টিভির মালিক রজত শর্মাকে বলেছেন, ‘আমি ছোট কিছু চিন্তা করি না, ৫০০ বছর পর আমাদের জাতির কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা করি।’ রামদেবের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তারপরও তিনি ১০ হাজার কোটি রুপির ব্যবসার মালিক। কেউ বলতে পারেন না, বিদেশে তার কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

        রামদেব উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে গিয়ে জীবনশৃঙ্খলা ও ধ্যানে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে ‘দিব্য যোগমন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন। বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শিল্পা শেঠিকে যোগবিদ্যা শিখিয়েছেন। ব্রিটেন, জাপান ও আমেরিকায় তার শিষ্য রয়েছে অনেক। ‘ওম শান্তি ওম’ নামে এক রিয়েলিটি শোতে তিনি বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। তবে আদালত তার আত্মজীবনী ‘জার্নি ফ্রম গড ম্যান টু টাইকুন’ বইটির বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে তার কাজ ও ব্যবসার ওপর বিশেষ নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। যোগ ও যোগ-দর্শনের ওপর রামদেবের চারটি বই রয়েছে।

        তিনি ‘পান্তাঞ্জলি’র প্রতিষ্ঠাতা। কেউ পান্তাঞ্জলির বিরুদ্ধাচরণ করলে তিনি বলেন, আমি তো হামদর্দের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। বলবও না। ‘হিমালয় ড্রাগ কোম্পানির বিরুদ্ধেও কিছু বলিনি।’ ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে তিনি রজত শর্মাকে এ কথা বলেন। তিনি পান্তাঞ্জলি গ্রুপের ৫০০ সাধুকে কোম্পানির অংশীদার করবেন এবং ১০ হাজার কোটি রুপি তাদের দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। রামদেবের কাছে যারা দীক্ষা নেবেন বা নিয়েছেন সেসব ‘সাধু’কেই শুধু অংশীদার করা হবে।

        বিজেপি সমর্থক গুরু রামদেবকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। কংগ্রেসের কে সি ত্যাগী অভিযোগ করেন, ‘বাবা প্রকাশ্যে বলে বেড়ান, তিনি বিজেপি সরকার গঠনে ‘তন মন ও ধন’ (মেধা, পরিশ্রম ও দৌলত) দিয়ে সহায়তা করেছেন। রামদেবকে হরিয়ানার কেবিনেট মন্ত্রী হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রামদেব এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। আমি একজন বাবা ও ফকির হিসেবে থাকতে চাই।’

        বাবা রামদেবকে হরিয়ানার ‘অ্যাম্বাসেডর’ বানানো হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন হরিয়ানা দুই সপ্তাহ ধরে পুড়ল তখন এই বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একইভাবে হরিয়ানার চণ্ডিগড়ে একজন আরএসএস-বিজেপি নেতা যখন এক হিন্দু বালিকার শ্লীলতাহানি ঘটায় তখন তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। ‘ধর্ষক’রূপে পরিচিত গুরমিত সিংহের লোকজন যখন সহিংসতা ছড়ায় তখন বিজেপির সমর্থন থাকায় বাবা রামদেব চুপ ছিলেন বলে সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন।

        বাবা রামদেবের রাজনৈতিক বক্তব্যও সমাজকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরই সব সঙ্কটের মূল। তাই তিনি ভারত সরকারকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির দাবি করার আহ্বান জানান। আজহার মাসুদ, হাফিজ সাঈদ, দাউদ ইব্রাহিমের মতো ‘স্বাধীনতাকামীদের’ জীবিত বা মৃত ভারতের হাতে তুলে দেয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

        ২০১৬ সালে ‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে তাদের মুণ্ডুছেদ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাবা রামদেব। বিশেষ করে টুপি পরিধান করে যারা এ কথা বলবেন না তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আরে ইস দেশ মে কানুন হ্যায়, হাম তো লাখো কি গর্দান কাট সাকতে হেঁ।’ (আরে এই দেশে কি কোনো আইন আছে। (‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে) আমরা লাখো মানুষের গর্দান কাটতে পারি।’ এ কথা নিয়েও ভারত হয়ে উঠেছিল উত্তপ্ত।

        পতঞ্জলি ব্র্যান্ড নামে পান্তাঞ্জলি ফার্মা কোম্পানি, কেশ কান্তি মাথার তৈল, বাদাম পাক, বডি লোশন, মধু, অ্যালিভেরা জুস, ক্রিম, তেল, চ্যাবনপ্রাশ ইত্যাদি তৈরি ও বাজারজাত করা হয়েছে। পান্তাঞ্জলি ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজ্যসভায় দাবি ওঠে। এই কোম্পানি খাদ্যসামগ্রী রেগুলেটরের অনুমোদন না নিয়ে পান্তাঞ্জলি ‘নুডলস’ ও ‘পাস্তা’ বাজারজাত করেছে। অথচ এর ত্রুটি পাওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। উত্তরাখণ্ড সরকারও আয়ুর্বেদি ওষুধকে জাল বলেছে। পান্তাঞ্জলির বিরুদ্ধে লেগেছে ভারতের ‘আয়ুর্বেদ জায়ান্ট’ দাবুর ইন্ডিয়া লিমিটেড। দাবুর কোম্পানিই ভারতের সবচেয়ে পুরনো ও মানসম্মত ‘চ্যাবনপ্রাশ’ তৈরি ও বিপণন করে আসছে। দাবুর বলছে, ‘পতঞ্জলি চ্যাবনপ্রাশ’ রামদেবের ‘অবৈধ ব্যবসায়িক আচরণ’।

        দিল্লি হাইকোর্ট এর সব প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন। দাবুর এদের বিরুদ্ধে ২.০১ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ মামলাও দায়ের করেছে। দাবুর আরো বলেছে, ওদের বিজ্ঞাপন দাবুরের বিজ্ঞাপনের অনুরূপ এবং প্যাকিংও দাবুরের মতো হওয়ায় সাধারণ মানুষ যেকোনো সময় প্রতারিত হতে পারে। এটা প্যাটেন্ট চুরির শামিল। আদালত বলেছেন, দাবুরের মামলায় ‘প্রাইমা ফেসি’ রয়েছে। এই মামলাটি চলমান। রামদেবের দিব্য ফার্মেসি একটি আয়ুর্বেদি ওষুধ বাজারজাত করেছে, নাম ‘পুত্রজীবক বীজ’, যা খেলে নাকি মহিলাদের পুত্রসন্তান জন্ম গ্রহণ করবে। ভারতের অনেক বাঘা বাঘা নেতা এই ওষুধের সমালোচনা করেছেন। যোগী ও সন্ন্যাসীরাও এর বিরোধিতা করেছেন।

        এক্সপ্রেস ওয়েব ডেস্ক, নতুন দিল্লির খবরে আরো বলা হয়, গুরু রামদেব সব সময় সম্মুখ কাতারে থাকতে চান। নতুন জিনিস নিয়ে সমাজকে আকৃষ্ট করতে ভালোবাসেন। যোগ চর্চা দিয়ে শুরু করে তিনি আয়ুর্বেদ কোম্পানি সাড়া জাগানো ওষুধ, নুডলস, বিদ্যালয় সিলেবাস, সংস্কৃত ভাষার প্রচলন- এসব বিষয় ছাড়াও তার হাজার হাজার যোগী ও শিষ্যের জন্য দেশী যোগী পোশাক নির্মাণ ও বাজারজাতকরণ করে ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করেছেন। এবার নজর দিয়েছেন রিয়েলিটি শোর দিকে। শোর নাম ‘ভজন রত্ন’। এতে বিচারক হিসেবে আরো থাকছেন, ‘ভজন-সম্রাট’ অনুপ জালোটা। রিয়েলিটি শোর পর এই ব্যক্তি ‘ভজন’ স্টার হিসেবেও পরিচিত হয়েছেন।

        সূত্র: নয়া দিগন্ত/ লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32314/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন



          নিত্যপণ্যের মূল্যের কথা আমরা জানি। এ দেশে প্রতিটি পণ্যের দাম অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর হিসাবে, ২০১৯ সালে ঢাকায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। আগের অর্থবছরে সেটি বেড়েছিল ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির যে চিত্র, সেটিও প্রায় একই রকম। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ হয়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে এসে তা ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দৈনিক প্রথম আলোর এক রিপোর্টে আয় বাড়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে তারা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা জরিপ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। মজুরি বাড়ার হার থেকে মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে প্রকৃত মজুরি বেড়েছে কি না, সেটি জানা যায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, পণ্যমূল্য বাড়ার সাথে এর সমন্বয় নেই। সরকারের হালনাগাদ খানা জরিপ নেই। তাদের জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের মাসিক গড় আয় ছিল চার হাজার ৬১০ টাকা। ২০১০ সালের তুলনায় তা ৫৩৯ টাকা কম। সবচেয়ে উচ্চ আয়ের পরিবারে মাসিক গড় আয় ৯ হাজার ৪৭৭ টাকা থেকে ৪৫ হাজার ১৭২ টাকা দাঁড়িয়েছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, অবশ্য এ জরিপে সবচেয়ে ধনীদের প্রকৃত হিসাব আসে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ধনীদের হিসাব পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স, বিশ্বব্যাংকের জরিপে।

          পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির অভিঘাত মধ্যবিত্তের ওপরেই বড় আঘাত হানে। গরিব মানুষ তরকারিতে পেঁয়াজ পড়েছে কি না তা দেখার প্রয়োজন বোধ করে না। ভাতের সাথে একটা তরকারি, সেটা যাই হোক, হলেই হলো। মধ্যবিত্তকে পেঁয়াজ খেতে হয়। এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁয়ে গেলে তার এক দিনের পুরো আয়ই লেগে যেতে পারে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে। মধ্যবিত্ত বলতে সাধারণ ধারণা হচ্ছে, আয়রোজগার করে যারা প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারেন নিজের আয় থেকে। কিছু সঞ্চয়ও করতে পারেন। তার রয়েছে স্বস্তি ও শান্তি। তাই আয়-ব্যয় নিয়ে শঙ্কিত নন তারা। কিন্তু বর্তমান সময়ে মধ্যবিত্তের চরিত্র আগের মতো নয়। তাদের নিয়মিত খাওয়া পরা শিক্ষা বস্ত্র বাসস্থান ঠিক রাখার জন্য রাতদিন খাটতে হয়। একটা চাকরির জায়গায় এখন তাদের দুটো চাকরি করতে হচ্ছে। গল্প করা, আড্ডা দেয়া, বই পড়ার যে বিলাসিতা ছিল; সেটি সহজে হয়ে উঠছে না নব্য মধ্যবিত্তের। ফলে সমাজে ভারসাম্যপূর্ণ মননও গড়ে উঠছে না। এই মধ্যবিত্ত উদ্বিগ্ন ভীত-শঙ্কিত একটি শ্রেণী। এটি আগের সেই শ্রেণী নয়, যারা বৃহত্তর সমাজে ভারসাম্য ধরে রাখতেন। বিশেষ করে সরকার এবং রাজনীতিতে ইতিবাচক গুণগত পরিবর্তন আনতেন তারাই।

          বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিপুল অংশ বেসরকারি চাকরি করেন। ২০১৫ সালের বিআইডিএসের পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৪৮ শতাংশের বেশি মধ্যবিত্ত বেসরকারি চাকরি করেন। সাধারণত তারা পোশাক কারখানা, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পে নানা পর্যায়ে নিয়োজিত। পোশাক শিল্পের মজুরি কাঠামো সবার জানা। খুব অল্প চাকরিজীবী প্রয়োজনীয় মজুরি পাচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সেবা খাত বিপুলভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের যতটা ন্যূনতম ব্যয়ে খাটানো যায়, সেটাই মালিকরা করে থাকেন। দেশে অসংখ্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খুব কমসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যায়সঙ্গত বেতনভাতা দেয়া হয়। মালিকরা তাদের মুনাফাকে যতটা পারা যায় বাড়িয়ে নিতে চান। এতে প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না।

          আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতনভাতা কয়েকগুণ বেড়েছে। এর সাথে নানা ধরনের বৈধ সুযোগ সুবিধাও তাদের রয়েছে। মূল্যস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে তাদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্য দিকে, পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। অনেকের রক্ত ঝরেছে, অনেক সম্পদের হানি হয়েছে। তবু এখন পর্যন্ত তাদের মজুরি কাক্সিক্ষত পর্যায়ে আসেনি। অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এর চেয়ে ভালো নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগের ন্যূনতম মজুরি কাঠামোও নেই। খুব কমসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোয় মানসম্পন্ন মজুরি কাঠামো রয়েছে।

          সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স ও বিশ্বব্যাংকের জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের এত সব উন্নয়নের ‘ফুটো’টা কোন জায়গায়। অতি ধনী বাড়ার হারে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। সাধারণ ধনী বাড়ার তালিকায়ও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। অতি ধনী বাড়ার প্রতিযোগিতায় এক দশকেই আমরা পেছনে ফেলেছি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানকে। ৭৫টি বড় অর্থনীতির দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ‘এক নম্বর’ হওয়ার খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স। বিশ্বে সবচেয়ে গরিব মানুষ রয়েছে, এমন দশটি দেশের তালিকা প্রণয়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।
          ‘অতি ধনী’ বলতে প্রতিষ্ঠানটি তিন কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তির মালিককে বুঝিয়েছে। টাকার অঙ্কে তা ২৫০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত, এর আগের পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ হারে। ওয়েলথ-এক্স সাম্প্রতিক আরেক প্রতিবেদনে জানায়, ধনী বাড়ার হারে বাংলাদেশ তৃতীয়। আমাদের থেকে এগিয়ে আছে আফ্রিকার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নাইজেরিয়া ও মিসর। আমরা পেছনে ফেলে দিয়েছি চীনকেও।

          ‘অতি ধনী’ বাড়ার গতিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে চলে আসার পাশাপাশি ধনী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিন নম্বর অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা অর্থনীতিবিদরা তাদের নানা সূচকে বিচার-বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন।
          সরকার দাবি করছে, সামগ্রিক অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ প্রবৃদ্ধি যদি বৈষম্যহীনভাবে বাড়ত, তাহলে সবার না হোক অনেকের ভাগ্যের চাকা এত দিনে অনেকটাই খুলে যাওয়ার কথা। নিম্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কথা। আর গরিবের সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ার কথা। সেগুলো কাক্সিক্ষত হারে হচ্ছে না; বরং প্রকৃত মজুরি কমে মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপণ্যের তালিকা ছাঁটাই করতে হচ্ছে।

          তাই মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কতটা হয়েছে, সেটি হিসাব করা প্রয়োজন। আমরা যদি অর্থনৈতিক সূচকের প্রতিটিতে বর্ধিষ্ণুতা দেখি, তবুও বাস্তবে যদি মানুষের জীবনাচরণে তার প্রভাব না পড়ে তাহলে সেই পরিসংখ্যান আসলে কোনো কাজে আসবে না।

          পণ্যমূল্যের হিসাব করার পর চিকিৎসা খরচের ব্যাপারটি দেখে নেয়া যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত সম্প্রতি পত্রিকায় একটি কলামে বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো কতটা দুঃসাধ্য, তা তুলে ধরেছেন। দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসা ব্যয়ের সাথে মধ্যবিত্তের আয়ের কোনো সঙ্গতি নেই। ডা: দত্তের হিসাব মতে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ফি এক হাজার টাকা।

          পরীক্ষা-নিরীক্ষার ন্যূনতম খরচ তিন হাজার টাকা। রিপোর্ট দেখাতে গেলে আবার অর্ধেক ফি দিতে হয়। তিনি রিপোর্ট দেখাতে ফি নেন না। তাই একে যুক্ত করেননি। এক মাসের ন্যূনতম ওষুধ খরচ ধরেছেন তিন হাজার টাকা। মাসখানেক পরে ‘ফলোআপ’ পরীক্ষা এবং ওষুধ পরিবর্তন করতে আরো দুই হাজার টাকা এর সাথে যুক্ত হবে। তাহলে এক মাসে একজনের জন্য খরচ হচ্ছে ৯ হাজার টাকা। একজন মধ্যবিত্তের জন্য এ খরচ মানে তাকে মধ্যবিত্ত ছেড়ে নিম্নবিত্ত কিংবা অনেক সময় দরিদ্র মানুষের কাতারে নেমে যেতে হয়। দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যয় আরো অনেক বেশি। অনেক সময় সেটি ১০ লাখ থেকে কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় মধ্যবিত্ত দূরে থাক, এমনকি ধনীরাও সর্বস্বান্ত হয়ে যেতে পারেন।

          অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে দরিদ্রতার মধ্যে পতিত হচ্ছেন। এর মধ্যে মধ্যবিত্তের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। নিম্ন কিংবা দরিদ্ররা বিনা চিকিৎসায় থাকছেন বাধ্য হয়ে। মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সেটিও পারেন না।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32298/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment

            Working...
            X