শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা : সেক্যুলার দেশে কেন সাম্প্রদায়িক নীতি!?
গতকাল সারাদেশে পালিত হয়ে গেলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। হিন্দু ধর্মমতে, সরস্বতী জ্ঞন-বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী। জ্ঞান ও বিদ্যা লাভের অভিপ্রায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পালিত হয়েছে এ পূজা। শুধু তাই নয়, পূজা মণ্ডপগুলোর পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও উদযাপিত হয়েছে পূজা অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগণ মুসলমান হওয়ার সুবাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই মুসলমান। সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্রছাত্রী মুসলমান হওয়ার পরেও, তাদের ধর্মীয় কোনো উৎসব বা রীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পালিত হয় না। অপরদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বা রীতি ঠিকই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে! এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক দ্বৈতনীতি স্পষ্টভাবে তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র নামে ইসলামহীনতা এবং হিন্দুত্বায়নকেই নির্দেশ করে।
অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামাজের কক্ষ নেই বা নামকাওয়াস্তে থাকলেও ছাত্রছাত্রীদের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরণের তদারকি লক্ষ্য করা যায় না। বরং, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। আবার, টিফিন পিরিয়ডের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দেয়া হয় না যোহর নামাজ আদায়ের জন্যে অতিরিক্ত সময়। নামাজ আদায় করতে গেলে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই নামাজ আদায় করে না বা করতে পারে না। অপরদিকে পূজা পালনে করা হয় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন, জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা।. কখনো আবার মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকেও পূজায় আসতে বাধ্য করা হয়।
এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষার্থীদের মাঝে হিন্দুত্ববাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে পুরোদমে। এ ধরণের দ্বিমুখী সাম্প্রদায়িক আচরণে ক্ষুব্ধ মানুষের মনে একটি জিজ্ঞাসা ঘুরপাক খাচ্ছে, রাষ্ট্র কি তবে দিন দিন ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণে ব্রাহ্মণ্যবাদ কায়েমের পথে হাঁটছে ?
-----------------------
লেখক: আব্দুল্লাহ আবু উসামা
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32298/
গতকাল সারাদেশে পালিত হয়ে গেলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। হিন্দু ধর্মমতে, সরস্বতী জ্ঞন-বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী। জ্ঞান ও বিদ্যা লাভের অভিপ্রায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পালিত হয়েছে এ পূজা। শুধু তাই নয়, পূজা মণ্ডপগুলোর পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও উদযাপিত হয়েছে পূজা অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগণ মুসলমান হওয়ার সুবাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই মুসলমান। সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্রছাত্রী মুসলমান হওয়ার পরেও, তাদের ধর্মীয় কোনো উৎসব বা রীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পালিত হয় না। অপরদিকে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বা রীতি ঠিকই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে! এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক দ্বৈতনীতি স্পষ্টভাবে তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র নামে ইসলামহীনতা এবং হিন্দুত্বায়নকেই নির্দেশ করে।
অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামাজের কক্ষ নেই বা নামকাওয়াস্তে থাকলেও ছাত্রছাত্রীদের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরণের তদারকি লক্ষ্য করা যায় না। বরং, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। আবার, টিফিন পিরিয়ডের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে দেয়া হয় না যোহর নামাজ আদায়ের জন্যে অতিরিক্ত সময়। নামাজ আদায় করতে গেলে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই নামাজ আদায় করে না বা করতে পারে না। অপরদিকে পূজা পালনে করা হয় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন, জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা।. কখনো আবার মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকেও পূজায় আসতে বাধ্য করা হয়।
এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষার্থীদের মাঝে হিন্দুত্ববাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে পুরোদমে। এ ধরণের দ্বিমুখী সাম্প্রদায়িক আচরণে ক্ষুব্ধ মানুষের মনে একটি জিজ্ঞাসা ঘুরপাক খাচ্ছে, রাষ্ট্র কি তবে দিন দিন ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণে ব্রাহ্মণ্যবাদ কায়েমের পথে হাঁটছে ?
-----------------------
লেখক: আব্দুল্লাহ আবু উসামা
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/31/32298/
Comment