Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    শাহিনবাগে মানব বোমা তৈরি হচ্ছে ‘বলে নিরীহ মহিলা আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করল বিজেপি মন্ত্রী গিরিবাজ



    ফের বিতর্কিত মন্তব্য করল সন্ত্রাসী বিজেপি নেতা। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলে দিল, ‘*শাহিনবাগ মানব বোমায় ভরে গেছে। রাজধানীতে বসেই নাকি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’*
    এর আগেও একাধিক বিতর্কিত টুইট করেছে গিরিরাজ সিং। একেরপর এক বিজেপি নেতারা লাগামহীন মন্তব্য করে চলেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গিরিরাজ সিং বলেন, ‘*শাহিনবাগে এখন আর আন্দোলন হচ্ছে না। এখানে প্রতিদিন মানব বোমা তৈরি হচ্ছে। রাজধানীতে বসেই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তের পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।’*
    গত প্রায় একমাস ধরেই শাহিনবাগে সিএএ–এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চলছে শান্তিপূর্ণভাবে। বৃহস্পতিবার সকালে গিরিরাজ সিংয়ের টুইটের পর হইচই পড়ে যায় রাজধানীতে। যদিও প্রথম টুইটটির স্বপক্ষে কিছুক্ষণ পরেই আর একটি টুইট করেন গিরিরাজ। তিনি দ্বিতীয় টুইটে বলেন, ‘*শাহিনবাগে একজন শিশু মারা গেলে তাঁর মা বলেন আমার ছেলে শহিদ। এটা মানব বোমা নয়ত কী?* আমাদের দেশকে বাঁচাতে হলে এই মানব বোমার থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’*
    বিতর্কিত টুইটের জন্য বেশ ঘৃণিত হয়ে উঠেছেন গিরিরাজ। বিজেপির তরফে কোনও সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি তাঁকে। তাই দিনদিন লাগামহীন মন্তব্য বেড়েই চলেছে গিরিরাজের।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/07/32675/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাবরি মসজিদের নতুন জায়গা নির্ধারণে মুসলিম সংগঠনগুলোর ক্ষোভ



    উগ্র সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদিদের হাতে শহীদ হওয়া বাবরি মসজিদের জায়গা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে আযোধ্যা শহরের বাইরে নতুন মসজিদ তৈরির জন্য সরকার জমি বরাদ্দ করার পর ভারতের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠন তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে।

    অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বুধবার একটি ট্রাস্ট গঠনের কথা পার্লামেন্টে ঘোষণা করে, তার ঠিক পর পরই উত্তরপ্রদেশ সরকারও জানিয়ে দেয় মসজিদ নির্মাণের জন্য তারাও জায়গা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। মাসতিনেক আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই এই দুটো পদক্ষেপ কার্যকর করতে বলা হয়েছিল।

    কিন্তু জায়গার ঘোষণা হতেই বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন বলতে থাকে, মূল অযোধ্যা থেকে এত দূরে মসজিদের জন্য জমি দিয়ে কী লাভ? আর সেটা কীভাবেই বা বাবরি মসজিদের বিকল্প হতে পারে?

    বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির নেতা ও আইনজীবী জাফরিয়াব জিলানি মন্তব্য করেন, মসজিদের জন্য এই জমি কিছুতেই গ্রহণ করা উচিত হবে না। মি. জিলানির কথায়, “প্রথম কথা হল মসজিদ ভাঙার বিনিময়ে কোনও জমি আমরা নিতেই পারি না, এটা ওয়াকফ আইন আর শরিয়ত – দুয়েরই বিরোধী। তবে রিভিউ পিটিশনে আমাদের এই বক্তব্য সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।”

    “তবে গত ৯ নভম্বেরের রায়ে তারা বলেছিল, অধিগ্রহণ করা ৬৭ একরের ভেতরে না-হলেও অযোধ্যারই কোনও ‘প্রমিনেন্ট প্লেস’ বা উল্লেখযোগ্য স্থানে মসজিদের জন্য জায়গা বরাদ্দ করতে হবে। কিন্তু যে জায়গাটার কথা বলা হচ্ছে সেটা অযোধ্যাতেও নয়, প্রমিনেন্টও নয়!”

    ভারতে মুসলিমদের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কামাল ফারুকিও বলেছেন, “এমন কী তাজমহল চত্বরের ভেতরে জমি দিলেও তা নেওয়া ঠিক হবে না।”

    বোর্ডের নেতা মৌলানা ইয়াসিন ওসমানি কিংবা হায়দ্রাবাদের এমপি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি-ও এই জমি নেওয়ার বিপক্ষেই মত দিয়েছেন। তবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি এই জমির ব্যাপারে তাদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়াকফ বোর্ডের বৈঠকেই তারা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/07/32689/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গোপন তথ্য ফাঁস: করোনা ভাইরাসে চীনে মারা গেছে ২৫ হাজার!



      করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চীন সরকারের গোপন তথ্য ফাঁস করেছে চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট।

      সরকারি তথ্য অনুযায়ী হুবেই প্রদেশের উহানে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে চীনে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৩ জনের। আর হংকং এবং ফিলিপাইনে মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের। সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬৫। এ রোগে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি। খবর ডেইলি মেইল অনলাইন’র।

      তবে টেনসেন্ট থেকে ফাঁস হওয়া সাম্প্রতিক এ তথ্যও চীন সরকারের চাপে নিজেদের ওয়েব সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে টেনসেন্ট। এর জায়গায় তারা এখন সরকারি হিসাবের তথ্য দিয়ে রেখেছে।

      টেনসেন্টের ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৮৯ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩ জন। গত ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ হিসাব দেখানো হয়েছে। এ সংখ্যা সরকারি তথ্য আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে দশগুণ বেশি।

      উহান থেকে ছড়িয়ে যাওয়া নভেল করোনা ভাইরাস বিষয়ে চীনা সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যে টেনসেন্টের এই পরিসংখ্যান চীনা কর্তৃপক্ষকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। উহানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা পাচ্ছেন না, তাদের মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালের বাইরে বলেও অভিযোগ রয়েছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/07/32678/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বিনা কারণে গুলি করে বাংলাদেশি কৃষককে টেনে হিচড়ে নিয়ে গেল সন্ত্রাসী বিএসএফ



        প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে নিজ জমিতে কৃষি কাজ করছিল গাজী, রুবেল ও সাহাবুল। হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই ভারতের মুরাদপুর ক্যাম্পের টহলরত সীমান্ত্র সন্ত্রাসী বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে গাজী পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে অপর কৃষকরা পালিয়ে যায়।পরে গুলিবিদ্ধ কৃষক গাজীকে টেনে হিচড়ে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

        গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছলিমেরচর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ কৃষক একই এলাকার নিয়ামত আলীর ছেলে। বিনা উস্কানিতে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলিবর্ষণে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

        বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ছলিমেরচর সীমান্ত এলাকার কৃষক গাজীসহ অন্যরা ১৫৭/২(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশী ভূ-খন্ডে নিজ জমিতে কাজ করছিল। এসময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে গাজী পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে অপর কৃষকরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। পরে গুলিবিদ্ধ কৃষক গাজীকে টনে হিচড়ে নিয়ে যায় বিএসএফ।

        রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, ছলিমেরচর সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে গাজী নামে এক কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে সে মারা গেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

        সলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কিরণ জানান, গাজী কোন চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের সঙ্গে থাকা সাহাবুল নামে আরেক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন।

        ৪৭ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম পিএসসি জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী একজনের পায়ে গুলি লেগেছে।

        সূত্র- এসএএম।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/07/32674/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিএসএফের নিষ্ঠুর নির্যাতনে ভারতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু



          ভারতের সীমান্ত সন্ত্রাসী বাহিনী (বিএসএফ) এর নিষ্ঠুর নির্যাতনে ভারতের কোচবিহার হাসপাতালে মারা গেছেন বাংলাদেশের দেলওয়ার হোসেন (৩০)।

          দেলওয়ারের বাড়ি আদিতমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নে।

          লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম দেলোয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

          তিনি জানান, “৪ ফেব্রুয়ারি দেলওয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে বিএসএফ টেলিফোনে জানিয়েছে। ”

          দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক গণমাধ্যমকে জানান, গত ২০ জানুয়ারি রাতে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৪ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে যান দেলওয়ার। সেখানে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে আটক করে নির্যাতনের পর সে দেশের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে, পুলিশ তাকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই সে মারা যায়।

          সূত্র- দ্যা ডেইলি স্টার।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/07/32682/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরির বাজার এখন ভারতীয়দের দখলে!



            বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরির বাজারে এখন ভারতীয়দের দাপট৷ বিশেষ করে তারা পোশাক, বায়িং হাউজ, আইটি এবং সেবা খাতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন৷ এর পরেই শ্রীলঙ্কা চীনের অবস্থান৷ তবে মোট বিদেশির কমপক্ষে অর্ধেক ভারতীয়৷

            জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে এতে আশঙ্কা করা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে চীনাদের দাপট কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় ভারতীয়দের দাপট আরো বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন৷

            ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বুধবার তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে বাংলাদেশে মোট বিদেশি দুই লাখ ৫০ হাজার৷ তাদের মধ্যে বৈধ ৯০ হাজার৷ বাকিরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আছেন৷ আর যারা বৈধভাবে আছেন তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ কোনো অনুমতি না নিয়েই টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন৷ এই বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেন৷ টিআইবি বাংলাদেশে বিদেশিদের হিসাব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ২০১৮ সালে দেয়া ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বৈধ বিদেশির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে৷ কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা বহুগুণ বেশি৷

            বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ:

            বাংলাদেশে দুটি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকের সঙ্গে কথা বলে ডয়চে ভেলে জেনেছে, নানা কারণে পোশাক খাতে ভারতীয়দের অবস্থান শক্ত৷ এর মধ্যে পোশাক খাতে জিজাইনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে। আর পোশাকের বায়িং হাউসগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয়রা। ফলে পোশাক কারখানাগুলো বায়ার পেতে তাদের কারখানায় মার্কেটিং এবং হিসাব বিভাগেও ভারতীয়দের নিয়োগ করে। তাদের মতে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে এক লাখেরও বেশি ভারতীয় কাজ করেন। অন্যদিকে বায়িং হাউসে এই সংখ্যা আরও বেশি৷

            এর বাইরে আইটি খাতেও ভারতীয়দের দাপট৷ আরো অনেক সেবা খাত আছে যেখানে ভারতীয়রা কাজ করেন৷ এমনকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, বিজ্ঞাপন, কনসালটেন্সি এসব খাতেও ভারতীয়রা রয়েছেন৷ সবমিলিয়ে বাংলাদেশে কম করে হলেও পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করে বলে ধারণা করা হয়৷

            কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই৷ তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় আসেন৷ আর তাদের বেতন অনেক বেশি৷ ট্যুরিস্ট ভিসায় যারা কাজ করেন তাদের আয়করা পুরো অর্থই অবৈধ পথে বাংলাদেশের বাইরে চলে যায়৷

            বাংলাদেশের আইটি খাতের একজন উদ্যোক্তা জানান, ‘‘সফটওয়্যার ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ভারতীয় কৌশল ব্যবহারের কারণে ওই দেশের জনশক্তিকেও কাজ দিতে হয়৷ শুধু তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে তাদের লোক রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়৷ আবার ট্রাভেল এজেন্টদের বড় একটি অংশ ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণে৷ তাই তাদের সফটওয়্যার ও তাদের লোক বলে কাজ হয়৷ এটা সরকারের পলিসির বিষয়৷ সরকার পলিসি ঠিক করলে তাদের দাপট কমবে৷’’

            বাংলাদেশের চাকরির বাজার নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো বিডিজবস ডটকম৷ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে ভারতীয়রাই শীর্ষে৷ তারপরে শ্রীলঙ্কা, চীন, থাইল্যান্ড৷ এদেরমধ্যে শতকরা ১০ ভাগেরও ওয়ার্ক পারমিট নেই৷ অধিকাংশই অবৈধভাবে কাজ করেন৷ তাদের পেমেন্টও এখানে করা হয়না৷ ভারতীয় হলে তার পেমেন্ট ভারতেই দেয়া হয়৷ যারা নিয়োগ করেন তারা এরকম একটা সিস্টেম গড়ে তুলেছেন৷’’

            বাংলাদেশ থেকে কত রেমিটেন্স দেশের বাইরে যায় সেই হিসাবটি দেখলে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের সংখ্যা সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায়৷ আর বাংলাদেশ থেকে ভারতেই বেশি রেমিটেন্স যায়৷ পোশাক খাতের আয়েরও বড় একটি অংশ তাদের টেকনিশিয়ান ও ডিজাইনাররা নিয়ে যান৷

            বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ জানান, ‘‘প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ আর এবার আমাদের রেমিটেন্সের টার্গেট ২০ বিলিয়ন ডলার৷ তাহলে আমরা যা আনতে পারি তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ আবার বিদেশি কর্মীদের দিয়ে দিতে হয়৷ এ থেকে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়৷ এটা আমি বলছি বৈধ চ্যানেলের কথা৷ অবৈধভাবে কত যায় সেটা সরকার উদ্যোগ নিলে জানতে পারে৷ কিন্তু উদ্যোগ নেই৷ এই অর্থ সবচেয়ে বেশি যায় ভারত ও শ্রীলঙ্কায়৷ আমার কাছে অবাক লাগে এখানে একাউন্টেন্ট, প্রশাসনিক কাজেও বাইরে থেকে লোক আনা হয়৷

            দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার থাকা সত্ত্বেও লাখ লাখ ভারতীয় জনবল বাংলাদেশে কাজ করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার। এত বেকার থাকার পরও বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি দেশে কাজ করছে ভারতের কয়েক লাখ মানুষ। তারা এ দেশের শ্রমবাজার দখল করে রেখেছে। নিয়োগদাতারা বাংলাদেশের শিক্ষিতদের সার্টিফিকেট গ্রহণ করছে না। দেশে এত শিক্ষিত বেকার! ভারতের লাখ লাখ জনবল এসে কাজ করছে কীভাবে? এটি তো রীতিমতো ভাবনার বিষয়।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/07/32688/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X