Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৩ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৩ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ‘শান্তি প্রস্তাবে’র পর থেকে ভোগান্তি বেড়েছে ফিলিস্তিনিদের, সন্ত্রাসী ইহুদিদের হাতে ২৪ ঘন্টায় শহিদ ৪ তরুণ



    ট্রাম্পের কথিত‘শান্তি প্রস্তাবে’র পর থেকে ভোগান্তি বেড়েছে ফিলিস্তিনিদের। দখলদার ইয়াহুদি সন্ত্রাসীরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বায়তুল মুকাদ্দাস, পশ্চিম তীর ও হেবরনে এ সব হত্যার ঘটনা ঘটে।

    আলজাজিরা বলছে, বৃহস্পতিবার বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের বাব আল আসবাত এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক ফিলিস্তিনি তরুণ।

    এ ছাড়া পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ফিলিস্তিনি তারেক বাদওয়ানকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। তার বয়স ১৭ বছর।

    এদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে গাড়িচাপায় ১৪ দখলদার ইহুদি আহত হয়েছে।

    অন্যদিকে, দক্ষিণ পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে হেববর্নে নিহত হয় মোহাম্মদ আল হাদাদ নামে ১৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি।

    এ ছাড়া জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতেও ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় নিহত হয়েছেন এক ফিলিস্তিনি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32715/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পাকিস্তানের বিখ্যাত মহিলা মাদরাসা জামিয়া হাফসা আবারও মুরতাদ বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ,খাবার ও গ্যাস লাইন বন্ধ!



    পাকিস্তানের ঐতিহাসিক লাল মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসা হাফসার ছাত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের এ যাবত নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে প্রশাসন। এখন অবস্থা এতটাই চরম আকার ধারণ করে যে, মাদরাসার অভ্যন্তরে খাবার পৌঁছানোও বন্ধ হয়ে যায়। এবং অযথাই মাদরাসার চারপাশে একটি যুদ্ধংদেহী পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।

    রাজধানী ইসলামাবাদের মুরতাদ প্রশাসন মসজিদটির চারপাশ ঘিরে রাখায় মাওলানা আবদুল আজিজ তার ছাত্রীদের নিয়ে মসজিদের ভিতরে অবস্থান নিয়েছেন। এ নিয়ে অন্যরকম এক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ডন।

    ডন জানায়, বিগত দুই সরকারের সময়কালের মতো আবারও বর্তমান সরকারের আমলে মাওলানা আবদুল আজিজ সরকারের নার্ভ পরীক্ষা করছেন।

    ডন লিখেছে, গত শুক্রবার সরকারের বিভিন্ন ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড নিয়ে বয়ান দিয়েছেন মাওলানা আজিজ। কিন্তু বিষয়টি আরো গুরুত্বর হয়ে ওঠে যখন জামিয়া হাফসা, জি-৭ এর প্রায় ১০০ ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাতে এইচ-১১ এর সেমিনার হলের সিল করা ভবনে প্রবেশ করেন।

    এর ফলে রাজধানীর প্রশাসনের কর্মকর্তারা লাল মসজিদে যান মাওলানা আজিকের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সম মর্যাদার সিনিয়র কোনো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি সমঝোতামূলক আলোচনা করবেন।

    এ বিষয়ে মসজিদের ভিতর থেকে মোবাইল ফোনে ডন’কে মাওলানা আজিজ বলেছেন, তারা সবাই আবারও একই ভুল করছেন। তারা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান দেখাচ্ছেন না এবং দেশে শরিয়া আইন জারির বিষয়ে অনীহা দেখাচ্ছেন।

    তিনি আরো বলেন, তারা এইচ-১১ এর জামিয়া হাফসা খালি করে দেয়ার জন্য ডেডলাইন দিয়েছেন আমাদেরকে। না হলে আবারও অপারেশন চালানোর হুমকি দিয়েছে। এমনকি খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা ইসলামের স্বার্থে এর ভিতরেই অবস্থান নেবো।

    কর্তৃপক্ষ এই ধর্মীয় নেতাকে লাল মসজিদ খালি করে দেয়ার হুমকি দেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে আছে।

    প্রশাসন মাদরাসার আভ্যন্তরীণ গ্যাসের লাইনও বন্ধ করে দেয়। যাতে করে মাদরাসার ভেতরে কোনোরকম খাবার প্রস্তুত হতে না পারে। এবং তাদেরকে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে যেতেও বাধা দেয়া হয়। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে মুসল্লিদেরকে শুধু শুক্রবার মসজিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে নামাজ আদায় করতে।এছাড়া অন্যান্য ওয়াক্তে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

    মসজিদটি বাইরের সবার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে মাগরিব ও অন্যান্য নামাজের জন্য। ফলে মুসল্লিরা মসজিদের বাহিরেই নামাজ আদায় করছেন।

    আর গত শুক্রবার বয়ানে মাওলানা আজিজ সাহেব রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অপকর্ম তুলে ধরে তারা ইসলামের সত্যিকার অনুসারী নন বলে ঘোষণা করেছেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32718/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে মুসলমানদের আন্দোলন জারি রাখার আহ্বান দেওবন্দের



      এনআরসি বাতিলের জন্য চলমান আন্দোলনকে জারি রাখার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম দেওবন্দ, ৭ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে। নিচে বিবৃতির হুবহু তুলে ধরা হলো-

      দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত সরকারের নিম্নুক্ত বিবৃতি যে “এখনও পর্যন্ত এনআরসি সমগ্র ভারতে জারি করার কোনও ফায়সালা করা হয়নি” তে আশ্বস্ত নয়। সিএএ এবং এনআরসি জাতীয় পর্যায়ের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। এটাকে হালকাভাবে কখনই নেওয়া যেতে পারে না। সিএএ প্রত্যাহার এবং এনআরসি আগামীতে কখনই জারি না করার পরিপূর্ণ বিশ্বাস হাসিল না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করতঃ তার বিরুদ্ধে আমাদের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত।

      দারুল উলূম দেওবন্দ রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পূর্বেই সিএএ প্রত্যাহার করার বিষয়ে স্মারকলিপি পেশ করেছে। জাতীয় পর্যায়ের এই আন্দোলন ভারতবর্ষের সংবিধান এবং তার প্রাণ বাঁচানোর আন্দোলন। সাথে সাথে আমি (আচার্য) ব্যক্তিগতভাবে এটাকেও একপর্যায়ের সফলতা মনে করছি যে, সরকার এই বিষয়ে কিছুদিন আগ পর্যন্ত এক ইঞ্চি সরে আসার জন্য প্রস্তুত ছিল না, অথচ এখন এনআরসির বিষয়ে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে।

      নিঃসন্দেহে পুরোপুরি আশ্বস্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন এবং অবস্থানবিক্ষোভ সমাপ্ত করার কোনও আবেদন করা যেতে পারে না। আমার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, দেওবন্দের উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের সাথে দেওবন্দ শহরে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে একটি আলোচনা সভা পর্যন্ত তার ব্যাপ্তি।যেখানে নিজস্ব আলাপচারিতায় বলা আমার কথাকে এই বার্তায় পরিণত করা যে, দারুল উলুম দেওবন্দ মহিলাদের আন্দোলনকে সমাপ্ত করে দেওয়ার আবেদন করেছে, সম্পূর্ণ ভুল এবং এর কোনও ভিত্তি নেই। আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এখানে এটা স্পষ্ট করা হচ্ছে যে, দারুল উলূম দেওবন্দ আন্দোলন এবং প্রদর্শন শেষ করার কোনওরকম আবেদন করেনি। আমরা সমস্ত আন্দোলনকারীদের জন্য প্রার্থনা করি এবং তাদের সফলতার প্রত্যাশা রাখি।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32709/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতের রাজস্থানে গণপিটুনিতে কাশ্মীরি কিশোরের করুণ মৃত্যু



        ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে গণপিটুনিতে এক কাশ্মীরি কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত কিশোরের নাম বসিত খান; বয়স ১৭।

        জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নির্মমভাবে তাঁকে পেটানো হয়। পরদিন, ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় ।

        পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের পাশে দাঁড়াতে জয়পুরে পার্টটাইম একটা কাজ নিয়েছিল বসিত। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মারা গেছে বসিত। প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্সে শুক্রবারই মৃতদেহ কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে।

        জানা গেছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারায় বাড়ি বসিতদের। তার পরিবার অত্যন্ত দুঃস্থ। বাবা মারা গিয়েছেন ২০১২ সালে। তখন বসিত খুবই ছোট ছিল। তিন ভাইবোনের মধ্যে বসিতই বড়। তাই সংসার জোয়াল কিছুদিন হলো, নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল সে। বসিত একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে পার্টটাইম কাজ করে, যে সামান্য টাকা পেত, তাই বাড়িতে মায়ের হাতে তুলে দিত সে।

        সেই কাজের সূত্রেই জয়পুরে আসা। বসিতের সঙ্গে রফিক নামের আরেকজন দু-পয়সা রোজগারে কাশ্মীর থেকে জয়পুরে আসেন। ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কয়েকজন ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ওই কাশ্মীরি কিশোর।

        বসিতের বন্ধু, ঘটনার একমাত্র সাক্ষী রফিক বলেন, বচসার সময় একজন বসিতের কলার ধরে। এর পরেই সঙ্গী যুবকেরা মারতে থাকে বসিতকে। সে সময় আদিত্য নামে এক যুবক বসিতের মাথায় সজোরে আঘাত করে। তার জেরেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

        রফিকের জানান, হামলাকারীদের ওই দলে হিন্দু ধর্মের লোকই ছিল। তারা বলছিল, জয়পুরে যত কাশ্মীরি আছে, ছুড়ে ফেলে দেব। মুখে আনার মতো নয়, এমন অকথ্য ভাষাতে কাশ্মীরিদের উদ্দেশে গালিগালাজও করা হয়।

        রফিক যে বাধা দেবে, সে উপায়ও ছিল না। তাঁকেও মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। ঘটনার পর এক ড্রাইভার জয়পুরে বাড়ির থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তাঁদের ছেড়ে দিয়ে যায়। ওই অবস্থায় দু-জনে বেশ খানিকটা পথে হেঁটে বাড়ির দিকে আসে। কিন্তু, বাড়ি পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন বসিত। বাড়িতে ফিরে অনবরত বমিও করতে থাকে। ক্যাব বুক করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে।

        ডাক্তাররা তখনই জানিয়ে দেন, বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় মারা যান ওই কাশ্মীরি কিশোর।

        সূত্র: কালের কণ্ঠ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32712/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আতঙ্ক ও খাবার সংকট : চীন থেকে ফিরতে চান ১৭২ শিক্ষার্থী



          প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীন থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে ৩১২ শিক্ষার্থীকে। বিশেষ উড়োজাহাজে করে উহান থেকে তাদের দেশে ফিরিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে আশকোনা হজ ক্যাম্পে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইনে। এদিকে চীনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সরকারিভাবে ৫৬৩ জনের। যদিও অন্য এক নিউজে প্রকৃত সংখ্যা ২৫ হাজার উল্লেখ করা হয়েছে! এই অবস্থায় দেশে ফিরতে চাইছেন আরও ১৭২ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

          চীনের হুবেই প্রদেশের ইচাং শহরে চায়না থ্রি গর্জেজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এসব শিক্ষার্থী তাদের ডরমিটরিতে আটকা পড়েছেন। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের কাছে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন তারা।

          উহান বা আশেপাশের এলাকাগুলোয় অবরুদ্ধ হয়ে পড়লেও সেখানকার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলে ধরছেন। তবে শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ অযৌক্তিক ও অবাস্তবত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব খাইরুল বাশার।

          ইচাং শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখায় খাবারের সংকট পড়ছে। নিয়মিত খাবার পাচ্ছেন না তারা। সরবরাহ করা হচ্ছে না বিশুদ্ধ পানি, খাবারসহ প্রয়োজনী সামগ্রী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এসব ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ রাখার কথা থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

          ওই শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঠিকমতো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি না পাওয়া তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছেন।

          চায়না থ্রি গর্জেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মাসুদ রানা আমাদের সময়কে বলেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানের ইচাং শহরের খুব কাছেই। যে কারণে এ শহরে লকডাউন জারি করা হয়। যোগাযোগ, বাজার বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির খুবই সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা সবাই বদ্ধ জীবনযাত্রায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।

          একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী দ্বীন মুহাম্মদ প্রিয় আমাদের সময়কে বলেন, আমরা ১৭২ জন বাংলাদেশি এখানে আটকে আছি। আমাদের জীবনযাত্রা দিনকে দিন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। ঠিকমতো খাবার, পানি না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।

          মাসুদ রানা ও প্রিয় জানান, বিষয়গুলো নিয়ে তারা চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। দূতাবাস থেকে জানানো হয় দেশ থেকে সিদ্ধান্ত আসার অপেক্ষায় আছেন কর্মকর্তাগণ।

          তাদের আরও অভিযোগ, দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তারা মুঠোফোনে দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেত চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাচ্ছেন। এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারছেন না তারা।

          দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন মন্তব্য করে রানা ও প্রিয় আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের ১৭২ জন শিক্ষার্থীর এটাই এখন একমাত্র চাওয়া- আমরা দেশে ফিরতে চাই।

          অভিযোগগুলো নিয়ে চায়না থ্রি গর্জেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ডিনেটর প্যানেলের সঙ্গে যোগযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32694/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            পৃথিবীর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে



            বিশ্বের ১২৬টি দেশে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে ২৫০ কোটির অধিক মানুষ, অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে, এসব দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

            বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত এক এ্যাডভোকেসি সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) সার্ভিলেন্স মেডিক্যাল অফিসার ডা. খাদিজা সুলতানা এ তথ্য জানান।

            তিনি আরো বলেন, গত আগস্ট মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। সারা দেশে এ এক মাসেই প্রায় ৫৩ হাজার রোগী ভর্তির রেকর্ড করা হয়, যার অধিকাংশই ছিলো রাজধানীতে। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ছিলো এবং ধারণা করা হচ্ছে, এবছরও একই সময়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।

            ডিএনসিসির মহাখালী আঞ্চলিক কার্যালয় সংলগ্ন মার্কেটে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে এ সচেতনতামূলক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে অবহিতকরণের মাধ্যমে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে সকলের অংশগ্রহণের উদ্দেশে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় এডিস মশার উৎপত্তিস্থল, বংশবিস্তার, রোগ-জীবাণু বহন, মানুষকে আক্রান্ত করাসহ বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের সামগ্রিক চিত্র ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডা. খাদিজা সুলতানা।

            অ্যাডভোকেসি সভায় এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিভিন্ন কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ডিএনসিসির উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মোঃ গোলাম মোস্তফা সারওয়ার।

            সূত্রঃ নয়া দিগন্ত


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32695/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              পাকিস্তান নামে না পাকিস্তান। এ হলো একশ্রেণির ইসলামী রাষ্ট্রের আচরণ।
              ان المتقین فی جنت ونعیم
              سورة الطور

              Comment


              • #8
                ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হলো ব্যবসায়ীর



                কুমিল্লার চান্দিনায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তোফাজ্জলের শ্যালক ফয়সাল রহমান (২৮)।

                বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

                নিহত তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার তেলকুপি গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। আহত ফয়সাল একই উপজেলার রঘুরগাতি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

                বিডি প্রতিদিন থেকে জানা যায় তোফাজ্জল হোসেন ও ফয়সাল রহমান সিরাজগঞ্জ থেকে কাপড় এনে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার হকার্স মার্কেটে কাপড় বিক্রি করতো। অনেক দিন পর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সারা দিন বেচাকেনা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা করে। তারা কুমিল্লা পদুয়ার বাজার এলাকায় রাত প্রায় সোয়া ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জ বা ঢাকার কোন বাস পায়নি। রাত ১২টা ২০মিনিটের সময় একটি পিকআপ তাদের সামনে দাঁড়ায়।

                এসময় পিকআপে থাকা হেলপার ঢাকায় যাবে কিনা জানতে চায়। উপায় না পেয়ে তারা পিকআপে উঠে। এসময় পিকআপের চালক, একজন সহযোগী চালক ও একজন হেলপার ছিল।

                পিকআপটি মহাসড়কের চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় পৌঁছামাত্র গাড়ি থামিয়ে চালক ও সহযোগী চালক তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যা কিছু আছে বের করে দেওয়ার জন্য বলে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে গাড়ি চালক সহকারী চালক ও হেলপারবেশী ছিনতাইকারীরা তাদেরকে ছুরিকাঘাত করে। আর এতেই মারা যান এই ব্যবসায়ী।

                সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32701/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  নিজেদের মধ্যে মারামারি করে অক্কা পেলো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকর্মী



                  সিলেট নগরীর টিলাগড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছে অভিষেক দে দ্বীপ (১৯) নামে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক কর্মী। এসময় আহত হয়েছে শুভ নামের আরেক সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকর্মী। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

                  গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনায় ঘটে।

                  অভিষেক দে দ্বীপ কর্মী গ্রীনহিল কলেজের ছাত্র। সে নগরীর শিবগঞ্জ সাদীপুর এলাকার দীপদ দে’র ছেলে।

                  জানা যায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে টিলাগড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

                  এসময় দ্বীপকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় অপর পক্ষ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীপকে মৃত ঘোষণা করেন।

                  সৈকত আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুই পক্ষ একে অপরের ওপর হামলা চালায়।

                  এসময় অভিষেক দে দ্বীপ নিহত হয় এবং সৈকত আহত হয়। সৈকতকে বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

                  সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/08/32706/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                    পাকিস্তানের বিখ্যাত মহিলা মাদরাসা জামিয়া হাফসা আবারও মুরতাদ বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ,খাবার ও গ্যাস লাইন বন্ধ!

                    ইয়া আল্লাহ! মাওলানা আব্দুল আজিজ, জামিয়া হাফসা ও আমাদের মুহতারাম বোনদেরকে আপনি নিরাপদে রাখুন, আপনার গায়েবী মদদ দান করুন এবং তাগুত সরকারের সকল চক্রান্ত থেকে হিফাযত করুন। আমীন
                    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X