ভারতের রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি!
ভারতে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির। গত দেড় বছরে ‘বিজেপিমুক্ত’ হয়েছে পাঁচটি রাজ্য। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি রাজ্য। দিল্লিতেও মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ মোদি-শাহ জুটি। প্রথমদিকে লড়াইয়ে থাকলেও বেলা যতো গড়িয়েছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। শেষপর্যন্ত তাদের হাতে দিল্লির মাত্র সাতটি আসন। অথচ রাজধানীর সাতটি লোকসভা আসনই জিতেছিল তারা। তাহলে কেন এমন পরিস্থিতি? কেনই-বা একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে?
গত দেড় বছরে বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা। দিল্লিতেও ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন মন্ত্রী প্রচারের কোনো কাজে এল না। শতাংশের নিরিখে ভোট ও আসন বাড়লে সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি বিজেপি।
স্বভাবতই হারের কারণ নিয়ে ওঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীর কথায়, ২০১৪ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত দলের কাঠামো খতিয়ে দেখা উচিত। তার অভিযোগ, বহু রাজ্যে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি বিজেপি, তার ফল হাতেনাতে পেয়েছে নেতৃত্ব। একই কথা বলছেন দিল্লির বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র। তার কথায়, ‘কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে। খতিয়ে দেখা দরকার।’ দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর তো স্বীকার করেই নিলেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লির মানুষকে আমরা বোঝাতে পারিনি’। তবে দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য সুর।
ভারতের লোকসভা হোক কিংবা বিধানসভা, এমনকি পৌরসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে বিজেপির ভরসা মোদি-শাহ জুটি। সর্বত্রই তাদের নাম জপে কাজ বের করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রচার করতে ছুটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ প্রচারে সেভাবে দেখাই মিলছে না রাজ্য নেতৃত্বের। ফলে রাজ্যে কোনো নেতাই তৈরি হচ্ছে না। আবার পুরনো নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জড়ো হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী করার সময় সেসব দিকে কান দিচ্ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে সাধারণ মানুষের সমর্থন হারাচ্ছেন তারা।
দেশটির রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দিল্লির নির্বাচনের প্রচারেও বারবার পাকিস্তান বিরোধিতা কিংবা ধর্মীয় ভেদাভেদের কথা তুলে এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে একটি শব্দও খোঁজ করছেন না তারা। ফলে স্বভাবতই জাতীয়স্তরের নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পারলেও, বিধানসভায় বারবার ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি শিবির।
সামনেই বিহার-পশ্চিমবঙ্গ-আসামের নির্বাচন। তাই এ রাজ্যগুলোতে জিততে বিজেপিকে এখনই রাজ্যে নেতা গড়ার দিকে মন দিতে হবে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক মহল।
সূত্র : কালেরকণ্ঠ অনলাইন
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32877/
ভারতে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির। গত দেড় বছরে ‘বিজেপিমুক্ত’ হয়েছে পাঁচটি রাজ্য। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি রাজ্য। দিল্লিতেও মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ মোদি-শাহ জুটি। প্রথমদিকে লড়াইয়ে থাকলেও বেলা যতো গড়িয়েছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। শেষপর্যন্ত তাদের হাতে দিল্লির মাত্র সাতটি আসন। অথচ রাজধানীর সাতটি লোকসভা আসনই জিতেছিল তারা। তাহলে কেন এমন পরিস্থিতি? কেনই-বা একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে?
গত দেড় বছরে বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা। দিল্লিতেও ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন মন্ত্রী প্রচারের কোনো কাজে এল না। শতাংশের নিরিখে ভোট ও আসন বাড়লে সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি বিজেপি।
স্বভাবতই হারের কারণ নিয়ে ওঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীর কথায়, ২০১৪ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত দলের কাঠামো খতিয়ে দেখা উচিত। তার অভিযোগ, বহু রাজ্যে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি বিজেপি, তার ফল হাতেনাতে পেয়েছে নেতৃত্ব। একই কথা বলছেন দিল্লির বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র। তার কথায়, ‘কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে। খতিয়ে দেখা দরকার।’ দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর তো স্বীকার করেই নিলেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লির মানুষকে আমরা বোঝাতে পারিনি’। তবে দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য সুর।
ভারতের লোকসভা হোক কিংবা বিধানসভা, এমনকি পৌরসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে বিজেপির ভরসা মোদি-শাহ জুটি। সর্বত্রই তাদের নাম জপে কাজ বের করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রচার করতে ছুটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ প্রচারে সেভাবে দেখাই মিলছে না রাজ্য নেতৃত্বের। ফলে রাজ্যে কোনো নেতাই তৈরি হচ্ছে না। আবার পুরনো নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জড়ো হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী করার সময় সেসব দিকে কান দিচ্ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে সাধারণ মানুষের সমর্থন হারাচ্ছেন তারা।
দেশটির রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দিল্লির নির্বাচনের প্রচারেও বারবার পাকিস্তান বিরোধিতা কিংবা ধর্মীয় ভেদাভেদের কথা তুলে এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে একটি শব্দও খোঁজ করছেন না তারা। ফলে স্বভাবতই জাতীয়স্তরের নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পারলেও, বিধানসভায় বারবার ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি শিবির।
সামনেই বিহার-পশ্চিমবঙ্গ-আসামের নির্বাচন। তাই এ রাজ্যগুলোতে জিততে বিজেপিকে এখনই রাজ্যে নেতা গড়ার দিকে মন দিতে হবে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক মহল।
সূত্র : কালেরকণ্ঠ অনলাইন
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32877/
Comment