Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৭ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ভারতের রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি!



    ভারতে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির। গত দেড় বছরে ‘বিজেপিমুক্ত’ হয়েছে পাঁচটি রাজ্য। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি রাজ্য। দিল্লিতেও মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ মোদি-শাহ জুটি। প্রথমদিকে লড়াইয়ে থাকলেও বেলা যতো গড়িয়েছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। শেষপর্যন্ত তাদের হাতে দিল্লির মাত্র সাতটি আসন। অথচ রাজধানীর সাতটি লোকসভা আসনই জিতেছিল তারা। তাহলে কেন এমন পরিস্থিতি? কেনই-বা একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে?

    গত দেড় বছরে বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা। দিল্লিতেও ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন মন্ত্রী প্রচারের কোনো কাজে এল না। শতাংশের নিরিখে ভোট ও আসন বাড়লে সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি বিজেপি।

    স্বভাবতই হারের কারণ নিয়ে ওঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীর কথায়, ২০১৪ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত দলের কাঠামো খতিয়ে দেখা উচিত। তার অভিযোগ, বহু রাজ্যে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি বিজেপি, তার ফল হাতেনাতে পেয়েছে নেতৃত্ব। একই কথা বলছেন দিল্লির বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র। তার কথায়, ‘কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে। খতিয়ে দেখা দরকার।’ দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর তো স্বীকার করেই নিলেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লির মানুষকে আমরা বোঝাতে পারিনি’। তবে দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য সুর।

    ভারতের লোকসভা হোক কিংবা বিধানসভা, এমনকি পৌরসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে বিজেপির ভরসা মোদি-শাহ জুটি। সর্বত্রই তাদের নাম জপে কাজ বের করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রচার করতে ছুটে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ প্রচারে সেভাবে দেখাই মিলছে না রাজ্য নেতৃত্বের। ফলে রাজ্যে কোনো নেতাই তৈরি হচ্ছে না। আবার পুরনো নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জড়ো হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী করার সময় সেসব দিকে কান দিচ্ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে সাধারণ মানুষের সমর্থন হারাচ্ছেন তারা।

    দেশটির রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দিল্লির নির্বাচনের প্রচারেও বারবার পাকিস্তান বিরোধিতা কিংবা ধর্মীয় ভেদাভেদের কথা তুলে এনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অথচ স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে একটি শব্দও খোঁজ করছেন না তারা। ফলে স্বভাবতই জাতীয়স্তরের নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পারলেও, বিধানসভায় বারবার ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি শিবির।

    সামনেই বিহার-পশ্চিমবঙ্গ-আসামের নির্বাচন। তাই এ রাজ্যগুলোতে জিততে বিজেপিকে এখনই রাজ্যে নেতা গড়ার দিকে মন দিতে হবে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক মহল।

    সূত্র : কালেরকণ্ঠ অনলাইন


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32877/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার আসামে আদিবাসী মুসলিম সনাক্তকরণে জরিপ!



    আসামে আদি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সনাক্ত করার একটি পরিকল্পনা করছে ভারতের আসাম রাজ্য সরকার। এর মধ্য দিয়ে কথিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের আলাদা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

    ওদিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির যথার্থতা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। আসাম সরকারের ওই পরিকল্পনা নিয়ে গত মঙ্গলবার বৈঠক আহ্বান করেছেন সংখ্যালঘু কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী রণজিৎ দত্ত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেকান হেরাল্ড।

    এতে বলা হয়, আজকের এই বৈঠকে তিনি আসামের চারটি সম্প্রদায় গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি ও চা প্রধান এলাকার জোলা’দের এবং অন্যান্য অংশীদারদের ডেকেছেন। এতেই ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এই পরিকল্পনায় মুসলিম বাদেরও ওই চারটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে সনাক্ত করতে জরিপ চালানোর কথা বলা হয়েছে।

    আসাম মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মুমিনুল আওয়াল বলেছেন, আসামে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মুসলিম রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রায় ৯০ লাখ। বাকি ৪০ লাখ বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর। তাদেরকে সনাক্ত করা প্রয়োজন।

    তিনি আরো বলেন, কয়েক লাখ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এনআরসিতে। তাই আমরা এর (এনআরসি) উপর নির্ভর করতে পারি না।

    কিভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আওয়াল বলেছেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (আরজিআই) কাছ থেকে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে অনুরোধ করবো রাজ্য সরকারকে। আরজিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া এই জরিপের কোনো আইনগত বৈধতা থাকবে না।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32881/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আসামের ওয়েবসাইট থেকে গায়েব হয়ে গেল এনআরসি তালিকা

      People wear protective face masks as they walk near a market in Beijing on February 9, 2020. - The death toll from the novel coronavirus surged past 800 in mainland China on February 9, overtaking global fatalities in the 2002-03 SARS epidemic, even as the World Health Organization said the outbreak appeared to be stabilising. (Photo by GREG BAKER / AFP)


      আসামের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি তালিকা ওয়েবসাইট থেকে গায়েব হয়ে গেছে। গত বছর আসামের নাগরিকপঞ্জি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকপঞ্জি তালিকা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করে । আর তাই ওয়েবসাইটে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল ।
      জানা গেছে, আসামের নাগরিকপঞ্জির তথ্যকে তালিকা আকারে প্রকাশ করার দায়িত্ব আইটি ফার্ম উইপ্রোকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার পরে উইপ্রোর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন কর*তে চাইছে এনআরসির কাজে যুক্ত কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মোদি সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কোনও বিশেষ অভিসন্ধি থেকেও এই কাজ হয়ে থাকতে পারে।

      আসামের এনআরসি সমন্বয়ক হিতেশ দেব শর্মা জানিয়েছেন, এসব তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশের দায়িত্বে ছিল উইপ্রো। তাদের সঙ্গে চুক্তি ছিলো গত বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই বছর তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। সে কারণে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এসব তথ্য অফলাইনে চলে গেছে

      বাংলাদেশ থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্তকরণ ও নির্বাসনের জন্য ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আসামে আন্দোলন চলেছে। অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানোর জন্যই নাগরিকপঞ্জি করেছে ভারতীয় সরকার।

      সূত্র: এনডিটিভি।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32883/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘কেবলমাত্র সন্ত্রাসীরাই তাদের মুখ ঢাকে’: ভারতে বোরকা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি




        ভারতের উত্তর প্রদেশের শ্রমমন্ত্রী মালাউন রঘুরাজ সিং নারীদের বোরকা পরার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দাবি করে বলেছেন, সন্ত্রাসীরাই কেবল ফাঁকি দেয়ার জন্য বোরকা ব্যবহার করে।

        দৃশ্যত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে সারা ভারতে চলমান প্রতিবাদের দিকে ইঙ্গিত করে রঘুরাজ দাবি করে যে অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা তাদের পরিচিতি গোপন করার জন্য বোরকা ব্যবহার করে।

        ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজনীতিবিদেরা মুসলিম নারীদের বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবি জানিয়ে আসছে। সে বলেছে বোরকা হলো আরব দেশগুলোর ঐতিহ্য, এটি ভারতের ঐতিহ্য নয়। ভারত হলো হিন্দুদের দেশ।

        এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভারতীয় মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে রঘুরাজ সিং কোনো ধরনের অনুশোচনাগ্রস্ত হননি। তিনি আরো জোরালোভাবে বলেন যে আমি যা বলেছি, তা নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই আমার।

        রঘুরাজ অবশ্য আগেও এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে, তাদেরকে ‘জীবন্ত কবর’ দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, যারা দেশদ্রোহী, তাদের কুকুরের মতো মারা হবে।

        মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচারণা

        এর আগে উত্তরপূর্ব ভারতের একটি মহিলা কলেজের ছাত্রীদেরকে বোরকা পরে ক্লাসরুমে যেতে নিষিদ্ধ করা হয়। কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল যে এটা প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোডের লঙ্ঘন। এই আইন লঙ্ঘনকারীকে জরিমানা দিতে হবে বলে আদেশ জারি করা হয়।

        পাটনার জেডি ওম্যান্স কলেজে এক নোটিশে জানায়, ছাত্রীদের দেহে ইসলামি পরিচিতিসূচক কোনো পোশাক থাকতে পারবে না।

        কলেজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সব ছাত্রীকে ড্রেস কোড অনুসরণ করতে হবে। যারা এই নীতি লঙ্ঘন করবে তাদেরকে ২৫০ রুপি জরিমানা দিতে হবে।
        সূত্র: গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32899/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছে ট্রাম্প



          আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুদিনের সফরে ভারতে আসছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘ফার্স্টলেডি’ মেলানিয়াকে নিয়ে ট্রাম্প দিল্লিতে পৌঁছবে। পরের দিন যাবে আহমেদাবাদে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সফরসূচি ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

          ট্রাম্পের পূর্বসূরি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারত সফরে এসেছিল দুবার। ২০১০ ও ২০১৫ সালে।

          হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশাম জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হচ্ছে ‘ফার্স্টলেডি’ মেলানিয়াও।

          দিল্লি ছুঁয়ে সস্ত্রীক ট্রাম্প যাবে আহমেদাবাদে। এও বলা হয়েছে, এই সফর ভারত ও আমেরিকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

          আহমেদাবাদে ট্রাম্পকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য ‘কেম চো ট্রাম্প’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হবে। গুজরাটি ভাষার ‘কেম চো’ শব্দটিকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘হাউডি’।

          গত বছর হিউস্টনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংবর্ধনা জানাতে একই রকমভাবে ‘হাউডি মোদি’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32870/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দেশ ও মানুষ নিয়ে ভাবনা



            পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু বললে কেউ ক্ষিপ্ত হয় না, পেটাতেও নামে না। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বললে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ধেয়ে আসে কেন? এটি কি এজন্য নয় যে, তারা ভারতের দাস এবং কাজ করছে ভারতীয় স্বার্থের পাহারাদার রূপে?

            ২.

            ভারতে অতি অসভ্যদের শাসন চলছে। অসভ্যদের শাসনে আইনের শাসন থাকে না; থাকে গুম, খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের রাজনীতি। ভারতে তাই মুসলিমদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও নাগরিকত্বহীন করে বহিষ্কারের চেষ্টা হচ্ছে। অসভ্যদের শাসন চলছে বাংলাদেশেও। তাই ভারতে অসভ্য শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সরকার কিছুই বলছে না। যারাই প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামছে তাদের বিরুদ্ধে হামলা হচ্ছে। নিজেদের যারা সভ্য রূপে দাবী করে তাদের এখন আওয়াজ তোলার সময়।

            ৩.

            মশামাছি কখনোই ফুলের উপর বসেনা, আবর্জনা খুঁজে। তেমনি দুর্বৃত্তরা রাজনীতির অঙ্গণে খুঁজে চোর-ডাকাত ও ভোট-ডাকাতদের দল। বাংলাদেশে দুর্বৃত্তদের সংখ্যাটি বিশাল। তাই শেখ হাসিনার ভোট-ডাকাত সরকারের লোকবলের অভাব হচ্ছে না।

            ৪.

            মিথ্যা বলা ও মিথ্যা নিয়ে বাঁচাটি কবিরা গুনাহ। বাঙালীর জীবনে বড় মিথ্যাটি হলো ১৯৭১’য়ে ৩০ লাখের মৃত্যু। এ গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য চাই সঠিক তালিকা। কিন্তু যাদের রাজনীতি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত তাদের মূল এজেন্ডা হলো মিথ্যাকে বাঁচিয়ে রাখা। কারণ মিথ্যা না বাঁচলে তাদের রাজনীতি বাঁচে না। এরাই জনগণকে বাধ্য করে মিথ্যা বলার কবিরা গুনাহতে। এরূপ কবিরা গুনাহর রাজনীতি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে দেশে রাজাকারের তালিকা ও মুক্তিযুদ্ধাদের তালিকা হলেও একাত্তরে কতজন নিহত হলো -সে তালিকাটি বানানো হচ্ছে না।

            শেখ হাসিনার লক্ষ্য হলো, পিতার তিরিশ লাখের মিথ্যাকে যে কোন মূল্যে বাঁচিয়ে রাখা। শেখ হাসিনা জানে, একাত্তরে কতজন মারা গেছে সে তালিকাটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বানানো হলে প্রমাণিত হতো, তার পিতা কত বড় মিথ্যাবাদি ছিল সেটি। তখন শেখ মুজিব ইতিহাসে যুগ যুগ বেঁচে থাকতো বিশাল মাপের মিথ্যাবাদি রূপে। জাতিও জানতে পারতো তাদের তথাকথিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গপিতা কতবড় মিথ্যুক ছিল। শেখ হাসিনা এজন্যই তেমন একটি গণনা চায় না।

            ৫.

            সাহাবায়ে কেরামদের জান-মালের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগটি ছিল বিশাল মুসলিম রাষ্ট্র্রের প্রতিষ্ঠায়; মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠায় নয়। অথচ আজকের মুসলিমদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগটি হচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্রকে ক্ষুদ্রতর করার কবিরা গুনাহতে। ১৯৭১’য়ে তেমন একটি কবিরা গুনাহতে বিশাল বিনিয়োগ ছিল বাঙালী মুসলিমদের। এবং সেটি ভারতীয় কাফেরদের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে। বাঙালীদের সে বিনিয়োগে উপমহাদেশের মুসলিমগণ যেমন দুর্বল ও নিরাপত্তাহীন হয়েছে, তেমনি শক্তি বেড়েছে ভারতের। একাত্তরে যারা ভারতকে বিজয়ী করতে লড়েছিল এখন তাদেরই অনেকে লড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের স্বার্থকে বাঁচিয়ে রাখায়। সেটি করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে।

            প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কালে তেমন একটি কবিরা গুনাহতে মত্ত দেখা গেছে আরবদের। তাতে আরব ভূমি ২২ টুকরোয় বিভক্ত হয়েছে এবং তাতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ইসরাইল। সে পাপের কারণেই ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, ফিলিস্তিন ইতিমধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বিভক্তিতে আযাব যে অনিবার্য -সেটি মহান আল্লাহতায়ালা সুরা আল-ইমরানের ১০৫ নম্বর আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে শুনিয়েছেন। মুসলিমগণ বিভ্ক্ত হয়ে এখন সেটিই প্রমাণ করছে।

            ৬.

            রাজাকারদের ইতিহাস হলো তারা কখনোই ভারতের দালালী করেনি। ভারতের দালালী কখনোই তাদের ধাতে সয়না। তাই ভারতের দালালদের রাজাকার বলাটি একাত্তরের ইতিহাস নিয়ে মূর্খতা। তেমন এক মুর্খতা হলো যারা ভারতের বিজয় বাড়াতে একাত্তরে যুদ্ধ করেছে সে ভারতসেবী গোলামদের রাজাকার বলা। অথচ বাংলাদেশে সে মুর্খতাটি প্রকট ভাবে হচ্ছে। এমনকি জামায়াত শিবিরের পক্ষ থেকেও হচ্ছে।

            ৭.

            বাংলাদেশে এখন ভারতের প্রতি অনুগত দাসদের সরকার। তাই ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বললে এ দাসেরা মারতে ধেয়ে আসে। এ দাসেরাই আবরারকে হত্যা করেছে এবং ভিপি নূরুল হকসহ অনেককে আহত করেছে।

            ৮.

            পবিত্র কোর’আন জান্নাতের পথ দেখায়। তাই যারা কোর’আনের জ্ঞান থেকে দূরে থাকে তারা দূরে থাকে জান্নাতের পথ থেকে। কোর’আনের জ্ঞানহীনরা চলে জাহান্নামের পথে।

            ৯.

            কে কতটা মুসলিম রূপে বেড়ে উঠলো -মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে সে বিষয়টির বিচার হবে। তার ভিত্তিতে জান্নাত বা জাহান্নাম মিলবে। কে কতটা বাঙালী হলো সেদিন সেটির কোন গুরুত্বই থাকবে না।

            ১০.

            সেক্যুলার মুসলিমদের মূল আগ্রহটি ভাষা ভিত্তিক পরিচয় নিয়ে বেড়ে উঠায়। তাই সেক্যুলার বাঙালী মুসলিমদের মুসলিম পরিচয় নিয়ে কোন গর্ব নাই; তাদের গর্বটি বাঙালী রূপে বেড়ে উঠায়। অথচ আল্লাহর দরবারে সে পরিচয়ের কোন মূল্যই নাই। ঈমানের দায়ভার তো মুসলিম রূপে বেড়ে উঠায়।

            ১১.

            বিভক্তি আযাব আনে। এবং একতা বিজয় ও নিয়ামত আনে। মুসলিমদের সংখ্যা ও সম্পদ যতই বৃদ্ধি পাক না কেন -তা দিয়ে আল্লাহর প্রতিশ্রুত আযাব, অপমান ও পরাজয় থেকে মুক্তি মিলবে না। অথচ যখন একতা ছিল তখন দরিদ্র মুসলিমও কম জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছে।

            ১২.

            “যে ব্যক্তির জীবনে পর পর ২টি দিন আসলো অথচ তার জ্ঞানের ভান্ডারে কোন নতুন জ্ঞান যোগ হলো না তার জন্য বিপর্যয়।”- হাদীস।

            ১৩.

            ডাকাতদের গর্ব তাদের সর্দারকে নিয়ে। কারণ সে ডাকাতির নতুন নতুন পথ দেখায়। আওয়ামী চোর-ডাকাত ও ভোট-ডাকাতদের গর্বও শেখ হাসিনাকে নিয়ে। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষণে তো সেটিই ফুটে উঠলো।

            ১৪.

            নেক কাজে সফলতা আসে আল্লাহতায়ালার রহমতের ফলে। আর ছওয়াব জুটে শুধু নেক নিয়তে, মেধা, মেহনত, অর্থ, সময় তথা নিজ সামর্থ্যের বিনিয়োগে।

            সূত্র: এখন /ফিরোজ মাহবুব কামাল


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32882/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              উহানের বাতাসে মিলল প্রচুর পরিমাণে মরদেহ পোড়ানোর আলামত



              করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরের বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত সালফার ডাইঅক্সাইডের (এসও-২) উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাপক পরিমাণ মৃতদেহ এবং হাসপাতালের আবর্জনা পোড়ানোর কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবি দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আবহাওয়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘উইন্ডি.কম’।

              স্যাটেলাইটে তোলা ওই ছবির সূত্র ধরে ‘ডেইলি মেইল’ এর খবরে বলা হয়, চীনের উহান ও চংকিং শহরের বাতাসে সালফার ডাইঅক্সাইডের মাত্রা উদ্বেগজনক। গত এক সপ্তাহ ধরে এই দুটি শহরে প্রতি কিউবিক মিটারে সালফার ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতি ১৩৫০ মাইক্রোগ্রাম। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি ১০ মিনিটের ব্যবধানে এই মাত্রা ৫০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।

              এই সালফার ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে উৎপন্ন হচ্ছে নাইট্রোজেন অক্সাইড যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এসিডের প্রভাবে স্থানীয় জনগণের হাঁপানি, ফুসফুস প্রদাহ এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে।

              বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ‘এসও-২ শ্বাসক্রিয়া এবং ফুসফুসের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে এবং চোখ জ্বালা করে।’

              এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর চীন সরকারের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আরও শক্ত অবস্থান পেয়েছে। বারবার দাবি করা হচ্ছে যে, ব্যাপক গণভস্মীভূতকরণের মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা লুকাচ্ছে চীন সরকার। যদিও এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

              ব্যাপকসংখ্যক মরদেহ ভস্মীভূত করার সঙ্গে উহানের অতিমাত্রায় সালফার ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতির একটি সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

              সূত্রঃ আমাদের সময়


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32859/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সন্ত্রাসী পুলিশের পাহারায় গ্রামের পর গ্রাম শেষ করে দিচ্ছে মাটি ডাকাতরা



                সংঘবদ্ধ মাটি লুটেরা চক্রের ফাঁদে জিম্মি হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। তাদের ফসলি জমি, গাছপালা, ভিটেবাড়ি কেটে, ছেঁটে, ধসিয়ে দিয়ে হাজার হাজার ট্রাক মাটি লুটে নেওয়া হচ্ছে। এসব মাটি নেওয়া হচ্ছে আশপাশের ৪০টি ইটভাটায়, সরবরাহ যাচ্ছে মাটি ভরাটের ঠিকাদারি কর্মকান্ডে। থানা পুলিশের পাহারায় চিহ্নিত সুজন-ডন-পলাশ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্রের মহড়া দিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণের আতঙ্ক ছড়িয়ে যেখানে সেখানে হামলে পড়ছে।

                স্ক্যাভেটর, ভেকুসহ মাটি খননের বৃহৎ যন্ত্রপাতি দিয়ে শত শত শ্রমিক রাতদিন মাটি খনন করে ট্রাকের পর ট্রাক ভরাট করে নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক হাজার একর আয়তনের সমতল জায়গা, ফসলি জমি কিংবা ভিটেবাড়ি দফায় দফায় খনন করে রীতিমতো ২০-২২ ফুট গভীর খাদে পরিণত করেছে। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণগাঁও, কাজীর গাঁ, দক্ষিণ বাগুরের অনেক বাড়িঘর এসব খাদে ধসে পড়েছে।

                কেউ কেউ বালির বস্তার বাঁধ বানিয়ে বাড়ির ঘরগুলো কোনোরকমে টিকিয়ে রাখলেও তাদের বসবাস চলছে সীমাহীন ঝুঁকিতে। ঘরের দরজার সামনে পা ফেলতে সামান্য অসতর্কতাতেই গভীর খাদে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা গ্রামবাসীকে তাড়িয়ে বেড়ায় সর্বদা।

                মাটি লুটেরা চক্র তাদের আগ্রাসী থাবায় বুড়িগঙ্গাসংলগ্ন কোন্ডা ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামসহ প্রায় ৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার চিরচেনা চেহারা আমূল বদলে দিয়েছে, পাল্টে দিয়েছে প্রকৃতি। যত দূর চোখ যায় খাঁখাঁ বিরানভূমি আর গভীর খানাখন্দে ক্ষতবিক্ষত বেহালচিত্রই দৃশ্যমান হয়। কোথাও একচিলতে ছায়া দেওয়ার মতো গাছপালার নজির পর্যন্ত রাখা হয়নি। ভারী খনন যন্ত্রপাতির অনর্গল শব্দ আর মাটিবাহী ট্রাকগুলোর অবিরাম ছুটে চলা গোটা এলাকার পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। মাটি লুটেরা চক্র সেখানে শত শত একর জায়গাজমির শ্রেণি পরিবর্তন ঘটিয়ে চলছে অহরহ। সেসব ব্যাপারে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দারা অভিযাগ করে বলেছেন, ‘আমাদের জায়গাজমিতে জোরপূর্বক গভীর খাদ বানিয়ে মাটি লুটে নেওয়া হলেও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বরাবরই লুটেরা চক্রের পক্ষ নিয়ে থাকে। কোনো এলাকায় সুজন-ডন-পলাশ চক্রের মাটি খননের কাজ শুরুর আগেই সেখানে থানা পুলিশের অন্তত দুটি টহল গাড়ি সর্বক্ষণ অবস্থান করে

                প্রকাশ্যে জায়গা খনন করা হলেও বাধা দেওয়ার উপায় নেই। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে ভেকু মেশিনের চালকও অস্ত্র তাক করে, ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে জমির মালিকদেরই উল্টো ধাওয়া দেয়, মারধর করে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিন গিয়ে কান্দাপাড়ার অদূরে বড় বড় চারটি যন্ত্রপাতি লাগিয়ে ব্যাপকভাবে মাটি খনন চালাতে দেখা যায়। শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়ার নেতৃত্বে তারা মাটি খনন করে তারই মালিকানাধীন সুজন ব্রিকসে (ইটভাটা) সরবরাহ করছেন। খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সুজন ও তার ২০-২২ সহযোগী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে রীতিমতো মারমুখী আচরণ শুরু করেন। গ্রামের যেসব বাসিন্দা সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন সুজন।

                অপরাধ অপকর্মের শিরোমণি : নাম সুজন হলেও অপকর্মের অভিযোগের শেষ নেই এই তার বিরুদ্ধে। সুজন মিয়ার সব অপকর্ম হচ্ছে খোদ পুলিশের সামনেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হলেও উল্টো পুলিশই গ্রামবাসীদের নামে মামলার হুমকি দেয়। যদিও প্রশাসন বলছে, বিষয়টি নিয়ে তারা তৎপর। প্রশাসনের মতে, অন্যায়কারী যে-ই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। জানা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও, কাজীর গাঁও, দক্ষিণ পানগাঁও, পানগাঁও ও কাউটাইলে সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছেন সুজন মিয়া, ডন, পলাশ। তাদের বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজির পাশাপাশি দখলদারির রাজত্ব কায়েম করেছে। ফসলি জমিসহ, রাস্তাঘাট, অন্যান্য জমি জবরদখল করে মাটি উত্তোলন করে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তা বিক্রি করছেন। এতে জমিতে তৈরি হচ্ছে গভীর খাদ, উৎপাদন করা যাচ্ছে না কোনো ফসল। বৃষ্টি এলে তলিয়ে যায় গোটা এলাকা। এতে একদিকে যেমন ফসলি জমি শেষ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশও রয়েছে মারাত্মক হুমকিতে। অনেক বাড়িঘর ইতিমধ্যে মাটি উত্তোলনের ফলে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে রাস্তা। উজাড় হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এ ছাড়া তার গঠিত বাহিনী এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুরু করেছে চাঁদাবাজি। নির্দিষ্ট চাঁদা না পেলে দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। তার চাঁদাবাজি ও দখলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই এলাকাছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়। আর এসব কর্মকান্ড খোদ পুলিশের সামনে করলেও পুলিশ অজানা কারণে নীরব থাকে। এ যেন মগের মুল্লুক!

                কুয়েতপ্রবাসী ইসলাম ২০ লাখ টাকা দিয়ে ৬ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। তার কেনা জমিতে চলতি বছরের শুরুর দিকে বাড়ি তৈরির ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তার জমির কোনো চিহ্ন এখন নেই। তার জমিসহ ব্রাহ্মণগাঁও এলাকাটি এখন গভীর খাদ। একই অবস্থা গ্রামটির হালিম দোকানদার, দেলোয়ার, আইয়ুব আলী, আফসারসহ পাঁচ-ছয়টি গ্রামের ৫০ হাজার বাসিন্দার। এ বিষয়ে হালিম বলেন, ‘গভীর রাতে এমনকি দিনের বেলায়ও সুজন, ডন ও পলাশের লোকজন আমার বাড়ির জমিটি শেষ করে দিয়েছে। এখন আর বাড়ি করার উপায় নেই। পুলিশকে জানালে উল্টো পুলিশ মামলার হুমকি দেয়। ’ খুকি বলেন, ‘আমার জমির ওপর ছোট ঘর তৈরি করেছিলাম। ইচ্ছা ছিল ইটের বাড়ি বানানোর। কিন্তু আমার জমিতে জোর করে মাটি ও বালু উত্তোলন করায় জমির কোনো চিহ্ন নেই। এখন অন্যের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। ’ তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অন্যায়কারী যে-ই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিত দেবনাথ বলেন, ‘আমরা ফসলি জমি বা বিভিন্ন জমিতে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে তৎপর আছি। আমরা যেহেতু বিষয়টি জানতে পেরেছি, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। ’ তিনি বলেন, ‘ভেপু (মাটি উত্তোলনের যন্ত্র) ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ, তবে সরকারি কোনো স্থাপনা বা রাস্তাঘাট নির্মাণে ব্যবহার করা যায়। এখন জানতে পারলাম সেখানে একটি গোষ্ঠী এটা ব্যবহার করে মাটি উত্তোলন করছে। আমি অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব। ’

                কে এই সুজন মিয়া : আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে সুজন মিয়া বুড়িগঙ্গা নদীতে মাঝির কাজ করে সংসার চালাতেন। পরে মাঝি থেকে হয়ে যান নৌডাকাত, গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী সংগঠন। নিজ কব্জায় নিয়ে নেন ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ দখলে নেন। শুরু করেন ফসলি জমির মাটি ও বালু উত্তোলন। এগুলো বিক্রি করতে থাকেন ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়। জবরদখল করে অন্যের জমির মাটি উত্তোলন করে গভীর খাদে পরিণত করেন। এতে বসতবাড়ি ও সরকারি রাস্তা হুমকির মুখে পড়ে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামাল বলেন, ‘মাটি উত্তোলন আমরা বন্ধ করেছি। এখন কোন্ডা ইউনিয়ন থেকে কোনো ধরনের মাটি উত্তোলন হচ্ছে না। মাটি উত্তোলন এখন বন্ধ আছে। ’ তবে গতকাল সরেজমিন গিয়ে এই প্রতিবেদক ২০টির বেশি ট্রাকে মাটি পরিবহন ও উত্তোলনের চিত্র দেখেছেন যার তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ’

                সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32853/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  শেয়ার বাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন



                  টানা পতনের বৃত্তে আটকে রয়েছে শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সোমবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হলো শেয়ারবাজারে।

                  মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অবশ্য লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

                  শুরুতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে ১০ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপরই ঘটে ছন্দপতন। দাম বাড়ার পরও কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আবার কমতে থাকে। তারপরও লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টা ঊর্ধ্বমুখী থাকে সূচক।

                  কিন্তু শেষ ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়। ফলে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান পায়। বিপরীতে দাম কমে ১৬৬টির। দাম অপরিবর্তিত ৬৩টির।

                  বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ্* ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

                  প্রধান মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৮ লাখ টাকা।

                  সূত্রঃ যায়যায়দিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32851/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    এবার সেতুতে লোহার বদলে বাঁশ!



                    এবার সিলেটে সুরমা নদীর ওপর শাহজালাল তৃতীয় সেতু মেরামতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। লোহার পাটাতনের পরিবর্তে সেতুর প্যানের জোড়ায় (এক্সপানশন জয়েন্ট) বাঁশ ব্যবহার করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ব্যবহৃত বাঁশের ওপর সিমেন্টের প্রলেপ দিয়েছেন সওজের শ্রমিকরা।

                    সেতুটিতে সওজের কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, ওভারলোডেড গাড়ি চলাচলের কারণে লোহার পাত উঠে গেছে। সেই পাত চুরি হয়ে যাওয়ায় পাটাতনের ফাঁক সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করার জন্য বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে।

                    এ বিষয়ে সিলেটের সওজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, লোহার পাত দিয়ে লাগানো স্স্নিপার ভেঙে যাওয়ায় তা চুরি হয়ে যায়। এজন্য ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ দেওয়া হয়েছে।

                    সওজ সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুল মজিদ চৌধুরী বলেন, ওভারলোডেড গাড়ির কারণে সেতুর জয়েন্টের লোহার পাতগুলো ভেঙে উঠে যায়। ফলে নতুন করে ওই পাতগুলো লাগানো সম্ভব হয় না, তাই বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ ঢালাই দেওয়া হয়। কাজটি অবশ্যই ক্ষণস্থায়ী। তবে নষ্ট হয়ে গেলে আবার ঢালাই দেওয়া হবে।

                    তিনি বলেন, কেবল শাহজালাল তৃতীয় সেতু নয়, কুশিয়ারার ওপর শেরপুর সেতুসহ সুরমার ওপর অন্য সেতুগুলোতেও এভাবে কাজ করা হয়েছে।

                    উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাজগুলোতে আরসিসি ঢালাইয়ে কাজে বাঁশ দেওয়া ঠিক নয়। লোহার পাটাতন লাগাতে গেলে ফের বরাদ্দ দরকার, এসব করতে গিয়ে অনেক সময় কাজ করা যায় না, তাই আপাতত বাঁশ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও টেকসই নয়। এটি নষ্ট হলে আবারও করব।

                    এ বিষয়ে সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

                    সূত্রঃ যায়যায়দিন


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32852/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      এবার নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিকদের ওপর হামলা



                      রাজধানীর নয়াবাজারে নিউজ টোয়েন্টিফোরের টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের ওপর এ হামলায় চালায় অবৈধ বন্ড সন্ত্রাসীরা।

                      এ সময় সন্ত্রাসীরা নিউজ টোয়েন্টি ফোরের সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। গাড়ি ভাংচুরসহ মারধর করে সাংবাদিকদের।

                      জানা গেছে, নিউজ টোয়েন্টিফোরের একটি টিম নয়াবাজারে পেশাগত দায়িত্বপালনে অবস্থান করছিল। এসময় বন্ড সন্ত্রাসীরা একযোগে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের সাথে থাকা ব্যাকপ্যাক ছিনতাই করা হয়। এছাড়া ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয় এবং গাড়ি ভাংচুর করা হয়। রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসনকে মারধর করা হয়।

                      হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিউজ টোয়েন্টিফোর রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন শেখ জালাল। এক পর্যায়ে রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সাধারণ জনতা।

                      তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি আওয়ামী দালাল বাহিনী পুলিশ।

                      সূত্র: কালের কণ্ঠ


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32860/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        এক সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে আহত আরেক নেতা



                        পল্লবীতে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম শাওনের গুলিতে আরেক সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পল্লবীর ২৪ নং রোডে এ ঘটনাটি ঘটে।

                        জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০ টায় শাওনের সাথে স্থানীয় আরেক আওয়ামী লীগ নেতা আড্ডুর সঙ্গে ঝামেলা হয়। এসময় শাওন পর পর ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

                        সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32865/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          শেখ হাসিনাকে ‘হযরত’ বলার পর এবার ‘আওলাদে আউলিয়া’ বলে মন্তব্য করল স্বপন হুইপ



                          সরকারদলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হযরত সম্বোধন করে আলোচনায় এসেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন। তাই শেখ হাসিনার নাম উচ্চারণ করার পূর্বে তার প্রতি সম্মানসূচক একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চাই, ‘হযরত শেখ হাসিনা’ তোমাকে অভিবাদন।

                          এবার প্রধানমন্ত্রীকে ‘আওলাদে আউলিয়া’ বলে মন্তব্য করে রবিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হুইপ স্বপন। ওই স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনাকে ‘হযরত’ বলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তিনি লেখেছেন, ‘শেখ হাসিনা তার শরীরে আউলিয়া পরিবারের রক্ত বহন করছেন। তিনি আওলাদে আউলিয়া।’

                          সূত্র: বিডি-প্রতিদিন


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32871/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            বিতাড়ন আতঙ্কে ভারতের বাংলাদেশীরা, বাড়ছে সীমান্তে পাচার




                            ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা বলেছে যে বিতর্কিত নাগরিককত্ব আইন পাস ও প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) ক্রমেই সেখানে একটি মুসলিম-বিদ্বেষী পরিবেশ তৈরি করছে। ফলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মানব-পাচার বেড়ে গেছে।

                            মুসলিম সংখ্যাগুরু বাংলাদেশ, ভারত ও আফগানিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সহজে নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে গত ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্ট নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস করে।

                            এতে একটি ঘোষিত সেক্যুলার দেশে ধর্মকে নাগরিকত্ব পাওয়ার হাতিয়ার করায় সমালোচকরা বলছেন যে এটি আসলে একটি মুসলিম বিরোধী আইন। ফলে সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে সারা ভারতে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এসব প্রতিবাদে মুসলমানরা যোগ দিচ্ছে নজিরবিহীন সংখ্যায়।

                            এদিকে বাংলাদেশ থেকে আসা যেসব মুসলমান দশকের পর দশক ধরে ভারতে রয়েছেন তারা আল-জাজিরাকে বলেন যে সাম্প্রতিক ঘাটনাবলী তাদের প্রতি শত্রুতা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তাদেরকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে। এ কাজে প্রায়ই তারা পাচারকারীদের সহায়তা নেয়।

                            পালিয়ে যাওয়া লোকজনের আশঙ্কা তারা ভারতে থাকলে সরকার তাদেরকে বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে পাঠাবে। আসামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এ ধরনের আটককেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

                            পালাতে বাধ্য করা হচ্ছে

                            বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৪,০০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এ সীমান্তে হঠাৎ করেই মানবপাচার ব্যাপক লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

                            আল জাজিরার বার্নাড স্মিথ জানান যে, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ব্যাপক অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। আর অনুপ্রবেশের এই ধারটি একমুখি — ভারত থেকে বাংলাদেশমুখি।

                            গত কয়েক মাসে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী পাঁচ শতাধিক লোককে আটক করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে কত মানুষ প্রবেশ করছে তার সঠিক সংখ্যা পাওয়া অসম্ভব। পাচারকারীরা আমাদেরকে বলেছে তারা প্রতিরাতে ৪০-৫০ জন করে সীমান্ত পার করে দিচ্ছে।

                            ভারত থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসা প্রায় ৩০ বছর বয়সী যুবক মুনির হাওলাদার আল-জাজিরাকে বলেন যে তিনি শিশুকাল থেকে ভারতে ছিলেন।

                            তিনি বলেন, তারা দমন অভিযান চালাচ্ছে এবং গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রায় ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেই।

                            ভারতীয় ওয়ার্ক পারমিটধারী কুকি বেগম জানান তিনি তার স্বামীর সঙ্গে ১১ বছর ধরে ভারতে ছিলেন।

                            তিনি বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল চায় না সেখানে কোন বাংলাদেশেী থাকুক। তাহলে আমরা কি করবো। আমরা মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে থাকতে চাই। তাই চলে এসেছি।

                            গত মাসে ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি বস্তি গুড়িয়ে দেয়া হলে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। বস্তিতে বাংলাদেশীরা থাকে বলে গুজব রটিয়ে বস্তিটি উচ্ছেদ করা হয়। পরে দেখা গেলো বস্তিবাসীরা ভারতীয় নাগরিক।

                            ভারত সরকারের হিসাবে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশী ভারতে বাস করে।

                            বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে নিয়ে সংগ্রাম করছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ থেকে বাঁচতে এরা পালিয়ে আসে।
                            সূত্র: আল-জাজিরা


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32895/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              মালয়েশিয়া যাবার পথে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে নিহত ১৫, নিখোঁজ ৫২



                              মালয়েশিয়া যাবার পথে সেন্টমার্টিনের কাছে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে ১৫ জনের মৃতদেহ ও ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৫২ জন।

                              জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে পাঁচটা ছোট ছোট বোটে করে মোট ১৩৮ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা করেছিল। পরে দালালরা তাদেরকে একটা বড় বোটে তুলে নেয়, যেটি মঙ্গলবার ভোরে ডুবে যায়। সকাল থেকে যে আরেকটি নিখোঁজ বোটের কথা বলা হচ্ছিল, তা মূলত ওই ছোট ছোট বোটগুলোরই একটা ছিল।

                              কোস্টগার্ড সদর দফতর সূত্র জানায়, জীবিত উদ্ধার ৭১ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৪৪ নারী ও তিন শিশু। মৃত অবস্থায় উদ্ধার ১৫ জনের মধ্যে তিন শিশু ও ১২ নারী ছিলেন। নিহত ১৫ জনকে টেকনাফে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

                              বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান, ১৩৮ জনের মধ্যে নিখোঁজ ৫২ জন।

                              উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলার ডুবে যায়। এতে অনেকেই ডুবে যান। কেউ কেউ সাঁতরে পার হন।


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/12/32901/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X