Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৮ই জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    এবার মাদরাসা বন্ধ করে দিচ্ছে আসামের মালাউন বিজেপি সরকার



    ভারতের আসাম সরকার সেখানকার সরকারি মাদরাসা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে।

    বিজেপির নেতৃত্বে থাকা রাজ্য সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা চলছে নাগরিক সমাজে।

    শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে বলেন, ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ এবং আরবির মতো ভাষা শিশুদের শেখানো কোনো ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের কাজ নয়।

    সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালে মাদরাসার পাশাপাশি সংস্কৃতি কেন্দ্র বোর্ডকে মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছিল। এবার তা পুরোপুরি বন্ধই করে দিচ্ছে বিজেপি সরকার।

    শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বলেন, এখানে কোনো স্বতন্ত্র বোর্ড ছাড়া প্রায় ১২০০ মাদরাসা ও ২০০ সংস্কৃতি চলছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরাও ম্যাট্রিকুলেশন বা উচ্চ মাধ্যমিকের সমমানের সনদ পায় বলে অনেক সমস্যার তৈরি হয়। সেজন্য আমরা এসব মাদরাসা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রকে সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করছি।

    আর এ রাজ্যে যে ২ হাজার বেসরকারি মাদরাসা আছে, সেগুলোকেও কড়া নিয়ম-কানুনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

    মাদরাসা বন্ধে বিজেপি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা চলছে আসামসহ ভারতের বিভিন্ন পরিসরে। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মুসলিম-বিদ্বেষী মানসিকতা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    এর আগে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে আসামে বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জি এনআরসি প্রকাশ করা হয়। কথিত ‘মূল জনগোষ্ঠী’ থেকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ আলাদা করতে ওই তালিকা করা হয়। কিন্তু এ তালিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে আসামসহ ভারতজুড়ে।

    প্রতিবাদকারীরা বলছেন, মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের খেদানোর উদ্দেশ্যেই বিজেপি সরকার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক তালিকা করেছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32920/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দেওবন্দকে ‘সন্ত্রাসের আঁতুরঘর‘ বলল ভারতীয় মালাউন মন্ত্রী



    উপমহাদেশের ইসলামি শিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান বলে সারা বিশ্বে পরিচিত যে দেওবন্দ, তাকে সন্ত্রাসবাদের গঙ্গোত্রী (উৎসস্থল) বা আঁতুরঘর বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পশুপালন ও মৎস দপ্তরের মন্ত্রী মালাউন গিরিরাজ সিং। তার এ মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকেই।

    এর আগেও তিনি বলেছিলেন যে, এই শহরটি কোনও এক কারণে মুম্বাই হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হাফিজ সাইদ বা আইএস প্রধান বাগদাদির মতো মানুষ তৈরি করে।

    বিবিসি বলছে, গিরিরাজ সিং বিতর্কিত মন্তব্য মাঝে মাঝেই করে থাকেন। কিন্তু বিখ্যাত এই ইসলামি প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসবাদীদের জন্ম দেয় বলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করছেন দেওবন্দ দারুল উলুমের প্রাক্তন ছাত্র থেকে বুদ্ধিজীবি – অনেকেই।

    খবরে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দ শহরে গতকাল বুধবার একটি সভায় যোগ দিতে গিয়ে সিং বলেন, ‘এই দেওবন্দ সন্ত্রাসবাদের গঙ্গোত্রী। সারা বিশ্বে যত বড় বড় সন্ত্রাসবাদী জন্ম নিয়েছে – যেমন হাফিজ সৈয়দ – এই সব লোক এখান থেকেই বের হয়।’

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সিংয়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেওবন্দকে যদি সন্ত্রাসবাদী বলা হয়, আমি বলব মোদির বন্ধু (সিং), সৌদি আরবের রাজা সালমান, সেখানকার ইমামদেরকে এ কথাটা গিয়ে বলুন না একবার। সেখানকার ইমামরা যা শিক্ষা দেন, দেওবন্দও সেই শিক্ষা দেয়। তাহলে সৌদির ইমামরাও সন্ত্রাসবাদী! বুকের পাটা থাকলে একবার সৌদি আরবে গিয়ে বা মক্কা শরিফে গিয়ে বলুন না এই কথাটা।’

    তিনি আরো বলেন, যে প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসবাদের উৎস বলা হচ্ছে, সেখানে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ গিয়েছিলেন – কারণ দারুল উলুমের তৎকালীন প্রধান সাইফুল ইসলাম হুসেইন আহমেদ মাদানী রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে একই জেলে বন্দী ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে।

    অন্যদিকে, কলকাতার শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার বলেন, গঙ্গোত্রী শব্দটা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এখানে এবং তা সুপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে সারা দেশের মানুষের কাছে মুসলমানদের শত্রু প্রতিপন্ন করে তোলার জন্য।

    অন্যদিকে, পার্সটুডের প্রতিবেদন বলছে, গিরিরাজ সিংয়ের বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে সাহারানপুর লোকসভার এমপি হাজী ফজলুর রহমান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য লজ্জাজনক! এর যত নিন্দাই করা হোক তা কম হবে। দেওবন্দ হলো সেই জায়গা যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, এখানকার ওলামারা মার খেয়েছিলেন, ফাঁসির দড়িকে চুম্বন করেছিলেন, কারাগারে বন্দি থেকেছেন এবং শহীদ হয়েছিলেন।’

    বিজেপি নেতার সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, এদের নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিলেন এবং ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি অনুগত থাকবেন এবং এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ সরকারের প্রতি অনুগত থাকবেন, ব্রিটিশ সরকারকে সহায়তা করবেন এবং হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিদ্বেষের প্রাচীর গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। সেই এজেন্ডা অনুযায়ী দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গিরিরাজ সিং, সংঘ পরিবার ও বিজেপির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা ওই কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32921/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      “সন্দেহ হলেই ধরে মার” এটাই ভারতীয় মালাউন পুলিশের নীতি!



      ভারতে অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায় করতে অভিযুক্তদের ধরে পুলিশের মারধরের রেওয়াজ পাল্টায় না বলেই দাবি ভুক্তভোগীদের। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এ সব প্রকাশ্যে এলে শোরগোল পড়ে যায় ঠিকই, কিন্তু বেশির ভাগ ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে।

      শহরের অপরাধ বিষয়ক আইনজীবীদের বড় অংশই বলছেন, ‘‘আইনকানুন ভাল ভাবে না জানলে বা ‘দাদা ধরা’ না থাকলে মারধর আরও বাড়ে।’’ আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘২০১৩ সালে একটি চুরির ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল আলিপুর থানা। আমি অভিযুক্তের আইনজীবী ছিলাম। হেফাজতে থাকাকালীন হঠাৎ এক দিন বলা হল, মাথায় চোট পাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় ওই অভিযুক্তকে। পুলিশ ওঁকে পিটিয়েই মেরে ফেলেছিল। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হলে শুনানির সময়ে পুলিশ দাবি করে, অন্য বন্দিদের সঙ্গে ঝামেলা করতে গিয়েই নাকি মাথায় চোটটা লেগেছিল!’’

      দিব্যেন্দুবাবুর আরও দাবি, ‘‘২০১৭ সালে প্রতারণার মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল লেক থানা। হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশ এমন মেরেছিল যে, ওই ব্যক্তির শৌচকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বিচারকের কাছে নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে ওই ব্যক্তির ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ দেখতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম আমরা।’’ কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার প্রসূন মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এমনও হয় যে, কাউকে হয়তো অভিযুক্ত সন্দেহে তুলে এনে একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হল। এক জন গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুই করলেন কষিয়ে একটা থাপ্পড় মেরে। কয়েক দফা মারধর এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরে তিনি বেরিয়ে গেলেন। এর পরে অন্য এক পুলিশকর্মী এসেও একই ভাবে মারতে মারতে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। এবং ভাবলেন, তিনিই হয়তো প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছেন। ওই ব্যক্তি কত দফায় এই মার সহ্য করবেন?’’

      এমন অভিজ্ঞতা তাঁরও হয়েছে বলে দাবি উল্টোডাঙার গুরুদাস দত্ত গার্ডেন লেনের এক বাসিন্দার। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ ছিল। সেই মামলা বিচারাধীন। কিন্তু ২০১২ সালে কয়েক দিন হাজতে কাটিয়ে ফেরার পর থেকেই পাড়ায় তাঁর নাম হয়ে গিয়েছে ‘টানাদা’! কারণ, এখন তাঁকে হাঁটতে হয় পা টেনে টেনে। তিনি বললেন, ‘‘প্রথমে পুলিশ এসে থানায় তুলে নিয়ে যায়। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, আর কে কে ওই ঘটনায় জড়িত। অফিসার সেই সময়ে হাতের সামনে যা পেয়েছেন, তা দিয়েই মেরেছেন। এক দিন শীতের মধ্যে স্নান করিয়ে খালি গায়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারা হল। ভেবেছিলাম, আর হাঁটতে পারব না। এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমি দোষী কি না, সেটা আদালত বিচার করবে। ওরা ও রকম মারল কেন?’’

      মনোরোগ চিকিৎসক জয়রঞ্জন রাম বললেন, ‘‘এর সঙ্গে পুরোপুরি জড়িয়ে রয়েছে, কাউকে সহজেই দোষী বলে ধরে নেওয়ার মানসিকতা। আর একটা ব্যাপার, চরম অপরাধীরও যে মানবাধিকার রয়েছে, সেটা সকলেই ভুলে যাই। আইনি ক্ষমতা হাতে থাকায় পুলিশ আরও বেশি করে বেপরোয়া হয়ে উঠে।’’

      দিন কয়েক আগেই আবার প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বাসন্তী হাইওয়ের পাশে খালে গাড়ি পড়ে মৃত্যু হয় দীপক রানা নামে এক কিশোরের। ঘটনার পরের দিন খালের পাঁক থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। গাড়িটি চালাচ্ছিল দীপক। সঙ্গে ছিল এক কিশোর এবং দুই কিশোরী। কী ঘটেছে জানতে বেঁচে ফেরা কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানার ওসি–র (বড়বাবু) ঘরে। স্রেফ জিজ্ঞাসাবাদই নয়, সেখানে ওই কিশোরকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্মীকে আর এক পুলিশকর্মীর উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘‘মার, লাথি মার দু’টো। এদের জন্য কাল আমাদের ছুটি বরবাদ হয়েছে। আরও জোরে মার।’’ লাগাতার লাথি, চড়–থাপ্পড়ের পরে ওই অধস্তন পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘স্যার, হাত ধুতে হবে আমার। না হলে করোনাভাইরাস চলে আসবে আমার গায়ে।’’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32927/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী মহিলাদের উপর মালাউন পুলিশের নির্যাতন

        রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী মহিলাদের নির্যাতন ও গুরুতর আহত করেছে ভারতীয় মালাউন পুলিশ।

        নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি মহিলারা গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, পুরুষ পুলিশ সন্ত্রাসীরা তাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন।

        একজন মহিলা গণমাধ্যমকে বলেছেন: “আমি পুলিশকে বলেছি যে আমাকে ছেড়ে দাও, তখন মহিলা পুলিশ আমাকে ধাক্কা দেয় যার ফলে সাথে সাথে আমি পড়ে যাই, পরে একজন পুরুষ অফিসার আমার বুক ও গোপনাঙ্গসহ শরীরে বুট দিয়ে আঘাত করে। ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বুটের আঘাতে ফোলে যায়। যেগুলো আমি ডাক্তারকে দেখিয়েছি।

        ব্যথার অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার অপারেশন হয়েছে এবং সেলাই করা স্থানে অনেক ব্যথা হচ্ছে। পুলিশ আমাকে প্রচুর আঘাত করেছে’।

        পুলিশ সহিংসতার শিকার আরেকজন বলেছিলেন, “আমরা সবাই সামনের সারিতে ছিলাম, তারা আমাদের যৌন হয়রানি করছিল এবং তারা আমাদের লাথি মেরে পেটে আঘাত করার চেষ্টা করেছিল,”। দিল্লি পুলিশ বেশ কয়েকজন মহিলাকে আহত করেছে যাদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ।

        এক মহিলা বলেছেন, আমরা সংসদের দিকে যাত্রা করেছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও চাপ দিতে শুরু করেছিল”। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ পুরুষ পুলিশ সদস্য আমাদের ধাক্কা দিচ্ছিল, যে মেয়েগুলো পড়ে যাচ্ছিল, পুলিশ তাদের হাত ও পায়ে চড়াচ্ছিল এবং তারা অনেক মহিলার গোপনাঙ্গতেও আঘাত করেছিল।”



        আহত মহিলা বলেছিলেন, “আমি যখন গ্রেপ্তারের পরে বাসে বসেছিলাম তখন পুলিশ এসে আমাকে থাপ্পড় মারল এবং মহিলা পুলিশ এসে আমার কাপড়েউঠিয়ে দেয় , পুরো মিডিয়া লাইভ চলছিল। লাঠি দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে মেরে আমাকে অপমান করছিল।



        উল্লেখ্য, যে দিল্লির শাহীনবাগ এলাকায় ভারতের বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভ গত মাস থেকেই চলছে, যেখানে এক সময় সশস্ত্র হিন্দু চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছিল এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।

        দিল্লির শাহীনবাগ ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক প্রতিবাদী উপস্থিত রয়েছে।

        নাগরিকত্ব আইন এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

        উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ই ডিসেম্বর ভারতীয় সংসদ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে, যা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে ৩ টি প্রতিবেশী দেশ থেকে ভারতে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সী এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করবে। বাদ পড়বে মুসলিমরা।

        উল্লেখ্য যে ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভা বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস করেছে, যার পর থেকে সারা দেশে, বিশেষত আসামে সহিংস বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

        এছাড়াও, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) -র তীব্র প্রতিবাদের পরে ৯ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আসাম সফর বাতিল করতে হয়েছিল।

        সূত্র: ডন নিউজ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32909/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চবিতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীর হাতে সাংবাদিক হেনস্তার শিকার!



          চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) জুনায়েদ হোসেন জয় নামের এক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সাংবাদিককে হেনস্তা করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুরে প্রক্টর কার্যালয়ে চবি সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) পক্ষ থেকে তিন দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ঝুপড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

          বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ধ্বংসের অপপ্রয়াস। আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

          সূত্র: কালের কণ্ঠ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32906/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আবরারের জন্মদিন কেঁদে কাটালেন মা



            বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ২২তম জন্মদিন ছিল গতকাল বুধবার। একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা গত বছরের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।

            জন্মদিনে কুষ্টিয়ায় বাড়ির পাশের একটি মসজিদে আবরারের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ছেলের জন্মদিনটিতে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করেন মা রোকেয়া খাতুন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবরার বেঁচে থাকতেও কখনো ঘটা করে তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়নি।

            আবরার ঢাকায় পড়ালেখা করার কারণে এই দিনে বাবা বরকত উল্লাহ ও মা তাঁকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন। বলতেন, বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ভালোমন্দ খেয়ে নেওয়ার জন্য। ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ অন্য স্বজনরাও তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতেন।

            এদিকে কয়েক দিন আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি আবরারের বাবা ও ভাইকে ফোন করে হত্যাকারীদের সঙ্গে আপস করার যে প্রস্তাব দিয়েছিল সে বিষয়ে আবরারের মা বলেছেন, ছেলের হত্যাকারীদের সঙ্গে আপস করার প্রশ্নই ওঠে না।

            গতকাল সকাল থেকেই আবরারের মা-বাবা, ভাইসহ স্বজনদের মন ছিল বিষণ্ন। আবরারের মা সারাদিন ছলের স্মৃতি হাতড়ে কেঁদে কাটিয়েছেন। বিকেলে কুষ্টিয়া শহরের বাড়ির পাশের মসজিদে আবরারের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

            আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘কাছে না থাকলেও সন্তানের জন্মদিন প্রত্যেক মা-বাবার কাছেই অন্য রকম এক অনুভূতির দিন। কিন্তু এবারে আমার ছেলের জন্মদিনের অনুভূতি আমি প্রকাশ করতে পারব না। আবরার যখন বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল, তখন আমাদের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে সব আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ হয়ে গেছে।’

            রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি আমার আব্বুর (আবরার ফাহাদ) জন্মদিন। ১৯৯৮ সালে যেদিন ওর জন্ম হলো সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। বাংলা মাঘ মাস। এক সপ্তাহ ধরে শীতের কুয়াশায় মোড়ানো ছিল চারপাশ।’

            তিনি জানান, নিজের জন্মের সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই বাবাকে হারিয়েছিলেন। তাই ছেলে জন্মের পর থেকেই তাঁকে আব্বু বলে ডাকতেন। জন্মের পর পাঁচ বছর বয়সে মাত্র একবার ঘটা করে বাড়িতে আবরারের জন্মদিন পালন করা হয়েছিল।

            মারা যাওয়ার আগে চার বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন আবরার। পড়াশোনার জন্য জন্মদিনগুলো ঢাকাতেই কাটাতে হতো। সেসব দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠেই রোকেয়া খাতুন ছেলেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতেন। ভালোমন্দ খেতে বলতেন। আর এবার ছেলের জন্মদিনে কেবল কষ্টই বাড়ছে আর কান্না। তিনি বলেন, ‘আবরারের জন্ম ও মৃত্যুর দিন আমার জন্য কেবলই কান্নার।’

            কয়েক দিন আগে ফোন করে এক ব্যক্তি আবরার হত্যা মামলার আসামিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন—এমন অভিযোগ করে রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘ছেলের হত্যাকারীদের সঙ্গে আপস করার প্রশ্নই ওঠে না।’ আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, ভাইয়ের জন্মদিনে ঘটা করে অনুষ্ঠান হতো না, কিন্তু সেটা পরিবারের জন্য একটা আনন্দের দিন ছিল।

            এখন দিনটি কেবলই কষ্টের। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবরার এবং আমাদেরকে নিয়ে কিছু লোক নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এসব উপেক্ষা করে আমরা ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় রয়েছি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32913/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বেড়েই চলছে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি !



              চলতি অর্থবছরের সাত মাস পার হলেও রাজস্ব আদায় পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই থেকে জানুয়ারি) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ঘাটতি ছিল ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

              এই অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। তবে এই সময়ে শুল্ক-কর মিলিয়ে আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭৬ শতাংশ। এতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর, স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও আয়কর—এই তিন খাত থেকে এনবিআর রাজস্ব আদায় করে থাকে।

              চলতি অর্থবছরে সোয়া ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এই বাজেট বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার জোগান দিতে হবে, যা বাজেটের ৬২ শতাংশের বেশি। কিন্তু অর্থবছরের শুরু থেকেই এনবিআর বড় ধরনের হোঁচট খেয়ে আসছে।

              চলতি অর্থবছরের সাত মাস ধরেই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি বেড়ে চলেছে। প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইতে ২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়। পরে জুলাই থেকে আগস্টে এই ঘাটতি দাঁড়ায় ৯ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ১৪ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা, জুলাই থেকে অক্টোবরে ২০ হাজার ২২১ কোটি টাকা এবং জুলাই থেকে নভেম্বরে তা দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

              এনবিআরকে লক্ষ্য অর্জনে গত অর্থবছরের চেয়ে ৪৫ শতাংশের বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। কিন্তু সাত মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। এই লক্ষ্য অর্জনে রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়াতে হবে দ্বিগুণের বেশি। এবার গত অর্থবছরের ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩ কোটি টাকার সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে এনবিআরের।

              এই বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমেই বলছি, এ বছর একটা বড় ঘাটতি আসবে। প্রথমত, খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও বাস্তবসম্মত ছিল না রাজস্ব আদায়ের এই লক্ষ্যমাত্রা। দ্বিতীয়ত, আইন প্রণয়ন করে ভ্যাট আদায়ে যে আশা করা হয়েছিল, তা সঠিকভাবে হয়নি।

              ভ্যাট থেকে টাকা আসেনি। যে অটোমেশন হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি। তৃতীয়ত, সরকারের তরফ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। আমদানি তুলনামূলক কম হচ্ছে। এ কারণে রাজস্ব আদায় কমছে। আবার করপোরেট খাতের অবস্থাও ভালো নয়, যা রাজস্ব আদায়ে প্রভাব ফেলছে।’

              এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আগামী অর্থবছরগুলোয় একইভাবে রাজস্ব আদায় কমতে থাকবে। কারণ, আমরা কিন্তু দেখি, বছর শেষে এনবিআর রাজস্ব আদায়ের যে চিত্র দেয়, পরে সংশোধিত হয়ে আদায় তার চেয়ে কিছুটা কমই হয়। আমার আশঙ্কা, এই অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ৮০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকতে পারে।

              যদি করোনাভাইরাসের প্রভাব বিবেচনা করি, তাহলে ঘাটতি আরও বেশি হতে পারে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের কারণে বন্দরে অ্যাক্টিভিটি কমে গেছে। চীনা আমদানি কমলে স্পষ্টতই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।’

              তথ্যসূত্র: প্রথমআলো।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32928/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                গ্রাহকের কোটি টাকা জমা থাকলেও ব্যাংক দেউলিয়া হলে ফেরত পাবে মাত্র সর্বোচ্চ ১ লাখ!



                ‘আমানত সুরক্ষা আইন ২০২০’-এর যে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে, তা আদৌ গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষা দেবে কি? এ প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ আইনটিতে যেসব বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত (বন্ধ) হলে প্রত্যেক আমানতকারী সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।

                ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো গ্রাহকের একাধিক অ্যাকাউন্টে ১ লাখ টাকার বেশি থাকলেও তিনি সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকাই পাবেন। একজন গ্রাহকের ১ কোটি টাকা ব্যাংকে থাকলে সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন হলে গ্রাহক ওই ১ লাখ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ পাবেন না, অর্থাৎ তার প্রায় পুরোটাই ক্ষতি। তাহলে এটি কী’ ধরনের সুরক্ষা আইন!

                প্রকৃতপক্ষে খসড়া আমানত সুরক্ষা আইনটি মাঝারি ও বড় আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে। এর ফলে শুধু যে আমানতকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তা নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইস’লামের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক খুবই কম।

                এতে গ্রাহকরা ধীরে ধীরে আমানত তুলে নেবেন। তিনি আরও বলেছেন, এ আইনটি সঠিক হচ্ছে না। এতে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবাহ কমবে। আর আমানত কমলে ঋণ দেয়ার ক্ষমতাও কমবে ব্যাংকের। আর ঋণ দিতে না পারলে বিনিয়োগ হবে না, যা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

                দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮ কোটি হিসাবধারী গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ ১ লাখ টাকার বেশি। শুধু উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নয়, বহু সাধারণ মানুষেরই এখন ১ লাখ টাকার উপরে এফডিআর রয়েছে। তাদের আমানতের সুরক্ষা দেয়া জরুরি।

                সম্প্রতি একটি লিজিং কোম্পানি অবসায়িত হলে এর আমানতকারীদের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা তাদের আমানত সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে অনুধাবন করছেন। তাছাড়া দু’র্নীতি, জালিয়াতি ও অত্যধিক খেলাপি ঋণের কারণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।

                জানা গেছে, এ ধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে আমানতকারীরা তাদের অর্থ তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেখানে আরও বেশি জরুরি, সেখানে ক্ষতিপূরণের নামে উল্টো ‘ক্ষতির’ বিধান সংবলিত আইন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

                এ আইনের মাধ্যমে মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থেরই সুরক্ষা হবে, গ্রাহকদের নয়। কাজেই গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষার দিক বিবেচনা করে আইনটি শুধু নামে নয়, সত্যিকার অর্থেই যুগোপযোগী করা দরকার বলে আম’রা মনে করি। সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ অবিলম্বে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে, এটাই কাম্য।

                তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/13/32926/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment


                  • #10
                    শরিয়াহ আইন ব্যতিত এগুলোর ফায়সালা হবেনা।

                    Comment

                    Working...
                    X