Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২২শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২২শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম: স্বায়ত্তশাসনের জন্য ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা সন্তু লারমার!



    ১৯৭২ সালে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ভারতে গিয়েছে মালাউন সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন আদায়ের জন্যে।
    ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সন্তু লারমার নেতৃত্ব সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিগুলো মেনে না নিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়। ফলে চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এখনো সমাপ্ত করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
    ফলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্যে এবার সে ভারতে চিকিৎসার খাতিরে গিয়ে এর আড়ালে নয়া দিল্লিতে উপস্থিত হয়ে শীঘ্রই সরকারি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করতে চাইছে। তার একান্ত বিশ্বাস ভারত সরকারের সমর্থন সে পাবে।
    উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “তামিলদের আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সেভাবে লারমা নয়া দিল্লিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে একই ভূমিকা ভারত পালন করলে উপকার হবে।
    এদিকে বসতি স্থাপনকারীরা এখন সিএইচটি-র জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি। কিন্তু আদিবাসী উপজাতি লোকেরা জমি ও জীবিকার ক্ষতি আশংকায় এ মুহূর্তে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে।
    চিটাগং হিল ট্রাকটস (সিএইচটি) ইস্যু নিয়েই লারমা ভারতের দুই সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছে। এবং সে যথেষ্ট আশাবাদী মোদি সরকারের ওপর যে সিএইচটি চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্যে ভারত, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে, যেভাবে তামিল ইস্যু নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে করছে।
    প্রসঙ্গত পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়ীদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তি চুক্তি।
    সূত্র: এন ই নাও


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33149/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কুয়েতে ‘মানবপাচার ও অবৈধ ভিসা’ চক্রের হোতা আওয়ামী এমপি



    কুয়েতে একটি ক্লিনিং কোম্পানির সুপারভাইজার থেকে অবৈধভাবে কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। তিনি বাংলাদেশের সংসদ সদস্য বলেও কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস, আল-কাবাস, কুয়েত টাইমস ও এমবিএস নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কুয়েতে অবৈধ ভিসা ব্যবসায় জড়িত। মানবপাচার ও অবৈধ ভিসা ব্যবসায় জড়িত যে তিন বাংলাদেশিকে কুয়েতের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ খুঁজছেন, তাদের মধ্যে তিনিও একজন।

    প্রতিবেদনে সেই এমপির নাম উল্লেখ করা না হলেও কুয়েত প্রবাসীরা বলেছেন এটি লক্ষীপুর-২ আসনের সাংসদ কাজী শহীদ ইসলাম পাপলু।

    নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এসব সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কুয়েতের একটি শীর্ষ পর্যায়ের ক্লিনিং কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন এই বাংলাদেশি সংসদ সদস্য। সেখানে চাকরি নিতে মোটা অঙ্কের টাকাও খরচ করেন তিনি। চাকরি করতে করতেই এক সময় তিনি কোম্পানির একজন অংশীদার হয়ে যান এবং ইচ্ছে মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। লাভ হবে না জেনেও তিনি কুয়েতে বেশ কয়েকটি ঠিকাদারির কাজ নেন। মূল উদ্দেশ্য ছিল ঠিকাদারি কাজের আড়ালে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে নিয়ে যাওয়া।প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোর কাজ পেতে তিনি কুয়েত সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঁচটি দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। এরপর কুয়েতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে যান তিনি। তার বেশিরভাগ সম্পদ তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার স্ত্রীও একজন সংসদ সদস্য।

    তিন আসামির আরেকজন সুলতান নামে পরিচিত। বর্তমানে তিনি কুয়েতের বাইরে আছেন। তবে বড় বড় কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। সেই সুবাদে তিনি এখনো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিক নিয়ে যেতে দালালের মাধ্যমে নেওয়া মোটা অঙ্কের অর্থ তার কুয়েতের বাইরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

    সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন কর্মচারী ভিডিও এবং অডিও প্রমাণ জমা দিয়েছেন। সেগুলোতে দেখা গেছে, এসব শ্রমিক অন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে অনুমতিপত্রের জন্য অর্থ দিয়েছেন।

    কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই কোম্পানির কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি অর্থপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও মানবপাচারের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরেক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ করে আরব টাইমস ও আল-কাবাস।

    ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা ওই বাংলাদেশি তিন সদস্যের চক্রের একজন। বাকি দুইজন কুয়েত থেকে পালিয়েছেন। কুয়েতের বড় বড় তিন কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদ এই তিনজনের দখলে ছিল। তারা বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কুয়েতে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিময়ে তারা ৫০ মিলিয়ন দিনারের বেশি আয় করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১,৩৯৮ কোটি টাকার বেশি।

    এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি সংসদ সদস্য বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের পরিচালনা পদে আছেন। তিনি কুয়েতে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার বেশি অবস্থান করতেন না। সিআইডি’র তদন্তের তথ্য জানতে পেরে এক সপ্তাহ আগেই তিনি কুয়েত থেকে পালিয়ে যান। তার দায়িত্বে থাকা কোম্পানির শ্রমিকদের ৫ মাসের বেশি সময়ের বেতন বকেয়া পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

    সিআইডি’র তদন্তে উঠে এসেছে, কুয়েত সরকারের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে যেতেন তিনি। ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে এসব শ্রমিকদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু চুক্তির চেয়ে অনেক কম বেতন দেওয়া হতো তাদের।

    বাংলাদেশেও এই তিনজনের একটি বড় নেটওয়ার্ক আছে। তাদের হয়ে যারা কাজ করেন, তারা প্রতিটি ভিসার জন্য গড়ে ১,৮০০ থেকে ২,২০০ দিনার পান। আর ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ দিনারে ভিসা বিক্রি করেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33155/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আজাদী স্লোগান দিয়ে ভিডিও করায় কাশ্মিীরের ৩ শিক্ষার্থীকে মালাউন পুলিশের গ্রেফতার



      গত শনিবার সিটি পুলিশ জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার বাসিন্দা এবং নগরীর গোকুল রোডে বিমানবন্দরের নিকটে অবস্থিত কেএলইএস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত তিন কাশ্মীরি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছে।

      গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের নাম আমির, বাসিত এবং তালিব বলে জানিয়েছে দ্য নিউজ। তারা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১ ম সেমিস্টারে পড়াশোনা করছে।

      গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি, পুলওয়ামাতে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের হামলায় যে ভারতীয় সৈন্যরা মারা গেছে তা স্মরণ করার জন্য কলেজে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। তবে, হোস্টেলে ফিরে এই তিন শিক্ষার্থী একটি ভিডিও করেছিলেন যাতে তারা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ এবং” আজাদী ‘ বলে স্লোগান দেয়। তারা ভিডিওটি তাদের বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে আপলোড করেছিল। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।

      পরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বজরং দলের গুণ্ডারা ৩ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আর মালাউন পুলিশরা সেই গুণ্ডাদেরকে গ্রেফতারের বদলে সেই ৩ শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রদোহের মামলা দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33152/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সংবাদ প্রচারে মালাউনদের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কাশ্মীরের সাংবাদিক এখন দিনমজুর



        ভারতের জবর দখলে থাকা কাশ্মীরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারে কার্যত নিষেধাজ্ঞা থাকায় পেটের দায়ে অনেক সাংবাদিক এখন নিজেদের পেশা ছেড়ে দিনমজুরের কাজ করছেন। পাঁচ বছর ধরে ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন মুনীব-উল ইসলাম (২৯)। তার তোলা অনেক ছবি দেশে ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। আর সেই সাংবাদিক এখন কলম-ক্যামেরা ছেড়ে পেটের দায়ে রোজ ৫০০ রুপি মজুরিতে নির্মাণাধীন ভবনে ইট টানছেন।

        শুধু মুনীবই নন, এমন অনেক সাংবাদিককেই এই করুণ জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

        বিবিসির সাংবাদিক প্রিয়াংকা দুবেইয়েরর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবাদিকদের এমন দুর্বিষহ জীবনের চিত্র।

        তিনি জানিয়েছেন, সংসার চালাতে কাশ্মীরের অনেক সাংবাদিকই নিজেদের মহান পেশা ছেড়েছেন। তাদের কেউ কেউ নির্মাণশ্রমিক আর দিনমজুরের পেশা বেছে নিয়েছেন।

        এসবের জন্য গত বছরের ৫ আগস্ট নেয়া ভারতের মোদি সরকারের সেই ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন কাশ্মীরিরা।

        প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই আইন পাসের পর উত্তাল হয়ে ওঠে কাশ্মীর। রাজধানী শ্রীনগরসহ জম্মু ও লাদাখের অলিগতিতে বিক্ষোভ মিছিল নামে। এর পর সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনসহ কাশ্মীরের ল্যান্ডফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় কাশ্মীরকে।

        এর পর দীর্ঘ ১৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও সেসব পরিষেবা চালু করেনি মোদি সরকার।

        আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের সাংবাদিকরা প্রায় বেকার হয়ে বসেন।

        ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ থাকায় কাশ্মীরে কী ঘটছে সে প্রতিবেদন লিখে তা বহির্বিশ্বে জানানোর উপায় হারিয়ে ফেলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ও সরকারি নানা নিষেধাজ্ঞায় স্থানীয়ভাবেও সংবাদ প্রচারের ক্ষমতা হারান তারা।

        এ সময় প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের বেতন দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এসব প্রতিকূলতায় টিকতে না পেরে সাংবাদিকের স্বপ্নের চাকরি ছেড়ে এখন অন্য কাজ করে আহারের জোগান দিচ্ছেন কাশ্মীরের সাংবাদিকরা।

        নিজের দুর্বিষহ জীবনের কথা জানাতে গিয়ে সাংবাদিক মুনীব-উল ইসলাম বিবিসিকে বলেন, ‘আমার এলাকার নির্যাতিত মানুষের কথা বলতে আমি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ায় আমার এই যাত্রা থেমে গেছে। এর আগে আমি সংঘাতপ্রবণ এই অঞ্চলের সংবাদ সংগ্রহে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন পেটেই চলে না। তাই অন্য পথ বেছে নিয়েছি।’

        এর পরও সাংবাদিকতা পেশাকে বুকে আগলে রেখে সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান মুনীব।

        তিনি বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহে নিজের পকেট থেকে ৬ হাজার রুপি খরচ করে শ্রীনগরে গিয়েছিলাম। কিন্তু দ্রুত এই অর্থ শেষ হয়ে যায়। এর পর কর্মস্থল থেকে কোনো সাহায্য না পেয়ে চাকরিটা ছাড়তে হয় আমাকে।’

        তিনি আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘এর পর পরিবার ও অসুস্থ স্ত্রীর খরচ চালাতে আমি মরিয়া হয়ে ওঠি। শেষ পর্যন্ত ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি আমাকে পার্শ্ববর্তী অনন্তনাগ শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ইট বহনের কাজ পাইয়ে দেন। এখন আমি সাংবাদিক নই, দিনমজুর। মাথায় ইট নিয়ে ওপরে পৌঁছে দিই। দিনভর খাটুনি শেষে প্রতিদিন ৫০০ রুপি পাই।’

        শুধু তিনিই নন, তার বেশ কয়েকজন সহকর্মী সাংবাদিকতা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান মুনীব।

        মুনীবের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। স্থানীয় এক পত্রিকার নামকরা প্রতিবেদক একটি দুগ্ধ খামারে কাজ নিয়েছেন।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33162/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসীদের হত্যার বিচার দাবিতে ২৪ দিন ধরে ঢাবি শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি



          সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বিএসএফ নির্বিচার গুলি ও নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ২৪ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

          আজ সোমবার ২৪তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢা*বির মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ এর শিক্ষার্থী নাসীর আব্দুল্লাহ।

          তিনি জানান, সীমান্তে হত্যা বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত তিনি এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি তিনি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছেন। সংহতি ও গণস্বাক্ষ*রে যারা অংশ নি*চ্ছেন তারা নি*জের অবস্থান ও বক্তব্য জানা*চ্ছে পা*শে রাখা বই*টি*তে।

          এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদ*দে*শে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন নাসির আব্দুল্লাহ।

          নাছির বলেন, সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা*তে নির্বিকার। যা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশের কেউ যদি কোন অপরাধ করে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে কিন্তু গু*লিবর্ষণ ও হত্যা কোনো সমাধান নয়।

          অবস্থান কত দিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন তি*নি।

          তার এ কর্মসূচি সীমান্ত হত্যা বন্ধে কতটুকু কার্যকর হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে না*সির বলেন, বর্তমান তরুণ সমাজ সচেতন। তরুণ সমাজ চাইলেই অ*নেক কিছু কর*তে পা*রে। সে জায়গা থেকে আমি আশা করি এই অবস্থানের ফলে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে এবং সাম্প্রতিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33166/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জে বস্তিতে আগুন 70 ঘর ছাই



            নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ইসদাইর বাজারের পাশে জলাধারের ওপর গড়ে ওঠা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে প্রায় ৬০টি বসতঘর ও গার্মেন্টস ঝুটের গুদাম পুড়ে গেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

            শনিবার রাত পৌনে ৩টায় এ অগ্নিকা- ঘটে। আগুন মুহূর্তের মধ্যে পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়লে ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। শোরগোল আর আগুনের উত্তাপে ঘুম থেকে জেগে ওঠা বস্তিবাসী আতঙ্কে দিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

            সূত্রঃ আমাদের সময়


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33169/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দেশের ব্যাংক খাত ধাক্কা সামালের অবস্থায় নেই



              দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে বড় ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, অভিঘাত সামলানোর মতো অবস্থায় নেই ব্যাংক খাত। বড় ধরনের ধাক্কা এলে ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণের হার ঋণাত্মক ৭ দশমিক ২২ শতাংশে নেমে যাবে। এ ধাক্কা মাঝারি মানের হলে মূলধন সংরক্ষণের হার এক শতাংশের নিচে অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নেমে যাবে।

              আর এ ধাক্কা ন্যূনতম হলেও মূলধন সংরক্ষণের হার সোয়া ৮ শতাংশে নেমে যাবে। ব্যাংক খাতের ঝুঁকিসহন ক্ষমতা যাচাই (স্ট্রেস টেস্ট) প্রতিবেদনে এমনই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখনই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগাম পদক্ষেপ না নিলে ব্যাংকিংব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।

              জানা গেছে, ব্যাংক খাতের যেকোনো অভিঘাত বা ধাক্কা এলে তার সহ্য করার ক্ষমতা কতটুকু তা যাচাই করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঝুঁকিসহন ক্ষমতা যাচাইকে ব্যাংকিং ভাষায় স্ট্রেস টেস্ট বলা হয়। কতগুলো সূচক বা নির্দেশকের মাধ্যমে এ ঝুঁকিসহন ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এর মধ্যে প্রধান তিনটি সূচক হলো- ঋণ ঝুঁকি, বাজার ঝুঁকি, ও তারল্য ঝুঁকি। ঋণ ঝুঁকির মধ্যে আবার পাঁচটি উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি শ্রেণীকৃত ঋণের হার বৃদ্ধিজনিত ঝুঁকি, বড় ঋণগ্রহীতাদের ঋণ শ্রেণীকৃত হওয়া ঝুঁকি, সহায়ক জামানতের মূল্য হ্রাসকৃত ঝুঁকি, শ্রেণীকৃত ঋণের মান হ্রাস হওয়াকৃত ঝুঁকি এবং কোনো নির্দিষ্ট খাতে ঋণ শ্রেণীকৃত হওয়ার ঝুঁকি।

              আর বাজার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সুদহার পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং পুঁজিবাজারে মূল্য হ্রাসজনিত ঝুঁকি। অপর দিকে তারল্য ঝুঁকির আওতায়, কোনো প্রকার আমানত গ্রহণ ছাড়াই পাঁচ দিন পর্যন্ত গ্রাহকের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা একটি ব্যাংকের আছে কি না- তা যাচাই করা হয়। প্রত্যেক নির্দেশকের তিন রকমের অভিঘাত যাচাই করা হয়। এর মধ্যে ন্যূনতম অভিঘাত, যা শক-১, মাঝারি অভিঘাত যা শক-২ এবং বৃহৎ অভিঘাত যা শক-৩ নামে অভিহিত।

              সাধারণত তিন মাস অন্তর এ ঝুঁকিসহন ক্ষমতা যাচাই করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ শেষ স্ট্রেস টেস্ট প্রতিবেদন দেয়া হয় সেপ্টেম্বরভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে। সর্বশেষ ওই প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ন্যূনতম অভিঘাত বা ধাক্কা সামলানের অবস্থায় নেই। স্ট্রেস টেস্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সরাসরি শ্রেণীকৃত ঋণ বৃদ্ধির পাওয়ার ক্ষেত্রে। এর পরেই রয়েছে শীর্ষ ঋণগ্রাহকের শ্রেণীকৃত হওয়া।

              এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে, নির্দিষ্ট খাত শ্রেণীকৃত হওয়া ও সহায়ক জামানতের মূল্যহ্রাস পাওয়া। তবে দেশের ব্যাংকিং খাতে বাজার ঝুঁকির প্রভাব খুব বেশি নয়।

              দেশের ব্যাংকিং খাতের বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, বড় অভিঘাত এলে অর্থাৎ খেলাপি ঋণ ১৫ শতাংশ বাড়লে ন্যূনতম মূলধন তথা ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হবে দেশের ৩৪টি সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। মাঝারি অভিঘাত অর্থাৎ খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশ বাড়লেও ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক।

              বড় ঋণগ্রহীতাদের ঋণ বৃদ্ধিজনিত ঝুঁকির মধ্যে বড় অভিঘাত এলে অর্থাৎ শীর্ষ ১০জন ঋণগ্রহীতা ঋণখেলাপি হলে ৩৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে। আর মাঝারি মানের ধাক্কা অর্থাৎ শীর্ষ সাতজন ঋণগ্রহীতা ঋণখেলাপি হলে ৩৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না। আর ন্যূনতম অভিঘাত অর্থাৎ তিন শীর্ষ ঋণগ্রহীতাও যদি ঋণখেলাপি হন তাহলে ২১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না।

              এ দিকে এ পর্যন্ত যেসব ব্যাংকের বড় ধরনের ঋণকেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তার বেশির ভাগ ঋণেরই পর্যাপ্ত সহায়ক জামানত ছিল না। আবার যে পরিমাণ সহায়ক জামানত ছিল তার বেশির ভাগই সরকারি খাস জমি, ভুয়া দলিল অথবা ঋণের বিপরীতে সহায়ক জামানতের মূল্য ১০ শতাংশও নেই।
              সহায়ক জামানতের মূল্য হ্রাসজনিত ঝুঁকির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রেস টেস্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের বিপরীতে সহায়ক জামানতের মূল্য ৪০ শতাংশ কমে গেলে ব্যাংকিং খাতের ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণের হার ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশে নেমে আসবে। আর এ ঝুঁকি মাঝারি মানের হলেও অর্থাৎ সহায়ক জামানতের মূল্য ২০ শতাংশ কমে গেলে মূলধন সংরক্ষণের হার সোয়া ১০ শতাংশে নেমে যাবে।

              ব্যাংক খাতে সাধারণত তিন ধরনের খেলাপি ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে নিম্নমানের খেলাপি ঋণ, সন্দেহজনক খেলাপি ঋণ এবং মন্দমানের খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ মন্দমানের হলে ওই ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়। আর প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় ব্যাংকের আয় খাত থেকে। এ কারণে খেলাপি ঋণ মন্দমানের বেশি হলে ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কমে যায়। অনেক ব্যাংকের আয় দিয়েও তা সঙ্কুলান করতে পারে না। এর ফলে প্রভিশন ঘাটতিতে পড়ে ব্যাংকগুলো।

              আবার মন্দ ঋণের বিপরীতে যে আয় হয় ওই আয় ব্যাংকগুলো আয় খাতে নিতে পারে না। সুদ আয় স্থগিত করে আলাদা হিসেবে রাখতে হয়। খেলাপি ঋণের গুণগত মান পরিবর্তন ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টেস টেস্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় ধরনের ধাক্কা অর্থাৎ খেলাপি ঋণের গুণগত মান যদি ১৫ শতাংশ পরিবর্তন হয় তাহলে বিদ্যমান অবস্থায় ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণের হার ছয় শতাংশে নেমে আসবে। আর যদি মাঝারি মানেরও ধাক্কাও আসে তাহলে মূলধন সংরক্ষণের হার ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে আসবে। আর যদি ন্যূনতম ধাক্কাও আসে তাহলেও ব্যাংক খাতের ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণের হার ১০ দশমিক ৯২ শতাংশে নেমে আসবে।

              বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রেস টেস্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাজার ঝুঁকির ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংক খাতের বর্তমান অবস্থায় তেমনে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বাজার ঝুঁকি ও ঋণঝুঁকি একত্রে এলে আমাদের ব্যাংক খাত ন্যূনতম ধাক্কাও সামলাতে পারবে না। কারণ, বড় ধরনের অভিঘাত এলে দেশের ৩৯টি ব্যাংক মূলধন হারাবে। অর্থাৎ মূলধন ঋণাত্মক ৭ দশমিক ২২ শতাংশে নেমে আসবে।

              আর মাঝারি মানের ধাক্কা এলেও ৩৮টি ব্যাংক মূলধন হারাবে। অর্থাৎ ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণের হার ১ শতাংশের নিচে (শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ) নেমে আসবে। আর ন্যূনতম ধাক্কা এলেও ১২টি ব্যাংক মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণের হার ৮ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমে আসবে।

              ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থা উত্তরণ করতে না পারলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ব্যাংকগুলো এখনই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থা না নিলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এতে এ খাতের ওপর গ্রাহকের আস্থা নষ্ট হবে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

              বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বিষয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। বড় বড় গ্রাহকের কাছে ব্যাংকঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় কমে গেছে। এটাই ঝুঁকির অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন। এটা অব্যাহত থাকলে ব্যাংকগুলোর যেকোনো প্রকার লেনদেনের সক্ষমতা কমে যাবে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যাবে। কাক্সিত হারে জাতীয় ঋণ প্রবৃদ্ধি হবে না।

              বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, নানা কারণে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকিসহন ক্ষমতা কমে গেছে। বিভিন্ন ঝুঁকিতে দেশের ব্যাংকিং খাত নাজুক হয়ে পড়েছে। গত ১০ বছরে ব্যাংকের মুনাফা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। একই সাথে কমেছে আমানত এবং ব্যাংকগুলোর ঋণ দেয়ার সমতা। কিন্তু এসব সমস্যা যথাযথভাবে আমলে নেয়া বা স্বীকার করা হচ্ছে না।

              তিনি বলেন, ব্যাংকের মন্দ ঋণ বেড়েছে বিপুল হারে। কিছু গ্রাহককে বিপুল আঙ্কের ঋণ দেয়া হচ্ছে। এতে যেকোনো অবস্থার পরিবর্তন হলে এসব গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ আদায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর এ কারণেই ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

              ড. মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রেস টেস্ট অনুযায়ী এমনিতেই ১০টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। এর ওপর ন্যূনতম ধাক্কা এলে আরও ১২টি ব্যাংকসহ মোট ১২টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়বে। আর তিনজন শীর্ষ ঋণ গ্রাহকের সমস্যা হলে ২১টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতির মুখে পড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রতিবেদন বড় ধরনের বিপদের কথাই মনে করে দিচ্ছে। এসব ধাক্কা সামলানোর সক্ষমতা ব্যাংকগুলোকে বাড়াতে হবে। না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33171/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                স্পষ্ট প্রমান থাকার পরেও আবরার হত্যার বিচারে দেরি, অভিযোগ গঠন ১৮ মার্চ



                বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন কুফরি আদালত।

                আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদি আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ আদালতে হাজির হয়ে বলেন, এ মামলা দ্রুত বিচারে নেয়ার আবেদন করব। তাই সময় দেয়া হোক।

                তখন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।

                ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

                পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

                মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার-বহির্ভূত আসামি।

                সূত্র : বাসস


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33170/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সাভারে বকেয়া বেতন দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সন্ত্রাসী পুলিশের লাঠিচার্জ



                  বকেয়া বেতনের দাবিতে সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সাভার-মিরপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী দালাল পুলিশ বাহিনীর পিটুনিতে আহত হয়েছেন অন্তত দশ শ্রমিক। রোববার সকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর এলাকায় সার্ক নিটওয়্যার লিটিটেড গার্মেন্টসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

                  শ্রমিকরা জানায়, ওই পোশাক কারখানায় কাজ করে আসছিলেন কয়েক’শ শ্রমিক। শ্রমিকদের জানুয়ারি মাসের বেতন না দিয়ে রোববার সকালে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মূল ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে বন্ধের নোটিশ দেখে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে। তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন দিয়ে সাভার-মিরপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় দশ শ্রমিককে পুলিশ পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ করেন তারা। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন সাভার মডেল থানার ওসি অপারেশন জাকারিয়া হোসেন। এদিকে আঞ্চলিক সড়ক সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ করার ফলে রাস্তার দু’পাশে আটকা পড়ে কয়েক শত যানবাহন। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে।

                  সূত্রঃ যায়যায়দিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/17/33179/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X