আফগানিস্তানে আমেরিকার বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে
২০০১ সালে নৃশংস এক বিমান হামলার মধ্য দিয়ে আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে। যুদ্ধটি তাদের জন্য কেবল ব্যয়বহুলই ছিল না, বরং যুদ্ধের ১৮ বছর পর আজ আফগানের আকাশ-বাতাসও আমেরিকানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
যদি আমেরিকা আফগান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে তাহলে তাদের দুর্দশা এবং হতাশাও অব্যাহত থাকবে। আর, কেবল সামরিকভাবেই নয়, রাজনৈতিকভাবেও যুদ্ধটি অসমাপ্ত হয়ে থাকবে।
আজ আমেরিকা বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আমেরিকার একগুঁয়ে স্বভাবই তাদেরকে এই সর্বনাশা পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে। একের পর এক আমেরিকান জেনারেল আফগানে এসেছে এবং ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে, হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের চেয়ারও বহুবার পরিবর্তন হয়েছে, পুরো বিশ্ব আগের দুটি আমেরিকান প্রশাসনের ব্যর্থতা দেখেছে — এরপরও যদি ট্রাম্প প্রশাসন সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দখলদার বাহিনীর জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকান বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণের বিজয় এটিই প্রমাণ করে যে, সময়ের পরিবর্তনে দখলদারদের আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং ভবিষ্যতে তারা আর কখনো তাদের বৈমানিক শক্তি (বৈমানিক শক্তিই ঐ কাপুরুষদের মূল শক্তি বলে বিবেচিত হয়) প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে না, যেমনটি তারা গত দুই দশক ধরে প্রদর্শন করে আসছিল।
আমেরিকার নিকৃষ্ট বিমান হামলাগুলো মূলত সাধারণ লোকদের মারাত্মকভাবে টার্গেট করছে, আর যুদ্ধক্ষেত্রে মুজাহিদদের খুব সামান্যই ক্ষয়ক্ষতি করতে পারছে। এর প্রমাণ হল আমেরিকানরা তাদের বিমান ও স্থল অভিযানের মাধ্যমে হাজার-হাজার বোমা ফেলে যুদ্ধাপরাধ করেও দীর্ঘ ১৮ বছরে কিছুই অর্জন করতে পারেনি। আমেরিকানদের জেনে রাখা উচিত যে, ইসলামী ইমারতের লক্ষ্য হলো আফগানিস্তানকে আগ্রাসী জালিমদের থেকে মুক্ত করার জন্য তার সমস্ত সামরিক শক্তি ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা।
আর, আফগানিস্তানে আমেরিকার চরম বিপর্যয় রোধের একমাত্র উপায় হলো আমাদের দেশ থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার করা। আমাদের বর্তমান সংগ্রাম হলো আফগানের স্বাধীনতা ও মালিকানার জন্য। আর, আফগানিস্তানের একমাত্র প্রকৃত মালিক হলেন আফগান মুসলিমরা, যারা পরাধীনতা ও নিপীড়ন থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হানাদারবাহিনী ও তাদের সহযোগী দালাল শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
আমেরিকার আফগানে আগ্রাসন একটি হাস্যকর ও দুঃখজনক বিষয় যা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে। আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধ মিথ্যা, অযৌক্তিক এবং বিকৃত উপস্থাপনার ভিত্তিতে আমেরিকা তার জোটকে যুদ্ধ করতে প্ররোচিত করেছে। আমেরিকার আফগানে আগ্রাসন ছিল একটি মারাত্মক ভুল। এ পর্যন্ত আমেরিকার হাজার হাজার সেনার মৃত্যু, আরো কয়েক হাজার সেনা মারাত্মক আহত এবং এক ট্রিলিয়ন ডলার নষ্ট হয়েছে। আমেরিকাকে ভুল থেকে শিখতে হবে এবং আফগানিস্তান থেকে ফিরে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের বিমানগুলো ভূপাতিত করা হবে, তাদের সৈন্যদের হত্যা করা হবে; এমনকি আফগানের আকাশ এবং জমিনও তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে না।
--------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের অফিসিয়াল ইংরেজী সাইটে গত ২৮শে জানুয়ারীতে প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে এটি অনুবাদ করেছেন ভাই ইউসুফ আল-হাসান।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33234/
২০০১ সালে নৃশংস এক বিমান হামলার মধ্য দিয়ে আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে। যুদ্ধটি তাদের জন্য কেবল ব্যয়বহুলই ছিল না, বরং যুদ্ধের ১৮ বছর পর আজ আফগানের আকাশ-বাতাসও আমেরিকানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
যদি আমেরিকা আফগান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে তাহলে তাদের দুর্দশা এবং হতাশাও অব্যাহত থাকবে। আর, কেবল সামরিকভাবেই নয়, রাজনৈতিকভাবেও যুদ্ধটি অসমাপ্ত হয়ে থাকবে।
আজ আমেরিকা বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আমেরিকার একগুঁয়ে স্বভাবই তাদেরকে এই সর্বনাশা পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে। একের পর এক আমেরিকান জেনারেল আফগানে এসেছে এবং ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে, হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের চেয়ারও বহুবার পরিবর্তন হয়েছে, পুরো বিশ্ব আগের দুটি আমেরিকান প্রশাসনের ব্যর্থতা দেখেছে — এরপরও যদি ট্রাম্প প্রশাসন সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দখলদার বাহিনীর জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকান বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণের বিজয় এটিই প্রমাণ করে যে, সময়ের পরিবর্তনে দখলদারদের আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং ভবিষ্যতে তারা আর কখনো তাদের বৈমানিক শক্তি (বৈমানিক শক্তিই ঐ কাপুরুষদের মূল শক্তি বলে বিবেচিত হয়) প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে না, যেমনটি তারা গত দুই দশক ধরে প্রদর্শন করে আসছিল।
আমেরিকার নিকৃষ্ট বিমান হামলাগুলো মূলত সাধারণ লোকদের মারাত্মকভাবে টার্গেট করছে, আর যুদ্ধক্ষেত্রে মুজাহিদদের খুব সামান্যই ক্ষয়ক্ষতি করতে পারছে। এর প্রমাণ হল আমেরিকানরা তাদের বিমান ও স্থল অভিযানের মাধ্যমে হাজার-হাজার বোমা ফেলে যুদ্ধাপরাধ করেও দীর্ঘ ১৮ বছরে কিছুই অর্জন করতে পারেনি। আমেরিকানদের জেনে রাখা উচিত যে, ইসলামী ইমারতের লক্ষ্য হলো আফগানিস্তানকে আগ্রাসী জালিমদের থেকে মুক্ত করার জন্য তার সমস্ত সামরিক শক্তি ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা।
আর, আফগানিস্তানে আমেরিকার চরম বিপর্যয় রোধের একমাত্র উপায় হলো আমাদের দেশ থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার করা। আমাদের বর্তমান সংগ্রাম হলো আফগানের স্বাধীনতা ও মালিকানার জন্য। আর, আফগানিস্তানের একমাত্র প্রকৃত মালিক হলেন আফগান মুসলিমরা, যারা পরাধীনতা ও নিপীড়ন থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হানাদারবাহিনী ও তাদের সহযোগী দালাল শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
আমেরিকার আফগানে আগ্রাসন একটি হাস্যকর ও দুঃখজনক বিষয় যা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে। আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধ মিথ্যা, অযৌক্তিক এবং বিকৃত উপস্থাপনার ভিত্তিতে আমেরিকা তার জোটকে যুদ্ধ করতে প্ররোচিত করেছে। আমেরিকার আফগানে আগ্রাসন ছিল একটি মারাত্মক ভুল। এ পর্যন্ত আমেরিকার হাজার হাজার সেনার মৃত্যু, আরো কয়েক হাজার সেনা মারাত্মক আহত এবং এক ট্রিলিয়ন ডলার নষ্ট হয়েছে। আমেরিকাকে ভুল থেকে শিখতে হবে এবং আফগানিস্তান থেকে ফিরে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের বিমানগুলো ভূপাতিত করা হবে, তাদের সৈন্যদের হত্যা করা হবে; এমনকি আফগানের আকাশ এবং জমিনও তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে না।
--------------------------------------------------------
আর্টিকেলটি ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের অফিসিয়াল ইংরেজী সাইটে গত ২৮শে জানুয়ারীতে প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে এটি অনুবাদ করেছেন ভাই ইউসুফ আল-হাসান।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33234/
Comment