Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৯ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ০৫ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৯ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ০৫ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    শাম | ইদলিবে কুফ্ফার বাহিনীর হামলা, নারী ও শিশুসহ হতাহত 36 জন!



    সিরিয়ার মজলুম মুসলিমরা দখলদার “রাশিয়া-ইরান” ও আসাদের শিয়া মুরতাদ জোট বাহিনীর হামলা হতে বাঁচতে নিরুপায় হয়ে পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলো পোল্ট্রি ফার্মে ।

    কিন্তু সেখানেও কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী তাদের উপর বোমা হামলা চালায়। ঘটনাটি ঘটে উত্তর ইদলিবের ম্যারারমেসরিন শহরে।

    ইবা নিউজের তথ্যমতে কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনীর উক্ত হামলায় কমপক্ষে ৫ নারী ও ২ শিশুসহ ১৬ জন নিহত হন, আহত হন আরো ২০ এরও অধিক নিরাপরাধ বস্তুচ্যুত মজলুম মুসলিম ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34055/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের হামলা-লুটপাট, ২১ ফিলিস্তিনি গ্রেফতার



    ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিমতীরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা। এসময় ২১ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে দখলদার বাহিনী।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় পত্রিকা আর-রিসালা জানিয়েছে, আকস্মিক চালানো এ অভিযানে ইসরাইলি বাহিনী মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় বাড়ি-ঘরে হানা দিয়ে প্রচুর অর্থও লুট করেছে তারা।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকালে দখলদার বাহিনী জালাজৌন শিবির, বাইতুনিয়া ও রামাল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

    পত্রিকাটির এক খবরে বলা হয়েছে, দখলদার বাহিনী আজকের অভিযানের মাধ্যমে ৫০ হাজার শেকেল (স্থানীয় মুদ্রা) হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া বাড়ি-ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রও নষ্ট করেছে।

    এর আগে গত শনিবার পশ্চিমতীরের বিভিন্ন এলাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত ২৬০ স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

    ইসরাইলি বসতি নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে ওই হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

    সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত কুদস শহরের পূর্বে নতুন করে সাড়ে তিন হাজার ইহুদি বসতি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

    ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ২৩৩৪ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী অধিকৃত ফিলিস্তিনে শহর-উপশহর নির্মাণের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের প্রতি জরুরি নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

    দখলদার ইসরাইল সেই নির্দেশ অমান্য করে ফিলিস্তিনিদের ভূমি জবর-দখল করে একর পর এক ইহুদি বসতি নির্মাণ করেই যাচ্ছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34027/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘ মালাউন পুলিশই পাথর জোগাড় করে বলেছিল, মারো’



      গেরুয়া সন্ত্রাসীদের উন্মত্ত ভিড়টাকে যেন পুলিশই নেতৃত্ব দিচ্ছিল। উর্দিধারী ইঙ্গিত দিতেই পড়িমরি ছুট লাগাল জনতা। তার পরেই শুরু দেদার পাথর ছোড়া। গত সপ্তাহে ভাইরাল হওয়া সেই ক্লিপে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল, সে দিন পাথর ছুড়েছিল দিল্লি পুলিশও। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পরে সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব দিল্লির খজুরী খাস এলাকার ওই মহল্লায় যান বিবিসি-র এক সাংবাদিক। তাঁকে হিমাংশু রাঠৌর নামে এক স্থানীয় যুবক জানান, সে দিন পুলিশই তাঁদের পাথর জোগাড় করে দিয়ে বলেছিল— ‘মারো’।

      ঘটনাচক্রে, সেই সময়ে আরও একটি ভুয়া ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যাতে আবার দেখা গিয়েছিল, পুলিশই নিশানায়। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে উন্মত্ত জনতা। হিংসাদীর্ণ উত্তর-পূর্ব দিল্লির ঘটনা বলে এই ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন বিজেপির সদস্য তথা এক প্রাক্তন সেনা অফিসার। কিন্তু ভিডিয়োটি যে দু’মাস আগেকার এবং গুজরাতের ঘটনা, তা প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পরেই ‘পাথর-ছোড়া পুলিশের’ ভিডিয়ো নিয়ে আরও বেশি হইচই শুরু হয়।

      গণহত্যা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের প্রশাসন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে আবার সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল দিল্লি পুলিশকে।

      খজুরী খাস থানা এলাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা, পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রের গা ঘেঁষে সে দিন পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। ঘটনার সপ্তাহখানেক পরে ঠিক সেই এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গেই কথা বলেন বিবিসি-র সাংবাদিক। কচুরির দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা গেরুয়া তিলক পরা হিমাংশুর মতো রাস্তার ও-পারে পোড়া বাড়ি আগলে পড়ে থাকা ভুরা খানের কথাতেও উঠে আসে ‘পুলিশি তৎপরতার’ কথা। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের সঙ্গেই সে দিন আমাদের বাড়ি-দোকান জ্বালাতে এসেছিল ওরা। সব শেষ হয়ে গেল, পুলিশ শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল!’’ সে দিন কোনও রকমে ছাদে পালিয়ে এসে প্রাণে বাঁচেন ভুরা খান।

      বিবিসির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহের আরও একটি ভিডিয়ো উঠে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ফয়জান নামের এক যুবক ও তাঁর জনা চারেক সঙ্গীকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে ‘জনগণমন’ গাইতে বাধ্য করেছিল দিল্লি পুলিশ। দিন চারেক আগে হাসপাতালে মারা যান ফয়জান। যে কর্দমপুরী এলাকায় তাঁর বাড়ি, সেখানেও যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।




      ভাইয়ের শেষকৃত্য সামলাতে সামলাতেই ফয়জানের দাদা বলেন, ‘‘পুলিশ ভাইটাকে এমন ভাবে মেরেছিল যে ও দাঁড়াতে-বসতেও পারছিল না। মারের চোটে গোটা শরীরটা নীল আর কালো হয়ে গিয়েছিল।’’ প্রাণভয়ে সে দিন ‘জনগণমন’ গাইতে হয়েছিল রফিককেও। ফয়জানের মতো তাঁর শরীর জুড়ে কালশিটে। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের ওই মার এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁকে। বললেন, ‘‘সে দিন থেকে বাড়িতেই পড়ে আছি। ভয়ে হাসপাতাল যেতেও পারিনি।’’ ভিডিয়ো ভাইরাল, মুখ খুলছেন স্থানীয়েরাও।

      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34043/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        “নাম কিয়া? — আশফাক ”…অতঃপর বুকে পাঁচটা গুলি



        গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মুসলিমদের উপর সন্ত্রাসী হিন্দুরা এক নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পত্রপত্রিকার ভাষ্যমতে নিহতের সংখ্যা ৫১জনে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই নালা-নর্দমা থেকে লাশ উদ্ধার হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও অন্যান্য সূত্রে এ সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি।
        মুশরিক হিন্দুদের চালানো এ নির্মম গণহত্যায় নিহতদের অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম, স্ত্রী হারিয়েছেন তার স্বামী, স্বামী হারিয়েছেন তার স্ত্রী এবং পিতা-মাতা হারিয়েছেন তাদের আদরের কলিজার টুকরা প্রিয় সন্তান। মায়েরা যখন তাদের ছোট ছেলেদের হারিয়েছেন, ছোট বাচ্চারা হারিয়েছে তাদের আশ্রয়স্থল পিতাকে। তারা আর কখনও তাদের পিতাদের দেখতে পাবে না। নববধূ হারিয়েছে তার নতুন স্বামীকে। এরকমই একটি গল্প আশফাক হুসেনের স্ত্রীর, মাত্র এগার দিন আগে আশফাকের সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।

        মোস্তফাবাদের ২২ বছর বয়সী যুবক আশফাক হুসেন। মালাউন মুশরিক হিন্দুরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আশফাক সেদিন কাজ করতে বেরিয়েছিলেন। হিন্দু সন্ত্রাসীরা সেদিন মুসলিমদেরকে যেখানেই পাচ্ছিল, সেখানেই হত্যা করছিল। এমনকি সাংবাদিকদের পরনের কাপড় “প্যান্ট” খুলে পর্যন্ত পরীক্ষা করছিল মুসলিম কি না।
        হিন্দু সন্ত্রাসীরা পথিমধ্যে এক যুবককে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করে “তেরা নাম কিয়া?” (তোর নাম কি?)। লোকটি উত্তর দেন—“আশফাক হোসেন।” ইসলামী নাম শুনেই মালাউন হিন্দুরা সাথে সাথে আশফাকের বুকে পাঁচটি গুলি নিক্ষেপ করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আশফাক।
        আশফাকের ঘটনায় তার পুরো পরিবার নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। মাত্র ১১দিন আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন৷ আশফাকের এক আত্মীয় বলেন, “উসকে হাতোঁ কী মেহেন্দি কা রঙ ছোঠা থা আভি,” (তাঁর হাতের মেহেদির রঙ এখনও শুকায়নি )। তাঁর স্বজনরা জানিয়েছিলেন যে, ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে আশফাক বিয়ে করেছেন। স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর নববিবাহিতা স্ত্রী একেবারেই ভেঙে পড়েছেন।

        আশফাকের পুরো পরিবার নিস্তব্ধ- নীরবতায় ডুবে আছে। কারণ তাদের পরিবারে আশফাক আর কোন দিনও ফিরে আসবেনা। আশফাকের খালা হাজরা বলছিলেন, “কিতনি তাকলিফ কা সামনা কারকে হাম আপনে বাচ্চোঁ কো পাল পোসকার বাঁড়া করতে হোঁ, আর এক হি ঝাঁটকে ম্যাঁ আ-কার, ও্যাঁসে ওঁ মার ডালতে হ্যাঁ” (অনেক কষ্ট করে আমরা আমাদের বাচ্চাকে লালন-পালন করেছি। আর তারা মাত্র এক মুহূর্তেই আমাদের থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে )।
        “আঁপ হি বাতায়ে উসকি ১১ দিন কি বিবি কিয়া কারেগি আব? কাঁহা জায়েগি ওঁ? কিয়াঁছি জিয়েগি ওঁ! ” (আপনারাই বলুন, আশফাকের ১১দিনের স্ত্রী এখন কী করবে? সে কোথায় যাবে? কীভাবে বাঁচবে?)— হাজরা বলছিলেন আর কাঁদছিলেন।

        মুদাসসির আশফাকের ভাই। তিনি ভাইয়ের লাশ আনতে হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি তাঁর ভাইকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।
        তিনি বলেন, আশফাক তাঁর বন্ধুদের সাথে ব্রিজপুরি পুলিয়াতে পৌঁছাতেই হিন্দু সন্ত্রাসীরা তাদের ঘিরে ফেলে। আশফাকের বন্ধুরা সশস্ত্র লোকদের দেখেই তাঁকে একা রেখে পালিয়ে যায়। মুখোশ পরে হিন্দু সন্ত্রাসীরা আশফাককে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করে। আশফাক তাত্ক্ষণিক জবাব দেয়। নাম বলতেই তাকে গুলি করে হিন্দুরা।
        মুদাসসির বলেন, তাকে কেবল গুলিবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। সে অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত হিন্দুরা তাকে বেশ কয়েকবার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে।

        মুদাসাসিরের মতে আশফাকের বন্ধুরা দূর থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিল। কিন্তু তারা নিজেরাই অসহায় ছিল এবং তাকে বাঁচাতে কিছুই করতে পারেনি। হিন্দু সন্ত্রাসীরা গুলি করে যাওয়ার পর বন্ধুরা তাকে জিটিবি হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষে হাসপাতালে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরে, কাছের অন্য একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘন্টা হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আশফাক, শামিল হন লাশের মিছিলে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34047/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দিল্লিতে স্বজন খোঁজা মানুষের কান্না”-ড্রেনে ড্রেনে মিলছে লাশ!



          ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কেন্দ্র করে দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের গণহত্যার পর থেকে রাজধানীর নর্দমায় মিলছে লাশ। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত গত পাঁচ দিনে ১১টি পচা গলা লাশ ভেসে উঠেছে।

          সব মিলিয়ে কয়েক দিনের হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩০০ জন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, প্রতিদিনই হাসপাতালে স্বজনদের খোঁজে মানুষের ভিড় বাড়ছে। অনেকেই সারা দিন বসে থেকে দিন শেষে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে।

          বিতর্কিত সিএএকে কেন্দ্র করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লির উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন শহরে মুসলমানদের উপর মালাউন সন্ত্রাসীদের-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সামনেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ মুসলিমদের অসংখ্য বাড়িঘর ও দোকানপাট বেছে বেছে আগুন ধরিয়ে দেয় গেরুয়া সন্ত্রাসীরা।

          টানা তিন দিন ধরে চলে এ হামলা, অগ্নিকাণ্ড। সর্বশেষ রোববার ও সোমবার নর্দমাতে পাওয়া গেছে পাঁচটি অজ্ঞাত মৃতদেহ। মরদেহগুলোর বেশির ভাগই পচে গেছে। ফলে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

          নর্দমাগুলো সবই ভাসমান বর্জ্য, জলজ উদ্ভিদ ও পলির পুরু স্তরে ভর্তি, জানিয়েছেন যমুনা বিহারের বাসিন্দা কনিষ্ক কুমার। নর্দমাগুলোর কয়েকটি দিল্লি সরকারের সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধীন; কয়েকটি আবার পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের আওতায়।

          এগুলোর নেটওয়ার্ক মূলত একটি মূল নর্দমা- ‘নর্দমা নং ১’কে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে বলে দিল্লির সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

          এটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের পূর্ব যমুনা খাল থেকে শুরু হয়ে লোনি দিয়ে দিল্লিতে ঢুকেছে। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নর্দমাটি উত্তর-পূর্ব দিল্লি ও উত্তর দিল্লির বিশাল অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওখলা বাঁধ হয়ে নয়ডা দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

          চারটি বড় বড় নর্দমা বিভিন্ন এলাকা দিয়ে এই ‘নর্দমা নং ১’কে ছেদ করেছে। এর বাইরে আরও ২৪টি সরু নর্দমাও আছে।

          দিল্লিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র প্রশাসনের তৈরি করা একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টে উঠে এসেছে। উত্তর-পূর্ব জেলার তৈরি ওই রিপোর্টে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সহিংসতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২২টি বাড়ি, ৩২২টি দোকান এবং ৩০১টি গাড়ি।

          সোমবার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, চূড়ান্ত রিপোর্টে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জানা যায়, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে তৈরি ১৮টি দলের পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতেই ওই অন্তর্বর্তী রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

          গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হামলার পর থেকে এখনও প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের খোঁজে হাসপাতালে ছুটছেন স্বজনেরা। মর্গে নতুন কোনো লাশ এলে সেখানে দৌড়াচ্ছেন।

          জিটিবি হাসপাতালে অন্তত ৪০টি লাশ এসেছে। এর মধ্যে এখনও ১৫টি লাশ শনাক্ত করা যায়নি।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34020/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতের কর্মকাণ্ডে মারাত্মক সঙ্কটে পড়বে বাংলাদেশ


            The Prime Minister, Shri Narendra Modi at the event marking commencement of Work on Zojila Tunnel, in Leh on May 19, 2018

            বিশ্বজুড়ে বিশুদ্ধ পানির চাহিদা বিগত কয়েক বছরে নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সবখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নগরায়নের কারণে এই চাহিদা বেড়েছে।

            পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় এবং সীমিত সম্পদের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে পানি সমস্যার কার্যকর ও টেকসই সমাধান বের করার জন্য সমাজের উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।

            দক্ষিণ এশিয়ায় পানি সঙ্কটের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসছে। বিশ্বের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ মানুষ এই অঞ্চলে বাস করছে। উপমহাদেশে বড় বড় বেশ কিছু নদী ও তাদের শাখা-প্রশাখা রয়েছে। পাকিস্তানের কিছু নদীর উৎপত্তি হয়েছে পশ্চিমা পার্বত্য অঞ্চলে। এর বাইরে অধিকাংশ নদীগুলোর উৎপত্তি তিব্বত অঞ্চলে।

            সিন্ধু, গঙ্গা ও তার শাখা-প্রশাখা এবং ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি তিব্বত থেকে। তিব্বত শুধু দক্ষিণ এশিয়ার নয়, বরং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ারও পানি নিরাপত্তার মূল কেন্দ্র। মেকং আর ইয়াংজি নদীর উৎপত্তিও তিব্বতে।

            তিব্বত মালভূমিতে হিমবাহ গলার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে যাওয়ার কারণে বহু মিলিয়ন মানুষের পানি নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, যারা পানির জন্য তিব্বত থেকে জন্ম নেয়া নদীগুলোর উপর নির্ভরশীল।

            তিব্বতে বর্তমানে বার্ষিক হিমবাহ গলে যাওয়ার হার হলো সাত শতাংশ। এই মাত্রায় গলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ হিমবাহ নিঃশেষ হয়ে যাবে। হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে ব্রহ্মপুত্রের মতো কিছু নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদে পানির প্রবাহ বাড়বে কিন্তু যতদিন হিমবাহ থাকবে, ততদিনই শুধু এই প্রবাহ থাকবে। এভাবে পানি অপচয় এশিয়ার জন্য শুভ নয়।

            বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধপানির উৎসগুলো আরও কমে আসবে। পরিবেশ বিপর্যয়, এশিয়ায় দ্রুত নগরায়ন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যাগুলো সীমিত পানি সম্পদের উপর চাপ ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।

            উপমহাদেশসহ এশিয়ার প্রধান পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাই চীনের ভূমিকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্বিকভাবে চীন মূলত একটি শুষ্ক দেশ এবং বহু বছর ধরেই পানি নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু। বাঁধ নির্মাণ, সেচ ব্যবস্থা এবং পানি বন্টন সিস্টেমটা তাই শুধু ১.৩ বিলিয়ন মানুষকে পানি সুবিধা দেয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।

            চীনের শুষ্ক জলবায়ুর কারণে তিব্বত মালভূমি থেকে তাদেরকে উত্তরাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় পানি নিয়ে যেতে হয়েছে। চীন তিব্বতের মেকং নদীপথে সাতটি বাঁধ নির্মাণ করেছে এবং আরও ২১টি নির্মাণের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যাণ্ড ও ভিয়েতনামের প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য ও পানির জন্য নদীর উপর নির্ভরশীল। এই পানির প্রবাহে কোন বাধা সৃষ্টি হলে এই দেশগুলোর জন্য সেটা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত শরণার্থী সৃষ্টি হবে এবং পানি নিয়ে যুদ্ধ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

            ব্রহ্মপুত্র নিয়েও একই ঘটনা ঘটছে। এই নদীতেও আরও দুটো বাধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের। ভারত এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে, কারণ এগুলো তাদের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর প্রভাব ফেলবে। পানির গতিপথ পরিবর্তনে চীনের পরিকল্পনা পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করবে এবং এটা ভারত ও বাংলাদেশের ১.৩ বিলিয়ন মানুষের কৃষি, জীবন ও জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।




            গঙ্গার উজানে ভারতের কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ পানি সরবরাহ নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়বে। ব্রহ্মপুত্র আর গঙ্গা বাংলাদেশে মিলে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। গঙ্গায় ভারতের বাধ দেয়ার কারণে ভাটিতে এরই মধ্যে প্রবাহ কমে গেছে। বাংলাদেশে পানির লবণাক্ততা বেড়ে গেছে এবং কৃষি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

            এ অঞ্চলের জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যের কারণে হাজার হাজার বাংলাদেশীকে উত্তরপূর্ব ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছে, যেটা মারাত্মক জাতিগত সঙ্ঘাত তৈরি করেছে। ভারতের বিতর্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইন এই সমস্যার একটা লক্ষণ মাত্র।

            বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতাও তাদের সীমিত। পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়লে এটা দেশে অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করবে।

            পাকিস্তানের জন্য প্রধান সমস্যা হলো ১৯৬০ সালের ইন্দুস ওয়াটার্স ট্রিটি (আইডাব্লিউটি), যেটা বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। উপমহাদেশের উত্তরে যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থা, সেটার পানি বন্টনের বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের তিনটি পূর্বাঞ্চলীয় নদী – বিয়াস, রাভি এবং সুটলেজের প্রবাহের নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে দেয়া হয়েছে। আর তিনটি ‘পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী’ – ইন্দুস, চেনাব ও ঝিলামের নিয়ন্ত্রণ দেয়া হয়েছে পাকিস্তানের কাছে।

            আইডাব্লিউটি চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে বহু বছর ধরেই সমালোচনা চলে আসছে কিন্তু উপমহাদেশে পানি সঙ্কট বাড়তে থাকায় ভারত কিষাণগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো নতুন বাধ নির্মাণ করে পানি সম্পদ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রকল্পটি নিলাম নদীর পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে এবং এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে পানি থেকে বঞ্চিত করছে ভারত।

            বন্যার সময়, পাকিস্তানকে আগাম সতর্কতা না জানিয়েই বন্যার পানি ছেড়ে দিতে পারে ভারত এবং সেটা তারা করেছে। ফলে পাকিস্তানে বন্যা দেখা দিয়েছে। নিলাম নদীর উপর কিষাণগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং চেনাবের উপর রাটলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মারাত্মক আপত্তি জানানোর পরও ভারত এই প্রকল্পগুলো শেষ করেছে।

            ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের জুনে ৩৩০ মেগাওয়াটের কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে পাকিস্তানের অনুরোধে বিশ্ব ব্যাংক যখন কোর্ট অব আরবিট্রেশান গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত করে, তখন এই বাধ নির্মাণ সম্পন্ন করে ভারত।

            ভারত পাকিস্তানের অনুরোধের বিরোধিতা করে এবং নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের আহ্বান জানায়। ভারত যে আচরণ দেখিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি যেভাবে লঙ্ঘন করেছে, সেটা চরম দুঃখজনক এবং এর মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রতি ভারতের শত্রুতা ফুটে উঠেছে। ইন্দুস ওয়াটার ট্রিটির অধীনে পাকিস্তানের যে সব নদীর পানি প্রাপ্য, সেগুলোর প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন মোদি।

            পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গিয়েছে, তাতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পানি নিয়ে এমনকি যুদ্ধ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে, কারণ এটা এখন জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু।

            তিব্বতী নদীগুলোর পানি ভাগাভাগি করে যে দেশগুলো, তাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাও রয়েছে। পারস্পরিক শত্রুতা, সন্দেহ এবং আইনগত কোন আন্তর্জাতিক চুক্তি না থাকার কারণে বহুপাক্ষিক সাফল্যটা বাধাগ্রস্ত হবে।

            ১৯৯৫ সালে এগ্রিমেন্ট অন কোঅপারেশান ফর দ্য সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট অব দ্য মেকং রিভার বেসিন স্বাক্ষরিত হয়। এতে বলা হয় যে, মেকং কোন একক রাষ্ট্রের সম্পদ নয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল নদী অববাহিকার দেশগুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন এবং সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা। কিন্তু মেকংয়ের উৎপত্তি যেহেতু তিব্বতে, এবং উজানের নিয়ন্ত্রণ চীনের কাছে রয়েছে, সে কারণে চীন এই চুক্তিতে যোগ দিতে অস্বীকার করে।

            ১৯৯৫ সাল থেকে, বিশ্বায়নের মাত্রা বেড়ে গেছে এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব বহুগুণে বেড়েছে। এখনই সময় যাতে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বিনিময়ের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ যাতে এগিয়ে আসে।

            যে পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন জাতি রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে চেপে যাওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিটার স্বীকৃতি দিতে হবে এবং বহুদেশীয় ও বহু আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করতে হবে কারণ এর কারণে বহু মিলিয়ন মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।

            পানি বিনিময় সঙ্কটকে বিরাজনীতিকীকরণ করতে হবে। এটা বলা সহজ হলেও বাস্তবায়ন করা কঠিন। যে অঞ্চলে আঞ্চলিক সমস্যাগুলো সমাধান হচ্ছে না এবং অতীতে যেখানে যুদ্ধ হয়েছে, এবং নতুন একটা বৈশ্বিক পরিবেশ যেখানে চীনকে নতুন সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে, সেখানে যে কোন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে।

            সেই সাথে বিভিন্ন দেশ ও সরকারকে টেকসই জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং সেটা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।

            সে কারণে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তাদের নিজেদের প্রচেষ্টাটা চালাতে হবে। এটা উপলব্ধি করতে হবে যে, এটা একক বিশ্ব এবং মানবতাও এখানে একক। অন্যকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে নিজের মনুষ্যত্বই চলে যাবে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/33990/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              স্টেপ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতিঃ নেই প্রতিরোধের উপায়



              শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে কারিগরি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গত বছর ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ (স্টেপ)। তবে এ প্রকল্পের কাজ যেভাবে সম্পন্ন হয়েছে, তাতে কারিগরি শিক্ষার কতটা উন্নয়ন হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

              কারণ প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজে ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, প্রকল্পের কয়েকজন কর্মকর্তার একটি চক্র নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেনাকাটার নামে অর্থ লোপাট করেছে। এ লক্ষ্যে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় নামসর্বস্ব কোম্পানি।

              সেই সঙ্গে প্রকল্পভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কারিগরি শিক্ষা খাতের প্রভাবশালী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে ওই কোম্পানির পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের চক্রভুক্ত কর্মকর্তারা অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট সরবরাহকারীর কাছ থেকে ল্যাবরেটরির মালামাল কিনতে বলে দিতেন। রিপোর্টঃ যুগান্তরের

              কথামতো কাজ না করলে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সব নিয়মকানুন মেনে মালামাল কিনলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিল আটকে দেয়া হতো। কোনো প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটভুক্ত সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য নিতে রাজি হলে সেই প্রতিষ্ঠানের দরপত্রের ডকুমেন্টস তৈরি করে দিত সম্ভাব্য দরদাতা প্রতিষ্ঠান। ফলে এ ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্রেও কাজ পেত না সাধারণ দরদাতা। অভিযোগটি গুরুতর।

              বস্তুত প্রকল্পের ক্রয়ে দুর্নীতি ও অপচয় একটি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে তা শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের কয়েকটি ক্রয়ের ঘটনা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

              আমরা মনে করি, যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের কেনাকাটায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

              কিন্তু দুঃখের বিষয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পগুলোয় দুর্নীতি কমেনি। দুর্নীতি ঘটে চলেছে নানাভাবে। কেনাকাটায় দুর্নীতি এর একটি দিক মাত্র।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34030/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বিপুল পরিমাণ কয়লা লুট



                বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বড় ধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও খনিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামান্য কয়লা নষ্ট হয়েছে এবং সেটি হয়েছে সিস্টেম লসের কারণে। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের এক তদন্তে দেখা গেছে, সাড়ে পাঁচ লাখ টন কয়লা চুরি তথা লুটপাট হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর- যুগান্তর

                এর বাইরে খনির কাজ পাওয়া চীনা ঠিকাদারের কাছ থেকে কয়লা কেনার কথা ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ পানিসহ; কিন্তু সেখানে কয়লা নেয়া হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ পানিসহ, যা চুক্তির দ্বিগুণেরও বেশি। এতে করে কয়লা কেনার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রকে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। আমরা মনে করি, নানাভাবে রাষ্ট্রকে ক্ষতির মুখে ফেলা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই।

                সরকারের দায়িত্বশীলদের উচিত ক্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্যোগ নেয়া। অন্যথায় প্রাকৃতিক সম্পদের অনিয়ম কমিয়ে আনা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। এটি নিশ্চিত করার জন্য দুদকের অভিযোগপত্রে বড়পুকুরিয়া কোল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাত এমডিসহ ২৩ জনের অতিরিক্ত হিসেবে বিসিএমসিএলের শেয়ারহোল্ডার, পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদেরও এ মামলায় অভিযুক্ত করা দরকার। ক্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে।

                সরকারি ক্রয় ও যে কোনো প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি আমাদের অগ্রগতিকে চেপে ধরে রাখছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে অন্যান্য দুর্নীতির পাশাপাশি সরকারি ক্রয়ে অনিয়মেরও ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের দায়িত্ব ছিল অধীনস্থ বিসিএমসিএলের অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া; কিন্তু সেটা তারা না করে অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের নজির তৈরি করেছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34033/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বিদ্যুৎ-পানির মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যই জনজীবনে প্রভাব ফেলবে



                  ১০ বছরে ৮ বার বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ল। এতে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের কষ্ট বেড়েছে। হতদরিদ্রদের কথা বাদ দিলাম, তারা গণনার মধ্যে থাকে না। বিদ্যুৎ আর পানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন চারপাশে অসন্তোষ তখন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে প্রভাব ফেলবে না। জনজীবন যদি হয় শুধু সরকারি কর্মকতা-কর্মচারী, উচ্চবিত্ত, ঋণখেলাপি, কালো টাকার মালিক, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিংবা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় কোটিপাতি, টাকার গুদামের মালিক, তাহলে তো প্রভাব ফেলতে পারবে না।

                  কিন্তু জনজীবন যদি হয় উল্লিখিত শ্রেণিগোষ্ঠীর বাইরে বাকি জনগণ, তাহলে প্রভাব ফেলার অনেক কিছুই আছে।

                  বেশ কয়েক মাস ধরে নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। চালের দাম বেড়েছে কয়েক দফায়। অথচ কৃষক তার ন্যায্য দাম পাননি। কৃষকের ঘরে দেখা গেছে হতাশা। ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুনের দাম বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। জীবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এমন এক ভারসাম্যহীন ও হিমশিম খাওয়া অবস্থায় বাড়ানো হল বিদ্যুৎ ও ঢাকা ওয়াসার পানির দাম। সরকার বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত না হয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সংসার খরচ বাড়িয়ে দিল।

                  শহর এলাকায় বসবাসরত মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের খবর কতটুকু রাখেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, জানা নেই। শহরে ঘর ভাড়া, খাওয়া-পরা, সন্তানদের লেখাপড়া, যাতায়াত, চিকিৎসা ও সামাজিকতার রয়েছে অনেক খরচ। কারও কারও ক্ষেত্রে আয়ের চেয়ে দ্বিগুণ বা বহুগুণ খরচ। যদিও নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীর দাম বাড়ার পরও জনগণ সেসব পণ্য কেনেন। পরিমাণের মাত্রাটা চাহিদার থেকে ছোট করে তাকে কিনতে হয়। শর্তটা হল বেঁচে থাকা। এমন অবস্থায় কেউ যদি ভেবে আশ্বস্ত হন যে, দাম বাড়লেও তো মানুষ কিনছে।

                  বেড়ে যাওয়া দাম মানুষকে কেনা থেকে তো বিরত রাখছে না, সুতরাং দাম বাড়ানোটা কোনো সমস্যাই নয়, তাহলে তাদের উদ্দেশে দুটি কথা বলার প্রয়োজনবোধ করছি। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন খেয়ে এবং বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করে যেহেতু মানুষকে বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই হবে, সেহেতু তারা তা নিশ্চিত করেন।

                  কীভাবে, প্রশ্নটা সেখানেই। ব্যক্তির আয় যদি ক্রয়ক্ষমতার নিচে থাকে তাহলে ব্যক্তিকে আরও অধিক পরিশ্রম করতে হয়। যদি কেউ তা না করেন তাহলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তার ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে তিনি বাড়তি আয়ের জন্য অসৎ পথ খোঁজেন, দুর্নীতির আশ্রয় নেন। সোজা কথায়, দুর্নীতিবাজ হন। ফলে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একদিকে কারও কারও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ, অন্যদিকে কারও কারও জন্য দুর্নীতির মতো পথ খোঁজার সুযোগ সৃষ্টি করছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34034/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ সাগর-রুনি হত্যা মামলা



                    আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলা। মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন শুনানি করেনি কুফরি হাইকোর্ট।

                    এর আগে বুধবার সকালে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

                    ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

                    সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আদালতে হলফনামা আকারে দাখিলের জন্য র*্যাবের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

                    উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34039/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      বাংলাদেশ | মালাউন মোদীর আমন্ত্রণ বাতিলের দাবিতে ফেসবুকে পোস্ট, ত্বাগুত বাহিনীর হাতে এক যুবক গ্রেফতার



                      উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের কসাই মালাউন “নরেন্দ্র মোদি”কে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার দায়ে ত্বাগুত হাসিনার কারাগারে গেলেন ময়মনসিংহের এক যুবক।

                      গত বুধবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের আটানিবাজার এলাকা থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মালাউন হিন্দু ওসি “বিপ্লব কুমার”এর নেতৃত্বে ত্বাগুত পুলিশ বাহিনী “এমদাদুল হক মিলন” নামের এক মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করে।

                      ভারতের দিল্লিতে দেশটির মুশরিক শাসকদের ইশারায় মালাউন হিন্দুদের হাতে পরিকল্পিতভাবে মুসলিত হত্যার পর মুজিববর্ষে (মুজিবীয় পুঁজাতে) বাংলাদেশে মোদীর আমন্ত্রণ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন সংগঠন, দল ও নাগরিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা চলছে। এরি ধারাবাহিকতায় গত ৪ মার্চ ময়মনসিংহের এক মুসলিম যুবক কসাই মোদীর আমন্ত্রণের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের মতামত জানালে ভারতীয় প্রডাক্ট এদেশীয় মালাউন “বিপ্লব কুমার বিশ্বাস” নামের হিন্দু ওসি ঐ মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করে। মালাউন বিপ্লব কুমার ত্বাগুত হাসিনার নিয়োগকৃত মুক্তাগাছা থানার কর্তব্যরত ওসি।

                      আটক যুবক এমদাদুল হক আটানিবাজার মোড়ের মাঈশা মেডিসিন কর্নারের মালিক। তার বাড়ি উপজেলার কাশিমপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মুজিব বর্ষের (মুজিবিয় পুঁজার) অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনায় এমদাদুল হক মিলন দেশ প্রেমিক একজন নাগরিক হিসাবে কয়েকদিন ধরেই তার ফেসবুকে এবিষয়ে পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া আওয়ামী সন্ত্রাসিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাড়ামী নিয়েও ঐ যুবক মন্তব্য করেছিলেন।

                      মুক্তাগাছা থানার ওসি ভারতীয় প্রডাক্ট মালাউন “বিপ্লব কুমার বিশ্বাস” বলে, এমদাদুল হক মিলনের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

                      এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে আজ মুসলিমরা হয়ে পড়ছেন সংখ্যালঘু, দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঝেঁকে বসেছে ভারতী প্রডাক্ট মালাউন হিন্দুরা। যারা এদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর।

                      তাই হে এদেশের তাওহীদবাদী মুসলিমরা! আপনারা সজাগ হোন, নিজেদের অস্তিত্ব ও ধর্ম রক্ষার লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34051/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        খালের পরিবর্তে ধানের জমিতে কোটি টাকা বাজেটের ব্রিজ বানাচ্ছে রাজউক



                        মাদানী এভিনিউখ্যাত ১০০ ফুট রোডের পাঁচখোলা খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের নামে বারবারই ভুল করছে রাজউক। সেখানে স্রোতোবাহী খালটির পানিপ্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করে সড়ক নির্মিত হয়েছে, আবার অদূরেই ফসলি জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বেরাইদের তিন নম্বর ব্রিজটি।

                        রাজউক সূত্র জানায়, ২০১০ সালে প্রগতি সরণি থেকে বালুনদী পর্যন্ত ৬.৭১ কিলোমিটার ইন্টারসেকশন সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৩১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৩ সাল নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সম্প্রসারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদানী এভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত সড়ক ও ব্রিজগুলো প্রশস্তকরণ এবং বালু নদী থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (প্রথম পর্ব) প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় নির্ধারণ হয় এক হাজার ২৫৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

                        সম্প্রসারিত এ প্রকল্পের আওতায় ১০০ ফুটের মাদানী এভিনিউয়ে তিন নম্বর ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রেই বাধে জটিলতা। সেখানে পাঁচখোলা খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে খালটি ভরাট করে ১০০ ফুট প্রশস্ত রোড নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে খাল পেরিয়ে অন্তত দেড়শ গজ পূর্ব দিকের ফসলি জমিতে খাদ খনন করা হয় এবং এ খাদের ওপরেই চলে ব্রিজ নির্মাণের কাজ।

                        সম্প্রতি পাঁচখোলা খালের সঙ্গে ঘুরপথে খননকরা খাদের সংযুক্তি ঘটানো হয়েছে- এক্ষেত্রেও ব্যক্তি মালিকানার ফসলি জমি অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী একরাম আলী, আবদুর রহমান, মাজম আলীসহ কয়েকজন জানান, সর্বশেষ সিটি জরিপ অনুযায়ী ৯০৮, ৯০৯ ও ৯২৪ নম্বর দাগেই তাদের পূর্বপুরুষের জায়গা-জমি। যুগ যুগ ধরেই এসব জমি চাষাবাদের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। পাঁচখোলা খালসংলগ্ন থাকায় এসব জমিতে প্রতি বছর দুই দফা ধান আবাদ এবং প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপন্ন হতো। কিন্তু রাজউকের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় হঠাৎ করেই সেসব ফসলি জমিতে খাদ বানিয়ে তার ওপর ব্রিজ নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলতে থাকে। এ ব্যাপারে রাজউকের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মিলছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যৌথ উদ্যোগে সরেজমিন সার্ভে সম্পন্ন হলেও সে বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং ব্যক্তিমালিকানার জমিতেই ব্রিজ নির্মাণ কর্ম পরিচালনা করতে দেখা গেছে।

                        প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর ন্যায্য দাবি-দাওয়া ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের তাগিদপূর্ণ নির্দেশনা মোটেও আমলে নেওয়া হয়নি। বরং তিন নম্বর ব্রিজটির সম্প্রসারিত নির্মাণ কাজও ফসলি জমিতে শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34072/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          বায়ুদূষণে এবারও শীর্ষে বাংলাদেশ



                          বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় গতবারের মতো এবারও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকাও দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে গতবারের মতোই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। খবরঃ যুগান্তরের

                          গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন-২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

                          ২০১৯ সালে বিশ্বের ৯৮টি দেশের সার্বক্ষণিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউ এয়ার’ থেকে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি দেশের বায়ুতে ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণার পরিমাণ বিবেচনায় তৈরি করা হয়। এমন মারাত্মক বায়ুদূষণের চিত্র কোনো দেশের জন্য সুখকর হতে পারে না।

                          বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ বিবেচনায় ওই তালিকার মান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বায়ুর মানমাত্রা অনুসরণ করে বৈশ্বিক ওই সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।

                          এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে বায়ুদূষণের এমন চিত্র বেশ হতাশাজনক। বিশ্বের অনেক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ যেখানে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, সেখানে আমরা ২০১৮ সালের মতো এবারও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছি।

                          পরিবেশগত দিক বিবেচনায় আমরা আজও অনুন্নত পর্যায়েই রয়ে গেছি। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগত অবস্থা এমন হওয়ায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে। এমন বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারের ফলে নানা ভাইরাস সংক্রমণের তীব্র ঝুঁকি থেকেই যায়।

                          এভাবে চলতে থাকলে গাছের সংখ্যা কমে যাবে; সেইসঙ্গে বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হতে পারে। এর ফলে বায়ুতে অতি ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ বেড়ে যাবে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনবে।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/05/34024/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ আপনি মুসলামনদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment


                            • #15
                              আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহ জালিমদের হিংস্র থাবা থেকে রক্ষা করুন। আমিন

                              Comment

                              Working...
                              X