Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১০ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১০ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    সিরিয়া, ইদলিব আপডেট : বোমা হামলায় একই পরিবারের সকল সদস্য সহ নিহত১৬ ।



    প্রায় দুই বছর ধরে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে কসাই বাশার আল-আসাদ এবং সন্ত্রাসী ভ্লাদিমির পুতিনের হানাদার বাহিনী সাধারণ মানুষের উপর পৈচাশিক হামলা চালাচ্ছে । সিরিয়ার শিয়া সরকার ও রাশিয়া-ইরান মিত্রশক্তি মিলে হায়েনার মতো বার বার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সব ধ্বংসাত্মক বোমা সাধারণ মুসলিম নিধনে ব্যবহার করছে । বিমান ও রকেট হামলা চালাচ্ছে বাসস্থান ও জনসমাগমের উপর । যার ফলে নিহত হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ মুসলমান । তদুপরি কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছে, তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল তুরস্ক সীমান্তের গাছ অথবা খোলা আকাশের নিচে,এমনকি প্রচন্ড শীতে তুষার থেকে আশ্রয় নেওয়ার জন্য তাঁবু পর্যন্ত নেই। ইদলিবে তাঁবু থাকা মানে রীতিমতো বিলাসিতা। প্রতিনিয়ত নির্বিচারে এসকল অসহায় গৃহহীন সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় ও কাপুরুষোচিত বিমান হামলা চালাচ্ছে ক্রুসেডার জোট।

    হোয়াইট হেলমেট সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছেন, গতকাল ৫ মার্চ ইদলিব প্রদেশের মারাত মাসরিনে মর্মান্তিক বিমান হামলায় ১৬জন গৃহহীন মুসলিম শহীদ হয়েছেন ।যাদের মধ্যে ৫জন মহিলা ও ২জন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ২০জন।

    এদিকে গত ৪মার্চ টার্গেট করে সিরিয়ার ইদলিব ও আলেপ্পোসহ ২১টি এলাকায় ৫৯টি বিমান হামলা,১১০টি আর্টিলারি শেল ও ২৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৭জন শিশসহ ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে , মারাত্মক আহত হয়েছে আরও ২১জন *।

    উল্লেখ্য যে, সন্ত্রাসী রাশিয়া জোটের বিমান হামলায় চলতি বছর ২০২০ সালে এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন মুসলিম শহীদ হয় এবং কয়েক লক্ষ মুসলিম গৃহহীন হয়ে ইউরোপ ও তুরস্কে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
    ইতোমধ্যে প্রচন্ড শীত ও তুষারপাতে শতাধিক অসহায় গৃহহীন মুসলিম মারা গিয়েছেন এবং প্রায় দশ মিলিয়ন মুসলিম ইদলিব থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

    ইদলিবে ক্রুসেডার রাশিয়া-ইরান জোটের নির্বিচার বিমান হামলায় সংগঠিত গণহত্যাগুলো নিশ্চিত যুদ্ধাপরাধ, যা হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানায়।আর এ গণহত্যায় ব্যাপারে গোটাবিশ্ব নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে । এমনকি কেউ চোখের পলক পর্যন্ত নাড়ছে না। প্রকৃতপক্ষে, গোটা বিশ্ব যেন একচোখা দাজ্জালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ এমন এক বিশ্ব যেখানে একচোখের মানুষ রাজা, ভণ্ডামিই নিয়ম আর বিবেকের মৃত্যু ঘটেছে ।

    বর্তমানে ইদলিব হলো এক নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডির নির্মম উপাখ্যান । যখন পৃথিবীর কোন একটি ইতর প্রাণীও যদি আক্রান্ত হয় তাহলে সকল কুফরি রাষ্ট্র দূর-দূরান্ত থেকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে।অথচ ইদলিবে নির্মম গণহত্যার ব্যাপারে সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছে । তারা আজ কোথায় ? যারা কথায় কথায় মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলে । তথাকথিত মানবতাবাদীরা আজ “সিরিয়ার” নিপীড়িত জনগণকে পরিত্যাগ করেছে ।

    ইদলিব প্রদেশটি মুসলমানদের শেষ দুর্গ । যেখানে কুখ্যাত নুসাইরি শিয়া বাশার আল আসাদ সরকার বিরোধী বিদ্রোহী ও মুজাহিদরা নিয়ন্ত্রণ করছে। সন্ত্রাসী মিলিশিয়ারা রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় মুসলিমদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34136/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দিল্লি পেয়েছিস! বলেই দুই মুসলিমকে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের মারধর!



    দিল্লির মুসলিম বিদ্বেষের আঁচ বুলন্দশহরেও। গত সোমবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে প্রকাশ্য রাস্তায় দু’জন মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেছে হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীরা দিল্লির প্রসঙ্গ টেনে ধর্ম তুলে কটূক্তি করে ওই দু’জনকে। গোহত্যাকারী বলে গালিগালাজ করে অ্যাসিড হামলার হুমকি দেয়।

    গত বুধবার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে এই ঘটনার ভিডিয়াটি। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই দু’জনকে ঘিরে ধরে লাঠি-ঘুসি মারছে ছয়-সাত জনের একটি দল। যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে প্রাণভিক্ষা করতে দেখা যায় আক্রান্তদের। এক সময়ে দেখা যায়, হলুদ প্যান্ট ও কমলা জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি গাড়ির পিছনে লুকিয়ে থাকা এক জনকে টেনে বার করে লাঠিপেটা করছে। হামলাকারীদের ‘ভাই’ বলে ডেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করতে থাকেন তাঁরা। ভিডিয়োটি কে তুলেছে তা জানা যায়নি। সেখানে দেখা গিয়েছে, মোটরসাইকেলে বসে কয়েক জন নির্লিপ্ত মুখে ঘটনাটি দেখছে।

    আক্রান্তদের এক জন পুলিশকে বলেছেন, ‘‘আমরা গাজর কেনার জন্য বাজারে যাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের সামনে এসে বাইক থেকে নেমে আমাদের টেনেহিঁচড়ে রাস্তার এক দিকে নিয়ে যায়। জনা ছয়-সাত লোক ছিল। ‘এটা দিল্লি পেয়েছিস না কি!’, এই প্রশ্ন করে মারতে শুরু করে। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁদের টানতে টানতে আর একটি জায়গায় নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সেখানে চেন ও অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল কয়েক জন। এক আক্রান্ত বলেছেন, ‘‘দিল্লির ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34092/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দিল্লিতে মিলছে আরও দেহ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩!



      দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের গণহত্যায় নিহতের সংখ্যা বেসরকারি সূত্রের মতে ৫৩ ছুঁয়ে ফেলল। বৃহস্পতিবার ৩২ বছর বয়সী সাইনির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে গুলি বিঁধেছিল। পরিবারের দাবি, ব্রহ্মপুরী এলাকায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। সে সময়ে সন্ত্রাসীদের করা গুলি তাঁর গায়ে গুলি এসে লাগে। খবর-আনন্দ বাজার

      সরকারি হিসেবে অবশ্য এখনও মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪। কিন্তু শুধুমাত্র গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালেই ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে অথবা চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার পরেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ৫ জন, লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ৩ জন ও জগপ্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির জেলাশাসক শশী কৌশল জানিয়েছেন, তাঁদের হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও ৪৪।

      সন্ত্রাসীদের হামলায় বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। গাড়ি, দামি জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ। কারণ মানুষ বাড়ি ফিরতেই ভয় পাচ্ছেন।’’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34103/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নাম মুসলমান,তাই বিজেপি নেতারাও হামলা থেকে ছাড় পায়নি !



        সংখ্যালঘু সেল-এর প্রধান মোহাম্মদ আতিক –
        “এখনো বিজেপি ছাড়ি নি, কিন্তু আর কিছুদিনের মধ্যে যদি পার্টি আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে…ম্যায় সড়ক পর আ গয়া হুঁ, ফির ক্যায়সে অপনে প্যায়রোঁ পে খাড়া হুঁ (আমি রাস্তায় এসে গেছি, নিজের পায়ে ফের দাঁড়াব কী করে)?” বলছেন মোহাম্মদ আতিক, ভারতের রাজধানী দিল্লির ব্রহ্মপুরি মণ্ডলের বিজেপি সংখ্যালঘু সেল-এর প্রধান। উসমানপুরের বাসিন্দা আতিকের কারাওয়াল নগরে অবস্থিত কাপড়ের কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে।

        “আমার প্রতিবেশী ফোন করে জানান আগুনের কথা। আমি নিজে এখনও ভয়ে কারখানায় যাইনি। কাছেই আমার ছোট ভাইয়ের কারখানাতেও আগুন ধরানো হয়। আমি আশা করেছিলাম যে বিজেপির নেতারা অন্তত ফোন করবেন, সাহায্য করার কথা বলবেন, সান্ত্বনা দেবেন,” বলছেন ৪৫ বছর বয়সী আতিক।

        পাঁচ সন্তানের পিতা আতিক গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিজেপির নিচুতলার কর্মী হিসেবে কাটিয়েছেন। তার কথায়, “আমাদের দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারির মতোই আমিও বিহারের লোক। উনি চেনেন আমাকে…কিন্তু আমার নামটা মুসলমান তো, হামে তো পরায়া হি কর দিয়া (আমাকে তো দূরে ঠেলে দিয়েছেন)।”

        আতিক জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে ভাড়া করা জায়গায় তিনি কারখানা চালু করেন। “দিল্লিতে সহিংসতা যেদিন বাড়তে শুরু করল, তার ঠিক আগের দিন আমি আমার কর্মীদের বলি যেন পাততাড়ি গুটিয়ে বাড়ি চলে যায়। যখন আগুনের খবর আসে, আমি তখন বাড়িতে…কী যে অসহায় লাগছে,” বলছেন তিনি।

        আতিকের আরো বক্তব্য, তার বিজেপি কর্মী হওয়া নিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি। “আমি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদির ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ স্লোগানে বিশ্বাস করেছিলাম, যারা বিজেপির সমালোচনা করত, তাদের সঙ্গে তর্ক করতাম। এখন ওরাই আমায় জিজ্ঞেস করছে, পার্টি আমার জন্য কী করেছে। আমার কাছে কোনো উত্তর নেই।”

        আতিকের মতো বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সহ-সভাপতি আখতার রাজার বাড়িতেও ২৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সন্ত্রাসীরা হামলা করে । আখতার টেলিগ্রাফকে জানায়, তার নিজের ও তিন নিকট আত্মীয়ের বাড়ি সহ মোট উনিশটি মুসলিম বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা । সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

        এ ঘটনার পর আখতার পুলিশ ও পার্টির নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেনি । ফোন পর্যন্ত রিসিভ করেনি নেতারা । সরকার থেকেও পুনর্বাসনের জন্য কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি । এমনটাই টেলিগ্রাফ কে জনান বিজেপি নেতা আখতার রাজা ।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34129/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে আজ সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল



          ভারতের দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাসীদের নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যা ও মসজিদে আগুনের দেয়ার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে তাজপুরের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা।

          আজ শুক্রবার জুমার পর সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর কদমতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হবে।

          এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার এশার পর এক জরুরী পরার্মশ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ওসমানীনগর উপজেলার সর্বস্তরের মুসলিম জনতাকে উপস্থিত থেকে মিছিল ও সভাকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন আয়োজক কমিটি।

          এমনিভাবে, গত সপ্তাহেও ভারতের দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা ও মসজিদে আগুন দেয়ার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর সর্বস্তরের জনগণের অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পশ্চিম বাজারে এসে মিলিত হয়।




          এসময় বক্তারা বলেন, দিল্লি মসজিদে আগুন লাগাওনি আগুন লাগিয়েছ মুসলমানদের অন্তরে। মুজিববর্ষের বক্তা হিসেবে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের বাংলার জমিনে পা রাখতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার উচ্চারণ করে এসব কথা বলেন। দলবল নির্বিশেষে ভারতের দিল্লিতে মুসলিম হত্যা ও মসজিদ পুড়ানোর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।

          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34105/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মোদি বিরোধী মিছিলে পুলিশি হামলা ও মোদিকে কটূক্তির দায়ে যুবক গ্রেফতারের নিন্দা ভিপি নুরের



            মোদিবিরোধী সাধারণ মানুষের মিছিলে পুলিশি হামলা ও ময়মনসিংহে মোদিকে কটূক্তির দায়ে যুবক গ্রেফতারের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর।

            একইসঙ্গে আবারো মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

            গত বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘হাতিয়ায় মোদিবিরোধী সাধারণ মানুষের মিছিলে পুলিশি হামলা, ময়মনসিংহে মোদিকে কটূক্তির দায়ে যুবককে গ্রেফতার!’

            তিনি বলেন, ‘মোদির দালালরা কি তা হলে এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে? যারা এ দেশে থেকেও মোদি তথা ভারতের নগ্ন দালালি করেন, বাংলাদেশকে কি আপনারা ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চান? তবে এ দেশের জনগণের কথা শুনে রাখুন– এ দেশের জনগণ পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছে দিল্লির গোলামি করার জন্য নয়।’

            ভিপি নুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে কোনো আগ্রাসী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম চলবে। দেশপ্রেমিক নাগরিকদের এ লড়াইয়ে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34128/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              নববধূকে উত্ত্যক্ত করলো সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা



              ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নববধূকে উত্ত্যক্ত করেছে তিন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

              আমাদের সময় থেকে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ফুলতলী গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে রাহিমা আক্তার তার স্বামীকে নিয়ে কসবা পৌর শহরে কেনাকাটা করতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর উপজেলার তালতলা গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে পৌরসভার ৩নং সন্ত্রাসী ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল মিয়া; মরাপুকুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে, উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম হৃদয় ও কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে, কসবা পৌর ছাত্রলীগ সদস্য সাব্বির আহাম্মদ ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন। রাহিমা ও তার স্বামী তাদের পাশ কাটিয়ে শহরে গেলেও তাদের পিছু ছাড়েনি এই তিন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকর্মী। একপর্যায়ে তাদের আক্রমণ করতে যান এই তিনজন।

              পরে আত্মরক্ষার্থে কেনাকাটা না করে রাহিমা ও তার স্বামী বাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়েও হানা দেয় এই তিন ছাত্রলীগকর্মী এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রাহিমার স্বামীকে মেরে তাকে বিধবা করে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34090/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                চবিতে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৩০



                চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের ঝামেলা মিটছে না। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র গতকাল বুধবার রাত ১টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এতে অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় এফ রহমান হলের অন্তত ২৫টি কক্ষ।

                তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার মারামারিতে জড়ায় সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের তিন উপপক্ষ ‘সিক্সটি নাইন’, ‘কনকর্ড’ ও ‘বিজয়’। এর জের ধরে গতকাল বিকেলে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। আওয়ামী দালাল পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করলেও সংঘর্ষের সমাধান হয়নি। খবরঃ প্রথম আলো

                বিবদমান উপপক্ষ তিনটির মধ্যে ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘কনকর্ড’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অন্যদিকে বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। বিজয়ের নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। আর সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ওরফে টিপু এবং কনকর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

                বর্তমানে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ আছে। একটি মেয়র নাছিরের ও অন্যটি শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী বলে পরিচিত। এই দুই পক্ষের মধ্যে আরও ১১টি উপপক্ষ আছে।

                সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কোন্দলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলে গতকাল বুধবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মধ্যরাতে পুলিশ চলে যাওয়ার পর সিটি মেয়রের অনুসারী পাঁচটি উপপক্ষ এক হয়ে বিজয়ের ওপর হামলা করে। ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী ও এফ রহমান হলে ঢুকে বিজয়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পাশাপাশি এফ রহমান হলের সামনে থাকা চারটি মোটরসাইকেল, হল কক্ষ ও লাইট ভাঙচুর করা হয়। এতে পুরো হল অন্ধকার হয়ে যায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ সময় অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আর আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে অন্তত ৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু নেতাদের হুমকিকে ৪৩ জনকে ছেড়ে দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর বাকি সাতজনকে পুলিশ নিয়ে যায়।

                সংঘর্ষের বিষয়ে প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন হিংসার রাজনীতির কারণে বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। গতরাতে সিটি মেয়রের অনুসারীরা তিন হলে হামলা চালিয়েছেন। আর উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে আটকৃতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

                আলাওল হলের ২৩৮ নম্বর কক্ষে বিজয়ের কর্মী মো. আবদুল্লাহ ও কনকর্ডের কর্মী আরমান হোসেন থাকেন। এ দুজনের মধ্যে কয়েক দিন ধরে ঝগড়া হচ্ছিল। পরে আবদুল্লাহ বিজয়ের আরেক কর্মী মো. আবিরকে নিয়ে গত সোমবার আরমানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে আরমান সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আবিরকে মারধর করেন। এ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

                এ ঘটনার রেশ ধরে গতকাল বুধবার বিকেলে সিক্সটি নাইনের এক কর্মীকে মারধর করেন বিজয়ের নেতা-কর্মীরা। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় আবারও সংঘর্ষে জড়ায় সিক্সটি নাইন ও বিজয়। রামদা, লোহার রড, কাচের বোতল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেন বিজয়ের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয় সিক্সটি নাইন। এ সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34091/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বাংলাদেশের মানুষের বিরোধিতাকে গ্রাহ্য না করে, কসাই মোদির সফর নিশ্চিত করল ভারত



                  ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্*যাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসছেই। বাংলাদেশের মানুষের বিরোধিতাকে গ্রাহ্য না করেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার নরেন্দ্র মোদির এ সফরের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।

                  বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্*যাপন শুরু হচ্ছে ১৭ মার্চ থেকে। ওই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বৃহস্পতিবার জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তিনি এ উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34110/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    দরপতন চলছেই শেয়ারবাজারে



                    মন্দাবস্থা পিছু ছাড়ছে না শেয়ারবাজারের। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসেই দরপতন হলো। বিশেষ তহবিল ঘোষণার পর টাকা নিতে ব্যাংকগুলোর ধীরে চলো নীতির কারণেই বিনিয়োগকারীরা হতাশায় বিক্রি বাড়িয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। খবরঃ আমাদের সময়

                    বাজার বিশ্লেষণে বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরু থেকেই মূল্যসূচক দ্রুত ওঠানামা দেখা গেছে। লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ৫ মিনিটের মধ্যেই সূচকটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে প্রথম ২০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৪ পয়েন্ট। অবশ্য পরের ১০ মিনিটে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। বেলা ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট। এর পর আবার নিম্নমুখী হয়ে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে সূচকটি ২০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। এতে দুপুর ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এর পর টানা নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক, যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াহ ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সারা দিনে মোট তিনবার সূচক বাড়ে আবার কমে। শেষবার পতনের পর আর উঠতে পারেনি সূচক।

                    দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির দর কমেছে বেশি। এর বিপরীতে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির দর বেড়েছে বেশি। সারা দিনই স্বল্প মূলধনী এই কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল।

                    মূল্যসূচকের এই পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২১৩টির। ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

                    এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

                    অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৬২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34113/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’



                      দূষিত বাতাসের শহরের একটি তালিকায় শুক্রবার সকালে সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে জনবহুল শহর বাংরাদেশের রাজধানী ঢাকা। তাই ঢাকায় বসবাসরত সকলেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২১২। যার অর্থ এ শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ । একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
                      খবরঃ নয়া দিগন্তের

                      বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং চীনের বেইজিং যথাক্রমে ১৭০ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

                      একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34114/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        সেতুর অভাবে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি



                        টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের চৌবাড়িয়ায় ধলেশ্বরী নদীর শাখা প্রবাহিত হয়েছে। এর দু’পাশে গড়ে উঠেছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতিসহ প্রয়োজনীয় অনেক প্রতিষ্ঠান। নদী বিধৌত দেশের এই স্থানে দীর্ঘসময় জলধারা প্রাবাহমান থাকায় বছরের প্রায় অর্ধেক সময় এলাকার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় নৌকা।

                        সরেজমিনে দেখা যায়, ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও ১টি হাটের জনসাধারণের নিত্যদিনের চলাফেরা হয় এই শাখা নদীর উপর দিয়ে। যেখানে শিক্ষার্থীই ২হাজার ৫ শতাধিক। খবরঃ নয়া দিগন্তের

                        এ বিষয়ে পঁচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্ষায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেনা ফলে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। বছরের প্রায় ছয় মাস এ নদীতে পানি থাকে। এখানে ১টি ব্রিজ অতিজরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণের ঝুঁকিতো থেকেই যায়।

                        সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বছরের প্রায় অর্ধেক সময় গর্ভবতী, মুমূর্ষরোগীদের সময়মত হাসপাতালে নিতে খুব অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের এই ব্রিজটি নির্মাণ হয়নি।

                        ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার এলাকাবাসীর দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, চৌবাড়িয়া পঁচাসারুটিয়ার ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা অতিব জরুরী। এই রাস্তায় হাজারো জনসাধারণ প্রতিনিয়ত চলাচল করে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে ৫টি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে।

                        এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, চৌবাড়িয়া পঁচাসারুটিয়ার ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে আমরা সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি সুপারিশ পেশ করবো।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34116/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          অস্তিত্ব হারাচ্ছে তুরাগ নদী, চলছে মাদকসেবীদের আখড়া



                          দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে তুরাগ নদের অস্তিত্ব। দখল, দূষণ আর নাব্যতাই এর মূল কারণ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও বনায়ন করার জন্য নদের উভয় পাশে স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। নদের দিকে তাকালে মনে হয়, এ যেন ময়লার ড্রেন! নদের পাশে ঘেরা ওয়াকওয়ে দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে নাক চেপে।

                          আর এসব ময়লা-আবর্জনার কারণে পচে যাওয়া পানির দুর্গন্ধে অসুস্থ হচ্ছে অনেকেই। তাই নদের পানি পরিষ্কারের ব্যবস্থা এবং নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। নদের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে বিআইডব্লিউটির পক্ষে থেকে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করলেও আসলে কতটা তা বাস্তবায়িত হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন এখন জনমনে। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

                          ১২৮৭ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী লবলং সাগর, যা শেরপুর থেকে মধুপুর গড়, অর্থাৎ প্রাক্তন ময়মনসিংহ জেলাকে তিন ভাগে ভাগ করে প্রবহমান ছিল, তা বন্ধ হয়ে যায় এবং যমুনা নদীর সৃষ্টি হয়। হিমালয় থেকে ধাবমান নদী তিস্তা ও ধরলা এসে ব্রহ্মপুত্রে পতিত হলেও তা দেশের পূর্বাংশে ময়মনসিংহ দিয়ে প্রবলভাবে প্রবাহিত না হয়ে গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জের পশ্চিম তীরে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল জেলা এবং দক্ষিণে মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ীর সীমানায় পদ্মা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রবাহিত হয়। এই যমুনা নদী জামালপুরে শেষ হয়ে টাঙ্গাইল অংশে প্রবেশ করে ভূঞাপুর, গোপালপুর অঞ্চল থেকে পূর্ব দিকে টাঙ্গাইল জেলার মধ্য দিয়ে সখীপুর ও মির্জাপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বংশী নদী নামকরণপূর্বক যমুনার শাখানদী হিসেবে প্রবহমান। এই বংশী নদী গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর এলাকায় এসে দুই ভাগে ভাগ হয়ে এক ভাগ দক্ষিণে বংশী নদী হিসেবে সাভারে ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অন্যটি তুরাগ নাম ধারণ করে বরইবাড়ী, বোয়ালী, চা-বাগান, মির্জাপুর, কাউলতিয়া, মধ্যপাড়া, কোনাবাড়ী, বামন, কাশিমপুর, গাছা, ইয়ারপুর, আশুলিয়া, উত্তরা (তুরাগ থানা), বিরুলিয়া, মিরপুর হয়ে কামরাঙ্গীর চর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রবহমান। তুরাগ প্রবাহের সময় ইছরকান্দি এলাকায় এসে দুই ভাগে ভাগ হয়ে প্রবাহিত হতে থাকে, যার পূর্ব দিকে প্রবাহিত শাখা সাবেক টঙ্গী পৌরসভার ভাদাম, ভাকরাল। এই ভাদাম ও ভাকরালকে আবার দুই ভাগে ভাগ করে মুদাফা বড় দেওড়াকে উত্তরে রেখে বিশ্ব ইজতেমার পশ্চিমে কহর দরিয়া নামকরণ করে বালু নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। একসময় এই তুরাগ নদ দিয়ে নৌযান চলাচল করত। এই নদে গোসল কিংবা এর পানি দিয়ে রান্নাবান্না করা হতো

                          নদীতে মানুষ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে গোসল কিংবা পানি ব্যবহার তো দূরের কথা, ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে নদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো জো নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার মানুষ ট্রলারে করে ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী বাজার আসত কেনাকাটা করতে। নৌপথে আসা বিভিন্ন মামামাল কিংবা চলাচলের সুবিধার্থে টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় কয়েক বছর আগে প্রায় পাঁচ কোটি ব্যয়ে নির্মিত হয় নদী বন্দর। দখল, দূষণ আর নাব্যতার কারণে তুরাগ নদ সরু হওয়ার ফলে নদীবন্দরটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর। নদীবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। এতে করে টঙ্গীর ওই নদীবন্দরটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় উলুখোলার এক বাসিন্দা, টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে ট্রলারে করে টঙ্গী বাজারে আসতাম বাজার করতে। সেই নদের পানি এখন আর নেই। পানিতে ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধের কারণে এখন অনেকেই টঙ্গী বাজারে আসে না বাজার করতে। ’ টঙ্গী বাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন সরকার বলেন, নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ শুধু স্থাপনা ভাঙার কাজ করছে। নদের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে দূষণ রোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর খননকাজ করতে হবে। ওয়াকওয়ে করে কী লাভ পচা পানির দুর্গন্ধে মানুষ নদের পাশ দিয়ে হাঁটতে না পারলে?


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34122/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            ১২ ঘণ্টায় সড়কে ২১ লাশ




                            বারো ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। তারা সবাই সিলেটে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

                            নয়া দিগন্ত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-১৯-৫১৬১) মহাসড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খাওয়ার ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ জন। নিহতদের মধ্যে সাতজন পুরুর ও একজন নারী। তবে হতাহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তারা সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। আহত পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
                            এমনিভাবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ৬ জন দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের ৪ আরোহী।

                            শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার ভাটি কালিসীমা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সোহান (২০), সাগর (২২), রিফাত (১৬) ও ইমন (১৯)। আহতরা হলেন, শাহিন (৩০), বিজয় (১৯), আবীর (১৯) ও জিসান (২৪)। তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা নারায়ণগঞ্জ থেকে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে সিলেট যাচ্ছিলেন।

                            খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান, মাইক্রোবাসে করে ১০ জন নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেট মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রামপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকার দিকে যাওয়া লিমন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসের ছয় যাত্রী নিহত হয়।

                            এদিকে,বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফেনীর সোনাগাজীতে সড়কে বাইক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছে। নিহত মো. আজিজুল হক সাহেদ (২৫) ও জিয়া উদ্দিন বাবলু (২২)’র বাড়ি মিরসরাইয়ে। এরমধ্যে সাহেদ মিরসরাই উপজেলার ৪ নং ধুম ইউনিয়নের নাহেরপুর গ্রামের তাজুল ইসলামে ছেলে ও বাবলু একই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ইমামপুর গ্রামেরে মৃত বশির আহম্মদের ছেলে। বাবলু মিরসরাই মাদরাসা থেকে এবার কামিল পরীক্ষার্থী ছিলেন।

                            দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান আজিজুল হক সাহেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় বাবলুকে প্রথমে ফেনী জেনালের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বাবলুর বড় ভাই সোহেল খাঁন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তারা কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে বন্ধুরা সোনাগাজীতে ঘুরতে যায়। মতিগঞ্জ বাজারের পাশে রাস্তায় একটি ব্রিজের কাজ চলছিলো। তারা দেখতে না পারে মোটরসাইকেল সহ নিচে পড়ে যায়। পরে অন্য বন্ধুরা উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে গেছে। সাহেদ ঘটনাস্থলে মারা যায়। আমার ভাই রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে মারা গেছে।

                            সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে সাহেদ নিহত হলেও পরবর্তীতে বাবুল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

                            ভালুকা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজন আহত হন। শুক্রবার ভোরে উপজেলার মেহরাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা গ্রামের পিকআপ ভ্যানের চালক রাজন রবিদাস (২২) ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার তালাশ কোর্ট এলাকার আবদুস সালামের ছেলে মো. আজিম (২৩)।

                            ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মেহরাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে একটি বড় পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা খায় মাছভর্তি আরেকটি ছোট পিকআপ। এতে ছোট পিকআপের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। লোকজন ঘটনাস্থলে থেকে রাজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় আরও তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক আজিম নামের আরেক জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

                            এমনিভাবে, ঢাকার সাভারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় বাস ও ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-আরিচা ও আবদুল্লাপুর-বাইপাইল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন রাজধানীর শেওরাপাড়ার কাজী নাজমুল হক (৪১) ও নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের কনস্টেবল আকাশ আহমেদ (২২)।

                            আশুলিয়া থানার পুলিশ জানায়, গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার বাসায় যাওয়ার পথে নাজমুল হক বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের জামগড়া এলাকায় রিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাসের নিচে গিয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে নারায়ণগঞ্জে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন আকাশ। রাত একটার দিকে সাভারের উলাইল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/06/34125/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                              Comment

                              Working...
                              X