Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১০ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই রজব, ১৪৪১ হিজরী # ১০ই মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    বরিশালে ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করল স্কুল শিক্ষক মালাউন উজ্জল কুমার



    বরিশালের গৌরনদীতে বিদ্যালয়ে পাঠদানকালে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি ও গরুর মাংস খাওয়া হারাম বলে মন্তব্য করেছে মালাউন উজ্জল কুমার রায় (৪৭)।

    পরে সেই মালাউন শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে গ্রামবাসী। গত রোববার (৮ মার্চ) রাতে গৌরনদী উপজেলার মেদাকুল বাজারে গণধোলাইর ঘটনা ঘটে।

    অভিযুক্ত মালাউন শিক্ষকের বিচার দাবিতে গ্রামবাসী সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে। উজ্জল উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল বিএমএস ইন্সটিটিউশনের সহকারী শিক্ষক ও সমরসিংহ গ্রামের প্রফুল্ল রায়ের পুত্র।

    বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, সাকিব মোল্লা, সৌরভ হাসান অভিযোগ করে বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দশম শ্রেনীর ২য় ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াতে আসে সহকারী শিক্ষক উজ্জল কুমার রায়। সে বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাসে খাদ্যে আমিষ নিয়ে পাঠদানের সময় বলেছে, আলেম-ওলামাদের দিয়ে গরু কেটে মাংস খাওয়াটা ভন্ডামী। কচ্ছপ খাওয়া উত্তম, গরু খাওয়া হারাম। হুজুররা অপদার্থ। ওই শিক্ষক পাঠাদানের সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

    জানা গেছে,ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী হিন্দু মালাউন শিক্ষক উজ্জল কুমার রায় রোববার রাতে মেদাকুল বাজারে আসলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাকে (উজ্জল) গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ওইদিন রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    এদিকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্ধ ২ শতাধিক গ্রামবাসী সোমবার মোদাকুল বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইল্লা-বাকাই সড়ক ধরে বাকাই বাজারে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/10/34263/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    অর্থনীতিতে অশনিসংকেতঃ ১২ ব্যাংক মূলধন হারিয়ে ধুঁকছে



    ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেড়েই চলেছে। এই সম্পদের বিপরীতে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকগুলোর আয় থেকে অর্থ এনে এই মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়; কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে দেশের ১২টি ব্যাংক প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যাংকগুলোর ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। ঘাটতিতে পড়া ১২টি ব্যাংকের মধ্যে সরকারি ব্যাংকই ৭টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়- গত ২০১৮ সালে মূলধন ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকের সংখ্যা ছিল ১০টি। এবার ঘাটতিতে পড়েছে ১২টি ব্যাংক। সবচেয়ে বেশি ৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের। আগের বছর ব্যাংকটির ঘাটতি ছিল ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। এক বছরে ব্যাংকটির ঘাটতি বেড়েছে ৫৬৪ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘাটতি রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালীর। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৫ হাজার ৩২০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে গত বছর শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

    মূলধন ঘাটতির শীর্ষ তিনে রয়েছে আরেক সরকারি ব্যাংক জনতা। অ্যাননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপ জালিয়াতির অকুস্থল এই ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। যদিও আগের বছর ঘাটতি ছিল ৫ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৮৮৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। অবিশ্বাস্যভাবে কমেছে বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি।

    ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতিতে কমেছে নীতিগত কিছু ছাড়-সুবিধা গ্রহণ করে। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে দেখানো হয়েছে ৯৬১ কোটি টাকা। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ঘাটতি ৭১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮৮ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের মূলধন আগের বছর ২০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত থাকলেও গত বছর শেষে ঘাটতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।

    বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি হয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। আগের বছর ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ৩৮৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৮৯ কোটি টাকা। মালিকদের দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত পদ্মা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হয়েছে ৭৭ কোটি টাকা। বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মূলধন ঘাটতি ৪০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২ কোটি টাকা।

    এবার মূলধন ঘাটতির তালিকায় নাম রয়েছে নতুন কার্যক্রমে আসা কমিউনিটি ব্যাংকের। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি হয়েছে দেড় কোটি টাকা। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউল হক চৌধুরী বলেন, ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংকটি যাত্রা শুরু করে। ব্যাসেল-৩ নীতিমালার ক্যালকুলেশনে সামান্য ঘাটতি হয়েছে। তবে আমাদের মূলধন পর্যাপ্তের হার অনেক বেশি, ১৫০ শতাংশ। খবরঃ আমাদের সময়

    ব্যাংকগুলোর শেয়ারহোল্ডার বা মালিকদের জোগান দেওয়া অর্থই মূলধন হিসেবে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে। কোনো ব্যাংক এ পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে মূলধন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    অনেক ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মূলধন রাখায় সামগ্রিক খাতে মূলধন উদ্বৃত্ত রয়েছে। ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২২৪ কোটি টাকা ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ১ লাখ ৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল। ব্যাংকগুলো সংরক্ষণ করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে ১৩ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা মূলধন উদ্বৃত্ত রয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/10/34268/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পুলিশকে ঘুষ দিয়ে থানা থেকেই মুক্ত মাদকসহ গ্রেপ্তার কারবারি



      রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তিন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করার পর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে থানা থেকেই এক কারবারিকে ছেড়ে দিয়েছে ওই থানার এসআই সন্ত্রাসী মো. মেহেদী হাসান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

      শুধু তাই নয়, ওই তিনজনের কাছে তিন হাজার পিস ইয়াবা পাওয়ার পরও নথিপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন এক হাজার পিসের কথা। তদুপরি বেশি দামের সাদা রঙের ইয়াবা জব্দ করা হলেও তিনি উল্লেখ করেছেন কম দামের লাল/গোলাপি রঙের বড়ি নাকি জব্দ করা হয়েছে।

      ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আমির খসরু ওরফে রবিন খান, রোকসানা ওরফে চান্দা ও মো. আবদুস সাত্তার। এর মধ্যে আমির খসরু তালিকাভুক্ত ইয়াবাকারবারি। তাকেই থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছেন এসআই মেহেদী। পুলিশের এই কর্মকর্তা এ মামলার বাদী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেই এজাহারে প্রকৃত তথ্য গোপন করেছেন। রূপনগরের একটি ভবন থেকে ওই ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন রাস্তা থেকে গ্রেপ্তারের কথা। মামলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাউকে সাক্ষী করেননি, করেছেন তার নিজের সোর্স ও পথচারীকে।

      এদিকে আমাদের সময়ের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, যে ভবনের সামনে থেকে এসআই মেহেদী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন, সেখানে কোনো ভবনের অস্তিত্বই নেই, আছে খালি মাঠ। এ ছাড়া গত ১৫ নভেম্বর রাতে ওই ৩ মাদককারবারিকে গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে আমির খসরুকে ছেড়ে দেওয়া এবং থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদকালে মাদক সিন্ডিকেটের বিষয়ে ওই আসামির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদানসহ আড়াল করা বেশকিছু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে।

      গত ১৬ নভেম্বর রূপনগর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে এর বাদী এসআই মেহেদী হাসান উল্লেখ করেন, গত ১৫ নভেম্বর রাত পৌনে দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মেহেদী জানতে পারেন রূপনগর থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং ডি-ব্লকস্থ ২৩৬ নম্বর বাসার সামনের রাস্তায় কতিপয় মাদককারবারি মাদকদ্রব্য বিক্রি করছে। এর পর পল্লবী জোনের এসি ও রূপনগর থানার ওসির নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে ২৩৬ নম্বর বাসার সামনে অভিযান চালান মেহেদী।

      এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মাদক ব্যবসায়ী রোকসানা চান্দা ও আবদুল সাত্তারকে আটক করা হয়। এ সময় উপস্থিত সাক্ষী মো. রফিকুল হক (বাসা-রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং, এস-১ সড়কের এফ-ব্লকস্থ ৩৫ নম্বর ভবন), মো. রিয়াজুল ইসলাম তপুর উপস্থিতিতে রূপনগর থানার কনস্টেবল লাভলী আক্তারের মাধ্যমে আটকদের তল্লাশি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ হাজার পিস লাল গোলাপি রঙের অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

      এর মধ্যে চান্দার কাছ থেকে ৭০০ পিস ও সাত্তারের কাছ থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে আসামি ও আলামত নিজ হেফাজতে নেন এসআই মেহেদী হাসান। জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে রূপনগর থানা এলাকা ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।

      অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর রাতে এসআই মেহেদী রূপনগর থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং ডি-ব্লকস্থ ২৩৬ নম্বর বাসার সামনের রাস্তা থেকে নয়, মাদক ব্যবসায়ী চান্দা, আমির খসরু ও মো. আবদুল সাত্তারকে ওই এলাকারই একটি ভবন থেকে গ্রেপ্তার করেন তিনি ও তার সহযোগীরা। যে বাসার সামনে তিনি গ্রেপ্তারস্থল দেখিয়েছেন-গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ২৩৬ নম্বর প্লটে কোনো বাড়ি বা ঘর নেই।

      এ প্লটের উল্টোপাশের ডি-২৩৭/১ নম্বর ভবনের কেয়ারটেকার জানান, গত ১৫ নভেম্বর রাতে তিনি বাড়ির সামনে কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখেননি। ইস্টার্ন হাউজিংয়ের সাইট ম্যানেজার একেএম জাহাঙ্গীর কবিরও জানান, ২৩৬ নম্বর প্লটটিতে কখনই কোনো বাড়ি ছিল না। সে রাতে তিনিও মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখেননি।

      এজহারে বর্ণিত সাক্ষী রফিকুল হকের রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং, এস-১ সড়কের এফ-ব্লকের ৩৫ নম্বর ভবনে খোঁজ নিতে গেলে ভবন মালিক মিলি জানান, রফিকুল হক নামে কাউকে তিনি চেনেন না, এ ভবনে কখনই এ নামে কোনো ভাড়াটিয়া ছিল না। পরে মামলায় বর্ণিত সাক্ষী রফিকুল হকের একটেল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি কিছু না বুঝেই তাতে সই দিই। ঠিকানা ভুল দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

      ঘটনার বিষয়ে জানতে মামলার আরেক সাক্ষী রূপনগর থানা পুলিশের সোর্স তপুর মোবাইল ফোনে গতকাল রবিবার একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার সেলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এসআই মেহেদী সে রাতে বিপুল মাদকসহ আমির খসরু, চান্দা ও আবদুল সাত্তারকে যে গ্রেপ্তার করেছিলেন তার প্রমাণ মিলেছে থানা পুলিশ সূত্র ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত একাধিক ভিডিও ক্লিপে।

      ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, থানার একটি সোফায় হাতকড়া পরিয়ে পাশাপাশি বসিয়ে রাখা হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী চান্দা ও আমির খসরুকে। ওপর তলার একটি কক্ষে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে আবদুল সাত্তারকে। তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন এসআই মেহেদী।

      জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সাত্তার জানান, তিনি হাউজিংয়ে চাকরি করেন। মূলত ইয়াবা সেবন ও বিক্রির উদ্দেশে কিনতে ডিলার চান্দার কাছে এসেছিলেন তিনি। হাউজিংয়ের কিছু চাকরিজীবী ও ঢাকা উদ্যানের মাঠে ইয়াবা সেবীরাই তারই খদ্দের। ইয়াবা কিনেই নদীর পাড় ও ছনখেতে ইয়াবা সেবন করে তার ক্রেতারা। আপনার কাছে কয়’শ মাল (ইয়াবা) পাওয়া গেছে জানতে চাইলে সাত্তার এসআইকে বলেন-‘৫০০ পিস’। এসআইও তখন বলেন, আপনার কাছ থেকে দুই প্যাকেটে ২০০ পিস করে এবং এক প্যাকেটে ১০০ পিস পেলাম; মালডা (ইয়াবা) সাদা, ভালো কোয়ালিটির মাল।’ অথচ মামলায় সাত্তারের কাছ থেকে জব্দ দেখানো হয়েছে ৩০০ পিস লাল গোলাপি রঙের ইয়াবা।

      এরও আগে থানায় এনে আমির খসরুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মেহেদী। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার রসুলপুর গ্রামের ছেলে খসরুর বাবার নাম মৃত আরশাদ খান। তার নামে মিরপুরের রূপনগর থানাতেই রয়েছে আগের একটি মাদক মামলা (এফআইআর নম্বর-১১/২৯; তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। এ ছাড়া পল্লবী থানায় রয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা (এফআইআর নম্বর-১১/১৩১; তারিখ ৬মার্চ ২০১৯)।

      জিজ্ঞাসাবাদে এসআই মেহেদীকে খসরু জানান, এ ইয়াবা সিন্ডিকেটের মূল ডিলার হলেন গ্রেপ্তার রোকসানা চান্দার ছেলে রাজু। আজকের এই ২ হাজার পিস মাল (ইয়াবা) কার, কোত্থেকে আসছে-এমন প্রশ্নে খসরু বলেন, এই মাল রাজুর। তার সঙ্গেই ব্যবসা করেন খসরু। ইয়াবা সাপ্লাইয়ের যোগাযোগ রক্ষা করেন রাজুর মা চান্দা খালা। দেখভাল করেন রাজুর বোন মীম। ২৫ দিন আগে কক্সবাজার থেকে মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রিয়া ও শিপন নামে দুই ক্যারিয়ারের মাধ্যমে এগুলোসহ সাদা রঙের দামি ৩ হাজার পিস ইয়াবা আনায় রাজু।

      এসআই মেহেদী বলেন, যে বাসায় মালগুলা পাইলাম বাসাটা কার? উত্তরে খসরু বলেন মীমের। অথচ মামলার এজাহারে এসআই মেহেদী দুজনকে আটকের স্থান দেখান ইস্টার্ন হাউজিং ডি-ব্লকস্থ ‘অদৃশ্য’ ২৩৬ নম্বর বাসার সামনের রাস্তা। মাদক ব্যবসায়ী চান্দার কাছ থেকেও সহস্রাধিক ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

      অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে এসআই মেহেদী বলেন, ওই রাতে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দুজনকেই ধরেছি। এদের মধ্যে এক নারীর কাছে ৭০০ পিস ও এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০০ পিস লাল গোলাপী রঙের ইয়াবা উদ্ধার করি। মামলায় যে বাসার সামনের রাস্তা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারস্থল ও সাক্ষীদের ঠিকানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, খোঁজ নিয়ে তার সব কিছু ভুয়া দেখা গেছে জানালে এসআই মেহেদী বলেন-হয়তো ভুলেই এমনটা হয়েছে।

      সর্বশেষ, গতকাল সন্ধ্যায় রূপনগর থানায় এ প্রতিবেদক ফোন করে এসআই মেহেদী হাসান সম্পর্কে জানতে চাইলে ওপ্রান্ত থেকে ডিউটি অফিসার পরিচয়দানকারী জানান, তিনি (মেহেদী) এখন আর রূপনগর থানায় নেই। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/10/34275/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আবারও জায়েজ বিয়ে বন্ধ করে দিলো তাগুত প্রশাসনঃ কারাগারে বর



        ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় সোমবার কথিত বাল্য বিয়ের অপরাধে বরকে কারাগারে পাঠিয়েছে তাগুত ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাদ্দাম হোসেন (২৭) সদর উপজেলার সেন্দ গ্রামের উত্তরপাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া বর সাদ্দাম হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। খবরঃ নয়া দিগন্তের

        তিনি জানান, সদর উপজেলার একটি গ্রামের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে একই উপজেলার সেন্দ গ্রামের উত্তর পাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। দুপুরে বিয়ে বাড়িতে বর উপস্থিত হওয়ার পর বরযাত্রীসহ আত্মীয়-স্বজনদের খাওয়া-দাওয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে তার নেতৃত্বে তাগুত বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে উপস্থিত হয়। পরে বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বর সাদ্দাম হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/10/34262/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          রিদর্শকের আগমনে সরকারি রেল পরিষ্কার, গমনে যা-তাই!



          বছর জুড়ে রেলস্টেশনের প্লাটফর্মসহ পার্শবর্তী আঙ্গিনা সবসময় অপরিচ্ছন্ন থাকে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্টেশনের পাশেই যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। যার কারণে যাত্রীদের পেতে হয় নানা ভোগান্তি। কিন্তু বাৎসরিক পরিদর্শনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রেলপথ পরিদর্শকের (জিআইবিআর) আগমন উপলক্ষে স্টেশনটি পেয়েছিলো নতুন রূপ। পরিষ্কার করা হয়েছিলো জঙ্গল। তবে তার গমনের পর আবারো সেই গাড়ি পার্কিং। সেই পুরনো ভোগান্তি।

          জিআইবিআর আসার খবর শুনে হঠাৎ করে নড়েচড়ে বসেছিলেন রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। প্রত্যেকে নিজ নিজ দপ্তরকে সাজাতে থাকেন। তিন-চার দিন আগ থেকেই স্টেশনের প্লাটফর্ম, দেয়ালে রং দেয়া, যাত্রী বিশ্রামাঘার ধুয়ে-মুছে পরিস্কার, বিভিন্ন দাপ্তরিক অফিসের সংস্কার ও নতুন করে রং করানো, আসবাবপত্র পরিস্কার, স্টেশনের পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড অপসারণসহ স্টেশনের আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিলো। অনেক যাত্রী সাধারণ মনে করছেন, রেল পরিদর্শকের আগমনে লোক দেখানো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নে কাজ করানো হয়েছে। তবে সারাবছর যদি এভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতো তাহলে যাত্রীরা অনেকটা স্বাচ্ছন্দে থাকতো বলে করেন স্থানীয়রা।

          এ ছাড়া স্টেশনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সারাবছর অফিসিয়াল পোশাক না পড়লেও পরিদর্শনের দিন সবাইকে অফিসিয়াল পোশাক পড়ে দায়িত্ব পালনে সরব দেখা গেছে। খবরঃ কালের কন্ঠের

          সোমবার সকালে একটি বিশেষ ট্রেনে প্রায় ৫০ সদস্যের একটি টিম নিয়ে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পরিদর্শনে আসেন রেলপথ পরিদর্শক অসীম কুমার তালুকদার। তাঁর সাথে ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন, চীফ অপারেটিং সুপারেন্টেড মো. নাজমুল ইসলাম, প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিনসহ পূর্বাঞ্চলের সকল বিভাগের প্রধানগণ।

          পরিদর্শনকালে তিনি কুলাউড়া রেললাইন, প্ল্যাটফর্ম, লোকো শেড, রেলওয়ে হাসপাতাল, রেস্ট হাউস, যাত্রী বিশ্রামাগার, প্ল্যাটফর্ম শেডসহ যাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেন। পরে তিনি স্থানীয় রেলবিভাগের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যাত্রীসেবার মান ও সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। তখন তাঁর কাছে বিভিন্ন সমস্যা ও দাবির কথা তুলে ধরা হয়।

          রেলের লোকো শেড পরিদর্শনে গিয়ে কিছু অনিয়ম দেখতে পান। সেখানে রেজিস্ট্রেরি খাতায় ২ মাসে মাত্র ২ বার ট্রেনের ইঞ্জিন চেক করার তথ্য দেখানো হয়। সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তুলে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/10/34280/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment


            • #7
              Originally posted by Al-Firdaws News View Post
              বরিশালে ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করল স্কুল শিক্ষক মালাউন উজ্জল কুমার



              বরিশালের গৌরনদীতে বিদ্যালয়ে পাঠদানকালে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি ও গরুর মাংস খাওয়া হারাম বলে মন্তব্য করেছে মালাউন উজ্জল কুমার রায় (৪৭)।

              পরে সেই মালাউন শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে গ্রামবাসী। গত রোববার (৮ মার্চ) রাতে গৌরনদী উপজেলার মেদাকুল বাজারে গণধোলাইর ঘটনা ঘটে।

              অভিযুক্ত মালাউন শিক্ষকের বিচার দাবিতে গ্রামবাসী সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে। উজ্জল উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল বিএমএস ইন্সটিটিউশনের সহকারী শিক্ষক ও সমরসিংহ গ্রামের প্রফুল্ল রায়ের পুত্র।

              বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, সাকিব মোল্লা, সৌরভ হাসান অভিযোগ করে বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দশম শ্রেনীর ২য় ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াতে আসে সহকারী শিক্ষক উজ্জল কুমার রায়। সে বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাসে খাদ্যে আমিষ নিয়ে পাঠদানের সময় বলেছে, আলেম-ওলামাদের দিয়ে গরু কেটে মাংস খাওয়াটা ভন্ডামী। কচ্ছপ খাওয়া উত্তম, গরু খাওয়া হারাম। হুজুররা অপদার্থ। ওই শিক্ষক পাঠাদানের সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

              জানা গেছে,ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী হিন্দু মালাউন শিক্ষক উজ্জল কুমার রায় রোববার রাতে মেদাকুল বাজারে আসলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাকে (উজ্জল) গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ওইদিন রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

              এদিকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্ধ ২ শতাধিক গ্রামবাসী সোমবার মেদাকুল বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইল্লা-বাকাই সড়ক ধরে বাকাই বাজারে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/10/34263/
              গনধোলাই টা খুবই উত্তম কাজ হয়েছে৷ তবে ভাল হতো যদি এখানেই ওর বিচারের সমাপ্তি হতো৷ কারণ পুলিশের হাতে গেল মানে ওরা সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়েগেল৷

              Comment

              Working...
              X