ক্রুসেডার ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরির ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার নানা দিক
ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা ঘোষণার আগেই এর ধ্বংসাত্মক পরিণতির ব্যাপারে নানা রকম আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পরিকল্পনা ঘোষণার পর ওইসব আশঙ্কাই এখন সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা উসামা হামদান বলেছেন, ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসলে পশ্চিম এশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, এ অঞ্চলে ইসরাইলকে একটি স্বাভাবিক দেশে পরিণত করা ও সবার কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করা এবং এভাবে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা।” বাস্তবতা হচ্ছে, ট্রাম্পের এ ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনাকে যেদিক থেকেই মূল্যায়ন করা হোক না কেন তাতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে কেবল দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। খবর: পার্সটুডের
এ ছাড়া, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর, গাজা উপত্যকায় হামাসকে নিরস্ত্র করা, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের জন্য বিশ্বের দেশগুলোর পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আদায়, ইহুদি উপশহরগুলো থেকে কোনো ইসরাইলিকে বহিষ্কার না করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে না দেয়া ও সেখান থেকেই শরণার্থী সমস্যার সমাধান এবং সর্বপরি বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া, ইহুদি উপশহরের ব্যাপারে সামরিক ব্যবস্থাপনা উঠিয়ে নেয়া, ভবিষ্যতে এসব শহরের ব্যাপারে কোনো শর্ত না মানা, উপশহরের প্রতি ইসরাইলের পূর্ণ সমর্থন বজায় থাকবে এবং এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল বিরোধী কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তাতে ভেটো দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায়।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কেবল কিছু করণীয় ঠিক করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কিছু পরামর্শ দেয়ার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ। এমনকি ফিলিস্তিনিদের যেটুকু সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাও শর্ত সাপেক্ষে। অর্থাৎ আমেরিকার কথামত চললেই তারা তা পাবে এর অন্যথায় ফিলিস্তিনিরা কোনো সুবিধাই পাবে না। উদাহরণ স্বরূপ এসব শর্তের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পেতে চাইলে হামাসকে অবশ্যই নিরস্ত্র করতে হবে, পুরো গাজা উপত্যকাকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে, ফিলিস্তিন শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি থেকে আসতে হবে, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে মেনে নিতে হবে, ইসরাইলের নতুন সীমানাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল বিরোধী উস্কানিমূলক শিক্ষা প্রদান বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের ওইসব অন্যায্য শর্ত মেনে নিলে শরণার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, ফিলিস্তিন সরকারের জন্য গাজা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের মধ্যে সড়ক ও টানেল নির্মাণ, প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার মূল্যের বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত ইহুদি উপশহর নির্মাণ স্থগিত রাখা, পূর্ব বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা প্রতিরক্ষার সুযোগ দেয়া, নাকাব মরুভূমি এলাকা ফিলিস্তিনিদেরকে দেয়া, ভবিষ্যতে কিছু ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসার সুযোগ প্রভৃতির প্রলোভন দেয়া হয়েছে ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পরিকল্পনা উত্থাপন করেছেন তাতে ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে তা হবে অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সমষ্টি মাত্র। কারণ ইসরাইল এমনভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে যে, ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট এলাকাগুলো একটি অপরটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে এবং কেবলমাত্র সুড়ঙ্গ পথের মাধ্যমেই যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বায়তুল মোকাদ্দাস, জর্দান উপত্যকা ও উত্তর বাহার আল মিয়াত এলাকা আলাদা আলাদাভাবে ইসরাইলি সীমান্ত দিয়ে ঘেরাও হয়ে আছে। নতুন ম্যাপে ইসরাইলগামী সড়কের সঙ্গে যুক্ত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় কালো দাগ রয়েছে যা আসলে অবৈধ ইহুদি উপশহরের চিহ্ন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা তুলে ধরলেও শুধু যে হামাস ও স্বশাসন কর্তৃপক্ষসহ ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এর বিরোধিতা করছে তাই নয় একইসঙ্গে তারা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলেও প্রতিজ্ঞা করেছে। স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের সঙ্গে আপোষ রফায় পৌঁছার জন্য এ পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তিনিও ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি নজিরবিহীন ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ট্রাম্পের টেলিফোনেরও জবাব দেননি।
ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনাকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব যিয়াদ আল নাখালে বলেছেন, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদেরকে ধ্বংস করা এবং তা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মার্কিন সরকার তাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে। ট্রাম্পের উপদেষ্টা জারেড কুশনার ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কুশনার ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের বর্তমান নেতারা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলেও ভবিষ্যত নেতারা এর প্রতি সমর্থন জানাবে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34567/
ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা ঘোষণার আগেই এর ধ্বংসাত্মক পরিণতির ব্যাপারে নানা রকম আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পরিকল্পনা ঘোষণার পর ওইসব আশঙ্কাই এখন সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা উসামা হামদান বলেছেন, ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসলে পশ্চিম এশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, এ অঞ্চলে ইসরাইলকে একটি স্বাভাবিক দেশে পরিণত করা ও সবার কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করা এবং এভাবে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে আমেরিকা।” বাস্তবতা হচ্ছে, ট্রাম্পের এ ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনাকে যেদিক থেকেই মূল্যায়ন করা হোক না কেন তাতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে কেবল দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। খবর: পার্সটুডের
এ ছাড়া, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ ভূখণ্ড ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর, গাজা উপত্যকায় হামাসকে নিরস্ত্র করা, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের জন্য বিশ্বের দেশগুলোর পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আদায়, ইহুদি উপশহরগুলো থেকে কোনো ইসরাইলিকে বহিষ্কার না করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে না দেয়া ও সেখান থেকেই শরণার্থী সমস্যার সমাধান এবং সর্বপরি বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া, ইহুদি উপশহরের ব্যাপারে সামরিক ব্যবস্থাপনা উঠিয়ে নেয়া, ভবিষ্যতে এসব শহরের ব্যাপারে কোনো শর্ত না মানা, উপশহরের প্রতি ইসরাইলের পূর্ণ সমর্থন বজায় থাকবে এবং এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল বিরোধী কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তাতে ভেটো দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায়।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কেবল কিছু করণীয় ঠিক করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কিছু পরামর্শ দেয়ার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ। এমনকি ফিলিস্তিনিদের যেটুকু সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাও শর্ত সাপেক্ষে। অর্থাৎ আমেরিকার কথামত চললেই তারা তা পাবে এর অন্যথায় ফিলিস্তিনিরা কোনো সুবিধাই পাবে না। উদাহরণ স্বরূপ এসব শর্তের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পেতে চাইলে হামাসকে অবশ্যই নিরস্ত্র করতে হবে, পুরো গাজা উপত্যকাকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে, ফিলিস্তিন শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি থেকে আসতে হবে, ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে মেনে নিতে হবে, ইসরাইলের নতুন সীমানাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল বিরোধী উস্কানিমূলক শিক্ষা প্রদান বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের ওইসব অন্যায্য শর্ত মেনে নিলে শরণার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, ফিলিস্তিন সরকারের জন্য গাজা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের মধ্যে সড়ক ও টানেল নির্মাণ, প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার মূল্যের বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত ইহুদি উপশহর নির্মাণ স্থগিত রাখা, পূর্ব বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা প্রতিরক্ষার সুযোগ দেয়া, নাকাব মরুভূমি এলাকা ফিলিস্তিনিদেরকে দেয়া, ভবিষ্যতে কিছু ফিলিস্তিন শরণার্থীদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসার সুযোগ প্রভৃতির প্রলোভন দেয়া হয়েছে ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পরিকল্পনা উত্থাপন করেছেন তাতে ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের যে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে তা হবে অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সমষ্টি মাত্র। কারণ ইসরাইল এমনভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে যে, ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট এলাকাগুলো একটি অপরটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে এবং কেবলমাত্র সুড়ঙ্গ পথের মাধ্যমেই যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বায়তুল মোকাদ্দাস, জর্দান উপত্যকা ও উত্তর বাহার আল মিয়াত এলাকা আলাদা আলাদাভাবে ইসরাইলি সীমান্ত দিয়ে ঘেরাও হয়ে আছে। নতুন ম্যাপে ইসরাইলগামী সড়কের সঙ্গে যুক্ত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় কালো দাগ রয়েছে যা আসলে অবৈধ ইহুদি উপশহরের চিহ্ন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা তুলে ধরলেও শুধু যে হামাস ও স্বশাসন কর্তৃপক্ষসহ ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এর বিরোধিতা করছে তাই নয় একইসঙ্গে তারা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলেও প্রতিজ্ঞা করেছে। স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের সঙ্গে আপোষ রফায় পৌঁছার জন্য এ পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তিনিও ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি নজিরবিহীন ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ট্রাম্পের টেলিফোনেরও জবাব দেননি।
ইসরাইলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের ঘোষিত ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনাকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব যিয়াদ আল নাখালে বলেছেন, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদেরকে ধ্বংস করা এবং তা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মার্কিন সরকার তাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে। ট্রাম্পের উপদেষ্টা জারেড কুশনার ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কুশনার ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের বর্তমান নেতারা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করলেও ভবিষ্যত নেতারা এর প্রতি সমর্থন জানাবে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/17/34567/
Comment