Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২০শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২০শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    ভারতে ত্রিশ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা !



    কাশ্মীর অবরোধ , বাবরি মসজিদ, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, দিল্লি পগরম সহ নানা ইস্যুতে উগ্র আচরণের কারণে বর্তমান বিশ্বে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ভারত । এরই মধ্যে
    জনস্বাস্থ্য বিষয়ক শীর্ষ একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতে করোনাভাইরাসের হুমকি নিয়ে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।

    ওয়াশিংটন এবং দিল্লি-ভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ, ডিনামিক্স, ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসির পরিচালক ড. রামানান লাক্সমিনারায়ানান বিবিসিকে বলেছেন, ভারত হবে করোনাভাইরাস মহামারির পরবর্তী ‘হট-স্পট’ এবং দেশটিকে অতি জরুরী ভিত্তিতে ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সুনামির’ জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

    তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অনুমান করতে যে গাণিতিক সূত্র অনুসরণ করা হয়েছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলেও কমপক্ষে ৩০ কোটি লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

    তিনি বলেন, এই ৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৪০ থেকে ৮০ লাখ মানুষের শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যাদেরকে হাসপাতালে নিতে হবে।

    ড. নারায়ানান ভয়াবহ এই চিত্র এমন দিনে দিলেন যেদিন সরকারি হিসাবে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৪৯। তবে এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে সংখ্যা এত কম।

    “এখন যেসব দেশে মহামারি চলছে, সেসব দেশের পরিস্থিতি থেকে ভারত সম্ভবত দুই সপ্তাহ পেছনে রয়েছে। ইটালি বা স্পেনে এখন আমরা যেটা দেখছি বা চীনে আমরা সম্প্রতি যেমন দেখেছি, আগামী ক সপ্তাহের মধ্যে ভারতকেও তেমন সুনামির মত রোগীর স্রোতের মুখোমুখি হতে হবে।”

    ড. নারায়ানান বলেন, জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে ভারত বিশেষ হুমকির মুখোমুখি।

    ভারত কতটা প্রস্তুত?

    ড. নারায়ানান মনে করেন, ইউরোপের আক্রান্ত দেশগুলোর তুলনায় ভারতের চিকিৎসার অবকাঠামো অনেক দুর্বল।

    ভারতে বর্তমানে ৭০হাজার থেকে ১ লাখের মত আইসিইউ বেড রয়েছে, যেটা ৪০ থেকে ৮০ লাখ রোগী সামলানোর জন্য নিতান্তই অপ্রতুল বলে মনে করছেন ড. নারায়ানান।

    তিনি বলেন, “সুনামি ধেয়ে আসছে ভারতের দিকে। আপনি যদি বসে বসে দেখেন, তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবেন। বাঁচার জন্য আপনাকে জান-প্রাণ দিয়ে ছুটতে হবে।”


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34755/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জমিজমা বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন!



    জ*মিজমা সংক্রান্ত বি*রো*ধের জের ধরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছোট ভাই। ওই ঘটনায় আহত হ*য়ে*ছেন আরো তিনজন। নিহ*তের নাম আব্দুস সাত্তার মোল্লা। তিনি শ্যামনগর উপ*জেলার ধুমঘাট চরাচ*কের ছ*বেদ মোল্লার ছে*লে।

    বুধবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দি*কে মারাত্মক আহতাবস্থায় খুলনা মে*ডি*কেল ক*লে*জে নেওয়ার পরপরই মারা যান আব্দুস সাত্তার। আহতরা হ*লেন, আব্দুস সাত্তার *মোল্লার ছোট ভাই র*শিদ মোল্লা, র*শিদ মোল্লার ছে*লে এনামুল ও এনামু*লের স্ত্রী আয়শা খাতুন। তারা শ্যামনগর উপ*জেলা স্বাস্থ্য কম*প্লেক্স ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতা*লে চি*কিৎসাধীন আছেন।

    র*শিদ মোল্লার জামাতা আনারুল ইসলাম বলেন, আমার শ্বশু*রেরা তিন ভাই। এর ম*ধ্যে আব্দুস সাত্তার মোল্লা ও র*শিদ মোল্লার সা*থে গফুর মোল্লার জ*মি জায়গা নি*য়ে বি*রোধ ছিল। বুধবার সকা*লে এ নি*য়ে তা*দের ম*ধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। বিকা*লে গফুর মোল্লা বহিরাগত লোকজন ভাড়া ক*রে এনে দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আব্দুস সাত্তার মোল্লা ও র*শিদ মোল্লার উপর হামলা চালায়। এতে আব্দুস সাত্তার *মোল্লা, তার ছোট ভাই র*শিদ মোল্লা, র*শিদ মোল্লার ছে*লে এনামুল ও এনামু*লের স্ত্রী আয়শা খাতুন আহত হয়। তাৎক্ষ*ণিক তা*দের উদ্ধার ক*রে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কম*প্লে*ক্সে ভ*র্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা হওয়ায় আব্দুস সাত্তার মোল্লা*কে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতা*লে রেফার করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মে*ডি*কে*ল ক*লেজ হাসপাতা*লে পাঠায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার। বুধবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দি*কে খুলনা মে*ডি*কে*লে পৌঁছা*নোর পরপরই মৃত্যু হয় আব্দুস সাত্তার মোল্লার।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34731/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নরসিংদীতে মাদরাসা ছাত্রীকে গভীর রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা



      নরসিংদীর পলাশে দশম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে গভীর রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আফিয়া আক্তার (১৫) পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের চরকাবর্দী গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় আবার নিহতের পরিবারের চার সদস্যকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

      নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ঘরের দুটি রুমের একটিতে বোনদের সাথে একই খাটে ঘুমাচ্ছিলেন আফিয়া। ভোররাতে আফিয়ার বড় বোনের বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে জেগে উঠেন পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা দেখতে পান আফিয়া ঘরে নেই, ঘরের প্রধান দরজা খোলা ও ঘরের মেঝের একপাশের সিঁধকাটা।

      রাতেই পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজির পর ঘরের পেছনের একটি কচু ক্ষেতের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আফিয়াকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার মাথায় ইটের আঘাত ও গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

      এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনবোন ও এক বোনের জামাইসহ পরিবারের চার সদস্যকে আটক করেছে। এ তথ্য জানিয়েছে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34732/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শরিয়ার হুকুম অমান্য করলেও এখন করোনা আতঙ্কে দেশজুড়ে মদের বার বন্ধ রাখার নির্দেশ



        ইসলামি শরিয়ার বিধানে মদ, জুয়া, পতিতালয় নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর বিধানকে উপেক্ষা করে তাগুত্ব সরকারগুলো সেগুলো বন্ধ না করে প্রকাশ্য মদদ দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। অবশেষে আল্লাহর গযব নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা দেশে সব হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ক্লাবের বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বারগুলো বন্ধের সময় নাকি এখনো হয়নি।

        বৃহস্পতিবার মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ নির্দেশ কার্যকর করা হবে।

        এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কারণে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবের বারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব জায়গায় যেহেতু জটলা হয়, জনসমাগম হয় সে কারণে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34742/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ‘তনুকে সবাই ভুলে গেছে’- মামলারও কোনও অগ্রগতি নেই



          কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার চার বছর পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময় পরও খুনি শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলারও কোনও অগ্রগতি নেই। তনুর মা আক্ষেপ নিয়ে বলেন, সবাই তনুকে ভুলে গেছে। তবে মা হিসেবে আমি তো ভুলতে পারি না। মৃত্যুর আগে একটাই আশা তার, মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার দেখা।

          ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর ফেরেনি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

          থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। দুদফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট।

          ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা—এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না।

          সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিন জনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

          তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, সারা বাসায় মেয়ের স্মৃতি। যেদিকে তাকাই তাকে দেখি। তাকে ভুলতে পারি না। মেয়ের কাপড়গুলো রেখে দিয়েছি। মাঝে মাঝে বের করে দেখি। কাপড়ে মেয়ের গায়ের ঘ্রাণ নিই। আর চোখের পানি ফেলি। দুই বছর ধরে সিআইডি কোনও যোগাযোগ করছে না। তনুর বাবা এবং আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আগের মতো বিভিন্ন অফিসে যেতে পারি না। মৃত্যুর আগে মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। তনু হত্যা মামলাটি তদন্তে সিআইডি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা চাই দ্রুত তনু হত্যার আসামি সনাক্ত হোক।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34748/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কলেজ শিক্ষিকাকে গালাগাল ও শারীরিক হেনস্থা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতার



            টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপিসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওই কলেজের এক নারী প্রভাষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলা শহরের বাজারে কেনাকাটা করাকালে ওই প্রভাষক এ ঘটনার শিকার হন।

            খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ত্রাসী বাহিনীর ওই সদস্যরা হলো নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, উপজেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিকুর রহমান বিপ্লব।

            ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি বর্ণনা তুলে ধরেন। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমরা কি ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। নিজে আজ শত শত মানুষের সামনে নাগরপুরের বাজারে মাত্র ৩-৪ জন ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের কাছে চরমভাবে নিগৃহীত ও শ্লীলতাহানীর শিকার হলাম, তখন একটি মানুষও আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো না। নাগরপুর সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইলের একজন শিক্ষক হিসেবে নিজের কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী মামুন ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী বিপ্লব ও বাবু কর্তৃক শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হলাম তা কতটা অভাবনীয় তা বলে বুঝাতে পারব না।

            তারা শত শত মানুষের মাঝখানে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং কাপড় ধরে টানাটানি করে, একপর্যায়ে টান দিয়ে আমার মাথার কাপড় খুলে ফেলে।

            ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি প্রশাসনের কাছে থানায় অভিযোগ দেব এই কথা বলে আমার নিজের পরিচয় দেওয়ার পর তার আরও আস্ফালন করে বলে যে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি তাদের পকেটে থাকে। তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি সরকারি কলেজে প্রভাষক এটা শুনে যেন তাদের উৎসাহ আরও বেড়ে যায়।

            একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমার যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে নাগরপুরের অন্যান্য মেয়েদের কি অবস্থা আমি চিন্তা করতে পারছি না।

            ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি নাগরপুরের ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে থানায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দিয়েছি আজ মামলা করব বলে স্থির করেছি। আমি নাগরপুর টাংগাইলের এই ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। এবং আমি তাদের বিচার নিশ্চিত করা না পর্যন্ত শান্ত হবো না বলে প্রতিজ্ঞা করেছি।
            খবরঃ আমাদের সময়

            এ ছাড়া নাগরপুরের রাস্তাঘাটে তারা যেন নারীদের আর কোনোভাবে হেনস্তা করতে না পারে তার জন্য যা যা করা দরকার আমি করব।

            ঘটনার পূর্ণ বিবরণী মানসিক অবস্থায় দেওয়া সম্ভব নয়। একটু সুস্থির হলে আমি ঘটনার বিবরণ সবার সামনে তুলে ধরব। ঘটনাটি রাত্রিবেলায় হওয়ায় উপযুক্ত সকল কর্তৃপক্ষকে জানানো সম্ভব হয়নি।

            তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় কে জানানো হয়েছে।

            আমি যেন মানসিকভাবে শক্ত থাকতে পারি তার দোয়া সকলের কাছে চাচ্ছি এবং সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34752/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দেশেই ৫ কোটি টাকার সন্ধান পাপিয়ার



              বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। অটো গ্যারেজের মালিকের মেয়ে। এক সময় তাদের তেমন কিছুই ছিল না। কিন্তু গত ৫ বছরে অর্থ বিত্ত অর্জন করে আগুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন।

              গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিনে বনেছেন শত কোটি টাকার মালিক। দেশে গাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি বিদেশে দিয়েছেন বার। আর সবই করেছেন অন্যায় ও অপকর্মের উপর ভর করে।

              ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও দেহ ব্যবসাই তাদের মূল পেশা।

              বিডি প্রতিদিন সূত্র জানায়, মামলার এজাহার প্রায় প্রস্তুত। এজাহারে ৫ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ টাকা লন্ডারিংয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাপিয়া রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ৪ মাস ১০ দিন অবস্থান করেন। গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অভিজাত হোটেলে তার নামে বরাদ্দ কক্ষের সংখ্যা ছিল ২৬টি। তিনি হোটেল বিলই দেন ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা। এছাড়া ঢাকায় কার এক্সচেঞ্জ শোরুমে তার বিনিয়োগের পরিমাণ এক কোটি টাকা, কেএমসি এন্টারপ্রাইজ ও কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়া রাজধানীর ইন্দিরা রোডের একটি ফ্ল্যাটে বছরে ৬ লাখ টাকা ভাড়া পরিশোধ করেছেন এবং পাপিয়ার কাছে নগদ ৬০ লাখ টাকাও পাওয়া যায়।

              এর বাইরে এজাহারে পাপিয়ার দুটি সঞ্চয়ী, দুটি চলতি হিসাব এবং তিনটি স্থায়ী আমানতের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে অর্থের পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা। এসবই এজাহারে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাপিয়া দম্পতির বৈধ কোনো আয় না থাকলেও তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জন করেছেন।

              তবে তাদের অবৈধ আয়ের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছেন। তবে ঠিক কি পরিমাণ অর্থ তারা দেশের বাইরে পাচার করেছেন তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এজাহারে তাদের যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে তাও উল্লেখ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

              তার কাছে থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেকবই, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড পাওয়া যায়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34751/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                আলিশান বাড়ি নির্মাণ ডিসি অফিসের কেরানির



                গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে জমি ক্রয়। এরপর সেই জমি সরকারি প্রকল্পে বিক্রি করে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখায় কর্মরত অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শহিদুল ইসলাম এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক। শহিদুল হঠাৎ করেই এত সম্পদের মালিক হওয়ায় শহরজুড়ে বইছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

                ডিসি অফিসে ১৫ হাজার টাকা বেতনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী শহিদুল শহরের বড় মাঠের পাশে নির্মাণ করছেন ছয়তলা ফাউন্ডেশনের আলিশান বাড়ি।

                এরই মধ্যে সম্পন্ন হতে চলেছে তিনতলা। বাড়িটিতে রয়েছে লিফটের ব্যবস্থা। এ ছাড়া শহরের গোয়ালপাড়ায় নিজের আট শতক জমির ওপর বসতভিটা, সদরের শিংপাড়া এলাকায় ৬০ শতক জমি ও আবাদি এক একর জমি রয়েছে বলে জানান শহিদুল।
                খবরঃ বিডি প্রতিদিন

                জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে যোগ দেন শহিদুল ইসলাম। ২০১১ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সেখানেই অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োজিত আছেন। হঠাৎ করেই এত টাকার মালিক কীভাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল জানান, ২০১৮ সালে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গোয়াগাঁও গ্রামের চিহারু মোহাম্মদের ছেলে ইমাম উদ্দীনের কাছে ৬৫ শতক জমি কিনেছিলেন ৯ লাখ টাকায়। সেই জমি সরকারি একটি প্রকল্পে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে ২০১৯ সালে সরকারের কাছে তিনি দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করেন। সেই টাকা দিয়ে শহরের জেলা স্কুল বড় মাঠের দক্ষিণ পাশে ৬.১৪ শতক জমি কিনে ওই জমিতে ছয়তলাবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেছেন সাত মাস হলো। বাড়িটির আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গ ফুট। নির্মাণে ব্যয় হবে কোটি টাকার বেশি। সব টাকাই তিনি বৈধভাবে আয় করেছেন বলে দাবি শহিদুলের।

                তবে জমির মালিক ইমাম উদ্দীন জানালেন উল্টো কথা। তিনি বলেন, ‘‘শহিদুল আমাকে বলেছেন, ‘একটি প্রকল্পের কাজে সরকার জমিগুলো কিনবে আপনারা সরকারের কাছে জমি বিক্রি করলে টাকা পেতে দেরি হবে, ঘুরে ঘুরে টাকা তুলবেন, অনেক ঝামেলা হবে। এ ছাড়া হয়রানিসহ নানা বাধা-বিপত্তির সৃষ্টি হবে। ’ এমন ভুলভাল বুঝিয়ে আমারসহ স্থানীয় আরও কয়েকজনের কাছ থেকে শহিদুলসহ কয়েকজন জমিগুলো অল্প দামে কিনে নেন। এর মধ্যে শহিদুলের কাছে আমি ৬৫ শতক জমি বিক্রি করি। তিনি প্রতি শতকে দাম দিয়েছেন আমাকে ৪৫ হাজার টাকা করে। অথচ সেই জমি বিক্রি করে শহিদুল এখন কোটিপতি!’

                ওই এলাকার জমিবিক্রেতা ইমাম উদ্দীন, সিরাজ উদ্দীন, এনামুল হক, কাশিমসহ অন্যরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়ার গ্রিড নির্মাণের জন্য আমাদের জমিগুলো অধিগ্রহণ করবে সরকার। এমন সিদ্ধান্তের বিষয় আগে থেকেই জানতেন ডিসি অফিসে কর্মরত শহিদুল। আমাদের ভুল বুঝিয়ে দ্রুততম সময়ে জমিগুলো কিনে নেন তিনি। পরে কয়েকগুণ দামে সরকারের কাছে জমি বিক্রি করে তিনি এখন কোটিপতি। ৯ লাখ টাকার জমি ক্রয় করে সরকারের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন তিনি। সে সময় কয়েকজন জমি বিক্রি করেননি শহিদুলদের কাছে। তারা পরে সরকারের কাছে জমির দাম প্রতি শতকে দুই লাখ টাকার বেশি পেয়েছেন। কিন্তু আমরা জমি বিক্রি করেও দিয়েছিলাম, রেজিস্ট্রিও করে দিয়েছিলাম। পরে আর কিছুই করার ছিল না। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সরকারি অফিসের তথ্য সাধারণ মানুষের জানার বাইরে। সরকার কোন সময় কোন স্থানে বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করবে, কখন কোন স্থানের জমি অধিগ্রহণ করবে, সে খবর তাদের দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া বাইরের লোকজনের জানার ক্ষমতা নেই। অথচ শহিদুলের মতো কর্মচারীরা ডিসি অফিসে চাকরি করেন বলেই এমন খবর আগে থেকে জেনে তা কাজে লাগিয়ে নিরীহ মানুষকে ঠকিয়ে, ভুল বুঝিয়ে জমি কিনছেন। পরে সেই জমি বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে ন্যায্য মূল্য ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শহিদুলের কাছে জমি বিক্রি করে এখন আফসোস করছেন উল্লেখ করে ইমাম উদ্দীন জানান, সরকারি অফিসের লোকদের ফাঁদে যেন আর কেউ পা না দেয়। বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ন্যায্য পাওনা ফেরত দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34759/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  জনসমাগমের নির্দেশনা নিজেই ভাঙল ইসি



                  করোনার কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চার পাঁচজন নিয়ে কথিত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু আজ শুক্রবার ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের নামে নিজেরাই জনসমাগম করে সেই নির্দেশনার বরখেলাপ করল ইসি।

                  ২৯ মার্চের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ নগরের চারটি স্কুল ও কলেজে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কুল–কলেজের শিক্ষক, ব্যাংকার, কর কর্মকর্তা, হিসাব কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন। তাঁদের সকলের চোখেমুখে ছিল আতঙ্ক এবং ক্ষোভ। কোনো স্যানিটাইজারও দেওয়া হয়নি তাঁদের।

                  আবদুল মোরশেদ নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে একজন যদি ভাইরাস বহন করেন, তাহলে সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়বে। এটা আত্মঘাতী।

                  নগরের মোগলটুলী আজমিরি উচ্চবিদ্যালয় এবং গ্রামার স্কুলে মোরশেদসহ অন্তত দেড় হাজার ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেন। প্রতিটি কক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জনকে ইভিএমে কীভাবে ভোট নিতে হবে, তা হাতেকলমে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ইসির কারিগরি প্রশিক্ষকেরা। কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগই ছিল সুরক্ষাবিহীন। এক বেঞ্চে গাদাগাদি করে চারজনকে বসিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
                  খবরঃ প্রথম আলো

                  মরিয়ম আকতার নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘কোনোভাবেই এই নির্বাচন এখন হওয়া উচিত নয়। সরকারি চাকরি করি বলে আমরা আসতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু এটা করোনা–ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে সবাইকে।’

                  জানতে চাইল নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে নিতে হবে। তার অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ।’


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34762/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    একদম সঠিক সিদ্ধান্ত!
                    ইসলামের জন্যে এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
                    =আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী হাঃফিঃ

                    Comment


                    • #11
                      ইসলামের ছায়াতলে বিশ্ব যেদিন আসবে সেইদিন সব সমস্যার সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ্
                      আল্লাহ্ মিডিয়ার ভাইদের সাহায্য করুন আমিন।

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                          ‘তনুকে সবাই ভুলে গেছে’- মামলারও কোনও অগ্রগতি নেই



                          কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার চার বছর পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময় পরও খুনি শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলারও কোনও অগ্রগতি নেই। তনুর মা আক্ষেপ নিয়ে বলেন, সবাই তনুকে ভুলে গেছে। তবে মা হিসেবে আমি তো ভুলতে পারি না। মৃত্যুর আগে একটাই আশা তার, মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার দেখা।

                          ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর ফেরেনি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

                          থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। দুদফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট।

                          ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা—এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না।

                          সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিন জনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

                          তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, সারা বাসায় মেয়ের স্মৃতি। যেদিকে তাকাই তাকে দেখি। তাকে ভুলতে পারি না। মেয়ের কাপড়গুলো রেখে দিয়েছি। মাঝে মাঝে বের করে দেখি। কাপড়ে মেয়ের গায়ের ঘ্রাণ নিই। আর চোখের পানি ফেলি। দুই বছর ধরে সিআইডি কোনও যোগাযোগ করছে না। তনুর বাবা এবং আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আগের মতো বিভিন্ন অফিসে যেতে পারি না। মৃত্যুর আগে মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। তনু হত্যা মামলাটি তদন্তে সিআইডি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা চাই দ্রুত তনু হত্যার আসামি সনাক্ত হোক।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/20/34748/
                          ===========
                          মুহতারাম মিডিয়া ভাইদের নিকট অনুরোধ, এইভাবে মেয়েদের ছবি না দেওয়াই উত্তম মনে করছি। কেননা এইখানে মুখ ঢাকা থাকলেও দেহ দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের ছবির ক্ষেত্রে পুরো ছবিটি ঘোলা করে দিলে ভালো হয়।

                          Comment

                          Working...
                          X