Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২রা শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২রা শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    সর্বপ্রথম মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহামারিতে পৃথক থাকতে বলেছিলেন, মন্তব্য মার্কিন গবেষকের



    মহামারির প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে একে অপরের থেকে আলাদা থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এই কথাটি সর্বপ্রথম যিনি বলেছিলেন, তিনি হলেন মহানবী হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষক।

    যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ও সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’র এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেন মার্কিন গবেষক ড. ক্রেইগ কনসিডাইন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত রাইস ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক। খবরঃ আমাদের সময়

    ম্যাগাজিনে প্রকাশিত অনুচ্ছেদে মার্কিন গবেষক লিখেন, ‘মার্কিন নিউজ নেটওয়ার্ক সিএনএন জানিয়েছে, ইমিউনোলজিস্ট ডা. অ্যান্থনি ফসি এবং মেডিকেল রিপোর্টার ডা. সঞ্জয় গুপ্তের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সুন্দর ব্যবস্থাপনায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে। তারা দাবি করেছেন, এসব উপায়ই কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে থাকার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।’

    ‘আপনারা কি জানেন যে মহামারি চলাকালীন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং পৃথকীকরণের পরামর্শ কে দিয়েছিলেন?’ যোগ করেন ড. ক্রেইগ কনসিডাইন। তিনি লিখেন, ‘এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে… এমন এক সময় যখন মারাত্মক মহামারি সম্পর্কে কোনো বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। তারপরেও তিনি এসব রোগব্যাধিতে তার অনুসারীদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা ছিল কোভিড-১৯ এর মতো প্রাণঘাতী রোগ মোকাবিলায় দুর্দান্ত পরামর্শ।’

    এর উদাহরণ হিসেবে মার্কিন গবেষক মোহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন এর একটি বাণী উল্লেখ করেন। তিনি লিখেন- ‘মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন বলেছেন, যখন তুমি কোনো ভূখণ্ডে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তখন সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে প্লেগ যদি তোমার অবস্থানস্থল পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে ওই জায়গা ত্যাগ করো না।’

    তিনি আরও লিখেন, ‘যারা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের সুস্থ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে মানবজাতিকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত লোকদের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করতেন।’
    মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে হাদিসগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন সেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।
    ‘সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তিনি (নবী মুহাম্মদ) জানতেন কখন ধর্ম এবং কারণগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়; বলেন মার্কিন গবেষক।

    তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহগুলোতে কিছু লোক মারা গেছে এবং পরামর্শ দেওয়া হয় যে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করা ভালো। একই সঙ্গে মৌলিক নীতিগুলো মেনে চলা এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং পৃথকীকরণ জরুরি।’

    ‘১৪০০ বছর আগে নবী মুহাম্মদও এই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মহামারিতে প্রার্থনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা চিকিতৎসার একমাত্র মাধ্যম’, যোগ করেন ড. ক্রেইগ কনসিডাইন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35107/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তিকাল করেছেন বিশিষ্ট ধর্মপ্রচারক “নোরা এলি”!



    বিশিষ্ট ইসলাম ধর্মপ্রচারক বোন “নোরা এলি” গত ২৫ মার্চ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তিকাল করেছেন। এসময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর, তিনি ছিলেন একজন জার্মানি বংশোদ্ভূত , ১৮ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এরপর ইসলাম নিয়ে অধ্যয়ন করে নিজেই হয়ে যান ইসলামের একজন সেবিকা।

    বোন “নোরা এলি” ইউরোপিয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম আলেম ও ফিকাহবিদের প্রতীক ছিলেন, তিনি একজন সুইস মহিলা, ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি জার্মান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত সুইস চিকিৎসক “এলি ফুচেনেগার্ড” এর কন্যা।

    নোরা এলি আঠারো বছর বয়সে এক মাত্র মনোনীত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এবং 20 বছরের কম বয়সে এই পর্দানশীন নও মুসলিমা নারী সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ সুইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতেছিলেন। যা তাকে ইসলামের একজন দায়ী বা সেবিকা হিসাবে রূপান্তরিত করে। এর ধারাবাহিকতায় সুইজারল্যান্ড, জার্মান এবং অস্ট্রিয়াতে কয়েক ডজন মহিলা তার হাতে সত্য ও ন্যায় ইনসাফের ধর্ম ইসলাম গ্রহন করেন।

    নোরা এলি, আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি দয়া করুন, তিনি সুইজারল্যান্ডের অন্যতম শক্তিশালী মুসলিম রক্ষণশীল নারী হিসাবে বিবেচিত হন এবং তিনি সুইজারল্যান্ডে ওড়না নিষিদ্ধ করার আইনের বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এবং আইনটি বাতিল করতে বাধ্য করেন।

    তিনি জার্মান টিভি এবিডি (ABD)এর একটি টকশোতে বলেছিলেন: (আমি নিকাব পরার আগে যুবকরা আমাকে পণ্য হিসাবে বিবেচনা করত এবং আমার চাকচিক্য পোষাক কেবল আমার দেহের প্রতি তাদেরকে আকৃষ্ট করত, কিন্তু আমি যখন থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি এবং পরিপূর্ণরূপে পর্দা ও নিকাব পরতে শুরু করি, তখন যুবকরা আমার সাথে একজন ভদ্র মহিলার মতো আচরণই করতে শুরু করেছে।)

    পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলি তাকে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করেছিল এবং তাকে অসম্মানিত করার অনেক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের কোন চেষ্টাই ফলসই হয়নি।

    নোরা এলি প্রায়শই ইউরোপে তার বক্তৃতা এবং সেমিনারগুলিতে যে শব্দটির প্রতিধ্বনি করেছিলেন তার মধ্যে একটি বিখ্যাত শব্দ যা তিনি ইসলাম সম্পর্কে বলেছেন যে, “ইসলাম ধর্ম হচ্ছে নারীদের জন্য সবচাইতে মজবুত এক দুর্গ এবং পর্দাতেই রয়েছে নারীর মান-সম্মান।”

    এই পৃথিবীতে একটি মেয়ে যা চায় তার সবই ছিল নোরা এলির, অর্থাৎ, সৌন্দর্য, জ্ঞান, অর্থ ও বংশ, কিন্তু এই সমস্ত কিছুই তাকে ইসলাম থেকে বাধা দেয়নি


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35091/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার ক্রুসেডারদের আস্তানা পেন্টাগনে করোনাভাইরাসের হানা



      মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের চার দেয়ালের মধ্যে এবারে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। পেন্টাগনের এক মেরিন কর্মকর্তা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

      ক্রুসেডার মার্কিন মেরিন কোরের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন মনিকা উইট আরো জানান, আক্রান্ত মেরিন কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ফিরেছেন। মেরিন কোরের সদর দফতরের পরিকল্পনা, নীতি এবং অভিযানবিষয়ক বিভাগে দায়িত্বে পালন করতেন তিনি।
      রিপোর্টঃ নয়া দিগন্ত

      তার জীবন-সঙ্গীর কাছ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে আমেরিকার ৫০ অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে চলছে করোনার প্রকোপ ।

      করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়ার পর এ মেরিন কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় একঘরে হয়েছেন বা আইসোলেশনে চলে গেছেন। এদিকে তার কর্মস্থলকে জীবাণু মুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান ক্যাপ্টেন উইট।

      এ মেরিন কর্মকর্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার বিশদ তদন্ত শুরু করেছে পেন্টাগন। তবে তিনি পেন্টাগনের প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হিসেবে নিশ্চিত হলেও শেষ ব্যক্তি নন। কারণ পেন্টাগনের অনেক কর্মীই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদেরকে করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষাও করা হয়েছে তবে এখনো ফলাফল পাওয়া যায় নি।

      পেন্টাগনের ন্যাশনাল মিলিটারি কমান্ড সেন্টারের এক কর্মী এ সব সন্দেহভাজনদের অন্যতম। পেন্টাগনের এ কেন্দ্রটি সাধারণ ভাবে ‘রণ কক্ষ’ বা ‘ওয়ার রুম’ নামে পরিচিত। অন্যান্য অনেক নির্দেশের মতো প্রয়োজনে পরমাণু বোমা ফেলার নির্দেশও এখান থেকেই দেয়া হবে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35108/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আধুনিক যুগেও করোনা রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে স্পেন-ইতালি



        বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে। কোন চেষ্টা কাজে আসছে না। হিমশিম খাচ্ছে ইতালি ও স্পেনের হাসপাতালগুলো।

        এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ১০০০ মানুষের প্রাণহানি আর ৮৫,৫০০ হাজার মানুষ আক্রান্তের পর, ভাইরাস পরীক্ষায় অপ্রতুলতার অভিযোগ উঠেছে। ভাইরাস মোকাবিলায় ২ লাখ কোটি ডলারের বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ পাশ করেছে, মার্কিন সিনেট।

        ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শুধু লকডাউন দিয়ে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। রিপোর্ট বিডি প্রতিদিনের

        মাদ্রিদের সেভেরো ওচোয়া হাসপাতাল। ৮০ বেডের হাসপাতাল হলেও, কোভিড-নাইনটিন আক্রান্ত ৩০০ এর বেশি রোগী ভর্তি এখানে। প্রতিদিনই আক্রান্ত বেড়ে চলায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই স্পেনের অনেক হাসপাতালে। প্রাণহানিতে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি।

        সরকার বলছে ৩ লাখ টেস্টিং কীট আছে। অথচ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কীট নেই। সবাই নিজ পরিবার নিয়ে আতঙ্কিত। যখন কারো স্বজন আক্রান্ত হচ্ছেন, পরিবারের সদস্যরা তাকে এড়িয়ে চলছেন।

        অসুস্থদের সারিয়ে তুলতে প্রাণন্তকর চেষ্টা চলছে ইতালির হাসপাতালগুলোতে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন আইসিইউ ইউনিট। ভাইরাসে সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা খুবই আগ্রাসী, তাই সবাইকে খু্ব সচেতন থাকতে হচ্ছে। এটা একটা ভুল ধারণা যে এতে কেবল বয়স্করা আক্রান্ত হবেন।

        ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রথম একজনের প্রাণ গেছে। ২১ দিনের লকডাউন শুরুর দিন নিয়ম না মেনে ঘরের বাইরে বের হওয়ায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাজা ভোগ করতে হয় অনেককে। ২০০ এর বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে ভারতজুড়ে।

        দিল্লির কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়েছে। এ খবরে তার কাছে চিকিৎসা নেয়া ৮শ রোগীকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টিনে।

        যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই রেকর্ড ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। কেবল নিউইয়র্কে ২ শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে করোনায় শহরে শহরে ভাইরাস পরীক্ষা এমন দীর্ঘ সারি। ভাইরাস মোকাবেলায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ পাশ করেছে মার্কিন সিনেট। কোভিড-নাইনটিনের পরীক্ষার অপ্রতুলতার অভিযোগ উঠেছে দেশটিতে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35131/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনার অজুহাতে ইরাক থেকে সেনা সরাচ্ছে ফ্রান্স



          করোনার অজুহাতে ইরাক থেকে সেনা সরাচ্ছে ফ্রান্স, আগেই কেটে পড়েছিল চেক ও ব্রিটেন। ফরাসি সেনাবাহিনী বলেছে, ইরাকে মোতায়েন দেশটির সব সেনা সরিয়ে নেয়া হবে। কোভিড-১৯’এর বিস্তার ঘটাকে কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে ফরাসি সেনাদের সরিয়ে নেয়া হবে বলে দাবি করা হয়েছে।

          ইরাকে মোতায়েন সব সেনাকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত ফ্রান্স নিয়েছে বলে ফরাসি সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রণালয় জানায়। রিপোর্ট বিডি প্রতিদিনের

          মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরাকে দেশটির প্রায় একশ’ সেনা মোতায়েন ছিল। এদিকে, ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র দেশটির আস সাবাহ সংবাদপত্রকে বলেছেন, ফরাসি সেনারা এরই মধ্যে ইরাক ত্যাগ করেছে।

          এর আগে, করোনার কারণে গত সপ্তাহে ইরাকে মোতায়েন সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্যও। একই কারণ দেখিয়ে চেক সামরিক বাহিনী ইরাক থেকে তাদের সেনাদলও সরিয়ে নিয়েছে।

          ফরাসি সেনাদলকে ইরাক থেকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি তাওয়া থেকে আগুনে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনা হয়ে দেখা দেয় কিনা সে ধারণা করছেন অনেকেই। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, ফ্রান্সে ২৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি করোনায় কবলে পড়েছেন আর মারা গেছেন তেরশ’রও বেশি। অন্যদিকে ইরাকে এ পর্যন্ত ৩৪৬ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35134/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন



            চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রমণে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এবার এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
            শুক্রবার টুইটারে এক ভিডিও পোস্ট করে করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেই জানান। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

            তিনি জানান, করোনা পরীক্ষায় ফল পজিটিভ এসেছে। সেজন্য আইসোলেশনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

            এদিকে, চীনের উহান থেকে বিশ্বের অন্তত ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে আঘাত হানে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪,৮৭১ জন। এছাড়াও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৪৯,৩০৫ এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১,২৮,৬৫৪ জন।

            এছাড়া যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৭৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৩৫ জন।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35142/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনারভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই ইসরাইল সন্ত্রাসীদের থেকে বিপুল অস্ত্র কিনছে ভারত



              ভারতে করোনাবিরোধী সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইহুদিবাদী ইসরাইল থেকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশটিতে যখন করোনাবিরোধী লড়াইয়ে স্বাস্থ্যসেবার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় মুখোস বা মাস্ক কিংবা সুরক্ষা বা প্রোটেকটিভ সরঞ্জামের যখন মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে তখন এ অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিলেন মোদি। খবর- পার্সটুডে

              চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে নয়াদিল্লি সরকার জানায় যে ভারতকে ১৬ হাজার ৪৭৯টি নেগেভ হালকা মেশিন গান সরবরাহ করবে ইহুদিবাদী ইসরাইল। অস্ত্র চুক্তি গতকাল সই করা হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ বা ডিএসি ইসরাইল থেকে অস্ত্র কেনার এ চুক্তি অনুমোদন করেছিল।

              ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব অস্ত্র অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে মোতায়েন সেনাদের আস্থা বাড়াবে এবং প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সক্ষমতা দেবে। এদিকে, অস্ত্র কেনার ঘটনায় মোদি সরকার সমালোচনার ঝড়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় ভারত সরকারের ল্যাজেগোবরে অবস্থাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার এ ঝড় উঠেছে।

              ভারতে করোনাবিরোধী লড়াইয়ের অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে রয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা- এ কথা বলে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরা তাদের জন্য কোভিড-১৯ বিরোধী যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত পূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জামের দাবি তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দাবি তোলেন তারা।

              খোদ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একজন চিকিৎসক, তার স্ত্রী ও কন্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশের পরই এ দাবি তোলা হয়।

              ভারতের প্রোগেসিভ মেডিকস অ্যান্ড সায়েন্টিস ফোরামের সভাপতি হারজিত সিং ভাট্টি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পেশায় জড়িতরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তুর্কি সংবাদ মাধ্যমে আনদালু জানায় তিনি বলেছেন, এ অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন এই যে স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মুখোস বা মাস্ক, গাউন, হেড কভার বা মাথা ঢাকার বস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হোক।

              ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার যে চুক্তি নয়াদিল্লি করেছে তার সমালোচনায় নেমেছেন ভারতের মানবাধিকার কর্মী ও রাজনীতিবিদরাও।

              মানবাধিকার কর্মী কবিতা কৃষ্ণান প্রশ্ন তোলেন, করোনা সংক্রান্ত ত্রাণ সহায়তা, চিকিৎসা অবকাঠামো, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষাসহ এ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার বদলে সরকার কেনও সামরিক খাতে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করছে?

              মিডল ইস্ট আইয়ের সঙ্গে কথা বলতে যেয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক রাজনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অচিন বিনায়ক ভারত সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বলেন, এটি নজিরবিহীন এবং কঠোর নিন্দা যোগ্য।

              তিনি আরো বলেন, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতের প্রতিটি রুপি সত্যিকার বিপদ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যয় করা প্রয়োজন। এদিকে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্ব আনন্দ বলেন, করোনা সংকটের সময়ে অস্ত্র কেনার মধ্য দিয়ে ভারতকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের মতো কঠোর বাধানিষেধের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

              এদিকে, ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিকে লেখক এবং লন্ডন পোস্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শহিদ কোরেশি সম্প্রতি বলেছেন, মোদি ভারতের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুতে পরিণত হতে চলেছেন। তিনি এনআরসি এবং সিএএ’র প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, নেতানিয়াহুর কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন মোদি এবং এমন বিল অনুমোদন করেছেন যা ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

              ভারতে গত মাসে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ৫০০ ব্যক্তি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনতাকে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে, মসজিদ এবং মুসলমানদের ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আগুন দিতে ও লুটপাট করতে দেখা গেছে।

              মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময়ই এ মুসলিম গণহত্যা চালানো হয়।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35138/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ায় মুসল্লিদের উপর মালাউন পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জ



                করোনা ওজুহাতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে ভারতে। প্রায় জনমানব শূন্য প্রতিটি এলাকা। এ পরিস্থিতিতে দেওবন্দের একটি মসজিদে নামাজ চলাকালীন সময়ে মুসল্লিদের উপর নির্মম লাঠিচার্জ করেছে সন্ত্রাসী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মালাউন পুলিশ। নামাজ শেষে যারাই মসজিদ থেকে বের হয়েছে তাদেরকেই নির্মমভাবে লাটিচার্জ করেছে। খবর-ইসলামিক মিডিয়া দেওবন্দ

                গতকাল বৃপস্পতিবার (২৬ মার্চ) ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। দেওবন্দ ভিত্তিক ইসলামিক মিডিয়ার একটি ভিডিওটিতে দেখা যায়, যোগী সরকারের পুলিশের সন্ত্রাসীরা মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় লাঠিচার্জ করছে।

                এতে মুসল্লীরা দ্রুত মসজিদ ছাড়তে বাধ্য হয়। অনেকে নামাজ অর্ধেক পড়ে, কিন্তু পূর্ণ করার সুযোগ মেলেনি। পুলিশের লাঠিচার্জ দেখে মুসুল্লিরা এদিক-ওদিক দৌড়াতে থাকে। আবার অনেকে পায়ের জুতো রেখেই মসজিদ ত্যাগে বাধ্য হয়।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35097/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় গৃহহীন মানুষের আশ্রয়ও কেড়ে নিলো করোনা আতঙ্ক



                  দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের আগুনে তাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন। আশ্রয় ছিল ক্যাম্প। করোনা সেই ক্যাম্পও কেড়ে নিল। এ বার কোথায় যাবেন তাঁরা? খবর-ডয়চে ভেলে


                  আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার ক্যাম্প

                  অন্ধকার, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

                  কতদিন এ ভাবে থাকতে হবে ক্যাম্পে? এরপর কোথায় যাবেন? বাড়ি সারাইয়ের টাকা কোথা থেকে আসবে? কিচ্ছু জানেন না ওঁরা। চোখ বন্ধ করলেই এখনও আগুনের দৃশ্য ভেসে আসছে বার বার।



                  মানসিক অসুখ
                  ক্যাম্পের চিকিৎসকদের বক্তব্য, অধিকাংশ মানুষ ট্রমায় ভুগছেন। তাঁদের কাউন্সেলিং প্রয়োজন।


                  দু’চোখ ভরা জল। গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। বাড়ি বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। কান্না আর আতঙ্ক সঙ্গী করে এ ভাবেই ক্যাম্পে জীবন কাটছে হাজার হাজার মানুষের।


                  চার দিন ধরে ধ্বংসলীলা চলেছে উত্তর পূর্ব দিল্লির এই এলাকায়। অনেক বাড়ি আস্ত নেই। ছাই হয়ে গিয়েছে সব কিছু।




                  এখনও রাস্তার দুই ধারে পোড়া পোড়া বাড়ি। কোনও বাড়ির ছাদ নেই। কোথাও ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোকান ঘরের ভিতর এখনও টাটকা সন্ত্রাস। মাস কেটে গিয়েছে, করোনায় লকডাউন দিল্লি। কিন্তু গণহত্যার ক্ষত মুছে যায়নি। শুনশান রাস্তার ধারে ইতিহাসের দলিল হয়ে জেগে রয়েছে জনমানবহীন কিছু কাঠামো।

                  উত্তরপূর্ব দিল্লির ভয়াবহ গণহত্যার পরে গৃহহীন, দিশাহীন মানুষদের জন্য বেশ কিছু ক্যাম্পতৈরি করা হয়েছিল। কোনও কোনও ক্যাম্প তৈরি হয়েছিল ব্যক্তি বা সংস্থার প্রচেষ্টায়। হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন সেই সব অপরিসর আস্তানায়। তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন, পড়েছেন, দেখেছেন পাঠক। সেই তখনই ক্যাম্পের চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, করোনা ছড়িয়ে পড়লে অপরিসর ক্যাম্পে গায়ে গায়ে বেঁচে থাকা মানুষেরা আরও বিড়ম্বনায় পড়বেন। পড়লেনও। মঙ্গলবার মালাউন সরকারের আদেশে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ক্যাম্প। ক্যাম্পের অধিবাসীদের বলা হয়েছে ফিরে যেতে নিজেদের বাড়ি। আর যাঁদের বাড়ি নেই, ধ্বংস্তূপে পরণত হয়েছে যাঁদের বাসা, তাঁদের বলা হয়েছে, বাড়ি খুঁজে নিতে।

                  করোনার কারণে যথেষ্ট আপত্তি সত্ত্বেও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শাহিনবাগকে। প্রায় ১০০ দিন ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি, এনপিআর নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছিলেন সাধারণ ঘরের অসংখ্য নারী। এর আগে রাজনীতি বা আন্দোলনের সঙ্গে যাঁদের কোনও সম্পর্কই ছিল না। শাহিনবাগ মডেল হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। রাজ্যে রাজ্যে শাহিনবাগ তৈরি হয়েছিল। করোনার ওজুহাতে আপাতত সেই সমস্ত আন্দোলনও বন্ধ করা হয়েছে। হয়তো লকডাউন শেষ হলে নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে। আন্দোলনকারীরা অন্তত সে কথাই বলছেন।

                  কিন্তু ক্যাম্পের মানুষেরা? অযাচিত বর্বর হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলায় কেড়ে নিয়েছিল যাদের সুখী গৃহকোণ। তাঁরা যেচে ক্যাম্পে আসেননি।



                  মেডিক্যাল ক্যাম্পে অন্তঃসত্ত্বা

                  ২৮ সপ্তাহের শিশুকে পেটে নিয়ে মাঝ রাতে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়েছিলেন মা। ক্যাম্পেই চলছে তাঁদের চিকিৎসা।

                  মাঝরাতে পেটে চার সপ্তাহের সন্তান নিয়ে যে মহিলা দেখে ছিলেন নিজের বাড়ি ছাই হয়ে যেতে, আক্রমণকারীদের তাড়া খেয়ে যিনি মাইলের পর মাইল দৌড়ে একটা ত্রিপলের আশ্রয় পেয়েছিলেন, কী হবে তাঁর? মাত্র এক সপ্তাহ আগে মুস্তাফাবাদের ক্যাম্পে এক মুখ আতঙ্ক আর ভয় নিয়ে সাংবাদিককে সেই মহিলা বলেছিলেন, ”ওই রাতে পেটের বাচ্চাটা মরে গেলেই ভাল হত বোধহয়। ওর জন্ম হলে কোন পৃথিবী উপহার দেব ওকে? জন্মের মুহূর্তেই তো ও জেনে যাবে ওর কোনও বাড়ি নেই, কোনও আশ্রয় নেই।” বুধবার সেই মহিলাই ফোনের ও প্রান্তে কেবলই নিঃশ্বাস নিয়ে গেলন। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়া আর কোনও অভিব্যক্তি নেই। জানেন না, এর পর এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে পেটের বাচ্চাকে কোন আশ্রয়ে পৌঁছে দেবেন। ক্যাম্পে তাও খানিকটা আশ্রয় পেয়েছিলেন এখনও আহত, আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ। এ বার তাঁরা কোথায় যাবেন, কী করবেন, কেউ জানে না।



                  ক্যাম্পের দিকে দিকে এ ভাবেই ছড়িয়ে রয়েছে সব হারানো মুখ।

                  সরকার নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের বাড়ি এখনও সামান্য অক্ষত, তাঁরা যেন বাড়ি ফিরে যান। আর যাঁদের নেই, তাঁদের ভাড়াবাড়ি খুঁজে নিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়ির ব্যবস্থা করছেন। তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন ক্যাম্পের বাসিন্দারা। পাঁচ সন্তানকে নিয়ে ক্যাম্পে ছিলেন শাবানা আনসারি। ফিরে যাওয়ার মতো বাড়ি নেই তাঁর। সব জ্বলে গিয়েছে। এক কাপড়ে সন্তানদের নিয়ে ক্যাম্পে চলে এসেছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর প্রশ্ন, ”তিন হাজার টাকা আর কিছু চাল-ডাল নিয়ে এতগুলো বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় বাড়ি খুঁজব? কে দেবে বাড়ি আমায়?” দিল্লিতে এমনিতেই এখন বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বাড়িওয়ালারা ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। লকডাউনের পরে বাড়ি পাওয়া আরও মুশকিল। পুলিশ রাস্তায় হাঁটতে চলতে দিচ্ছে না। পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ। এই অবস্থায় ক্যাম্প থেকে বিতাড়িত মানুষেরা আরও অসহায় হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, ক্যাম্পে থেকে করোনা হলে অন্তত একটা হাসপাতালে পৌঁছনো যেত, অন্তত কিছুদিন মাথা গোঁজার একটা জায়গা পাওয়া যেত। এখন সেটুকুও নেই।

                  আর যাঁরা ফিরেছেন নিজেদের বাড়ি? দশ বছরের এক শিশু টেলিফোনে সাংবাদিককে বলেছেন, নিজের বাড়িতে ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার। কেবলই মনে হচ্ছে হাতে অস্ত্র নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে শেষ করে দেবে কিছু হিংস্র মানুষ। চোখ বুজতে হচ্ছে না, খোলা চোখেই দৃশ্যগুলি ভেসে আসছে বার বার। শিশুর বাবার বক্তব্য, ”বাড়ি তো ফিরে এলাম। কিন্তু সামান্য জিনিস কিনতে পাড়ার দোকানে যেতেও ভয় হচ্ছে। যদি কোনও অঘটন ঘটে যায়। যে আগুনকে পিছনে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলাম, সেই আগুনের ভিতরেই আবার ঢুকে পড়লাম মনে হচ্ছে। এ ভাবে বেঁচে থাকা অসম্ভব।”

                  গোটা দিল্লির মুখে এখন কেবলই করোনা। উচ্চ-মধ্য-নিম্নবিত্ত, গরিব-এলিট সকলেই ২১ দিনের লকডাউনকে স্বাগত জানিয়েছেন। সকলেই বুঝতে পারছেন, করোনা ছড়াতে শুরু করলে কী সাংঘাতিক পরিস্থিতি তৈরি হবে। শুধু উত্তরপূর্ব দিল্লির এক বিশাল অঞ্চল করোনা আতঙ্ক টের পাচ্ছে না। জীবনই তাঁদের কাছে এখন সব চেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

                  ক্যাম্প থেকে উৎখাত হওয়া এই মানুষগুলির জন্য দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না? অন্তত লকডাউনের ২১ টা দিন যাতে কোনও ভাবে জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন তাঁরা? পরের কথা পরে হবে। আপাতত এটুকু হোক। কিছু মানুষকে এ ভাবে বাঘের খাঁচা থেকে সিংহের গুহায় পাঠিয়ে দিলে মনুষ্যত্ব ক্ষমা করবে না।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35103/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    চবি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে সুরক্ষা উপকরণ জোর করে নিয়ে গেছে ছাত্রলীগ



                    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ১০০টি গ্লাভস, ২৭ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১০টি মাস্ক জোর করে নিয়ে গেছে শাখা ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চবি মেডিক্যাল সেন্টারের গুদাম থেকে সংগঠনটির কয়েকজন নেতা-কর্মী এসব নিয়ে যান।

                    সুরক্ষা উপকরণ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন, “ছাত্রলীগ মরে যাবে কিনা। এসব সুরক্ষা উপকরণ তাঁদের দরকার, দিতে হবে।” কিন্তু এসব গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার চিকিৎসকদের জন্য আমরা সংগ্রহ করেছি। অতিরিক্ত থাকলে দেওয়ার কথাও বলি। কিন্তু কয়েকজন নেতাকর্মী জোর করে এসব নিয়ে যান।’


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35100/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      পাথরখনি লকডাউন, বেতনের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শ্রমিকদের



                      মধ্যপাড়া কঠিনশিলা খনির শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর কর্মকর্তাদের ১৪ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। তবে, খনি কর্তৃপক্ষ আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে তাদের বকেয়াসহ চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলে আজ বুধবার বেলা ১২টায় শ্রমিকরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
                      খবরঃ কালের কন্ঠ

                      জানা যায়, মধ্যপাড়া কঠিনশিলা খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির অধীনে সহস্রাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক খনির ভূগর্ভস্থ ও উপরিভাগে কাজ করেন। এসব শ্রমিককে গত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। তা ছাড়া চলতি মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রেখে মঙ্গলবার রাত ৯টায় খনির উৎপাদনসহ সব বিভাগের কাজ বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় জিটিসি।

                      জিটিসির ড্রিলিং অ্যান্ড ব্লাস্টিং অপারেটর মো. রফিকুল ইসলাম বুধবার বেলা ১টায় বলেন, আমাদের শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন না দিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে খনির কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হলে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

                      মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুজ্জামান বলেন, জিটিসির কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের পুরো বেতন। এ ছাড়াও চলতি মাসের বেতনও পাবেন তারা। তিনি আরো বলেন, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশ করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হয়েছে। আমরা জিটিসির সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। শ্রমিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

                      ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35113/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ‘বাবারে, পেটে তো লকডাউন হয় না’



                        সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে উপজেলা।

                        বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। এরই মধ্যে ভিন্নচিত্র চোখে পড়ে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাপনগর গ্রামে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় নুরুদ্দিন মিয়ার দোতলা বাড়ির ছাদঢালাইয়ের কাজ চলছে। প্রায় ৩০-৩৫ জন নির্মাণশ্রমিক ছাদঢালাইয়ের কাজ করছেন। নুরুদ্দিন মিয়ার সন্ধান করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

                        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মান শ্রমিক বলেন, বাবারে, পেটে তো লকডাউন হয় না। কাজ না করলে খামু কি? পরিবারের সবাই অনাহারে মারা যাবে। সবাই শুধু মুখোশ আর হাতধোয়ার ঔষুধ দেয়, পেটে দেয়ার মতো খাবার তো কেউ দেয় না।

                        শ্রমিক সর্দার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সারাদেশে লকডাউন চললেও সাধারণ অসহায় ও দিনমজুরদের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এ ছাড়া কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও কারো জন্য কোন রকম খাদ্যদ্রব্য নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এ অবস্থায় দিনমজুর শ্রেণির লোকেরা করোনা আগেই না খেয়ে মারা যাবে।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35114/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          মহা সংকটেও কিস্তি আদায় ছাড়ছে না এনজিওগুলো



                          করোনাভাইরাসের কারণে সবধরনের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘাষণা করা হলেও তা মানছেন না ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এনজিওগুলো। মঙ্গলবার বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিস্তির টাকা আদায় করায় জনমনে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।

                          আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শ্রেণিকরণ কার্যকর হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোনো প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ভূরুঙ্গামারীর এনজিওগুলো এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছে। কালের কন্ঠের রিপোর্ট

                          উপজেলার কাশিম বাজার এলাকার বাসিন্দা উপেন্দ্রনাথ বাবু অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশ যখন আতঙ্কিত সে সময় টিএমএস নামের এক এনজিও এর ম্যানেজার ও মাঠকর্মীরা আগামী ২৮ তারিখের মাসিক কিস্তি অগ্রিম আদায়ে ব্যস্ত। একই এলাকার আর একজন ঋণগ্রহীতা শান্তণা রানী বলেন, আমার কোনো মাসের কিস্তি বাকি নাই। প্রতিমাসের ২৮ তারিখ আমি কিস্তির টাকা দিই। কিন্তু ২৮ তারিখ না আসতেই টিএমএসএস এর মাঠকর্মী কিস্তির জন্য বার বার চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের কোনো আয় নাই রোজগার নাই। তাই কিস্তির টাকা এখন কিভাবে দিই। কিন্তু তারা মানছে না।

                          বিষয়টি নিয়ে টিএমএমএস মাঠকর্মী ফারুক আহমেদ বলেন, ঋণগ্রহীতারা তো নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের কমিটমেন্ট দিয়েই ঋণ নিয়েছেন। তা ছাড়া মাসিক কিস্তি পরিশোধের সময় যাদের পার হয়েছে কেবল তাদেরকেই চাপ দিচ্ছি। অগ্রিম কিস্তির চাপ দিইনি। চাপ না দেওয়ার জন্য নির্দেশের কথা বললে তিনি বলেন, অফিস তো টাকা চাচ্ছে।

                          টিএমএসএস কাশিম বাজার শাখার ব্যাবস্থাপক হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা রয়েছে তাই বাড়ি যাবার আগে কিস্তির টাকাগুলো ওঠানো তাদের জন্য জরুরি। তিনিও অগ্রিম কিস্তি আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

                          এনজিও ‘উদ্দীপন’ ভূরুঙ্গামারী শাখার ব্যবস্থাপক আজিজুল হক বলেন, কিস্তি চালু আছে তবে চাপ দিচ্ছি না। যারা দিতে পারছেন কেবল তাদেরটাই নিচ্ছি। নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় তিনি বলেন, আমি সকল মাঠকর্মীদের ডেকে পাঠাচ্ছি।

                          ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে কথিত আশ্বাস দেন।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35123/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            খাদ্য সংকটের আশংকা করোনায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন্সে



                            বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের কিছুটা নিরাপদে রাখতে সক্ষম হয়েছেন দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন্সের বাসিন্দারা। গত ২০ মার্চ থেকে দ্বীপে পর্যটকবাহী সব জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সর্বশেষ বুধবার থেকে দ্বীপে যাতায়তকারী অন্যসব নৌযানও বন্ধ হয়।

                            এতে করে নতুন করে দ্বীপে কোন মানুষের আগমণ ও নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্বীপের বাসিন্দাদের উৎকণ্ঠা খাদ্য সংকট নিয়ে। খবরঃ কালের কন্ঠ

                            সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, করোনাভাইরাস যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ছড়ায় সেহেতু দ্বীপে সব ধরনের মানুষের আসা যাওয়া বন্ধ থাকবে এটা সবার জন্য ভালো দিক। এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে দ্বীপে কোনো মানুষকে ঢুকতে দেবেনা বলে জানিয়েছেন। এছাড়া অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া নিজেরাও দ্বীপ না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন বলে জানায়। তবে দ্বীপবাসী আশঙ্কা করছে এ পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চললে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপবাসীর কষ্টের সীমা থাকবেনা।

                            সেন্ট মার্টিনসের বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, পর্যটক আগমণ বন্ধ হওয়ার পর দ্বীপে মাছধরার ট্রলার ও যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এ অবস্থা দীর্ঘদিন বিরাজ করলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। তাছাড়া সাধারণ মানুষ রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসাসেবাও ব্যাহত হতে পারে।

                            দ্বীপের আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দ্বীপে পর্যটন ব্যবসায় বন্ধ হওয়াতে মানুষের আয়ের পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সাধারণ মানুষ যারা দিনে এনে দিনে খায় তাদের কষ্ট হবে সবচেয়ে বেশি। এ মুহুর্তে দ্বীপে দরিদ্র মানুষের খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য দাবি থাকবে আমাদের।’


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/27/35124/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                              Comment

                              Working...
                              X