Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২৮শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২৮শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    মার্কিনীদের মধ্যে অস্ত্র ক্রয়ের হিড়িক: বিক্রি বেড়েছে ৮০০ গুণ!



    আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত দুই সপ্তাহে অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৮০০ গুণ। করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সামাজিক অস্থিরতা, লুট-পাট এবং হাঙ্গামা বাড়তে পারে আশংকা করে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে অস্ত্র ক্রয়ের হিড়িক পড়ে গেছে। খবর- পার্সটুডে

    ওকলাহোমার ডগস গানস এবং তুলসার অ্যামো এবং রিলোডিংয়ের মালিক ডেভিড স্টোন জানান, অস্ত্র বিক্রি আগের তুলনায় ৮০০ গুণ। এখন অস্ত্র ফুরিয়ে যায় নাই তবে এমন পরিস্থিতির মুখে দ্রুত পড়তে চলেছি।

    তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে সব ক্রেতা তড়িঘড়ি অস্ত্র কিনতে ছুটে আসছেন তারা সবাই জীবনের প্রথম অস্ত্র কিনছেন। আর হাতের কাছে যে অস্ত্র পাচ্ছে তাই তারা কিনে নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।



    আমেিরকায় অস্ত্র চালনা শিখছে কিশোররা

    আমেরিকার অনেক অস্ত্র দোকানের মালিক রাতারাতি চাহিদা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অনুভব করছেন। করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেবে এবং গোটা আমেরিকা জুড়ে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। সে সময়ে আত্মরক্ষার তাগিদে অনেকেই অস্ত্র কিনতে ছুটে আসছেন।

    আমেরিকায় করোনায় মারাত্মক প্রকোপ পড়েছে যে সব অঙ্গরাজ্য অন্যতম ওয়াশিংটন। এ অঙ্গরাজ্যের লেনউড গানের মালিক টিফ্যানি টিসডেল বলেন, তার দোকানের অস্ত্র বিক্রি অনেক বেড়েছে। ক্রেতারা দোকান খোলার এক ঘণ্টা আগে থেকেই অস্ত্র কেনার জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

    তিনি আরও জানান, ব্যস্ত দিনে তারা গড়ে ২০ থেকে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতেন কিন্তু এখন দেড়শটি পর্যন্ত অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। শটগান, হ্যান্ডগান কিনছেন অনেকেই আর অনেকেই কিনছেন আধা স্বয়ংক্রিয় এআর১৫। সপ্তাহে সাত দিনই দোকান খোলা রাখছেন বলেও জানান তিনি।

    তার ক্রেতাদের মধ্যেই অনেকেই প্রথম অস্ত্র কিনছে তাই তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া, অস্ত্র কি করে ব্যবহার করতে হয় তাও দ্রুত শিখিয়ে দিতে হচ্ছে। তরুণ থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী নারীপুরুষসহ সবধরনের মানুষই অস্ত্র কিনছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, এর মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়, ভারতীয় হিসপানিক সব জাতিগত সংখ্যালঘুর মানুষজন আছেন।

    ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য, আলবামা এবং ওহাইওসহ গোটা আমেরিকায় অস্ত্রের বিক্রির হার বাড়ছে।

    এভরিটাউন ফর গান সেফটির সভাপতি জন ফেইনব্ল্যাট বলেন, কোভিড-১৯’র প্রকোপের মুখে অস্ত্র আমেরিকাকে কোনও নিরাপত্তা দেবে না।


    সূত্র; https://alfirdaws.org/2020/03/28/35156/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের ৫ সদস্য



    যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের আরও দুই সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচজন কংগ্রেস সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।

    গতকাল শুক্রবার করোনাভাইরাসে শনাক্ত চতুর্থ ও পঞ্চম কংগ্রেস সদস্য হলেন জো কানিংহাম ও মাইক কেলি।
    খবরঃ আমাদের সময়

    সাউথ ক্যারোলিনার ডেমোক্রেট নেতা জো কানিংহাম মার্চের ১৯ তারিখ থেকে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এরপর গতকাল শুক্রবার করোনা পজেটিভ আসে তার।

    অন্যদিকে পেনসিলভানিয়ার রিপাবলিকান নেতা মাইক কেলি এক সপ্তাহ যাবত ফ্লুর মতো লক্ষণ ছিল তার শরীরে। পরীক্ষার পর করোনা ধরা পড়ে।

    এর আগে, র*্যান্ড পল, মারিও ডিয়াজ ও বেন ম্যাকএডামস নামে তিনজন কংগ্রেস সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও আরও ২০ জনের বেশি কংগ্রেস সদস্য সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

    এদিকে, গতকাল শুক্রবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিভের জন্য অর্থনৈতিক ত্রাণ হিসেবে ২.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিল পাস করেছে মার্কিন সিনেট।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35195/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর করোনার খবর শুনেই পালিয়ে গেলো উপদেষ্টা



      ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসার খবর গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নিজেই জানিয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী জনসন।

      এদিকে, জনসনের করোনা আক্রান্তের খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন তার সিনিয়র উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস।

      স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়ে বরিস জনসনের টুইট করার কিছুক্ষণ আগে অন্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সিনিয়র উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংসও তার কার্যালয়ে ছিলেন।

      প্রধানমন্ত্রীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেই তিনি হন্তদন্ত হয়ে কাউকে কিছু না বলে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে ছুটতে থাকেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার কাঁধে ল্যাপটপ ব্যাগ ঝোলানো ছিল।

      সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা যায়, বা হাতে একটা ব্যাগ কোনোরকমে চেপে ধরে ডমিনিক কামিংস ছুটে পালিয়ে যাচ্ছেন।

      ডমিনিক কামিংসের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড এড়ানোসহ বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করছিলেন কামিংস। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেই দ্রুত ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করেন। রিপোর্ট আমাদের সময়

      এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তার করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছেন।

      এছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রিস হুইটির শরীরেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রথম দু’জনের টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ এলেও হুইটির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিনি নিজেই সাত দিনের সেলফ-আইসোলেশনে গেছেন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35198/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        এক সপ্তাহে ৩৩ লাখ বেকার যুক্তরাষ্ট্রে



        করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বিশ্বজুড়ে চাকরি হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ১১৩ জন, যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার এবং মারা গেছেন ১৭১ জন।

        এর প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজারে। লাখো মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলা করতে ‘লকডাউন’ করায় চাকরি হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। দেশটির শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৩৩ লাখ মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

        এর আগে ১৯৮২ সালে এক সপ্তাহে ৬ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেছিল। এবার তার পাঁচগুণ বেশি মানুষ এ ভাতার জন্য আবেদন করেছেন।

        বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ হতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো নাজুক। বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্তিমিত। গাড়ি নির্মাতারা কাজ বন্ধ রেখেছেন, বিমান ভ্রমণ কমেছে উলেস্নখযোগ্য হারে।

        অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন জনগণের এক-পঞ্চমাংশ এখন লকডাউন পরিস্থিতিতে আছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ছিল ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সামনের সময়ে দেশটির শ্রমবাজার আরও শক্তিশালী হবে এমনটাই আশা ছিল অর্থনীতিবিদদের।

        তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশটির পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ওলটপালট হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৩ লাখ মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশটিতে বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35183/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          দিল্লিতে লকডাউনে সব্জির গাড়ি উল্টে পুলিশের তাণ্ডব, ভিডিও ভাইরাল



          করোনাকে ঠেকাতে গোটা ভারত জুড়ে ২১ দিনেরৎ লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউনে সাধারণ মানুষের উপর একাধিক জায়গায় পুলিশি তাণ্ডবের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও কানধরে উঠবোস, কোথাও রাস্তায় গড়াগড়ি আবার কোথাও লাঠিচার্জ। পুলিশের এমন অমানবিক কর্মে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এমনকি বুধবার সন্ধ্যায় এরাজ্যের হাওড়ার সাঁকরাইলে পুলিশের মারে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খবর-টিডিএন বাংলা




          লকডাউনের মধ্যে এরকমই আরেক ভিডিও সামনে এসেছে। দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবল অমানবিক আচরণ করেছেন সবজিওয়ালার সঙ্গে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউনিফর্ম না পরা অবস্থাতেই সবজির থলি উল্টে দিচ্ছে। রাজবীর নামের সেই অভিযুক্তের এই কীর্তি ভাইরাল হয়েছে।

          জানাগেছে, ঘটনাটি দিল্লির রঞ্জিত নগর অঞ্চলের। বুধবার রাজবীর লকডাউন সরেজমিন তদন্তে ইউনিফর্ম ছাড়াই পথে নামে। তারপরেই অত্যাচার চালায় দুই দরিদ্র সবজি বিক্রেতার ওপর। তাঁরা রুটি ঐর সবজি বিক্রি করছিলেন। তাঁদের গাড়ি উলটে দেয় সে। জোড়হাতে মিনতি করেও রেহাই পাননি তাঁরা। পুরো ঘটনা এক প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইলে ভিডিও করে নেন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35171/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জুমার পরিবর্তে বাসায় জোহর নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা

            করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জুমা নামাজের পরিবর্তে বাসায় জোহর নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা। লকডাউন পরিস্থিতিতে মসজিদে ভিড় এড়াতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভিন্ন মসজিদে জুমা নামাজের বড় জামাতের পরিবর্তে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ পরিচালন কমিটির কয়েকজন মিলে সংক্ষিপ্ত জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

            পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মাদ শফিক কাশেমি আগেই মুসুল্লিদের বাসায় নামাজ পড়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। একইভাবে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান, অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামাআতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মাতীন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী, দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইয়্যেদ আহমেদ বুখারী, দিল্লির ফতেপুরি মসজিদের ইমাম মুকাররম আহমেদ, বেঙ্গল ইমামস এসোসিয়েশন-এর চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ইয়াহিয়া ও অন্যদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করার পরিবর্তে বাসায় নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

            আজ (শুক্রবার) সকালে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের পক্ষ থেকে মসজিদে জুমা নামাজের পরিবর্তে বাসায় জোহর নামাজ আদায় করতে বলা হয়।

            রাজধানী দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদে জুমার দিনে কমপক্ষে ১০ হাজার মুসুল্লির সমাগম হয়। ঈদে কমপক্ষে মসজিদটিতে ১ লাখ মুসল্লির জমায়েত হয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্তের জামাতে কমপক্ষে ২ হাজার মুসল্লি নামাজে শামিল হন। কিন্তু আজ নজিরবিহীনভাবে সেখানকার কর্মীসহ মাত্র ১০ জনের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

            এ ব্যাপারে ‘বেঙ্গল ইমামস এসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ইয়াহিয়া আজ (শুক্রবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বেঙ্গল ইমাম এসোসিয়েশন’ গত মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায় যে মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মসজিদ যেন ভিড় কমিয়ে ফেলে। শুধুমাত্র আযান চালু থাকবে এবং ৩ থেকে ৫ জন মিলে জামাত চালু রাখবেন বলে আমরা বিবৃতি প্রকাশ করি। আমরা জুমা নামাজের জন্যও একই আবেদন জানিয়েছিলাম। যেন জুমা নামাজেও দয়া করে মসজিদে মুসুল্লিরা ভিড় না করেন। যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন তারা যেন বাসায় জোহর নামাজ পড়ে নেন। জুমা নামাজ কেবলমাত্র ইমাম সাহেব ৫/৬ জনকে নিয়ে আদায় করবেন।’

            তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্* আমাদের বেঙ্গল ইমাম এসোসিয়েশনের ডাকে যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। কোলকাতা তো বটেই, সুদূর কুচবিহার, দিনাজপুর, জলপাইগুড়িসহ অন্যান্য জেলা থেকেও আমাদের কাছে রিপোর্ট এসেছে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের আবেদন কার্যকর করে এতে সাড়া দিয়েছেন। আমরা খুব খুশি যে ইমাম সাহেবরা সচেতনতার বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সমর্থ হয়েছেন।’


            সূত্র: https://alfirdaws.org/?p=35155&preview=true
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              উন্নয়নের আসল চিত্র ফাঁস, নির্মাণের এক বছরেই সড়কে ধস



              নোয়াখালী জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন চাটখিলের খিলপাড়া-ইট পুকুরিয়া সড়ক সংস্কারের পর এক বছর অতিবাহিত হতে না হতে এর বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। এতে করে এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

              খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খিলপাড়া থেকে দেলিয়াই সড়কটি দীর্ঘ চার কিলোমিটার। এখানে গত বছর সংকরপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়ির সামনে থেকে পশ্চিম দেলিয়াই পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হয়। সংস্কারের সময় অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হয়নি, ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। এতে করে এক বছর অতিবাহিত না হতে সড়কটি মাঝে মধ্যে ধসে গেছে। সড়কের দুই পাশে ১০-১২ স্থান ধসে পড়ে পাশের জমি এবং খালের সঙ্গে মিশে গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শতাধিক হালকা যানবাহন, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ও ৫ শতাধিক লোকজন চলাচল করে থাকে। সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়ায় চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খবরঃ যায়যায়দিন

              উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, তিনি এখানে এসেছেন অল্প কয়েকদিন হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35129/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                এবার কুষ্টিয়ায় ওয়ার্ডবয় দ্বারা প্রসূতির অপারেশন!



                কুষ্টিয়ার খোকসায় একটি ক্লিনিকে ওয়ার্ডবয় ডাক্তার সেজে প্রসূতির সিজার অপারেশন করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে।

                প্রসূতির পরিবার ও যায়যায়দিন সূত্রে জানা গেছে, সন্তান সম্ভবা শ্রাবন্তীর (২৫) প্রসব বেদনা দেখা দিলে বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করে। স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের এক সিনিয়র স্টাফ নার্স ও স্থানীয় এক দালালের খপ্পরের পরে বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রাবন্তীকে স্থানীয় আইডিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। রাত ৯টায় প্রসূতির অবস্থা খারাপ হলে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ক্লিনিকের ওয়ার্ডবয় নোমান (৩০) ও নার্স রেশমা (২২) অপারেশন শুরু করেন।

                উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্ত ডা. কামরুজ্জামান জানান, তার স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের একজন সিনিয়র স্ট্যাফ নার্স এ চক্রের সঙ্গে জড়িত।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35182/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  আবারও জায়েজ বিয়ে ভেঙে দিল তাগুত বাহিনী, কনের পিতাকে সাজা



                  মাদারীপুরের তাগুত, রাজৈরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শুক্রবার বন্ধ করে দিয়েছে শরীয়ার আলোকে একটি বিয়ের আয়োজন। দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে দিচ্ছিলেন পিতা ইউসুব মাতুবর। একজন মুসলিম হিসেবে জায়েজ বিয়ে দিয়েও তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে তাগুত বাহিনীর ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলার টেকেরহাট আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ছিল এ বিয়ের আয়োজন।

                  কালের কন্ঠের সূত্র জানায়, শুক্রবার টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এ বিষয়ে জানতে পেরব রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাগুত সোহানা নাসরিন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কনা টেকেরহাট বন্দর আবাসিক এলাকার বাসাটিতে হাজির হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করার পাশাপাশি ছাত্রীর পিতাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35189/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    অব্যবস্থাপনার কারণে বিদেশফেরত অনেককেই খুঁজে পাচ্ছে না আওয়ামী দালাল পুলিশ



                    দেশের বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের অনেকেরই খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের কাছে ইমিগ্রেশন থেকে আসা তালিকায় ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলাতে এ পর্যন্ত ৭১৩ জন দেশের বাইরে থেকে এলাকাতে এসেছেন। অথচ পুলিশ এ দুটি থানাতে সর্ব মোট ৫৩৭ জনের সন্ধান পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট থানাগুলো থেকে কালের কণ্ঠকে জানানো হয়েছে। বাকিদের নাম-ঠিকানা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।

                    কোটচাঁদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত কোটচাঁদপুর উপজেলাতে ২০৫ জন দেশের বাইরে থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে আমরা ১৬১ জনের হদিস পেয়েছি। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর থানার ওসি মোরশেদ হোসেন খান বলেন, এ উপজেলাতে ৫০৮ জন বাইরের দেশ থেকে এসেছেন বলে আমরা ইমিগ্রেশন থেকে লিস্ট পেয়েছি। তাদের মধ্যে ৩৭৬ জনের সন্ধান পেয়েছি। বাকিদের নাম-ঠিকানা সঠিক নয়।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35193/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      এবার মিরপুরে গার্মেন্টস খোলা রাখায় শ্রমিকদের আন্দোলন



                      করোনা আতঙ্কের মধ্যেও রাজধানীর মিরপুরে একটি গার্মেন্টস খোলা রাখায় সড়কে নেমে আন্দোলন করেছে শ্রমিকরা।

                      আজ শনিবার দুপুরে মিরপুর দুই নম্বর এলাকার বড়বাগে সিরাজগঞ্জ ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটেছে।

                      আমাদের সময় বরাতে জানা যায়, বিজিএমইয়ের আহ্বানের পরও ওই গার্মেন্টস বন্ধ করা হয়নি। তাই করোনা আতঙ্কে সিরাজগঞ্জ ফ্যাশন নামের ওই গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা আন্দোলন করছে।

                      ছুটি পেয়ে আন্দোলনকারী গার্মেন্টস শ্রমিকেরা চলে গেছে বলেও জানা যায়।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35203/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        ঢাকার প্রায় সবগুলো বহুতল ভবনেই ত্রুটি, সারাতে ‘নাই অগ্রগতি’




                        গত বছরের ২৮ মার্চ বনানীর ২৩তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৭ জন।

                        বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যুর পর ঢাকার বহুতল ভবনগুলোর কী অবস্থা দেখতে পরিদর্শন চালিয়ে প্রায় সবগুলোতেই ত্রুটি পায় রাজউক, তবে বছর পার হলেও সেই সব ত্রুটি মেরামতে অগ্রগতি জানা যায়নি।

                        ওই ভবনগুলোর বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে রাজউকের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়। সেই কমিটি কয়েকটি সুপারিশও করেছিল, যার বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন কমিটির সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী।

                        সুপারিশগুলোর কোনো ‘ফলোআপ’ নেই জানিয়ে তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অক্টোবরে কমিটি গঠনের পর শেষ গত বছরের ডিসেম্বরে বৈঠক হয়েছে। কমিটির বৈঠকও হয় না। আমরা যে রেজ্যুলেশন নিয়েছিলাম ভবনগুলোর রিঅ্যাসেস করে প্রতিটি ভবনকে আলাদা করে দেখতে হবে যে তার ভার বহন করার ক্ষমতা আছে কি না। ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম ঠিক আছে না কি অপ্রতুল। সেটাতো করা হয়নি।”

                        ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা বাড়াতে কী করণীয় সে বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছিলেন কমিটির আরেক সদস্য বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।

                        তিনি বলেন, “অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে সে বিষয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলাম। সেটার কোনো আপডেট বা ফলোআপ কিছুই নাই। ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন জরুরি।”

                        এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যবস্থা নিতে ভবন মালিকদের তিন মাস সময় দিয়েছিলেন তারা। সেই সময় অনেক আগে পেরিয়ে গেলেও কাজগুলো হয়েছে কি না, তা আর খতিয়ে দেখা হয়নি। এজন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা।

                        অপরদিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওই সুপারিশগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা ঠিক করতে আরেকটি কমিটি করেছেন তারা। তাদের এখন চলছে সেই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষার পালা।

                        গত বছরের ২৮ মার্চ ২৩ তলা এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার। নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে মামলা চলছে।

                        মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডের পর রাজউকের কর্মকর্তারা ২৪টি দলে ভাগ হয়ে গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার এক হাজার ৮১৮টি বহুতল ভবন পরিদর্শন করেন। ১১ তলা বা তার বেশি তলাবিশিষ্ট ভবনকে বহুতল ভবন হিসেবে গণ্য করে রাজউক।

                        এ সময় প্রায় দুই হাজার ভবন পরিদর্শন করে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, নকশার বাইরে গিয়ে ভবন নির্মাণসহ বেশ কিছু ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়। পরিদর্শনে রাজধানীর বেশিরভাগ বহুতল ভবনেই কোনো না কোনো অনিয়ম পায় কমিটি।

                        কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিদর্শন করা ভবনের মধ্যে ৫৩৯টিতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র-যেমন ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার অ্যালার্ম, হোজ পাইপ পর্যাপ্ত পাওয়া গেছে। তবে তার দ্বিগুণের বেশি ভবনে অর্থাৎ ১ হাজার ১৫৫টিতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র যেমন ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার অ্যালার্ম, হোজ পাইপ পর্যাপ্ত ছিল না।

                        ৭৮৬টি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ সিঁড়ি যথাযথ পাওয়া গেলেও ব্যত্যয় পাওয়া গেছে ৭২১টি ভবনে। ৫৬৬টি ভবনে অগ্নিনির্বাপণ সিঁড়িই ছিল না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

                        রাজউকের অনুমোদন আছে এমন ভবনগুলোর মধ্যে ২৭৭টিতে ঊর্ধ্বমুখী ব্যত্যয় আছে অর্থাৎ এসব ভবন নির্ধারিত উঁচ্চতার চেয়ে বেশি তলা নির্মাণ করা হয়েছে। সেটব্যাক ও অন্যান্য ব্যত্যয় পাওয়া গেছে ৬৭৪টিতে।

                        রাজউকের বাইরে অন্যান্য সংস্থার অনুমোদিত ভবনের মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী ব্যত্যয় ছিল ৩২টি ভবনে। সেটব্যাক ও অন্যান্য ব্যত্যয় পাওয়া গেছে ৬৪টিতে। পরিদর্শনের সময় ৪৭৮টি ভবনের মালিক অনুমোদিত নকশাই দেখাতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

                        এসব ভবনের বিষয় করণীয় ঠিক করতে গত বছরের অক্টোবরে বুয়েটের অধ্যাপক, আইইবির প্রতিনিধি এবং রাজউকের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সব কিছু যাচাই-বাছাই করে নিয়ম না মানা বা প্রয়োজনীয় সুবিধা না থাকা এসব ভবনগুলোর বিষয়ে চারটি সুপারিশ করে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

                        এগুলো হচ্ছে- ভবনের কাঠামোগত বিস্তারিত কারিগরি মূল্যায়ন. ভবনের অগ্নি ও বৈদ্যুতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা। এসব বিষয় ঠিক থাকলে আর্থিক জরিমানার পর ভবনগুলোর অনুমোদন দেওয়া। পরীক্ষায় ভবনের কাঠামো এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা পাওয়া গেলে ভবন পুনর্নির্মাণ বা শক্তিশালীকরণ করতে হবে।

                        কমিটির সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, যেসব ভবন পরিদর্শন করা হয়েছিল তার ৯০ ভাগেরই কিছু না কিছু ত্রুটি আছে।সেটা ফায়ার সেফটি হোক বা অন্য কিছুতে।

                        “যা যা ব্যত্যয় আছে সেগুলো ঠিক করলেই সেগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে। এতগুলো ভবন তো ভেঙে ফেলাও কঠিন। মেরামত করলে তা ব্যবহার করা যাবে। আমরা সেই সুপারিশই করেছিলাম।”

                        ওই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে চাইলে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন ভবনের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি ভবনে কী কী সমস্যা আছে তাও প্রতিবেদন আকারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

                        “সমস্যা চিহ্নিত হওয়া ভবনের মালিকদের নিজ দায়িত্বে সমস্যাগুলো সমাধান করতে বলা হয়েছে। এজন্য তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, সেটাও অনেক আগে পেরিয়ে গেছে। রাজউকের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেজন্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এসব ভবনের ব্যাপারে করণীয় কী সে সিদ্ধান্ত এখনও দেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত জানালে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।”


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35160/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          দুই বৃদ্ধকে কান ধরে কেন এই ওঠবস, সদুত্তর নেই এসির



                          প্রশাসনের একজন সহকারী কমিশনার বয়স্ক দুই ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন। পেছনে দুই পুলিশ সদস্য ও আরও একাধিক ব্যক্তি। তিনি নিজেই আবার ওই ঘটনার ছবি তুলছেন। এমন এক ছবি গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে আলোড়ন তোলে। প্রশাসনের দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, এমন কাণ্ড ঘটানোর বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।

                          যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চিনেটোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁর নাম সাইয়েমা হাসান। জানা গেছে, বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে পাস করেছেন। কিছুদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

                          বিসিএস পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছিলেন সাইয়েমা। বাড়ি রাজশাহীতে। করোনাভাইরাস রোধে চলাচল সীমিত রাখার সরকারি আদেশ পালন করতে গিয়ে গতকাল বিকেলে তিনি দুই বৃদ্ধ ভ্যানচালককে কান ধরে ওঠবস করান। স্থিরচিত্র ছাড়াও তাঁর অভিযানের আরেকটি ভিডিও পাওয়া গেছে। ওই ভিডিওতেও তাঁকে কাঁচাবাজারে ঢুকে এক ব্যক্তিকে কান ধরে ওঠবস করাতে দেখা যায়।

                          যশোরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছিল, মানুষ যেন ঘরে থাকে, সে ব্যাপারে তাঁরা যেন উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

                          এ বিষয়ে খোঁজ নিতে সাইয়েমা হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

                          নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে যশোর প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সাইয়েমা হাসান কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাতেই এ বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চান। জবাবে তিনি একেকবার একেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তাঁকে দেখে ওই বৃদ্ধ দুই ব্যক্তি ভয়ে কান ধরে ফেলেন। আবার বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এত মানুষকে বাজারে দেখে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ছবি তুলছিলেন কেন, এরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

                          চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক ও অধীনস্থ কর্মকর্তারা মধ্যরাতে একজন সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটানো ও জেলে ভরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হয়।

                          করোনাভাইরাস রোধে চলাচল সীমিত রাখার সরকারি আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রশাসন ও আওয়ামী দালাল বাহিনীকে রাস্তায় কাউকে পেলে কান ধরে ওঠবস করানো, লাঠিপেটা করা, মাটিতে গড়াতে বাধ্য করার মতো বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে। এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35164/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            বরগুনায় আওয়ামী দালাল ওসির কক্ষ থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার



                            বরগুনার আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) কক্ষ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শানু হাওলাদার নামের ওই যুবককে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আটক করা হয়েছিল।

                            বৃহস্পতিবার সকালে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রির কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শানু হাওলাদার আমতলী উপজেলার পশ্চিম কলাগাছিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

                            শানুর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে হত্যার পর তার লাশ ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও ডিউটি অফিসার এএসআই মো. আরিফুর রহমান ঝুলিয়ে রাখেন।

                            বরগুনার আমতলী থানা পুলিশের ওসির (তদন্ত) কক্ষ থেকে মোহাম্মদ শানু হাওলাদার নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ খুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

                            শুক্রবার (২৭ মার্চ) ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সারাজীবন শুনে আসছি মৃত্যুর ভয় নাকি অমানুষকেও কিছু সময়ের জন্য মানুষ করে দেয়। কিন্তু আমার কাছে আজ মনে হয়েছে যে বরগুনার আমতলী থানার ঘটনা যেখানে শানু হাওলাদার নামের একজনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। আমি তার ঝুলন্ত লাশ দেখলাম ফেসবুকে।

                            এই আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশের কিছু সদস্য আছে, তারা কি মৃত্যুর ভয়ের মুখোমুখি হয়েও কি মানুষ হবে না? এই যে বরগুনা থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, শানু হাওলাদারের ফ্যামিলির কাছে তিন লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবার টাকা দিতে পারেনি। মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েছে এ জন্য আপনারা পিটিয়ে মেরে ফেলছেন। আমার কাছে লজ্জা লাগে। আমার কাছে মাঝেমধ্যে মনে হয়, এসব মানুষের কারণে করোনা আমাদের কাউকে মাফ করবে না। আবার এটাও মনে হয়, যারা এসব অপরাধ করে তাদের যদি করোনা নিয়েও যায় সঙ্গে যদি আমাকেও নেয় আমিও চলে যেতে চাই। তাও যদি বাংলাদেশটা মুক্তি পায়।’

                            তিনি বলেন, আমার মনে হয়, নেতাদের কন্ট্রিবিউশন ছাড়া একজন ওসি এত শক্তি পায় না। আমার বিশ্বাস বরগুনার নেতাদের যারা আপনাদেরও এখানে কন্ট্রিবিউশন আছে। আপনারা কোনো না কোনোভাবে এ ওসির কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। আমি আমার এলাকাতেও গিয়ে দেখেছি, রাজনৈতিক নেতাদের যদি ছত্রচ্ছায়া না থাকে তাহলে একজন ওসি এতটা সাহস পায় না।

                            ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আপনি হত্যা, নির্যাতন বাদ দেন একটা মানুষ ওসির রুমে আত্মহত্যা করার সুযোগ কেমনে পায়। আপনি ওসি সামান্য কয়টা টাকার জন্য এই কাজটা করলেন। পুরো বাংলাদেশকে বেচে দেয়ার জন্য আপনার এক মিনিটের ব্যাপারও না।’


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/28/35167/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              পুলিশী তাণ্ডব থেকে রেহাই পাচ্ছে না জীবিকার প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষও



                              করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৪ তারিখ থেকেই দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশকেও দেওয়া হয়েছে করোনার বিস্তার রোধে জনসমাগম বানচাল করে দেওয়ার দায়িত্ব।

                              দেশের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক না পরা বা বাইরে বের হওয়ার জন্য পুলিশের লাঠিপেটা,কান ধরে থাকার দৃশ্য স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। খবর: বিবিসি বাংলা

                              সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের এ’ধরণের আচরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

                              কক্সবাজারের টেকনাফের একজন মুদি দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, গতকাল তিনি পুলিশের মার খেয়েছেন।

                              “আমি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে দোকানের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে টহলরত পুলিশ আমার দিকে তেড়ে আসে আমাকে বলে বাইরে বের হয়েছিস কেন? এই বলে আমাকে মারতে থাকে। তারা আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই মারে,” তিনি বলেন।

                              “আমি দোকানে যাচ্ছি, দোকান খোলার জন্য সেটা তো অন্যায় না। এখন আমার কাছে জানতে চেয়ে উত্তর তাদের মন মত না হলে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কিছু না শুনেই মারা শুরু করে। এ কেমন কথা,” তিনি বলেন।

                              ফেরদৌস জাহান (ছদ্ম নাম) নামে একজন নারী একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।

                              সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধের ঘোষণা হলেও ব্যাংকগুলোকে সীমিত আকারে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছে।

                              এখন ফেরদৌস জাহান বলছেন, তাকে অফিস করতে হচ্ছে। কিন্তু তিনি ভয় পাচ্ছেন রাস্তায় যেভাবে পুলিশ পেটাচ্ছে তাতে করে তিনি বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা যদি হেনস্থার শিকার হন।

                              ” যারা অফিস করতে বাধ্য, যেমন আমার মত তারা রাস্তাঘাটে পুলিশ পেটোয়া বাহিনী দিয়ে হেনস্থা হইলে তার দায়ভার নিবে কে?” তিনি প্রশ্ন করেন।

                              তিনি খুব ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন “আর এই পেটুয়া বাহিনীর হাত থেকে নিস্তার পেতে কোন নম্বরে কল দিতে হবে সেটাও জানতে চা*ই”।

                              ভিড়, জটলা বানচাল করতে কোথাও কোথাও পুলিশকে বেশ আগ্রাসী দেখা গেছে। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে পুলিশ এবং সেনাদের কিছু অমানবিক আচরণ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, মাস্ক না পরার কারণে মানুষকে পেটানো হচ্ছে। জীবিকার প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষও রেহাই পায়নি পুলিশের তাণ্ডব হতে। পুলিশ-সেনার এই আগ্রাসী ভূমিকার জন্য দেশজুড়ে তাদের নিন্দাও হচ্ছে বেশ।

                              মানুষ পেটানোকে দেশে শুদ্ধ রাজনীতি এবং আইনের শাসনের অনুপস্থিতির খণ্ডচিত্র আখ্যা দিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদ ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এটা চরম অমানবিক এবং বর্বর আচরণ। পুলিশ এবং সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সঠিক পন্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অন্যায় কঠোরতা প্রয়োগ করে তারা পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করে তুলছেন।

                              করোনা ছড়িয়ে পড়ার তিনমাসেও দেশের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ার দায় সরকারের মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরও করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এখন দেশব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ-সেনা উগ্র আচরণ করছে। শ্রমজীবী মানুষ যারা নিতান্তই জীবীকার জন্য রাস্তায় বেরিয়েছিল তাদের পিটিয়ে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

                              এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অপর ইসলামি চিন্তাবিদ মারকাযুদ্দাওয়া আল ইসলামিয়া ঢাকার শিক্ষক মাওলানা যাকারিয়া আবদুল্লাহ বলেন, পুলিশ-সেনার উচিত ছিল কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু তারা সীমা অতিক্রম করে জনগণকে লাঠিপেটা করেছে। এটা চরম হতাশাজনক ঘটনা।

                              শ্রমজীবী মানুষকে ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানানোর আগে তাদের জীবীকা নিশ্চিত করতে হবে মন্তব্য করে মাওলানা যাকিরায়া আবদুল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। যেমন ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, পাকিস্তান এবং কানাডা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে। বাংলাদেশ সরকারের এরকম জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। তবে পাশাপাশি মানবিক এই সঙ্কটের মুহূূর্তে যেন দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারেও প্রশাসনের নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে তিনি। খবর: ইসলাম টাইমস

                              মাওলানা যাকারিয়া আবদুল্লাহ বলেন, সরকারের পাশাপাশি আল্লাহ আমাদের যাদের সামর্থ দিয়েছেন তাদেরও উচিত এই সঙ্কটময় মুহূর্তে দরিদ্র প্রতিবেশীর সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া। তবে অবশ্যই সমাগম এড়িয়ে সচেতনভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি


                              সূত্র; https://alfirdaws.org/2020/03/28/35170/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X