Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৫ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৫ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে মার্চ, ২০২০ ঈসায়ী।

    মার্কিন জনগণ ট্রাম্পের উদাসীনতার মূল্য জীবন দিয়ে পরিশোধ করছে : পেলোসি



    মাকিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, আমেরিকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টিকে অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন এবং তার এই উদাসীনতার কারণে ব্যাপক হারে মানুষ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। খবর-পার্সটুডের

    তিনি রোববার ওয়াশিংটনে এক বক্তৃতায় আরো বলেন, আমেরিকায় করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে যত ব্যাপক আকারে পরীক্ষা করা দরকার তা করা হচ্ছে না। এখনো ট্রাম্প প্রশাসন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্যাপকভাবে মারা পড়া এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

    আমেরিকায় রোববার পর্যন্ত এক লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে দুই হাজার ৪৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, করোনাভাইারাসের প্রাদুর্ভাব এবং মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে অচিরেই আমেরিকা অন্য সব দেশকে ছাড়িয়ে যাবে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35286/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    চীনের উহানেই মারা গেছে ৪২ হাজার, দাবি স্থানীয়দের



    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল চীনের উহানে। স্থানীয়দের বিশ্বাস করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ রোগে শুধুমাত্র উহানেই ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে চীন সরকার বলছে, উহানে করোনায় মারা গেছে ৩ হাজার ৩০০ জন আর আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশে ৩ হাজার ১৮২ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, উহানের বাসিন্দাদের দাবি, শহরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাতটি স্থান থেকে আলাদা করে প্রতিদিন ৫শ করে শবাধার তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার মানে ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫শ মানুষের সৎকার করা হয়েছে ওই শহরে।

    হানকাউ, উচাং ও হানিয়াং এলাকার শোকগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জানানো হয়েছে, এপ্রিলের ৫ তারিখ স্থানীয় কিং মিং উৎসবের আগেই মরদেহ পোড়ানো ছাই অর্থাৎ অস্থি তাদেরকে দেওয়া হবে। এই উৎসবে লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনা করে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উহানের এক বাসিন্দা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেছিলেন, ‘এত কম মানুষ মারা গেছে এটা হতে পারে না। কারণ সৎকারকারীরা রাত দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন।’

    মাও (ছদ্মনাম) নামে আরেক বাসিন্দা বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত, কর্তৃপক্ষ হয়তো ধীরে ধীরে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করবে। যাতে মানুষের বাস্তবতাটা মেনে নিতে সহজ হয়।’

    হুবেই প্রদেশের সরকার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, সঠিক রোগ নির্ণয় ছাড়াই অনেক মানুষ তাদের বাড়িতেই মারা গেছেন।

    স্থানীয়দের দাবি, মৃতের সংখ্যা নিয়ে তাদের অনুমান অতিরঞ্জিত নয়। কারণ এক মাসেই কমপক্ষে ২৮ হাজার মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে।

    এইসব তথ্য এমন সময় সামনে এলো যখন বলা হচ্ছে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে এবং সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩৩ হাজার মানুষ, সংক্রমিত হয়েছে ৭ লাখ ২২ হাজার মানুষ।

    এর মধ্যে শুধু ইতালিতেই মারা গেছেন ১০ হাজার ৭৭৯ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৬৮৯ জন। আর করোনাভাইরাসের এপিসেন্টারে পরিণত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ জনের এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০ জন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35316/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জুমা সালাত আদায় করায় ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ৪৩ জনকে আটক করল পাক মুরতাদ বাহিনী



      মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করায় ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে পাকিস্তানের দুই প্রদেশে। করোনাভাইরাসের অজুহাতে দেশটিতে জুমার নামাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু তা না মেনে নামাজ আদায় করায় মুয়াজ্জিন ও ইমামসহ বাকিদের আটক করে মুরতাদ পুলিশ। খবর- আমাদের সময়

      পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক ৪৩ জনের মধ্যে ৩৮ জন সিন্ধু প্রদেশের, বাকিরা পাঞ্জাবের। এ দুটি প্রদেশে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মসজিদে নামাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় মুরতাদ প্রশাসন। কিন্তু তাওহিদবাদী মুসলিমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে। এদের মধ্যে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনও আছেন।

      সিন্ধু প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসনের মুখপাত্র মুর্তজা ওয়াহাব গত বৃহস্পতিবার এক টুইটার বার্তায় মসজিদে জামাত আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানান।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35323/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নিরুপায় অভিবাসী শ্রমিকদের রাস্তায় ফেলে অমানবিকভাবে স্প্রে করল যোগী সরকার



        ভারত জুড়ে লকডাউনের দরুন বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বহু অভিবাসী শ্রমিক। ঘরে ফেরার জন্য উন্মুখ সকলে। কিন্তু যানবাহন না চলায় নিরুপায় তাঁরা। এরই মাঝে অভিবাসী শ্রমিকদের উপর অমানবিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল বর্বর যোগী সরকারকে। খবর-জি নিউজ ইন্ডিয়া

        উত্তর প্রদেশের বরেলি জেলার অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর রীতিমতো বৃষ্টির মতো জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সেই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। প্রোটেকটিভ গিয়ার পরিহিত একদল কর্মী অভিবাসী শ্রমিকদের উপরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে চলেছেন। মহিলা,শিশু নির্বিশেষে সকলের উপরেই কামান গতিতে ছোড়া হচ্ছে ওই জীবাণুনাশক ।

        ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, নিজেদের চোখ বন্ধ করুন। শিশুদের চোখ বন্ধ করে দিন। এই অভিবাসীদের মূলত দিল্লি, হরিয়ানা ও নয়ডা থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয়।




        বরেলির মুখ্য দমকল আধিকারিক চন্দ্রমোহন শর্মা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন, ওই জীবাণুনাশকে রাসায়নিক থাকে। তা কোনও মানুষের উপরে প্রয়োগ করা উচিত নয়।

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35322/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোতে করোনার হানা, ভয়ানক ঝুঁকিতে ভারত



          ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে পুরো ভারত। ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি থেকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেলে তা ভারতের পক্ষে খুবই বিপদজনক হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

          মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোতে চার জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পারেলে ৬৪ বছর, জামভিপাড্ডায় ৩৭ বছর বয়স্ক, এছাড়া ঘাটকোপার বস্তিতে ২৫ এবং ৬৮ বছর বয়স্ক চার জনকে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

          মুম্বাইয়ের এ বস্তিগুলোতে একটা ১০ ফুট বাই ৮ ফুট ঘরে ৬-৭ জন মানুষ বাস করেন। বস্তিগুলোতে এ রকম পরপর ২০০০ থেকে ২৫০০ ঘর রয়েছে এক একটি বস্তিতে। প্রতি ২০০ পরিবার পিছু একটি সাধারণ শৌচাগার। এদিকে মুম্বাইয়ের কালিমবার জামবালিপাড়া বস্তিতে ৩৭ বছরের এক যুবকের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। প্রায় ৮০০ পরিবারের বাস এবং তাদের জন্য বরাদ্দ মাত্র কয়েকটি শৌচাগার। আক্রান্ত যুবক বিদেশ থেকে ফিরেছেন কিছুদিন আগে। বিমানবন্দরে তার পরীক্ষায় কোনো অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়নি। পরবর্তীসময়ে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা কস্তুরবা হাসপাতালে চলছে।

          বস্তিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখা সম্ভব নয়, বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা যদি একবার করোনা কোনোভাবে এ বস্তিগুলোতে থাবা বসাতে পারে তবে ভারত করোনার তৃতীয় দফা সংক্রমণের পর্যায়ে প্রবেশ করে যাবে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35282/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            করোনায় লাখো মানুষ পথেঘাটে, লকডাউন করে চরম বিপাকে মালাউন মোদি সরকার



            করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় মুশরিক ভারত সরকারের জারি করা লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিকের ঘরে ফেরার মরিয়া চেষ্টাকে ঘিরে এক অবর্ণনীয় ও চরম অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

            রাজধানী দিল্লি কিংবা দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদ, কোট্টায়ামের মতো বিভিন্ন শহরে কর্মরত অসংখ্য শ্রমিক নিজেদের গ্রামে ফিরতে চাইছেন – সে জন্য তারা ট্রেন বা বাস, ট্রাক, যে কোনা ধরনের পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছেন। রিপোর্টঃ নয়া দিগন্তের

            দিল্লির আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাসে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় উপছে পড়ছে। কাঁধে ব্যাগ বা মাথায় বোঁচকাবুঁচকি নিয়ে, কেউ কেউ কোলের বাচ্চাকে নিয়ে যে কোনও ভাবে একটা বাসে বসার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

            কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এদিন দেশের বিভিন্ন রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে, তাদের সীমান্ত সিল করে দিয়ে এই যাতায়াতের চেষ্টা যে কোনোভাবে রুখতে হবে – এবং লকডাউনের নির্দেশ কঠোরভাবে বলবৎ করতে হবে।

            গ্রামে ফেরার বেপরোয়া চেষ্টাঃ
            ভারতের এই যে লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক ঘরে ফিরতে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তার প্রধান কারণ তারা আশঙ্কা করছেন বড় বড় শহরগুলোতে রুটিরুজি হারিয়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনে তাদের এখন স্রেফ না-খেতে পেয়ে মরতে হবে।

            করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকারের নির্দেশ ছিল ‘স্টে পুট’ – অর্থাৎ যে যেখানে আছে আপাতত সেখানেই থাকুক।

            কিন্তু দেশের অসংগঠিত খাতের কোটি কোটি শ্রমিক, যারা ছোটখাটো দোকান-রেস্তোরাঁয় কাজ করেন কিংবা নির্মাণ শিল্পে দিনমজুরের কাজ করেন তারা এই নির্দেশ পালন করার সাহস দেখাতে পারেননি।

            বস্তিতে বাড়িভাড়া কীভাবে দেবেন, এতগুলো দিন কীভাবে নিজের বা পরিবারের পেট টানবেন – সেই চিন্তাতেই তারা ‘যা হবে হোক’ ভেবে পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন।

            ট্রেন, বাস নেই – তারপরও শত শত মাইল দূরে নিজের গ্রামের উদ্দেশে তারা হাঁটতে শুরু করে দিয়েছিলেন সেদিন থেকেই।

            রাজস্থান থেকে বিহার – প্রায় বারোশো মাইল পথ হেঁটে পাড়ি দেওয়ার দুঃসাহসিক যাত্রা পর্যন্ত শুরু করেছেন কেউ কেউ। ভারতের বিভিন্ন হাইওয়ে-তেই চোখে পড়ছে এ ধরনের অভুক্ত বা আধপেটা খাওয়া মানুষের ক্লান্ত মিছিল।

            দিল্লির বাস টার্মিনাসে হাজার হাজার মানুষের ভিড়
            এরই মধ্যে শনিবার রাজধানী দিল্লি জুড়ে খবর রটে যায়, উত্তরপ্রদেশের সরকার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিকদের পৌঁছে দিতে এক হাজার বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করছে।

            আগুনের মতো সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেন পূর্ব দিল্লির আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাসে।

            সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সব নির্দেশ তছনছ করে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে লাইন দিয়ে হাতেগোনা দুচারটে বাসে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে থাকেন।

            কিন্তু রোববার থেকে সেই বাস সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকে কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছে সীমান্ত সিল করে মানুষের এই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া আটকাতেই হবে।

            উত্তরপ্রদেশের মতোই ভারতের আর একটি ‘হিন্টারল্যান্ড’ স্টেট বিহার, যেখান থেকে লাখ লাখ মানুষ কাজের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে যান।

            সেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি ভারতের নানা প্রান্তে আটকে পড়া বিহারের লোকজনকে ঘরে ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেন বা বাসের ব্যবস্থা করার আদৌ পক্ষপাতী নন, “কারণ তাতে লকডাউনের মূল উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে”।

            এদিকে রাজধানীতেও আজ দিল্লি পুলিশ শ্রমিকদের দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার পথে বর্ডারে আটকে দিয়েছে। তারপরও কেউ কেউ মরিয়া হয়ে যমুনা নদী পেরিয়ে দিল্লি থেকে পাশের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ঢোকার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন – এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।

            ফলে ভারতের বিভিন্ন বড় শহর থেকে এই লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক শেষ পর্যন্ত এই লকডাউনের ভেতর নিজেদের গ্রামে আদৌ পৌঁছতে পারবেন, সেই সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। তবে যারা এর মধ্যেই দু-তিনদিন হেঁটে ফেলেছেন, তারা হয়তো কেউ কেউ পারবেন।

            মোদী সরকারের স্ট্র্যাটেজিটা কী?
            এই অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে চরম অব্যবস্থার মধ্যে জঁ দ্রেজ-সহ ভারতের বেশ কয়েকজন নামী অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞ একটি যৌথ বিবৃতিতে মন্তব্য করেছেন, “এই লকডাউন জারির ঘোষণার আগে সরকারের কোনো আগাম প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা যে ছিল না, তা একেবারে স্পষ্ট।”

            অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনও ভারতের অভিবাসী শ্রমিকদের এই চরম দুর্দশায় ফেলার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে।

            কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবারও তার মাসিক রেডিও ভাষণ ‘মন কি বাতে’ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “ভারতের স্বার্থেই এই লকডাউন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। নইলে অন্যান্য বহু দেশের মতো আমাদেরও করেনাভাইরাসের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।”

            তবে অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য ওই ভাষণে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। তার কথা থেকে স্পষ্ট, লকডাউন জারির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় যে এভাবে গরিব শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামবে সরকার তা আঁচই করতে পারেনি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35310/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment


              • #8
                কোভিড-১৯ : জরুরি টেস্ট হচ্ছে না বাংলাদেশে, কী ঘটতে পারে সামনে?



                ওপরের গ্রাফগুলো দেখুন।

                করোনাভাইরাস শনাক্ত হবার শুরুর দিন থেকে মার্চ মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে গ্রাফগুলোতে। দেখুন, সবদেশেই একই ধাঁচে এগিয়েছে করোনা ভাইরাস। ভাইরাস শনাক্তকরণের প্রথম দিন থেকে চতুর্থ এবং পঞ্চম সপ্তাহের মধ্যবর্তী সময়ে গ্রাফের লাইন সোজা ছিল। মানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তেমন বাড়েনি। কিন্ত তারপর হঠাৎ করেই গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়ে গিয়েছে, প্রায় ৯০ ডিগ্রী কোণে।
                এর মানে কী?
                এর মানে হলো চতুর্থ বা পঞ্চম সপ্তাহে এসে ব্যাপক আকারে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়া শুরু করেছে।
                এবার বাংলাদেশের গ্রাফের দিকে তাকান। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। গ্রাফ, শুরুর দিনগুলোর মতোই সমান্তরাল। অন্যান্য দেশের মতো ঊর্ধ্বমুখী হয়নি। তার মানে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়েনি।
                স্বস্তির খবর তাই না?
                কিন্তু দুটি কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই।

                প্রথমত আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে মার্চের ৮ তারিখে। আজ মার্চের ২৯ তারিখ। তার মানে আমরা তৃতীয় সপ্তাহ পার করে চতুর্থ সপ্তাহে পা দিয়েছি। অন্যান্য দেশগুলোর ট্রেন্ড অনুসারে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আমাদের দেশের গ্রাফও ৯০ ডিগ্রী কোণে ওপরের দিকে উঠে যাবার কথা। আর তখনই কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো আমরা।

                দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে করোনা টেস্টের সংখ্যা খুবই খুবই কম হওয়াতে প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই।

                আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সাবরিনা বারবার বলে যাচ্ছেন, বাংলাদেশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে চলছে। সেই সাথে পর্যাপ্ত করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।
                কিন্তু করোনা টেস্টের সংখ্যা বলছে ভিন্ন কথা। গত দুইমাসে কোভিড-১৯ এর টেস্ট করার জন্য হটলাইনগুলোতে ফোন করেছে ৮ লাখেরও বেশী মানুষ। শুধু আইইডিসিআরের হটলাইনেই এসেছে ৭০ হাজারেরও বেশী ফোন। কিন্তু করোনা টেস্ট করা হয়েছে শুধুমাত্র ১১০০ মানুষের। যার মধ্যে করোনা আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে ৪৮ জনকে।

                এর অর্থ হলো সবচাইতে কম করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটা। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে করোনা ভাইরাস বহনকারীদের শনাক্ত করার জন্য যতোবেশী সম্ভব করোনা টেস্ট করতে হবে। এতে করে বোঝা যাবে কোন অঞ্চলে ভাইরাস বেশী ছড়াচ্ছে।

                কম টেস্ট করার ফলে করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে ভুল ধারণা পাচ্ছে মানুষ। একই সাথে আরেকটা ব্যাপারেও ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হার সবচাইতে বেশী বাংলাদেশে। এমনকি করোনার কারণে ১০ হাজারেরও বেশী মানুষ মারা যাওয়া ইতালীর চাইতেও বেশী। ইতালীতে যেখানে মৃত্যুহার ১০.২ সেখানে বাংলাদেশে ১০.৪ ।
                কোনো সন্দেহ নেই, কম সংখ্যক করোনা টেস্টের কারণেই এই রোমহর্ষক ডাটা দেখতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের।
                মীরজাদি অবশ্য বলছেন এখনো মৃত্যুহার হিসেব করার সময় আসেনি।

                মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়লো বাংলাদেশে। এর পরের ৫ দিন নতুন কোনো করোনা রোগী পাওয়া গেলোনা। মার্চের ১৪ তারিখে এসে পাওয়া গেলো দুজনকে। পরের দিন আবার ধরা পড়লো না কোনো রোগী। কয়েকজন নতুন রোগী পাওয়া গেলো মার্চের ১৬ তারিখ থেকে ২৪ তারিখের মাঝে। ২৩ এবং ২৪ তারিখে সর্বোচ্চ ৬ জন করে করোনা রোগী সনাক্ত হলো। ২৫ তারিখে নতুন কোনো করোনা কেস নেই। মাঝের দুইদিন, ২৬ এবং ২৭ তারিখে করোনা পাওয়া গেলেও ২৮ এবং ২৯ তারিখে নতুন কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলোনা।
                কিন্তু এতে খুশি হবার কোনো কারণ নেই। সবচাইতে বেশী করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে ইতালী,আমেরিকা, স্পেন, ফ্রান্স , দক্ষিণ কোরিয়া বা জার্মানিতে। এ দেশগুলোতেও প্রথম তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহেও এমন অনেক দিন গিয়েছে যেদিন নতুন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

                ইতালীর কথা ধরুন। পৃথিবীর সবচাইতে বেশী প্রাণহানী হচ্ছে ইতালীতে। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর সংখ্যাও ইতালীতে। প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর টানা ছয়দিন নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। অষ্টম দিনে এসে একজন শনাক্ত হলো। পরের দুই সপ্তাহে পাওয়া গেলোনা একজনও। এরপর অবস্থা বদলে গেলো খুব দ্রুত। ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়তে থাকলো করোনা রোগীর সংখ্যা। ২৯ তারিখ পর্যন্ত ইতালীতে আক্রান্ত হয়েছে ৯২,৪৭২ জন। মারা গিয়েছে ১০,০২৩ জন। এমনকি দিনে ৯০০ লোকেরও বেশী মানুষ মারা গিয়েছে ইতালীতে।
                বাংলাদেশের মতো ইতালী খুবই কম করোনা টেস্ট করেছে। এবং কোন কোন এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেটা বের করতে পারেনি।

                রোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সাবেক পরিচালক বেনজির আহমেদ বলছেন, ‘আমরা বলতে পারিনা যে গত ২৪ ঘন্টায় কোনো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়নি, বরং আমাদের বলা উচিত, আমরা নতুন কোনো রোগী সনাক্ত করতে পারিনি। আর এর কারণ হলো, কম সংখ্যক টেস্ট করা’। যদি দেশজুড়ে বেশী সংখ্যক টেস্ট করা হতো তাহলে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া যেতো। আর এর ফলে আমরা যেমন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের সুযোগ হারাচ্ছি তেমনি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছি’।

                অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থা থেকে এটি একদম স্পষ্ট যে করোনা মোকাবেলার সফলতা বা ব্যর্থতা অনেকাংশেই নির্ভর করছে টেস্টিং এর সামর্থ্যের ওপর।
                দক্ষিণ কোরিয়া করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে খুব চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হবার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক আকারে করোনা টেস্ট শুরু করে তারা। তিন লাখেরও বেশী টেস্ট করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। ইতালী, স্পেন এবং ইরান খুবই কম করোনা টেস্ট করেছে। এই একটি ভুলের কারণে চরম মূল্য দিচ্ছে দেশগুলো। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর ইউরোপের দেশগুলো এখন টেস্ট করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন লাফ দিয়ে দিয়ে বাড়ছে করোনা কেসের সংখ্যা।

                দক্ষিণ কোরিয়াতে যেখানে এক হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় ৭ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ১০ লাখ মানুষের ভেতর ৬ জনের টেস্ট করেছে।
                বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যাঞ্চেলর, virology এর প্রফেসর নজরুল ইসলাম সতর্ক করছেন,
                ‘টেস্টিং ক্যাপাসিটি বাড়ানো না হলে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজয় বরণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত এক হাজারের কিছু বেশী করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এটা খুবই কম। বড় আকারে যদি করোনা টেস্টিং ক্যাপাসিটি না বাড়ানো হয় তাহলে বিরাট সর্বনাশ হয়ে যাবে’।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35291/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  গাজীপুরে করোনা সন্দেহে ভর্তি রোগীর ৩ দিনেও স্যাম্পল নেওয়া হয়নি



                  গাজীপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি এক যুবকের স্যাম্পল তিনদিনেও সংগ্রহ না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।

                  জানা গেছে, কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন মেহেদী হাসান নামের ওই যুবক।

                  গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, সর্দি-ঠাণ্ডা, হাঁচি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথ্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ হাসপাতালে ভর্তি হন মেহেদী। ভর্তি হওয়ার পর তার স্যাম্পল নেয়ার জন্য ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে(আইইডিসিআর) দুই দফা চিঠি লেখা হয়েছে। কিন্তু তিনদিন পেরিয়ে গেলেও তার স্যাম্পল নেওয়া হয়নি।

                  ডা. রফিকুল ইসলাম আরও জানান, সম্প্রতি এ হাসপাতালে ১০ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এ ইউনিটে একমাত্র রোগী হলেন মেহেদী হাসান। তার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও ঔষধ সরবরাহ করা হলেও স্যাম্পল সংগ্রহের এখতিয়ার এ হাসপাতালের কারো নেই। একমাত্র আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ এ স্যাম্পল সংগ্রহ করবে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35267/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    শেরপুরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



                    শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে আওয়াল পাগলা নামের এক ব্যক্তি জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে তিন দিন ভোগার পর রবিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে মারা গেছেন।

                    করোনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আজ সোমবার (৩০ মার্চ) রক্তের নমুনা সংগ্রহের পর ওই ব্যক্তির দাফন-জানাজা হবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ।

                    ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গত তিন দিন আগে ওই ব্যক্তি জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে নালিতাবাড়ীর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ইউএনও আরিফুর রহমান। ভালুকায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা যায়।

                    কালের কণ্ঠ অনলাইন পেজে এ সংবাদের কমেন্টে তারিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন,

                    সত্যি, কি বিচিত্রা আমরা ও আমাদের দেশ!!
                    এখানে মৃত্যুর পরে করোনা টেস্ট করা হয়।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35268/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ১৬ ঘণ্টায় অ্যাম্বুলেন্সে ৬ হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু



                      কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল মো. আলমাছ উদ্দিনের। আগেও একবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকদের কাছে ছবি পাঠানোর পর তাঁরা জানিয়েছিলেন লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে আবারও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বাবা আলমাছ উদ্দিনকে নিয়ে সন্তানেরা পাঁচটি হাসপাতালে ঘুরেছেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা ছাড়াই আজ রোববার সকালে মারা যান তিনি। খবর-প্রথম আলো

                      আলমাছ উদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় কথা হয় প্রথম আলোর। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার সকাল ৮টায় বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় আমাদের বাসাবোর বাসা থেকে। অনেকগুলো হাসপাতাল ঘুরে রাত ১২টার দিকে অনেক দেনদরবারের পর একটি হাসপাতাল নিল। কিন্তু বাবাকে বাঁচানো গেল না। আমার বাবা একরকম বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। কী যে কষ্ট!’

                      মেয়ে জানালেন, বাবা আলমাছ উদ্দিনের পেটের পুরোনো রোগ। শুক্রবার ভীষণ ডায়রিয়া, সঙ্গে জ্বর। কিছুক্ষণ পর কথা জড়িয়ে যেতে থাকে তাঁর। তখনই পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। এমনিতে দুটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেন তিনি। জ্বর-ডায়রিয়া শুনে তাঁরা নিতে চাননি। পরদিন শাহবাগের একটি বড় হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে বুকের এক্স-রে করে নিউমোনিয়া মতো মনে হচ্ছিল। করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে দেখে তাঁরা রাখেননি। সেখান থেকে তাঁরা ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। রোগী ভর্তি করা যাবে এই আশ্বাস পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় আলমাছ উদ্দিনকে। কর্তৃপক্ষ রাখতে রাজি হলেও, চিকিৎসকেরা আসেননি। ওই হাসপাতাল থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। ভর্তি নেয় তারা। কিন্তু জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে পাঠানোর সময় চিকিৎসকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য না পেলে রোগী রাখবেন না বলে জানান। তাঁরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যান। পৌঁছানোর আগে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করেন। সন্ধ্যার পর আলমাছ উদ্দিনের অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায় কুয়েত মৈত্রীর গেটে। তাঁরা লক্ষণ দেখে বলেন, রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা থাকলে বিপদ।

                      এভাবে ছয় হাসপাতালে গিয়েও বাবাকে ভর্তি করাতে পারেননি সন্তানেরা।

                      এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যখন এভাবে ছুটছেন আলমাছ উদ্দিন, তখন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে আসেন। আলমাছ উদ্দিনের মেয়ে বলেন, ‘বাবা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু এই পরিচয় দিয়ে কখনও কোনো সুবিধা নেওয়া পছন্দ করতেন না। আমরাও তাই কোনো হাসপাতালে গিয়ে এই পরিচয় দিইনি।’ মুগদা জেনারেল হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড আছে। মুক্তিযোদ্ধারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। হাসপাতালের সিটিস্ক্যান, এমআরআই মেশিন নষ্ট। পরদিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।

                      আলমাছ উদ্দিনের মেয়ে বলেন, বাবাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল শুধু। বাকি পরীক্ষার পর চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। সেই সুযোগ আর হয়নি। সকাল সোয়া ৭টায় মারা যান তিনি।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35280/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        বাংলাদেশের সামনে মহা বিপদের শঙ্কা



                        টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে নতুন কারো মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। (বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে আসল তথ্য গোপন করা হচ্ছে। সঠিক তথ্য আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন)বাংলাদেশের জন্য এটি সুখবর হলেও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা মোটেও সুখকর নয়। এরই মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের ২০৩টি দেশ ও অঞ্চলের ছয় লাখ ৬২ হাজার ৭৫১ জনকে আক্রান্ত বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অন্যদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রবিবার সকালের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের ১৭৭ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৮২৮ জন।

                        কভিড-১৯ নামের নতুন এই ভাইরাস সারা বিশ্বকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রেখেছে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে। এ থেকে সুরক্ষা পেতে প্রাণান্ত চেষ্টা করছে সব দেশ। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ঘরবন্দি পুরো দেশের মানুষের মনে কাজ করছে অজানা ভীতি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনায় চলছে দেশগুলো। ডাব্লিউএইচওর এক পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, ধারাবাহিকভাবে একদিকে আফ্রিকা অঞ্চল এবং অন্যদিকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কমই থাকছে। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারও ইউরোপ ও আমেরিকা অঞ্চলের দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম, যা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অনেকটাই স্বস্তিদায়ক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তা কতটা স্বস্তিদায়ক? জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নাগরিক সমাজের বেশ কিছু অংশীদার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তৈরি পরিকল্পনা নথি তো নতুন শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে। ওই নথি বলছে, অতি দ্রুত কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পরিকল্পনা নথির শুরুতেই বলা হয়েছে, এটি এমন একটি ভয়াবহ রোগ, যা আমাদের সাড়া দেওয়ার গতির চেয়ে বেশি গতিতে সংক্রমিত হয়। ৭৭০ কোটি জনগোষ্ঠীর এই বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণের হার উচ্চ ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাপক মাত্রায় জনঘনত্ব বিবেচনা করে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত পন্থা অবলম্বন করে ধারণা করা যায়, প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ নেওয়া না হলে মহামারির প্রভাবে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35289/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          নির্দেশনার পরেও মোবাইল রিচার্জ-ব্যাংকিং দোকান বন্ধ



                          করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন পালনের সময় মোবাইল ফোনে রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাকিংয়ের দোকান বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অনেক গৃহবন্দী সাধারণ মানুষ। দেশের অনেক জেলায় সীমিত পরিসরেও খোলা নেই এসব দোকান। রিচার্জ করতে না পেরে ঘরে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না কেউ কেউ।

                          এদিকে গত শুক্রবার রাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জনগণের সঙ্গে সহিষ্ণু আচরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনায় তিনি ব্যাংকিং ও মোবাইল ফোনের সেবাকে ‘জরুরি সেবা’ বলে অবহিত করেন। তবে আজ সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটেনি।
                          খবরঃ কালের কন্ঠের

                          আজ রাজধানীর নতুনবাজার এবং মাদানী এভিনিউ ঘুরে মুদি, কাঁচাবাজার, ফার্মেসি ও ফলের দোকান ছাড়া সব দোকানই বন্ধ দেখা গেছে। শহীদনগর অটোস্ট্যান্ডের কাছে ‘সুরভী জেনারেল স্টোরের’ নামে মুদির দোকানের সঙ্গে মোবাইল ফোন রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাকিং রয়েছে। গত ২৫ মার্চ থেকে মোবাইল রিচার্জ ও ব্যাংকিং বন্ধ করে দিয়ে গেছে আওয়ামী দালাল পুলিশ।

                          দোকানের মালিক রাসেল বলেন, ‘ভিড় হয় দেখে পুলিশ বন্ধ রাখতে বলছে। সব বড় রিচার্জের দোকানই তো বন্ধ।রবিবার থেকে আমি সীমিতভাবে খুলছি।’ স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল করিম বলেন, ‘আমি ফোনে টাকা ঢুকানোর জন্য বের হয়ে কোথাও পেলাল না। বিকাশেও টাকা নেই যে রিচার্জ করবো। রিক্সা নিয়ে অনেক দূরে গিয়ে একটি দোকান খোলা পেয়েছি।’ সোলমাইদ এলাকার দোকনদার আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমি এক বেলা দোকানটা খোলা রাখছি। তবে সবাই বলে সমস্যা হবে, ভয়ে আছি।’

                          জানতে চাইলে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ফার্মেসি ও নিত্যপণ্য ছাড়া সব বন্ধ করে দিছি। মোবাইল রিচার্জ বা বিকাশ জরুরি সেবার আওতায় পড়বে এমন নির্দেশনা পাইনি।’ শুক্রবার আইজিপির নির্দেশনার কথা বললে তিনি বলেন, ‘যারা কাজে বের হচ্ছে তাদের সাথে পেশাদার আচরণ করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো কিছু তো পাইনি।’

                          আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ এলাকার সব মোবাইল ফোনের রিচার্জ ও ব্যকিং দোকানই বন্ধ আছে। মাসুদ রানা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু একটি ব্যাচেলর বাসায় এক রুমে থাকি। তাই বাসায় ওয়াইফাই নাই। নেট শেষ হয়ে গেলে পুরো এলাকা ঘুরে টাকা ঢুকানোর রাস্তা খুঁজে পাই না। জরুরি এই সেবার বিষয়টি কেন বন্ধ রাখা হলো বুঝতে পারছি না।’

                          মোবাইল ফোনে স্থানীয় ‘সমির টেলিকমে’র মালিক সমির আহমেদ বলেন, ‘নির্দেশনা মেনে আমরা দোকান বন্ধ রেখেছি। পরিচিত কেউ কেউ ফোন করে টাকা পাঠাতে বলছে।’

                          লালবাগ থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ভিড় ও আড্ডা হওয়ার কারণে এগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি সেবা হবে কিনা সেক্ষেত্রে পরিস্কার নির্দেশনা নেই।’

                          ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌরশহরে কাচাবাজার ও ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানই বন্ধ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিকাশ ও রিচার্জের কিছু দোকান গামগঞ্জে খোলা আছে।

                          অসুস্থ এক আত্মীয়কে নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আসেন সুমন মাহমুদ নামে এক যুবক। তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজনে ফোনে কথা বলতে গিয়ে তার মোবাইল ফোনে টাকা শেষ হয়ে যায়। গাবতলীতে পৌছে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করার মতো কোনো দোকান খোলা পাননি তিনি। শেষে এক পথচারীর ফোন দিয়ে কল করেন।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35303/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও ত্রাণ নিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গ্রুপের মারামারি



                            লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদে ত্রাণ বিতরণের তালিকা তৈরি নিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুজন গ্রাম পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।

                            গতকাল রোববার রাতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

                            স্থানীয়রা জানান, ত্রাণের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি নিয়ে রাতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত গ্রুপ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আ. রাজ্জাক ও আইয়ুব আলীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।

                            এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘চেয়ারম্যান একাই তালিকা তৈরি করে ত্রাণ বিতরণ করছেন। আমি এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালায়। এতে আমার ছেলে রিফাতসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।’

                            বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন অন্যভাবে তালিকা তৈরি করে নিজেই ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বিতরণস্থল আমার ইউনিয়ন হওয়ায় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। রাতে হঠাৎ করে ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামের লোকজন এসে হামলা চালায়। এতে গ্রাম পুলিশ আ. রাজ্জাক ও আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।’

                            পাটগ্রামের ইউএনও মশিউর রহমান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘রাতে বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফোনে বিষয়টি আমাকে অভিযোগ করেছেন। চেয়ারম্যানের দাবি, দুইজন গ্রাম পুলিশ আহত হয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35319/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              প্রতারক আওয়ামী সরকারের পলিসি হলো ‘নো টেস্ট, নো করোনা’



                              ‘বর্তমান সরকারের পলিসি জনগণের কাছে একদম পরিষ্কার। নো কিট, নো করোনা। নো টেস্ট, নো করোনা। নো পেসেন্ট, নো করোনা। যে পলিসি করে ইরান ও ইতালি সরকার তাদের দেশের সর্বনাশ করেছে।’

                              করোনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এমনটাই বলছিলেন একজন নাগরিক।

                              তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, দুই মাস সময় পেলেও সরকার এ সমস্যার দিকে কোনো মনোযোগ দেয়নি।’ খবরঃ কালের কন্ঠের

                              এই নাগরিক বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় খিলগাঁও তালতলার গোরস্থানে গোপনে মরদেহের জানাজা-দাফন করা হচ্ছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ধর্না দিয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। কি ভীতিকর পরিস্থিতি! ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট মিডিয়ার খবরের সঙ্গেও সরকারের ব্রিফিংয়ের আকাশ পাতাল ব্যবধান।সরকারের পক্ষ থেকে টানা দুদিন বলা হচ্ছে, দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত নেই। অথচ পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনসহ মিডিয়ায় প্রতিদিন সর্দি, জ্বর, কাশিতে মারা যাওয়ার খবর দিচ্ছে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ ছাপা হয়েছে আজকের খবরের কাগজে। এরমধ্যে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে একজন নারীসহ মারা গেছেন দুজন। ঠাকুরগাঁওয়ের এক অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পাননি অসহায় বাবা।’

                              করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘কোথাও সমন্বয় নেই। আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা দেশে নেই। চিকিৎসকদের রক্ষার ব্যবস্থা নেই। যথেষ্ট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভেন্টিলেটর নেই। পরীক্ষার ব্যবস্থা ছাড়া সরকার আক্রান্ত সংখ্যার যে তথ্য দিচ্ছে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছে না।’


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/03/30/35304/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X