Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১০ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৪ঠা এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১০ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৪ঠা এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    জোর করে মুসলিমদের মৃতদেহ পুড়িয়ে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা



    কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার মৃতদেহ কবর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরামর্শ উপেক্ষা করে করোনায় মারা যাওয়া সকল মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা।

    শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন যার মধ্যে দুজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। ইসলামিক দাফনের রীতি লঙ্ঘন করে জোর করে তাদের মরদেহ পুড়িয়ে সৎকার করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

    মৃতদেহ সৎকারে মুসলিম রীতি না মেনে এমনকি মরদেহ ধৌত করতেও দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে কাতারের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা।

    জানা গেছে, গত বুধবার কলম্বোর বাসিন্দা ৭৩ বছর বয়সী বিসরুল হাফি মোহাম্মদ জুনুস নামে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর পরের দিন তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    বিসরুল হাফির ছেলে ফয়েজ জুনুস জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বাবার করোনা ধরা পড়ে। তার কিডনির সমস্যাও ছিল। করোনা সংক্রমণের ভয়ে তারা তার বাবার জানাজার নামাজ আদায় করতে পারেননি।

    তিনি বলেন, ‘আমার বাবার মরদেহ পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যদি দাফনের বিকল্প থাকে তবে সরকারের ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু পুড়িয়ে দেওয়াই একমাত্র বিকল্প নয়, আমরা ইসলামিক পদ্ধতি অনুসারে আমাদের প্রিয়জনকে কবর দিতে চাই।’

    শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের দেহগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে আরও বলা হয়, মরদেহগুলো ধৌতও করা হবে না। একটি সিলযুক্ত ব্যাগ এবং একটি কফিনে রেখে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।

    সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ডারাক্সের পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫৯ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

    বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও দুটি প্রমোদতরীর ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। মৃত্যুবরণ করেছে ৫৯ হাজার ২০৩ জন। এ ছাড়া এই ভাইরাসে সুস্থ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ জন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35562/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মৃতদেহ পোড়ানোর চেয়ে কবর দেওয়া উত্তম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা



    মহামারিতে গণহারে মানুষ মারা গেলে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেয়ে কবর দেওয়া উত্তম বলে মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে মৃতদেহ সৎকারের ক্ষেত্রে ধর্ম ও সামাজিক রীতিনীতি মান্য করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। সংস্থাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘রিস্কস পোজড বাই ডেড বডিস আফটার ডিজাস্টারস’ শিরোনামে প্রকাশিত নির্দেশনায় এমনটা বলা হয়েছে।

    এই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তি থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। এমনকি প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয়ের পর কোনো লাশের শরীর মহামারি রোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। কারণ মহামারিতে মারা যাওয়ার পর মানুষের শরীরে ওই এজেন্টের বেশিরভাগই দীর্ঘ সময় জীবিত থাকে না। তবে লাশের সঙ্গে সংস্পর্শ অব্যাহত রাখলে যক্ষ্মা বা রক্তবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। লাশ থেকে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত কিছু ঝুঁকি থাকে। যেমন কেউ যদি কলেরা বা রক্তপ্রদাহজনিত জ্বরে (হেমোরেজিক ফিভার) মারা যান, তাহলে এটা ঘটতে পারে। রিপোর্টঃ আমাদের সময়

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, যেসব মানুষ নিয়মিত মৃতদেহ দাফন বা এর দাফন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদের যক্ষ্মা, রক্তবাহিত ভাইরাস (যেমন হেপাটাইটিস-বি, সি এবং এইচআইভি) এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (যেমন কলেরা, ই-কোলি, হেপাটাইটিস-এ, রোটাভাইরাস ডায়রিয়া, সালমানেলোসিস, শিগেলোসিস এবং টাইফয়েড/প্যারাটাইফয়েড জ্বরে) সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।

    এ ক্ষেত্রে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, যখন গণহারে মানুষ মারা যায় এবং মৃতদের আর শনাক্ত করা সম্ভব হয় না তখন লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেয়ে কবর দেওয়া উত্তম। জনস্বার্থের জন্য গণকবর কোনো সুপারিশকৃত বিষয় নয়।

    এতে প্রচলিত সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ আদর্শগুলো লঙ্ঘিত হতে পারে। লাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় পারিবারিক প্রয়োজন ও সামাজিক রীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35573/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালাউনদের নতুন চক্রান্ত: দিল্লিতে করোনার জন্য মুসলিমদেরকে দোষারোপ



      নয়াদিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদে এক অনুষ্ঠান থেকে বেরোনো কয়েকজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বিষয়টিকে ঘিরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর দোষ চাপাতে ভারতীয় মালাউন সরকার উঠে-পড়ে লেগেছে।

      গত ১ এপ্রিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, লকডাউন ঘোষণার আগে নিজামুদ্দিন মসজিদে ১৩ থেকে ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত তাবলিগের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অন্তত ১৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অনেক নাগরিক ও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার মানুষ পাঁচটি ট্রেনে ভ্রমণ করে ওই তাবলিগে অংশ নেন।

      এরপর থেকে ভারত সরকার নিজামুদ্দিন মসজিদের ওই জমায়েতকে করোনা সংক্রমণের ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। যদিও ভারতে করোনা এসেছে জানুয়ারিতেই। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী বিজেপি সরকার এজন্য ধর্মীয় প্রচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। তাদের এই দোষ চাপানোর কাণ্ডে উসকানি দেয় ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমও। কিছু সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে বলা হয়, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে তারা জমায়েত হলেন কেন?

      অথচ ১৬ মার্চ বিজেপির সম-আদর্শের একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন দিল্লিতেই গোমূত্র পার্টি করে, যেখানে কয়েকশ লোক অংশ নেন। ১৯ মার্চ পর্যন্ত খোলা ছিল তিরুপতি মন্দির। যেখানে প্রতিদিন অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী যান। এমনকি লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও খোলা ছিল কাশ্মীরের বৈষ্ণদেবী মন্দির, যেখানে শত শত পূণ্যার্থীর যাতায়াত ছিল, এবং সেখানে এখনো আটকা পড়েছেন ৫০০ পূণ্যার্থী।

      এখানেই শেষ নয়, মার্চের গোড়ায় ইটালি এবং জার্মানি ঘুরে দেশে ফিরেছিলেন এক শিখ ধর্মগুরু। বিমানবন্দরে তাঁর কোনও রকম পরীক্ষা হয়নি। পাঞ্জাবে গিয়ে ডজনখানেক গ্রামে ঘুরে তিনি ধর্মপ্রচার করেছেন। দিন দশেক আগে তাঁর মৃত্যুর পরে জানা যায়, সেই গুরুও করোনা আক্রান্ত ছিলেন। আশঙ্কা, ওই গুরুর সংস্পর্শে এসে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এখনও পর্যন্ত ওই সমস্ত গ্রামের অন্তত কয়েকশ ব্যক্তির শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে।

      আর সব চেয়ে আশ্চর্যের ঘটনাটি তো ঘটিয়েছেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নরেন্দ্র মোদী লকডাউনের ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অযোধ্যায় রামলালা যাত্রা করেন সপার্ষদ যোগী। এ সব অন্যায় নয়? অপরাধ নয়?

      মালাউনদের গোমূত্রের পার্টিতে জড়ো হয়েছিলেন ২০০ ভক্ত। সেটিও দিল্লি সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সব আচরণই বুঝিয়ে দিচ্ছে, কারা বেপরোয়া। এসব জমায়েতের ব্যাপারে সরকারও উচ্চবাচ্চ্য করেনি, উসকানি দেয়া সেই সংবাদমাধ্যমগুলোও কিছু বলেনি।

      বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখা যেত। অথবা অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যেত। অন্ততপক্ষে হাতে ছাপ দিয়ে তাঁদের নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারান্টিনে রাখা যেত এবং তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা উচিত ছিল। তিনি কেন এটা করলেন না?

      বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা ছিল। সেটা জ্বর মাপার জন্য। লোকেদের অভিজ্ঞতা বলছে, সবাইকে ওই স্ক্রিনিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। এমনও অভিযোগ উঠছে, নামার আগে অনেক যাত্রী প্যারাসিটামল খেয়ে নিয়েছিলেন, যাতে পরীক্ষা করেও জ্বর পাওয়া না যায়। আর বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়নি বলে গায়িকা কণিকা কাপুরের মতো বেশ্যা অনেকেই পার্টি করেছেন, অনুষ্ঠান করেছেন, লোকের সঙ্গে ঢালাও দেখা করেছেন। কলকাতায় যুগ্ম সচিব পর্যায়ের অফিসারের ছেলে হাসপাতালে না গিয়ে সারাদিন শপিং মলে ঘুরেছেন। তাঁদের ব্যাপারেও কোন ব্যাবস্থা নেয় নি কেন?

      ২ মার্চ থেকে ভারতে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। লকডাউন ঘোষণার আগের দিন পর্যন্ত তা চলেছে। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দলছুট বিধায়কদের পদত্যাগ করিয়ে সেখানে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা রূপায়ণ হয়েছে এরই মধ্যে। অর্থাৎ, এমন একটা ভাব দেখানো হয়েছে, যেন করোনা হচ্ছে তো কী হয়েছে, আমরা ঠিক থাকব। সামাজিক মাধ্যমে কেউ করোনা রুখতে গোবরস্নানের ভিডিও আপলোড করেছেন, কোনও বিজেপি বিধায়ক গোমূত্র পানের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁদের নিন্দা বা সতর্ক পর্যন্ত করা হয়নি।

      চীনের করোনা পরিস্থিতি দেখে এবং সেই রোগ বিশ্বের অন্যত্র ছড়াচ্ছে দেখেও সেই ধরনের কোন ব্যবস্থা করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। বরং এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অবাক করার মতো।

      অথচ, চীনে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে তা রীতিমতো বড় আকার নিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের মতো দেশ করোনা সামলাতে কী রকম নাজেহাল হচ্ছে, উহান লকডাউন করে দিতে হচ্ছে, মাস্ক, স্যানিটাইজার উধাও হয়ে যাচ্ছে, চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন, পরিকাঠামোর অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে– সে সবই ততদিনে জানা হয়ে গিয়েছে। এটাও বোঝা গিয়েছে, করোনা চীনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গোটা বিশ্বে ছড়াবে।

      তবুও সরকারের গাফিলতি বলুন, অদূরদর্শিতা বলুন, ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার উদাহরণ বলুন, সেটা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতেই। অন্য দেশ থেকে যে সব বিদেশি ও স্বদেশি দেশে ঢুকেছেন, তাঁদের যদি সেই সময় থেকেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হতো, তা হলে এতদিনে হয়তো করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। অন্তত ১ মার্চ থেকে এই ব্যবস্থা নিলেও এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। খবর-ডয়চে ভেলে

      শুধু নিজামুদ্দিন মসজিদের জমায়েতের ওপরই করোনা ছড়িয়ে পড়ার সব দায় চাপাতে এখন সবাই উঠে-পড়ে লেগেছে। নাগরিক সমাজের অনেকে এটাকে ‘ইসলামফোবিয়া’র চূড়ান্ত রূপ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন।

      তাবলিগের ঘটনা প্রচার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনও কোনও মহল থেকে একটি সম্প্রদায়ের দিকে আঙুল তোলা শুরু হয়েছে। প্রচারের কৌশলে বোঝানোর চেষ্টা চলছে, ভারতে কেবল একটি সম্প্রদায়ই করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী। বাকিরা ধোয়া তুলসি পাতা। গুজরাটে রীতিমতো লিফলেট বিলি করে প্রচার করা হচ্ছে, নিজামুদ্দিনের ঘটনা আসলে একটি সংগঠিত ‘সন্ত্রাসবাদী’ চক্রান্ত।

      গল্পের গরু মগ ডালেও চড়তে পারে। সমস্যা হল, ইদানীং ভারতীয় সমাজ, গণমাধ্যম এবং রাজনীতি ওই মগডালের গরুকে নিয়েই রাতদিন বিতর্ক করে যায়। তারা প্রশ্ন করে না, কী ভাবে ওই শিখ ধর্মগুরু বিমানবন্দর থেকে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বেরিয়ে পড়েন? তখন কোথায় ছিল প্রশাসন? কী ভাবে তাবলিগের জমায়েতে আসতে পারলেন বিদেশি অভ্যাগতরা? কেন তাঁদের বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হল না? কী ভাবে ঘটল তালিকায় দেওয়া আর সব ঘটনা? কোথায় ছিল পুলিশ, প্রশাসন, সরকার? কোথায় ছিল আইনের শাসন?

      তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্যাম ব্রাউনব্যাক। তিনি ‘দোষারোপের খেলা বন্ধ করে’ করোনা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নয়াদিল্লির প্রতি।

      গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ব্রাউনব্যাক বলেন, ‘ভারতে কয়েকদিনে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য কোনো মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে সরকারের দায়ী করা উচিৎ নয়। আমরা জানি এই ভাইরাসের প্রকৃত উৎসস্থল ঠিক কোথায়? গোটা পৃথিবী এখন করোনাভাইরাসে স্তব্ধ। সেখানে কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দোষ চাপিয়ে যে খেলা চলছে তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সরকারের প্রয়োজন এই নোংরা খেলার বিরুদ্ধে একটা কড়া পদক্ষেপ নেয়া।’

      স্যাম ব্রাউনব্যাক ভারত সরকার ও তাদের অনুসারী সংবাদমাধ্যমের এমন অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো রকম দোষারোপের খেলায় না গিয়ে ভারতের উচিত পরিস্থিতি উত্তরণে সঠিক উপায় বের করা।

      তিনি সব ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের মত করে ধর্মীয় আচার পালন করুন এবং শান্তি বজায় রাখুন।

      সূত্র- ইসলাম টাইমস/ ডয়চে ভেলে


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35543/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে লকডাউনে চাকরি গেল ১০ হাজার শিক্ষকের



        করোনার জেরে গোটা দেশ লকডাউন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। লকডাউন ঘোষনার পর থেকে উপার্জন নেই দেশের খেটে খাওয়া দিনমজুরদের। এই টানাপোড়নের মধ্যেই এবার চাকরি যাচ্ছে ত্রিপুরার কয়েক হাজার শিক্ষক—শিক্ষিকার৷ মাথায় হাত বাম আমলে চাকরি পাওয়া ১০ হাজার শিক্ষকের। কী করে চলবে দিন, বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
        ২০১৪ সালে ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলে নিযুক্ত হন এই ১০ হাজার শিক্ষক৷ নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা৷ যার জেরে এবার চাকরি হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ওই শিক্ষকদের।

        ওই শিক্ষকদের চাকরিতে বহাল রাখতে বাম সরকার ১৩ হাজার শিক্ষাকর্মীর পদ তৈরি করে তাদের নিযুক্ত করেছিল৷ কাজ হারানোর আশঙ্কায় থাকা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেয় তৎকালীন বিরোধী শিবির বিজেপি৷ কিন্তু সরকার বদলের পর এই লকডাউনের সংকটে তাঁদের চাকরিতে না রাখার কথা টুইট করে ঘোষনা করে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে তা হলে কি প্রতিশ্রুতি ছিল স্রেফ ভোট নেওয়ার কৌশল! অ্যাডহক ভিত্তিতে এতদিন চাকরিতে বহাল ছিলেন এই শিক্ষকরা৷ কিন্তু দেশব্যাপী এই চরম সংকটের মাঝেই এককালীন ৩৫,০০০ টাকা দিয়ে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল।

        সূত্র: জি নিউজ


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35546/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে করোনা হেল্পলাইন নম্বরে বারবার ফোন করেও উত্তর মিলছে না, বাড়ছে ক্ষোভ



          ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পরে তার জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। দেশের প্রতিটি রাজ্যে চালু হয়েছে করোনাভাইরাস হেল্পলাইন নম্বর। কিন্তু সেই নম্বর যদি কাজই না করে তাহলে জরুরী অবস্থায় কিভাবে পরিষেবা পাবে সাধারণ মানুষ! ঠিক এই রকমই কিছু সমস্যার কথা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ।

          দিল্লির অঙ্কুর তিওয়ারি নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছিল তাঁর শরীরে। জ্বর হয়েছিল, ক্লান্তি ভাব ছিল, এছাড়া শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাঁর। সেই সময় তিনি করোনাভাইরাস হেল্পলাইনে বার বার ফোন করেন পরামর্শ নেওয়ার জন্য। বারবারই নম্বর ব্যস্ত পান তিনি। কখনও অপারেটরের তরফে উত্তর আসে, নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই। অনেক চেষ্টা করেও শেষমেশ হেল্পলাইন নম্বর থেকে কোনও সাহায্য পাননি তিনি। বাধ্য হয় বাড়ির কাছাকাছি এক চিকিৎসককে দেখিয়ে তিনি জানতে পারেন, করোনায় আক্রান্ত হননি তিনি।

          অঙ্কুর তিওয়ারির মতো একই অভিযোগ করেছেন অনেকেই। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত কোনও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে্ন বহু মানুষ। এই প্রসঙ্গে দিল্লির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, তাঁর পাশের কলোনিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। তাই তিনি বারবার হেলপ্লাইন নম্বরে ফোন করেও কোনও সাহায্য পাননি। এমনকি তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে টুইট করেও জানিয়েছিলেন সমস্যার কথা। কিন্তু তার সেই টুইট গ্রাহ্য হয়নি। কিন্তু দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রক দ্বারা করোনাভাইরাসের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ১৯ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে প্রায় ২৮৭টি ফোন তারা পেয়েছেন।

          শুধু যে দিল্লিতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তা নয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাধারণ মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যেমন মুম্বইয়ে বসবাসকারী একজন জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের শরীরে করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। শরীরে ব্যাথা, কাশি, বুকে ব্যাথা, জ্বরের মতো উপসর্গ ছিল। সেই সময় তিনি মহারাষ্ট্রের করোনা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কোনও উত্তর পাননি। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে তাঁর মাকে নিয়ে বাড়ির কাছাকাছি একটি ক্লিনিকে যান। এছাড়াও হরিয়ানা থেকে একজন জানিয়েছেন, তিনি হেল্পলাইন নম্বরের থেকে কোন উত্তর না পেয়ে হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে টুইট করেছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি।

          সূত্র: জি নিউজ


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35551/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            হাতে কাজ নেই, কেউ তো খাবার দেয়না, আমরা খাব কী?



            হাতে কাজ নেই, ঘর থেকে বেরোনো নেই , আমরা দিনমজুর কাজ না করলে পেটে ভাত যায়না, এম,পি, চেয়ারম্যান মেম্বার কেউই এক ছটাক চাউল দেইনি আমরা এখন কিভাবে বাঁচবো? যুবকণ্ঠের এ প্রতিবেদককে কথাগুলি বলছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্রতমজেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মোফাছ মিয়া।

            এই অভিযোগ ওই গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি ও দিনমজুর তাজাম,মোকছেদ,ওয়াচ,আজিজুল,সাইদুল মানিক ও মোত্তালেবের ঘরে বেশ কিছুদিন থেকে বন্দি থাকলেও তাদের কাঠে পৌঁছায়নি সরকারী বা বেসরকারী কোন খাদ্য সহায়তা।

            আপরদিকে ওই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের কোল ঘেষে বসবাস করা দিনমজুর দরিদ্র রোকেয়া,মমিনা,ফিরোজা,জবেদা,ভারতী রানিও এখন সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পাননি বলে জানান।

            এছাড়া ওই ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের সুরজা,আকুল,জলিল,আজিজুল,মেহেরবান,মানিকসহ কেউই এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি বলে জানান।

            সুরজা বেগম এ প্রতিবেদককে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, দিন আনি দিন খাই। গত ১০/১৫ দিন থেকে একপ্রকার খেয়ে না খেয়ে বাড়িতে পড়ে আছি। তিনি সরকার ও বিত্তবানদের কাছে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন।

            এখন তাদের প্রাণের দাবী তারা দ্রুত সরকারী বা বিত্তবানদের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রি সাহায্য চান।

            করোনার কারণে বিশেষ করে গ্রামের প্রতিটা মানুষ চরম কষ্টে। বিশেষ করে বেশি কষ্টে আছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ বয়বৃদ্ধরা।

            এ প্রতিবেদক তার নিজের গ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চন্ডিপুরের ২০০ টি পরিবারের প্রায় প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষগুলোর অসহায়ত্ব দেখেছে। অনেকের কান্নাও দেখেছে। এখন এই অসহায় মানুষগুলোর জরুরি খাদ্য সামগ্রি দরকার।

            এ ব্যাপারে কথা হলে ওই ইউনিয়নের চন্ডিপুরের মেম্বার( ইউ,পি সদস্য) মুকুল মিয়া বলেন, বরাদ্ব অল্প তাই সকলকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

            প্রতিবেদকের বক্তব্য: আমি নিজে আমার গ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ চন্ডিপুরে প্রায় প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষগুলোর অসহায়ত্ব দেখেছি। অনেকের কান্নাও দেখেছি।

            বিশেষ শিশুগুলো অনেক অনেক কষ্টে! তাদের কান্না দেখে নিজেও কেঁদেছি। বলবার কিছু নেই। পেট কি আর লকডাউন বা ঘরে থাকা বোঝে? আমি আজ আমার গ্রামের যতটা বাড়ি ঘুরেছি কেউই এখন পযন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোন সহায়তা পাননি!

            সূত্র : যুবকণ্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35540/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সরকারের অব্যবস্থাপনায় ঢাকায় ফিরতে পথে-ঘাটে পোশাকশ্রমিকদের ঢল



              বেসরকারি ও গার্মেন্টসকর্মীদের ঢাকায় ফিরতে দৌলতদিয়া ঘাটে প্রচণ্ড ভিড় চলছে আজ শনিবার দুপুর থেকেই। এতে সামাজিক দূরত্ব মানতে পারছে না তারা। ফলে করোনাভাইরাস ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অসংখ্য মানুষ শনিবার দৌলতদিয়া ফেলি ঘাটে এসে ভিড় করেছে পদ্মা পাড়ি দেয়ার জন্য। লঞ্চ ও অন্য ট্রলার পারাপার বন্ধ থাকায় শত শত মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছে।

              দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কর্মমুখী মানুষ দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌ-পথ পাড়ি দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফরিদপুর-দৌলতদিয়া মহাসড়কে পায়ে হেঁটে, ভ্যান-ট্রলি এবং পিকআপ ভ্যানে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন পোশাকশ্রমিকরা। শনিবার সকাল ১০টার দিকে এমন চিত্র দেখা যায় খুলনা-দৌলতদিয়া মহাসড়কে।

              বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার আব্দুল্লা রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এখন ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। তবে আজ শনিবার থেকে গাড়ির চেয়ে মানুষই বেশি পার হচ্ছে। ফেরির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় একটা ফেরিঘাটে ভিড়ার সাথে সাথেই তাতে ওঠার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। করোনা ছুটি শেষ হওযায় বেসরকারি চাকরিজীবি ও গার্মেন্টসকর্মী নারী-পুরুষ এক সাথে প্রত্যেক ফেরিতেই ভিড় করে পার হচ্ছে।

              সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা,ফরিদপুর-দৌলতদিয়া মহাসড়কের বিভিন্ন বাসট্যান্ডে ঢাকামুখী যাত্রীরা কেউ হেঁটে যাচ্ছেন আবার যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো তারা ভ্যান বা পিকআপে করে ছুটে চলছেন ঢাকার দিকে। অতি কষ্ট করে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে এলাকা ভিত্তিক প্রতিজনের ভাড়া ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা লেগেছে। ভাড়া যেখানে ২ শ’ থেকে আড়াই শ’ টাকা আর সেখানে এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজে যাওয়ার জন্য ভাড়া গুণতে হচ্ছে এক শ’ টাকা। তবুও অতিরিক্ত টাকা দিয়েই যাচ্ছেন পোশাকশ্রমিকরা।

              ঢাকার মহাখালির পোশাক কারখানার শ্রমিক গোলেজান বিবি জানান, কারখানা খুলে গেছে তাই যাচ্ছি। আজ কারখানায় উপস্থিত না হতে পারলে যে কয়েক দিন ছুটি পাইছি সে কয়েক দিন অনুপস্থিত দেখাবে কর্তৃপক্ষ। যার কারণে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই কারখানায় যাচ্ছি। মহাসড়কে মানুষের ঢল হলেও ওই ঢলেই তাদেরও ভেসে গেলেও কারখানায় শনিবারের মধ্যে যেতেই হবে। সাইদুল নামে আরো এক পোশাক শ্রমিক বলেন, আমি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি, কুষ্টিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে তার লেগেছে সাড়ে তিন শ’ টাকা পথে যে ভাড়া তার চেয়ে পাঁচ-সাত গুণ ভাড়া চাচ্ছে পিক-আপ ভ্যানের চালকরা, আমার কাছে এত টাকা নাই তাই বাধ্য হয়েই মোবাইল কম দামে বিক্রি করে দিয়ে যাচ্ছি।

              গোয়ালন্দ ঘাট থারার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সব মহাসড়কে আঞ্চলিক গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কাটা গাড়িও বন্ধ আছে এবং এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গতকাল থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথ পারি দিয়ে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35561/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সময়সীমা বাড়লো গণপরিবহন বন্ধের



                করোনাভাইরাসের মহামারির পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত আগামী শনিবার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

                আজ শনিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান (তথ্য কর্মকর্তা) মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

                বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। তবে পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

                এর আগে, করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35569/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  করোনার কারণে বাংলাদেশি হজকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত



                  বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ চলতি বছরে হজ মৌসুমে মক্কা, মদিনা মনোয়ারা এবং জেদ্দার জন্য স্থানীয়ভাবে অস্থায়ী বাংলাদেশি হজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করেছে জেদ্দা বাংলাদেশ হজ অফিস।

                  আজ শনিবার মক্কা বাংলাদেশ হজ অফিসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান দৈনিক আমাদের সময়কে এ খবর নিশ্চিত করেন।

                  মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা ও কারফিউর কারণে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশিরা আবেদন করেছিলেন তাদের সাক্ষাৎকার নির্ধারিত তারিখে গ্ৰহণ করা যাচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ থেকে হজকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হলো।’

                  আগামীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাক্ষাৎকারের তারিখ ও সময় পুনঃনির্ধারণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে তা বিজ্ঞপ্তি ও মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মাকসুদুর রহমান।

                  এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৫। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৫১ জন ও আক্রান্ত আছেন ২ হাজার ৩৯ জন।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35572/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বলায় শিক্ষার্থীকে পেটালেন ইউপি সদস্য



                    বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।

                    কালের কন্ঠের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধেরুয়াহাটি গ্রামের জুয়েল সরকার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি এলাকায় নছিমন-করিমন, ভটভটি, ট্রলি ও রিকশা-ভ্যানচালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন। অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করে ধেরুয়াহটি গ্রামের আল মাহমুদের ছেলে বগুড়া আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জুয়েল সরকার ও তার লোকজন জাকির হোসেনকে পিটিয়ে জখম করে।

                    শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয় জুয়েল সরকার। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের বাবা আল মাহমুদ বাদী হয়ে জুয়েল সরকারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শুক্রবার থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

                    ইউপি সদস্য জুয়েল সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের মিথ্যা অভিযোগের ঘটনায় তাদের সাথে কথাকাটাকটি হয়েছে। তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়নি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35578/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ৯ দিন অনাহারে-অর্ধাহারে রিকশাচালক সিরাজ



                      চট্টগ্রামের চন্দনাইশ সদরের মীর বাড়ি এলাকার মৃত লালুমিয়ার বড় ছেলে প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৬০) গত সাত মাস আগে ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা ক্রয় করেন। কিস্তির টাকা এখনো শেষ হয়নি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সরকার সকল যান-পরিবহন বন্ধ রেখেছে। তার জন্য গত ৯ দিন ধরে রিকশা চালাতে পারেনি প্রতিবন্ধী সিরাজ।

                      সরকার খেটে খাওয়া ও রিকশাচালক শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর কথা বললেও সরেজমিনে তার চিত্র অন্যরকমই। এ রকম শত হতাভাগার কপালে জোটেনি এক মুঠো চাল। এ রকম চন্দনাইশের শত শত রিকশাচালক, দিনমজুর, মধ্যবিত্ত পরিবার না খেয়ে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।

                      রিপোর্টঃ কালের কন্ঠের


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35577/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                        হাতে কাজ নেই, কেউ তো খাবার দেয়না, আমরা খাব কী?



                        হাতে কাজ নেই, ঘর থেকে বেরোনো নেই , আমরা দিনমজুর কাজ না করলে পেটে ভাত যায়না, এম,পি, চেয়ারম্যান মেম্বার কেউই এক ছটাক চাউল দেইনি আমরা এখন কিভাবে বাঁচবো? যুবকণ্ঠের এ প্রতিবেদককে কথাগুলি বলছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্রতমজেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মোফাছ মিয়া।

                        এই অভিযোগ ওই গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি ও দিনমজুর তাজাম,মোকছেদ,ওয়াচ,আজিজুল,সাইদুল মানিক ও মোত্তালেবের ঘরে বেশ কিছুদিন থেকে বন্দি থাকলেও তাদের কাঠে পৌঁছায়নি সরকারী বা বেসরকারী কোন খাদ্য সহায়তা।

                        আপরদিকে ওই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের কোল ঘেষে বসবাস করা দিনমজুর দরিদ্র রোকেয়া,মমিনা,ফিরোজা,জবেদা,ভারতী রানিও এখন সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পাননি বলে জানান।

                        এছাড়া ওই ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের সুরজা,আকুল,জলিল,আজিজুল,মেহেরবান,মানিকসহ কেউই এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি বলে জানান।

                        সুরজা বেগম এ প্রতিবেদককে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, দিন আনি দিন খাই। গত ১০/১৫ দিন থেকে একপ্রকার খেয়ে না খেয়ে বাড়িতে পড়ে আছি। তিনি সরকার ও বিত্তবানদের কাছে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন।

                        এখন তাদের প্রাণের দাবী তারা দ্রুত সরকারী বা বিত্তবানদের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রি সাহায্য চান।

                        করোনার কারণে বিশেষ করে গ্রামের প্রতিটা মানুষ চরম কষ্টে। বিশেষ করে বেশি কষ্টে আছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ বয়বৃদ্ধরা।

                        এ প্রতিবেদক তার নিজের গ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চন্ডিপুরের ২০০ টি পরিবারের প্রায় প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষগুলোর অসহায়ত্ব দেখেছে। অনেকের কান্নাও দেখেছে। এখন এই অসহায় মানুষগুলোর জরুরি খাদ্য সামগ্রি দরকার।

                        এ ব্যাপারে কথা হলে ওই ইউনিয়নের চন্ডিপুরের মেম্বার( ইউ,পি সদস্য) মুকুল মিয়া বলেন, বরাদ্ব অল্প তাই সকলকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

                        প্রতিবেদকের বক্তব্য: আমি নিজে আমার গ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ চন্ডিপুরে প্রায় প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষগুলোর অসহায়ত্ব দেখেছি। অনেকের কান্নাও দেখেছি।

                        বিশেষ শিশুগুলো অনেক অনেক কষ্টে! তাদের কান্না দেখে নিজেও কেঁদেছি। বলবার কিছু নেই। পেট কি আর লকডাউন বা ঘরে থাকা বোঝে? আমি আজ আমার গ্রামের যতটা বাড়ি ঘুরেছি কেউই এখন পযন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোন সহায়তা পাননি!

                        সূত্র : যুবকণ্ঠ


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/04/35540/
                        নিউজটি পড়তে পড়তে চোখের জল নিজের অজান্তেই গালবেয়েগেল...! বলার তো অনেক কথাই আছে কিন্তু বলতে মন চাচ্ছে না! জনগনের খোদা দাবী করা সরকারের এ কি হাল.?! খাদ্য উন্নয়ন বোর্ডের সামনে দেখেছিলাম ১৬ কোটি জনতার ৫বছরের খাবার মজুদ করে রেখেছে তারা তাহলে আজ 30দিনেই তাদের মজুদির এ প্রমান দিল.?! ইয়া আল্লাহ এসকল ধোঁকাবাজ গাদ্দার থেকে আমাদের মুক্তি দাও! মাজলুম নীপীড়িত ক্ষুধার্তদের তুমি আহারের ব্যবস্থা করে দাও আমিন!
                        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                        Comment


                        • #13
                          সামনে খুব কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছি। আল্লাহ উম্মাহর জন্য সহজ করুক, আমীন

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment

                            Working...
                            X