Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    ২৪ ঘণ্টায় ৪ মাসের বৃষ্টিতে বন্যায় তলিয়ে গেছে করোনায় ‘মৃত্যুপুরী’ স্পেন



    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে স্পেন। তার উপর নতুন সংকট। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল দেশের পূর্ব অংশে।

    ইউরোপের দেশ স্পেনে ভয়ঙ্কর আক্রমণ চালাচ্ছে ভয়াল করোনা। এরই মধ্যে দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মারা গেছে ১১ হাজার ৭৪৪ জন মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৬ জন। গোটা দেশ এখন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত। দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। শোনা যাচ্ছে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে। এই পরিস্থিতিতে দেশটির পূর্ব অংশে বন্যা পরিস্থিতিতে কার্যত ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের।

    সরকারি সূত্রে খবর, স্পেনে চারমাসে যত বৃষ্টি হয়, সেই একই পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। কাস্তেলোঁ প্রদেশের রাজধানী কাস্তেলোঁ দে লা প্লানায় প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    স্পেনের আবহাওবিদরা জানিয়েছেন, বছরের এই সময় সাধারণত ৪২ মিলিমিটার মতো বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় (৩১ এপ্রিল থেকে ১ মার্চ) বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৭ মিলিমিটার। তারপর থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি তো চলছেই। ফলে পূর্ব স্পেন কার্যত বন্যায় তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির জেরে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ার উপকূলের অবস্থাও বেশ খারাপ। ১৯৭৬ সালের পর, গত ৩০ বছরে ২৪ ঘণ্টায় এতটা বৃষ্টিপাত আর কোনও বছর হয়নি। ২৪ ঘণ্টা বা একদিনের হিসেবে গত কয়েক বছরে এটি রেকর্ড বৃষ্টি। যার জেরে স্পেনের আলমাসোরা বুরিয়ানা এবং ভিলাফ্র্যাঙ্কা শহর ভাসছে পানিতে।

    তার উপর উত্তরাঞ্চলের ডেজার্ট ডি লেস পামেস পর্বতমালা থেকে প্রবল বেগে নেমে আসছে বৃষ্টির পানির ঢল। ফলে পরিস্থিতি হয়েছে আরও ভয়াবহ। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সবই প্রায় ডুবতে বসেছে। এলাকায় উদ্ধারকাজে নেমেছে দমকল বাহিনী। বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

    সূত্র: ইনসাফ২৪


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35651/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে নিউইয়র্কে ‘হিজাব-নিকাব’ পরার নির্দেশ



    কেউ ঘর বাইরে বের হলে তাদের স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে (হিজাব-নিকাব) বের হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও।

    তিনি বলেছেন, ঘরে তৈরি স্কার্ফ (হিজাব-নিকাব) হলেও তা পরে বাইরে বের হতে হবে।

    বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও একথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘বাইরে বের হলে বা অন্য মানুষের কাছাকাছি গেলে মুখ কাপড়ে ঢেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি স্কার্ফ হতে পারে বা বাড়িতে তৈরি যেকোনো কিছু হতে পারে, যা দিয়ে মুখ পুরো ঢেকে রাখা যায়।’

    বিল ডি ব্লাজিও সার্জিক্যাল মাস্ক বা অন্যান্য মেডিকেল-গ্রেডের মাস্ক ব্যবহার না করতে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের সতর্ক করে এ কথা বলেছেন।

    তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই এখন হাসপাতালগুলোতে এসব সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। সেখানে যারা সুস্থ থেকেও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় সার্জিক্যাল বা ক্লিনিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের কারণে হাসপাতালগুলোতে এসব অতি দরকারি সরঞ্জামের আরও সংকট সৃষ্টি হবে।

    বিল ডি ব্লাজিও আরও বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং প্রথম সারিতে থেকে যারা সরাসরি হাসপাতালে আছেন, এগুলো তাঁদের প্রয়োজন। এসব খুবই মূল্যবান, যা এই সময়ে অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করা আসা হয়েছে। তাই তিনি এসবের ব্যবহার সম্পর্কে একটু সচেতন হতে সবাইকে স্কার্ফ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।

    নিউইয়র্কের মেয়র বলেন, ৬ এপ্রিলের মধ্যে নিউইয়র্ক নগরীর হাসপাতালগুলো করোনাভাইরাস রোগীদের আসন্ন স্রোত সামলাতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য এবং ৫ এপ্রিলের মধ্যে নগরীর হাসপাতালে ৩৩ লাখ এন ৯৫ মাস্ক, ২১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, এক লাখ গাউন ও ৪০০ ভেন্টিলেটর পাওয়া অবশ্যই দরকার। না হলে মানুষের সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হবে না।

    এদিকে আমেরিকার সংক্রামক রোগ সোসাইটির কর্মকর্তা চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলা হিউলেট বলেছেন, স্কার্ফ বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করা গেলে অন্যকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এ জন্য একটি স্কার্ফ রুমাল বা টিস্যু জাতীয় জিনিস এ ধরনের সংক্রমণ রোধে কাজ করবে।

    এরপর শুক্রবার (৩এপ্রিল) একই কথা বলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তিনি বলেছেন, কাপড়ের ঘনত্বের বিচারে স্কার্ফ মাস্কের ভালো বিকল্প।

    রিপোর্টঃ ইনসাফ২৪


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35663/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      তাবলিগ নিয়ে অপপ্রচার ধর্মীয় বিদ্বেষ : দারুল উলুম দেওবন্দ



      সম্প্রতি তাবলিগ জামাতের মার্কাজ দিল্লির নিযামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতকে কেন্দ্র করে যে ইস্যু, তাবলিগ জামাতের সমাবেশে যোগ দেয়া বড় একটা অংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটিকে ধর্মীয় বিদ্বেষ বলে আখ্যায়িত করেছে ভারতের প্রভাবশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ।

      করোনাভাইরাসকে ধর্মীয় সহিংসতায় ব্যবহার করা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ বলে মন্তব্য করে শনিবার (০৪ এপ্রিল) দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী একটি বিবৃতি দেন।

      দেওবন্দ মাদ্রাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামুদ্দিন মারকাজকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে জলঘোলা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে, এটি অবশ্যই নিন্দনীয়। বৈশ্বিক এই সঙ্কটকালেও কিছু নীতি ভ্রষ্ট মানুষ করোনাভাইরাসকে ধর্মীয় সহিংসতায় ব্যবহার করতে চাচ্ছেন; আমরা জোরালো ভাষায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

      ভারতীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আশা করছি সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই করবে এবং যারা করোনাভাইরাসকে ধর্মীয় বিরোধ ও সংঘাতে ব্যবহার করতে চাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

      ‘বিশেষত দেশ এবং দেশের বাইরের যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি আইনি ব্যবস্থার আগে মানবতার পরিচয় দেয়া হবে বলে আমরা আশা করছি’।

      বিবৃতিতে তাবলিগ জামাতের যে সদস্যরা ১ মার্চের পরে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে অবস্থান করেছিল, তাদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

      নিজামুদ্দিনের ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়া বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে দেওবন্দের প্রিন্সিপাল বলেন, আমরা এ জাতীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, এ জাতীয় বিদ্বেষ যে মিডিয়াগুলো ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

      সূত্র: যুগান্তর


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35664/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ১২ বাংলাদেশি তাবলিগ সদস্যের সাথে মালাউনদের কঠোরতা



        দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে অংশ নেওয়া তাবলিগ জামাতের সদস্য ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মালাউন পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
        বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছে, এই বাংলাদেশি নাগরিকরা দিল্লির তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেন। পরে সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় চিল্লায় বেরিয়েছিলেন তারা।
        এই ১২জনের মধ্যে অন্তত দুজন ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, বাকিদেরও পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
        শামলির পুলিশ প্রধান ভিনিত জয়সোয়াল বিবিসিকে জানিয়েছেন, পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করার পর এই বিদেশি নাগরিকরা বেআইনিভাবে ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন, এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
        তিনি আরও জানান, যে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক এর মধ্যেই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, তাদের এখন রাখা হয়েছে ঝিনঝিনা-র একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
        করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তাবলিগের সদস্যরা ‘অসহযোগিতা’ করছেন বলে মিথ্যা অভিযোগ করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্টের মতো কড়া আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
        তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের এই কঠোর নীতির অংশ হিসেবেই ১২ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
        ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে, যে বিদেশিরা পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকে মারকাজে অংশ নিয়েছেন – তাদের প্রত্যেককে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারতে প্রবেশ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
        অথচ পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকে মারকাজে অংশ নেয়া দোষের কিছু নয়।
        সূত্র: পুবের কলম


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35674/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনাভাইরাসে মৃত্যুহারে ইতালির পরই বাংলাদেশের স্থান



          বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি ইতালিতে, আর এরপরই অবস্থান বাংলাদেশের।

          করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত তথ্যদেয়া ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’ নামক ওয়েবসাইটের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ চিত্র দেখা গেছে।

          করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার বর্তমানে ১১.৪৩% যা এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

          ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে চীনে করোনায় মৃত্যুর হার ৪.০৪%। বাংলাদেশের সামনে আছে কেবল মৃত্যুপুরী বনে যাওয়া ইতালি (১২.২৫%), যদিও পার্থক্য খুবই সামান্য। আরেক মৃত্যুপুরী স্পেনের হারও বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম (৯.৩৯%)। করোনার নতুন আবাস আমেরিকায় অনেকে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার খুবই কম (২.৬৭%)।

          এশিয়ার দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়াতেও মৃত্যুহার যৎসামান্য, যথাক্রমে ১.৭৪ % ও ১.৫৯%। প্রতিবেশী ভারতে (২.৭৯%) তাদের থেকে কিছুটা বেশি হলেও পাকিস্তানে (১.৪৮%) তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

          অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কায় মৃত্যুহার ৩.১৪%। সুতরাং বলা যায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তদের মিছিল দিন দিন যেমন বাড়ছে, তেমনি মৃত্যুহারও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে।

          এদিকে রবিবারে করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয় থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। এর মানে দেশে প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ১১ জন মারা যাচ্ছেন।

          তবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হিসাব নিকাশে ভুল হবার কারণেই এটা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

          সূত্র: ইনসাফ ২৪


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35672/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            করোনার ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে



            চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে দরিদ্রদের করোনা সহায়তার ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে

            উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া ত্রাণ এলাকায় ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গতকাল (৪ এপ্রিল) শনিবার এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা।

            অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরদের কিছু না জানিয়ে একতরফা রেজুলেশন করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেমন, ওয়ান পার্সেন্টের কাজ, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয়ের কোনো হিসাবপত্র পরিষদের সাধারণ সদস্যদের না জানানো। নিজের ইচ্ছায় এলজিএসপি, এডিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছিল।

            এরই ধরাবাহিকতায় বিদেশফেরত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এবং হতদরিদ্রের তালিকা মেম্বরদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছামতো তালিকা করে। সরকার থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ ইউপি ওয়ার্ড অনুযায়ী বিতরণ না করে নিজের ইচ্ছা মতো বিতরণ করা ইত্যাদি।

            অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের একাধিক নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

            সূত্র:কালের কন্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35653/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনা নিয়ে সচেতন করতে গিয়ে সন্ত্রাসী আ.লীগ নেতার হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত



              ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সচেতনতামূলক পোস্ট করায় নবীনগরের সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতার হাতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে স্থানীয় এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উওেজনা বিরাজ করছে।
              শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে সলিমগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তরমুজের বাজার বসলে সেখানে লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। এ নিয়ে ফেইসবুকে লাইভে আসেন দেশ সংবাদ অনলাইন পোর্টাল ও পল্লী টিভির (আইপি টিভি) স্থানীয় সাংবাদিক মুহাম্মাদ আক্তারুজ্জামান।

              লাইভে এসে তিনি বলেন, সারাদেশ যখন করোনা আতঙ্ক নিয়ে প্রতিটি দিন পার করছে। নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তরমুজের জমজমাট বাজার বসেছে। অতিরিক্ত জনসমাগম ঘটিয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। এই দৃশ্য কি চেয়ারম্যান সাহেবের নজরে আসে না? তিনি করোনা সচেতনতায় কি দায়িত্ব পালন করছেন? এই লাইভ দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম।

              নির্যাতিত সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান বলেন, দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান ও নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন সলিমগঞ্জ বাজারে আসেন। এই সংবাদ পেয়ে নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে একই স্থানে উপস্থিত হন চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম। সেখানে চেয়ারম্যান আমাকে দেখতে পেয়েই গালমন্দ ও কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

              রিপোর্টঃ ইনসাফ২৪


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35652/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                কারখানা মালিকদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে ভয়াবহ রকম করোনা ঝুঁকিতে পড়ল গোটা দেশ: টিআইবি



                ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে সরকার ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দিল। আগামী দুই সপ্তাহ সময়কে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করায় সরকার কর্তৃক সবাইকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এমন মুহূর্তেও পোশাকশিল্প মালিকরা যেভাবে শ্রমিকদের তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করে চাপেরমুখে কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য করেছেন তা চরম অমানবিক।

                রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, মালিকপক্ষের জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থি এই অবিবেচনাপ্রসূত স্বার্থপর আচরণে লাখ লাখ শ্রমিক এবং কার্যত গোটা দেশই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে। মালিকদের হুমকিতে ‘চাকরি বাঁচাতে’ দূর-দূরান্ত থেকে লাখ লাখ শ্রমিক যেভাবে পায়ে হেঁটে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন তাকে শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে টিআইবি




                টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে সরকার ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দিল। আগামী দুই সপ্তাহ সময়কে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করায় সরকার কর্তৃক সবাইকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে যখন সব ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে, উৎপাদিত পণ্যও রপ্তানির সুযোগ নেই বললেই চলে, পণ্য বা উপাদান যেখানে পচনশীল কিংবা জরুরি প্রয়োজনীয় বিবেচিত হওয়ার সুযোগ নেই, সেই পরিস্থিতিতে কারখানা খুলে দেবার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শ্রমিকদের কর্মস্থলমুখী করে, তাদের এবং কার্যত পুরো দেশকে কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়াটা চরম স্বার্থপরতা ও ষড়যন্ত্রমূলক ছাড়া আর কী হতে পারে! এর দায় কারখানা মালিক থেকে শুরু করে মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন, কোনো অবস্থাতেই এড়াতে পারে না।’

                এ খাতের নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ব্যাপক বৃদ্ধি করে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি অবস্থান নিলেন। শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য করা হলো, তারা অমানবিক পরিশ্রম করে পায়ে হেঁটে দূর-দূরান্ত থেকে ফিরলেন। তারপর তীব্র সমালোচনার মুখে প্রায় মধ্যরাতে মালিকদের সংগঠন বিভ্রান্ত আহ্বান জানালো কারখানা বন্ধ রাখার। এই যে শ্রমিকরা এত কষ্ট করে, এত ঝুঁকি নিয়ে ফিরলেন, তারা মধ্য রাতে কোথায় যাবেন সেটা কি একবারও ভেবেছেন মালিকপক্ষ? এদিকে আজও(রোববার) বেশ কিছু কারখানা খোলা রাখার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর কতোটা অমানবিক হবেন তারা? আমরা ধারণা করেছিলাম রানা প্লাজার মতো অমানবিকতার মুখোমুখী আর কখনও এদেশকে হতে হবেনা। কিন্তু তৈরি পোশাকশিল্প মালিকরা প্রমাণ করে দিলেন যে, তাঁদের নিজেদের স্বার্থের সামনে শুধু শ্রমিকই নয়, পুরো দেশের কল্যাণ ও নিরাপত্তার কোনো অর্থ বহন করে না। রানা প্লাজায় ঝুঁকি নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও কর্মীদের কাজে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছিলো, আজ করোনা-কোভিডের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিশ্চিত জেনেও তৈরি পোশাক মালিক ও তাদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ একই কাজ করল!’

                ড. জামান বলছেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক পোশাকশিল্প মালিককে উদ্ধৃত করে খবর বেরিয়েছে, সরকারের ঘোষিত তহবিল, অনুদান না হয়ে সহজ শর্তে ঋণ হওয়ায়, মালিকপক্ষ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। শ্রমিকের জানমালের নিরাপত্তা তথা পুরো দেশকে এভাবে জিম্মি করে দরকষাকষির হাতিয়ার বানানোর এই ঘৃণ্য পদক্ষেপের যথেষ্ট সমালোচনা করার মতো ভাষাও খুঁজে পাচ্ছি না।’

                তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট খাতের ও অন্যান্য মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই পোশাকশিল্প মালিক হওয়ার পরও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষায় কার্যত ব্যর্থ হয়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, সরকারের ভেতরে নানা স্বার্থান্বেষী মহল কি এই জাতীয় দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে প্রকারন্তরে সরকারকেই জিম্মি করে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ে সক্রিয় রয়েছে?

                সূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35676/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  এই দুর্দিনেও জনগণের আড়াই টন চাল চুরি করলো ইউপি মেম্বার



                  বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে নিয়েই এ দেশ চোরদের দখলে। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে একেবারে ইউপি সদস্য পর্যন্ত নেতারা জনগণের সম্পদ চুরি করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত আড়াই টন চাল চুরি করেছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের একজন মেম্বার।

                  বার্তাসংস্থা কালেরকণ্ঠের সূত্রে জানা যায়, ৫ই এপ্রিল রবিবার রাত নয়টার দিকে স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও জেলা মেম্বারস ফোরামের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনিরের বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অবশ্য আগেই পালিয়ে যায় ঐ মেম্বার। এসময় তার বাড়ি থেকে জব্দ করা হয় মজুদকরা ত্রাণের আড়াই টন চাল।

                  চালগুলো করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। রাতে সরকারি বস্তা থেকে চাল বের করে অন্য বস্তায় ভরা হচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে জেলা প্রশাসনকে জানালে এ অভিযান চালানো হয়।

                  জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘জব্দ করা সরকারি চাল ছিল অন্য প্যাকেটে ভরা। চালগুলো জিম্মায় রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেম্বারের মা জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে মনির চাল রেখে যায় এবং জানায় চালগুলো সে নিজের টাকায় কিনেছে।’

                  এভাবে দেশের মানুষ যখন না খেয়ে মরার মতো ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে তখনও এসকল আওয়ামী প্রশাসনের সদস্যরা জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এবং জনগণের সম্পদ চুরি করে নিজেদের পেট ভরছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/06/35686/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X