Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২১শে এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৬শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ২১শে এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    সৌদি রাজপরিবারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়েও অনেক বেশি



    সৌদি আরবের রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রথম প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়েও অনেক বেশি।

    এর আগে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রথম এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল এবং এতে সৌদি রাজ পরিবারের দেড়শ’ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

    রাজতান্ত্রিক দেশটির গোপন তথ্য ফাঁসকারী হিসেবে পরিচিত সৌদি নাগরিক আল-আহাদ আজ-জাদিদ এক টু্*ইট বার্তায় আরও বলেছেন, লোহিত সাগরের তীরবর্তী সৌদি বন্দর নগরী জেদ্দার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। এ হাসপাতাল করোনা রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে এবং বর্তমানে সেখানে নতুন রোগী ভর্তি করার কোনও সুযোগ নেই।

    টুইট বার্তায় আরও জানান হয় যে এ পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত রাজপরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য জেদ্দায় আরও দুই হোটেল নেওয়া হয়েছে। এ দুটির মধ্যে একটি মুভেনপিক হোটেল বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

    এদিকে, গোপন তথ্য ফাঁসকারী আরেক সৌদি নাগরিক মুজতাহিদ অবশ্য রিয়াদ সরকারের করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

    তিনি বলেছেন, সৌদি সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যেসব তথ্য প্রকাশ করছে দেশটির প্রকৃতি পরিস্থিতি তার চেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ।

    সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যখন তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ক্ষমতার তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন তখন দেশটিতে করোনার প্রকোপ দেখা দিল। সৌদি রাজা সালমান করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে জেদ্দার কাছে একটি দ্বীপ প্রাসাদে নির্জন জীবন-যাপনের পথ বেছে নিয়েছেন বলেও নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36824/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার মহাকাশেও করোনার হানা



    পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে এবার প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহাকাশেও হানা দিয়েছে। গত সপ্তাহে একটি রকেট রশিয়া থেকে মহাকাশে যাত্রা শুরু করে। এ সময় এতে এনার্জিয়া রকেট অ্যান্ড স্পেস করপোরেশনের ডেপুটি হেড অব এভজিনি মিকরিন ছিলেন। ফিরে আসার পর গত শুক্রবার তার শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।

    ৬৪ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা যে বিমানে কাজাখস্তান পৌঁছেন, সেই বিমানেই ছিলেন রাশিয়ার স্টেট করপোরেশন ফর স্পেস অ্যাকটিভিটিজের প্রধান দমিত্রি রোগোজিন, যিনি ওই রকেটের মহাকাশযাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন।
    ওই মহাকাশযানে রয়েছে দুই রাশিয়ান ও এক মার্কিন অ্যাস্ট্রোনট।

    আমাদের সময় সূত্রে জানা যায় যাত্রা শুরুর আগে একটি বৈঠকও করেন তারা। সেখানে অবশ্য অ্যাস্ট্রোনট ও কর্মকর্তাদের মাঝে কাচের দেয়াল ছিল। এই দমিত্রি রোগোজিন আবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ। তিনিই অ্যাস্ট্রোনটদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। সেই সময় অ্যাস্ট্রোনটদের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। ফলে করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    মহাকাশের উদ্দেশে ওই দিন পাড়ি দেন নাসার মহাকাশচারী ক্রিস ক্যাসিডি ও দুই রুশ মহাকাশচারী অ্যানাতলি ইভানিসিন ও ইভান ভাগনার। ছবিতে যদিও অ্যাস্ট্রোনটদের কাছাকাছি মিকরিনকে দেখা যায়নি। পরে তার পর পর দুটি পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। রাশিয়ার স্পেশ পারসোনেলদের মধ্যে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে মিকরিন কীভাবে আক্রান্ত হলেন, তা জানা যায়নি। তার শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36809/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনায় আক্রান্ত মুরতাদ কাবুল প্রেসিডেন্টের ৪০ কর্মকর্তা



      আফগানিস্তানের কাবুল প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

      রোববার (১৯ এপ্রিল) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

      প্রাথমিকভাবে ২০ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। তবে রোববার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।

      আফগান সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এ ছাড়া ৭০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ঘানি করোনায় আক্রান্ত কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

      শনিবার আফগানের কাবুল সরকারের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের কমবেশি ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আতঙ্ক ছড়ানোর আশঙ্কায় এই তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।

      গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ঘানির ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়। তবে এরপর যে ছবিগুলো প্রকাশ করা হয় তা ছিল মূলত ইরানের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ছবি।

      সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানে প্রায় এক হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তিত সেখানকার জনগণ।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36834/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        করোনায় কাঁপছে কথিত সুপার পাওয়ার ইউরোপ-আমেরিকা



        বিশ্বজুড়ে ক্রমশ থাবা চওড়া হচ্ছে করোনাভাইরাসের। যত দিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে আমেরিকা, ইতালি, স্পেনের। বিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৬ হাজার ৮২৩ জন, মারা গেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৪ জন। আর সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৮৭০ জন।
        মৃতের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে পৌঁছে গেছে আমেরিকা। দেশটিতে মারা গেছে ৪০ হাজার ৫৫৩ জন। এর পর রয়েছে ইতালি (২৩,২২৭), স্পেন (২০,৬৩৯), ফ্রান্স (১৯,৩২৩), ব্রিটেন (১৫,৪৬৪)। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আমেরিকায়। শুধু মাত্র নিউইয়র্কেই ১৩ হাজার ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত দু’সপ্তাহে এই প্রথমবার নিউইয়র্কে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫০-র কম, এ কথা জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।খবর নয়া দিগন্তের।

        চীনে নতুন করে আরও ১৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পাকিস্তানে আট হাজার মানুষের করোনা ধরা পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আট জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত দু’মাসে সবচেয়ে কম।

        প্রতি ৬ দিনে গিনিয়াতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। ঘানায় তা দ্বিগুণ হচ্ছে প্রতি ৯ দিনে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ৬ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৬০০। আর ক্যামেরুনে ১ হাজার।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36812/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে রোহিঙ্গারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে নয়,ক্ষুধার্ত হয়ে মরে যাওয়ার ভয়



          ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর পাশ্ববর্তী নুহ জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে মারাত্মক খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা।

          এই জেলাটির অবস্থান রাজধানী থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানা প্রদেশে। কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য এটা রেড জোন হিসেবে ঘোষিত হওয়ায় কোন স্বেচ্ছাসেবক দল সেখানে প্রয়োজনীয় খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেতে পারছে না। নুহের মতো আরও ১০৭টি জায়গাকে রেড জোন ঘোষণা করেছে সরকার।

          যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এখন পর্যন্ত কোন আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। এই ক্যাম্পে মোটা ২৫০ পরিবার বাস করছে। তবে এর আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪৮জন ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

          ক্যাম্পের বাসিন্দা জাফরুল্লাহ আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, সে এবং আরও কয়েকজন মিলে কমিউনিটির বাসিন্দাদের জন্য দরকারি জিনিসপত্র কিনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, কিন্তু লকডাউনের কারণে তারা কিছু করতে পারছে না। সে উদ্বেগ জানিয়ে বললো, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে হবে না, এখানকার মানুষ হয়তো ক্ষুধাতেই মারা যাবে।

          শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে যাতে ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরীক্ষা করা হয়।

          ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী বিগত এক দশকে প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গা ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছে। জাতিসংঘের এই সংস্থা যদিও ১৭,৫০০ শরণার্থীকে কার্ড দিয়েছে, কিন্তু ভারত এই কার্ডের স্বীকৃতি দেয় না, কারণ তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সনদে স্বাক্ষর করেনি।

          রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি মালাউনদের বিদ্বেষের কারণ হল,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের পরীক্ষা করাটা জরুরি হয়ে গেছে কারণ দেখা গেছে যে, তাদের অনেকে তাবলীগ জামাতের ইজতেমায় যোগ দিয়েছিলো।

          বিবৃতিতে বলা হয়, “হায়দ্রাবাদের ক্যাম্পগুলোর বাসিন্দা রোহিঙ্গারা হরিয়ানায় তাবলিগের ইজতেমায় যোগ দিয়েছিলো এবং জাতীয় রাজধানীর নিজামুদ্দিনের ইজতেমাতেও তাদের অনেকে অংশ নিয়েছিলো”।

          ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বর্ধিত করার কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে। এই শরণার্থীরা মূলত অন্যের দান এবং এনজিওগুলোর সহায়তার উপর নির্ভর করে টিকে আছে।

          জাফরুল্লাহ ফোনে বলেন, “২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথমবার লকডাউন ঘোষণা করলেন, তখনও আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম, কিন্তু কোনরকমে আমরা সেই সময়ের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু নুহ জেলাকে রেড জোন ঘোষণা করার পর আমাদের সমস্যা বহুগুণে বেড়ে গেছে। আমরা বাইরে গিয়ে খাবার বা ওষুধ কিনতে গেলে পুলিশ আমাদেরকে পেটায়, এবং সে কারণে আমাদের মধ্যে এখন ক্ষুধার্ত হয়ে মরে যাওয়ার ভয় ঢুকে গেছে”।
          সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36853/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            লকডাউন ভেঙে পেট চালাতে প্রাণের ঝুঁকি



            পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ ও দরিদ্র কবলিত ইউনিয়ন খানমরিচ। এই ইউনিয়ন ৩০ হাজারের অধিক মানুষ বসবাস করে। অধিকাংশ মানুষই দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়ে ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ। এ অবস্থায় খাদ্যাভাবে দিন কাটছে কর্মহীন হয়ে পড়া এসব কর্মহীনদের পরিবারের সদস্যদের। তাই বাধ্য হয়েই এখন তারা কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

            কালের কন্ঠের বরাতে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়নে বিত্তবানদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ইউনিয়নের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ লোক দিনমজুরের কাজ করে পরিবারের সদস্যদের খাবারের যোগান দেয়। এই দিনমজুরদের একটা বড় অংশ বছরের বেশিরভাগ সময় নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজ করে। গত তিন বছরে ওইসব জেলায় কাজ করতে গিয়ে মাটির ট্রলার ডুবে অন্তত ২৫ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এরপরেও ঝুঁকি নিয়েই এই ইউনিয়নের শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করতে যায়। কারণ দরিদ্র কবলিত খানমরিচ ইউনিয়নে বছরের সবসময় কাজ পাওয়া যায় না। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে এসব দিনমজুর সবাই এলাকায় চলে এসেছে। এলাকায় ফিরে কাজ না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদের মধ্যে অনেক পরিবার ১০ কেজি করে চাল সহায়তা পেয়েছেন। যা কয়েকদিনেই ফুরিয়ে গেছে। ফলে পরিবারের খাবার জোগাড় করতে কর্মক্ষম মানুষগুলোকে এলাকায় কাজ খুঁজতে হচ্ছে।

            এ অবস্থায় সোমবার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে দুধবাড়িয়া থেকে বড় পুকুরিয়া গ্রামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কিলোমিটার সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়। এই কাজের অর্থায়ন করছে খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ এবং গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এই মেরামত কাজে দুধবাড়িয়া ও বড় পুকুরিয়া গ্রাম থেকে দিনে ৩৫০ টাকা পারিশ্রমিকে অন্তত ৭০ জন শ্রমিক কাজ করছে।

            সড়ক মেরামত কাজে অংশ নেওয়া দুলাল, আমিরুল ও জলিল সহ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, কাজ না করলে খামু কি। করোনার ভয় করলেও কাজ করতেই হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।

            দুধবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতে এভাবে একসঙ্গে কাজ করা অনুচিত সেটা আমরা জানি। কিন্তু এরপরেও সার্বিক বিবেচনা করে কাজ করাতে হচ্ছে। এতে শ্রমিকরা কিছুটা হলেও আর্থিক সহায়তা পাবে। তবে শ্রমিকদের সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36815/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ত্রাণের দাবিতে যশোরে কর্মহীনদের মানববন্ধন



              যশোর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ত্রাণের দাবিতে সোমবার মানববন্ধন করেছেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে তারা খাদ্য সহায়তার দাবি জানিয়ে প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

              মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কর্মহীন মানুষদের দাবি, সরকার ছুটি ঘোষণার পর থেকে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় খাদ্য না থাকায় অভুক্ত দিন অতিবাহিত করছেন। সরকার খাদ্য সহায়তার ঘোষণা দিলেও তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না বলে বাধ্য হয়ে রাজপথে এসেছেন। যশোর ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানের হতদরিদ্র মানুষেরাও লকডাউন উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বেড়িয়েছেন । তাদের অভিযোগ তারা পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছেন না, তাই মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পেটের দায়ে রাস্তায় আস্তে হচ্ছে।
              রিপোর্টঃ কালের কন্ঠের


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36818/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় লোকবল সংকট চট্টগ্রামে



                চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) চিকিৎসাসেবা ও নমুনা সংগ্রহ-পরীক্ষা চলছে চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল সংকটের মধ্য দিয়ে। আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি সংক্রামক এ ভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। কিন্তু এসব জনবল সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছেন।

                চিকিৎসকদের মতে, যেভাবে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহজনক রোগীর বাড়ার সঙ্গে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে সে অনুপাতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারী জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন। ইতোমধ্যে দুইটি হাসপাতাল থেকে লোকবল চেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির আগের লোকবল দিয়ে করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে করে তারা নানা সমস্যায় পড়ছেন।

                চট্টগ্রামে এখন সরকারি তিনটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও সন্দেহজনক (কভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসক-নার্সসহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সংকট না হলেও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সংকট রয়েছে।

                চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ১০০ শয্যার করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে সদর হাসপাতাল হিসাবে পরিচিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। এখানে গতকাল রবিবার দুপুর পর্যন্ত আইসোলেশনে রয়েছে ২৮ জন রোগী। এরমধ্যে ২৪ জনই শনাক্ত হয়েছেন। অপর চারজনের পরীক্ষা হলেও রিপোর্টের অপেক্ষায়। এ হাসপাতালে ইতোমধ্যে ৮ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং ৭ জন মেডিক্যাল অফিসার প্রেষণে দেওয়া হলেও বিভিন্ন বিভাগে (করোনা রোগী) চিকিৎসাসেবার জন্য আরও অন্তত ৩০ জন চিকিৎসক প্রয়োজন। এসব চিকিৎসক প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে সর্বশেষ গত শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

                জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ কালের কণ্ঠকে বলেন, আইসোলেশনে আমাদের এখানে দিন দিন রোগী বাড়ছে। বর্তমান যে লোকবল রয়েছে তারা তো চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। কিন্তু চিকিৎসকসহ আরও কিছু লোকবল প্রয়োজন।

                বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) আইসোলেশনে গতকাল দুপুর পর্ষন্ত ৮ জন রোগী আইসোলেশনে রয়েছে। এরমধ্যে চারজন শনাক্ত এবং চারজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায়। করোনার জন্য ৩০ শয্যার সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে ১২ জন চিকিৎসককে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন মোট ৪০ জন চিকিৎসক এবং ৪০ জন নার্স রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাছান চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান।

                তিনি বলেন, আমাদের এখানে আইসিইউ স্থাপনের জায়গা নেই। ৭টি কক্ষে করোনারোগীর চিকিৎসাসেবার জন্য ৩০টি শয্যা করা হয়েছে।

                তবে বিআইটিআইডির অধীনে থাকা চট্টগ্রামে একমাত্র করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কেন্দ্রে লোকবল সংকট চরম আকার ধারন করেছে। সূত্র জানান, মাইক্রোবায়োলজী ল্যাবে টিবি রোগসহ বিভিন্ন রোগের আগে (করোনা পরিস্থিতির আগে) দৈনিক এক শিফটে ২৫ থেকে ৩০টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতো। সকাল সাড়ে আটটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কাজ করা হতো। করোনা নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরুর পর কাজ বেড়েছে ৭/৮ গুণ। দুইশিফটে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্ষন্ত পরীক্ষা হচ্ছে করোনার। কিন্তু এ পর্যন্ত লোকবল বেড়েছে মাত্র একজন টেকনিশিয়ান।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36821/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  লাইভ বুলেটিনটাও ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর



                  গত ৮ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে প্রতিদিন দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার করে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিফিং কারিগরি সমস্যার জন্য আটকে যাওয়াসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যা একমাসেরও বেশি সময় পরেও ঠিক হয়নি। সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। বিডি প্রতিদিনের রিপোর্ট

                  আর একাধিক ক্যামেরা ব্যবহার ও ইন্টারনেটের গতি ঠিক রাখাসহ নানা পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

                  সারা বিশ্ব থমকে গেছে, বাড়ছে করোনার ভয়াবহতা। তাই করোনার সবশেষ পরিস্থিতি জানতে সারা দেশের মানুষের চোখ এখন গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনলাইনে ব্রিফ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

                  কিন্তু আটকে যাচ্ছে ব্রিফিং, আটকে যাচ্ছে সারা দেশের চোখ।

                  ভালো মানের একাধিক ক্যামেরা ব্যবহার ও ইন্টারনেটের গতি ঠিক রাখার পরামর্শ দিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

                  সম্প্রচার, তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, ফেসবুক লাইভের পাশাপাশি একটা স্ট্রিমিং ক্লাউড সার্ভারে সম্পূর্ণ ফিডটি পাঠিয়ে দেয়া। স্ট্রিমিং সার্ভার ক্লাউড প্রভাইডাররা তখন প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলকে একটি ইউআরএল দিয়ে দেবে যেন তারা ক্লিয়ার লাইভ দিতে পারে। প্রতিদিন এক জায়গা থেকে লাইভ যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথটাও ইনশিউর করার একটা ব্যাপার আছে। লাইভ স্ট্রিমিং সার্ভারের সহায়তা নিয়ে সমস্যা সমাধানের উপরও জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36827/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    বেতন না পেয়ে নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক বিক্ষোভ, অবরোধ



                    নারায়ণগঞ্জে লকডাউন ভঙ্গ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। গতকাল সকালে ফতুল্লার ওয়াপদারপুল এলাকা থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে মিছিল করে নগরীর চাষাঢ়ায় এসে সড়কে অবস্থান নেয় প্যারাডাইজ ক্যাবলস ইন্ডাস্ট্রির প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক। সামাজিক দূরত্ব না মেনে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে পুলিশের চেকপোস্টের পাশে বিজয় স্তম্ভের চারপাশে অবস্থান নিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন তারা। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাষাঢ়া মোড় ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানায়, গত ১০ মাস ধরে মালিক পক্ষ তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যাপারে নানাভাবে আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত বেতন পাননি তারা। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

                    শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করেই কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মহীন হয়ে পড়া কয়েকশ শ্রমিক। বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালা ঘরে তালা দিয়েছেন। পাশাপাশি পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। করোনার ভয় ও লকডাউন উপেক্ষা করে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান শ্রমিকরা। এদিকে শ্রমিকদের এই বিক্ষোভের কারণে নগরীর প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।

                    অ্যাম্বুলেন্সসহ খাদ্যপণ্য বহনকারী বেশ কয়েকটি যানবাহন আটকা পড়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিকাল ৩টা পর্যন্ত চাষাঢ়া মোড় অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/21/36831/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
                      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment

                        Working...
                        X