Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই মে, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১২ই রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই মে, ২০২০ঈসায়ী।

    গত পাঁচ বছরের যুদ্ধে ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ



    ইয়েমেন যুদ্ধের পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলো। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলায় গত পাঁচ বছরে ইয়েমেন বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এ যুদ্ধে বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

    ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের বিরুদ্ধে বর্বর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু করে। যুদ্ধবাজ হিসেবে পরিচিত বর্তমান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তখন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এবং তখনও তিনি যুবরাজের পদে অধিষ্ঠিত হননি। পরবর্তী রাজার পদ লাভের আশায় প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু করেন। যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে তিনি সৌদি পররাষ্ট্র নীতিকে রক্ষণশীল অবস্থান থেকে সরিয়ে এনে আক্রমণাত্মক অবস্থানে নিয়ে গেছেন যাতে এটা সবার কাছে স্পষ্ট হয় যে রিয়াদের পররাষ্ট্র নীতিতে নয়া অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এর আগে সৌদি সরকার অন্য আরব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করত কিন্তু এবার তারা একটি আরব দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ বাঁধিয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই সৌদি নীতিতে এ ধরনের পরিবর্তন এনেছেন এবং অত্যন্ত দরিদ্র একটি আরব দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

    বাহ্যিকভাবে যুবরাজ সালমান সবাইকে এটা দেখানোর চেষ্টা করছে যে, ইয়েমেনের পদত্যাগকারী ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ফের ওই দেশটির ক্ষমতায় বসানো তার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু তার আসল উদ্দেশ্যে হচ্ছে ইয়েমেন যুদ্ধ বিজয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবের রাজার পদে বসার জন্য নিজেকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করা। তার এ হীন আশাকে বাস্তবায়নের জন্য বলির পাঁঠা হতে হচ্ছে ইয়েমেনের নাগরিকদের।

    এই যুদ্ধ ইয়েমেনে বিরাট মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে যা সাম্প্রতিক দশকে নজিরবিহীন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থেনিও গুতেরেস বহুবার বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক দশকে যুদ্ধের কারণে বিশ্বের মধ্যে ইয়েমেনে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।’

    অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক একটি গবেষণা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে ইয়েমেন যুদ্ধে সরাসরি প্রায় ১৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে যার মধ্যে ৯ হাজার ৬৮২ জন পুরুষ, ২ হাজার ৪৬২ জন নারী ও ৩ হাজার ৯৩১ জন শিশু রয়েছে।

    উইকিপিডিয়া এর তথ্যসূত্র মতে বর্বর এ আগ্রসী যুদ্ধে সরাসরি আহত হয়েছে ৪৯হাজার ৯৬০ ব্যক্তি যার মধ্যে ১০ হাজার ৭৭৮ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। সরাসরি হতাহতের বাইরেও আরো অনেক ব্যক্তি এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে।বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মোট নিহতের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। কেননা সৌদি আরবের সরাসরি হামলা ছাড়াও ক্ষুধা ও বিভিন্ন ধরনের রোগে এসব মানুষ মারা গেছে। এ ছাড়া শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া ছাড়াও সৌদি আরব ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে খাদ্য ও ওষুধসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। ক্ষুধা ও বিভিন্ন ধরনের রোগে মৃত্যু এটা বড় কারণ। ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি ও অবরোধের কারণে চিকিৎসার অভাবে বছরে ৫০ হাজার শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তোহা আল মোতাওয়াক্কেল বলেছেন, ‘সেদেশে কয়েক হাজার শিশু রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

    এদিকে, ইয়েমেনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। দেশটির বিমান পরিবহন সংস্থার মহাসচিব মাযেন গানাম জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৩২ হাজার রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী দফতর চলতি বছর ৫ মার্চ এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুদ্ধ পীড়িত ইয়েমেনের ২ কোটি ২ লাখ মানুষের জন্য ত্রাণের প্রয়োজন। এর মধ্যে এক কোটি চার লাখ মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিতে সাহায্যের দরকার। উইকিপিডিয়া তথ্যসূত্র মতে যুদ্ধের কারণে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর শরণার্থী জীবন যাপন করছে।

    আরব বিশ্বের দরিদ্র এ দেশটিতে সৌদি আরবের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ঘটিয়েছে। অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের ১৫টি বিমান বন্দর, ১৪টি সমুদ্র বন্দর, দুই হাজার ৭০০টি মহাসড়ক ও সেতু, ৪৪২টি যোগাযোগ কেন্দ্র, ১৮শ’৩২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ৪ লাখ ২৮ হাজার ৮০০টি আবাসিক ভবন, ৯৫৩টি মসজিদ, ৩৪৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতাল, ৯১৪টি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র, ৩৫৫টি কারখানা, ৭৭৪টি খাদ্য বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৩৭০টি তেল পাম্প স্টেশন হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

    পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে রেডক্রিসেন্টের মুখপাত্র সারা আল জুগ্বারি কিছুদিন আগে বলেছেন, ‘যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরে জনগণের কাছে ত্রাণ সাহায্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দেশটির মাত্র ৫১ শতাংশ হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া, খাদ্য, চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিস্তার ঘটছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে এরই মধ্যে অনেক হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’

    ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের ফলে শুধু ইয়েমেনের জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি একইসঙ্গে সৌদি আরব ও তার মিত্ররাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৌদি বিভিন্ন সূত্র বলছে, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের তিন কোটির বেশি ডলার ব্যয় হয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ ১৩০ শতাংশ বেড়ে। অস্ত্র আমদানির দিক থেকে ভারতের পর সৌদি আরবের অবস্থান।’

    সর্বোপরি ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব এ পর্যন্ত বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্নের উদয় হয়, দারিদ্র্যপীড়িত একটি মুসলিম দেশের বিপুল পরিমাণ প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পর ভবিষ্যতে দেশটিকে কোন পর্যায়ে পৌঁছলে সৌদি আরবের বর্বর মানসিকতার অবসান হবে!


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37495/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জেরুসালেমে ১৩ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার



    ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুসালেমে ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে, এমনকি এতে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরাও রয়েছেন।

    ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী আজ মঙ্গলবার (৫ই মে) ভোররাতে অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে ১৩ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে ‘ন্যাশনাল পপুলার কনফারেন্স অফ জেরুসালেমের’ ‘প্রধান বিলাল নাতশেহ’ এবং তার ‘অফিস ব্যবস্থাপক মুয়াত আশাব’, ‘আওকাফ বিভাগের নগরীর মুসলিম কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা’ ‘মোস্তফা আবু জাহরা’, ‘সাংবাদিক তামির ওবাইদাত’, ‘লেখক রানিয়া হাতেম’, কর্মী ‘ইমাদ আওয়াদ’ ও ‘জাদ আল-গৌল’ হচ্ছেন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাদের সহ আরো কয়েকজন মোট ১৩জনকে বন্দী করে নিয়ে যায় ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী। এই দখলদার রাষ্ট্রের হানাদার নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনি কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে।

    ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্রের ইসরাইলি পুলিশ ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের আটকের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে যে, “করোনা প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় ‘অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমে’ ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজ করা ইসরায়েলের সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি কয়েদীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের কম্পিউটার এবং সেলুলার ফোন এবং তাদের বাড়িতে পাওয়া অন্যান্য উপকরণগুলিও জব্দ করা হয়েছে।

    জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আজ আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানিয়েছে ইসরাইলী পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

    এই দখলদার রাষ্ট্রের হানাদার ইসরাইলী বাহিনী আরো কয়েকটি অভিযান চালিয়ে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির পর পূর্ব জেরুজালেমের ইসাভিহেহ এলাকার আরও ছয়জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইহুদীবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের হানাদার বাহিনী এই বছরের শুরু থেকে এপর্যন্ত পূর্ব জেরুজালেমের প্রায়৬০০ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। এমনকি এই আটক করার ক্ষেত্রে নিষ্পাপ ফিলিস্তিনি নাবালকেরাও বাদ যায় নি।

    উক্ত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আজ সকালে আটক হওয়া শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্নধরনের কারণ দেখিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত জেরুজালেমের গভর্নর ‘আদনান ঘাইথ’ এবং জেরুজালেম বিষয়ক মন্ত্রী ‘ফাদি হিদমিকে’ ইহুদীবাদী ইসরাইল বেশ কয়েকদিন যাবত আটক করে রেখেছিলো।পরবর্তীতে খুব কঠিন শর্তে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।

    সুত্র : ইনসাফ টুয়েন্টিফোর ডটকম।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37498/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করে ভাসানচরে ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ারেন্টাইনে রোহিঙ্গারা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ



      পর্যাপ্ত সহায়তার ব্যবস্থা না করে ভাসানচরে ২৯ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। ওই রোহিঙ্গারা সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করে। দুই মাস সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় থেকে ফিরে এসেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ রুখতে তাদের ভাসানচরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ২রা মে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভাসানচরে পাঠানো ওই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে এইচআরডব্লিউ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়ে জানতে পেরেছে, তাদের মধ্যে অন্তত সাতজন বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরের নিবন্ধিত বাসিন্দা। মোমেন বলেন, এখন থেকে সকল নতুন আগত রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হবে।

      যদিও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, চরটি বসবাসের উপযুক্ত নয় এবং সেখানে জাতিসংঘ বা ত্রাণ সংস্থাগুলোর পক্ষে সহায়তা পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড এডামস বলেছেন,কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের মধ্যে নৌকায় করে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন এক সমস্যা। তবে তাদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া বন্যাপ্রবণ দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়াটা কোনো সমাধান নয়। তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে ত্রাণ সংস্থার সহায়তা ও ঝড় থেকে নিরাপত্তা এবং মূল ভূখণ্ডে তাদের পরিবারের কাছে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে। প্রসঙ্গত, দুই মাস আগে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় রোহিঙ্গাদের নৌকাবোঝাই বেশ কয়েকটি দল। অনেকে সমুদ্রেই মারা যান। ১৫ই এপ্রিল বাংলাদেশ উপকূল রক্ষীবাহিনী একটি নৌকা থেকে প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। এখনো সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে ৭০০ রোহিঙ্গাবোঝাই দুটি নৌকা। ২রা মে সকালে একটি নৌকা থেকে ৫০ জন রোহিঙ্গার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের বাংলাদেশ উপকূলে পাঠায় পাচারকারীরা। শরণার্থীদের পরিবার এইচআরডব্লিউকে জানায়, তাদের আত্মীয়-স্বজনের মুক্তির জন্য পাচারকারীদের প্রাথমিক সফরের খরচ বাদে জন প্রতি ৩৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের। এদের মধ্যে অনেকেই শিবিরে মিশে যেতে পেরেছে। তবে ২৯ জনকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই আরো রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ উপকূলে এসে পৌঁছাবে। কুতুপালং শিবিরের এক শরণার্থী জানান, পাচারকারীদের অর্থ পরিশোধ করে পাচারকারীদের কাছ থেকে তার দুই কন্যাকে মুক্ত করে এনেছেন তিনি। কিন্তু তাদের দুজনকেই এখন ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মেয়েদের নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। তারা আমাকে জানিয়েছে যে, তারা আর কখনো ফিরে আসতে না পারার ভয়ে আছে। এটা খুবই বেদনাদায়ক। তিনি জানান, তার মেয়েদের ভাসানচরে পাঠানোর আগে তাকে জানায়নি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। বলেন, আমার মেয়ে আমাকে জানিয়েছে যে, কিছু সরকারি কর্মকর্তা তাকে বলেছে যে, ‘তোমার বাবা-মাকেও চরে নিয়ে আসা হবে।’ অপর এক শরণার্থী জানিয়েছেন, ৫৪ দিন আগে শিবির ছেড়ে গিয়েছিল তার বোন। অবশেষে পাচারকারীরা তাকে ফিরিয়ে এনেছে। ওই ব্যক্তি তার বোনকে দেখতে পুলিশ স্টেশনে গেলে তাকে জানানো হয় যে, তার বোনকে ভাসানচরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা মহামারির সময় রোহিঙ্গা শিবির ‘দূষিত’ করতে চান না তারা। কিন্তু একইসঙ্গে নতুন আগতদের ভাসানচরে পাঠানোর আগে তাদের জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তার ব্যবস্থা করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআর-এর এক প্রতিনিধি জানান, তারা কক্সবাজারে আগত যেকোনো শরণার্থীকে শিবিরের কাছে নিরাপদ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে দিতে প্রস্তুত ছিলেন। কক্সবাজারে করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রয়েছে। এপ্রিলে উদ্ধার করা প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গাকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে দিতে সহায়তা করেছে মানবিক সহায়তাদানকারী সংস্থাগুলো। পরীক্ষা শেষে তাদের ফলাফল নেগেটিভ আসলে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এইচআরডব্লিউ বলেছে, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় না করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে কোয়ারেন্টিন করা উচিত নয় বাংলাদেশের। তাদের যথাযথ মেডিক্যাল ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা উচিৎ। কোয়ারেন্টাইনের নির্ধারিত সময় শেষ হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে ফিরিয়ে আনা উচিৎ। উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নির্যাতন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গা দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন শিবিরে বাস করছে। তাদের ফিরে যাওয়ার জন্য যথাযথ পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। এদিকে, বাংলাদেশ আর রোহিঙ্গা শরণার্থী নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, দেশের নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষীবাহিনী সকল নতুন শরণার্থীবাহী নৌকা ফিরিয়ে দিতে সতর্ক রয়েছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সমুদ্রে বিপদগ্রস্তদের বাঁচানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নিয়মের প্রতি আনুগত্যের বিরোধী। এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক এডামস বলেন, রোহিঙ্গাদের পলায়নে মিয়ানমারের অপরাধ বাংলাদেশকে ওইসব শরণার্থীদের এমন কোনো দ্বীপে পাঠানোর অনুমোদন দেয় না, যে দ্বীপে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, ভাসানচরে শরণার্থীরা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে আছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

      সূত্র: মানবজমিন


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37510/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আরসা মুক্তিকামীদের গুলিতে মিয়ানমার সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনীর দুই অফিসার আহত



        আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা শনিবার রাখাইন রাজ্যের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে টহলরত বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ওপর হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করেছে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।

        বাংলাদেশের সীমান্ত পোস্ট নম্বর ৪১-এর প্রায় ৪০০ মিটার দূর থেকে বিজিপির টহল দলের ওপর হামলা চালায় আরসা। এতে এক পুলিশ লেফটেন্যান্ট ও একজন কনস্টেবল আহত হয়।

        বিজিপির সমর্থনে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এলে আরসা সদস্যরা নিরাপদে আশ্রয়ে গা ঢাকা দিয়ে সক্ষম হন। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন এ কথা বলেন।

        সূত্র: দি ইরাবতী


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37513/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বেতনের দাবিতে এবার খনিশ্রমিকদের বিক্ষোভ



          দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কয়লাখনির দক্ষিণ গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকেরা।

          জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বড়পুকুরিয়া খয়লাখনি শ্রমিকদের নির্ধারিত তারিখে বেতন প্রদানের আশ্বাসে করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজ বাড়িতে অবস্থানের লক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করেন খনি কর্তৃপক্ষ। ৫ মে মার্চ মাসের বকেয়া ও এপ্রিল মাসের বেতনের জন্য সকাল ৮টা থেকে খনি গেটে অবস্থান নিতে শুরু করেন শ্রমিকেরা। তবে বেতন না পেয়ে খনির ১২০০ শ্রমিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। রিপোর্ট:কালের কন্ঠ

          বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমরা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের বেতনভাতার ব্যাপারে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি/এক্সএমসি ও জেএসএমইকে শ্রমিকদের বেতন প্রদানের বিষয়ে বলা হয়েছে। তবে তারা কবে নাগাদ তাদের বেতন দেবেন তা সঠিকভাবে জানাননি।

          সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, কর্মরত শ্রমিকেরা করোনায় খেয়ে না খেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবারের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া ও এপ্রিল মাসের বেতন প্রদান না করলে আগামীকাল বুধবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন এ শ্রমিক নেতা।

          বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37501/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বৃদ্ধ মুদি দোকানির হাত ভেঙে দিলো চেয়ারম্যান



            কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর এলাকায় নাজিম উদ্দিন (৭০) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীকে জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে কালিন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোজাম্মেল। সোমবার ১২টার দিকে দোকান খোলা রাখার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে পেটান বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

            এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় চেয়ারম্যানে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। কালের কন্ঠের রিপোর্ট

            এ বিষয়ে স্থানীয় রফিক অভিযোগ করে বলেন, গত ৩/৪ দিন আগে কালিন্দী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বুলবুল হাজীকে বরিশুর বাজারে লাঞ্ছিত করেন মোজাম্মেল চেয়ারম্যান। এরও আগে একই বাজারের চায়ের দোকানদার খোকন, সবজি বিক্রেতা মনির ও দর্জি আবুলসহ অনেকেই মারধর করেছে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল। আজ দোকান খোলা রাখার অভিযোগে প্রবীন এই ব্যবসায়ীকে মারধর করেন।

            এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী নাজিম উদ্দিন জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও দোকান খোলা রাখায় মোজাম্মেল চেয়ারম্যান আমাকে গালাগাল দেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে দোকান থেকে নামিয়ে জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37504/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ গ্রেফতার



              মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে নিজ ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেয়ায় সীতাকুণ্ডে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে আওয়ামী পুলিশ। তার নাম মাওলানা নুরুল কবির। তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসদরস্থ যুবাইদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার প্রধান। সোমবার রাত ২টার সময় সীতাকুণ্ড ছোবহানবাগ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

              জানা যায়, অধ্যক্ষ নুরুল কবির গত শনিবার মাওলানা সাঈদীর মুক্তি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। স্ট্যাটাসটি দেয়ার পর তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তার পোস্টকৃত স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা নানা রকম তীর্যক মন্তব্য করতে থাকে। পরে নানামুখী চাপে পড়ে তিনি স্ট্যাটাসটি রিমোভ করে দেন। এ নিয়ে স্থানীয় দু’টি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। খবর: নয়া দিগন্ত

              মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামিম শেখ বলেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নুরুল কবিরকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/06/37507/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                যালিমের যুলুমের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে। অচিরেই তোদের এই দম্ভ চূর্ণ হবে, ইনশাআল্লাহ...
                نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

                Comment

                Working...
                X