Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২১শে রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই মে, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২১শে রমাদান, ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই মে, ২০২০ঈসায়ী।

    করোনার মহামারী সত্ত্বেও ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে সৌদি জোট



    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারী সত্ত্বেও দারিদ্র্যপীড়িত এবং যুদ্ধ কবলিত ইয়েমেনের ওপর বর্বর আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত আরবজোট। ইয়েমেনে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব ইয়েমেনের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, মধ্যাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদফা বিমান হামলা চালিয়েছে।

    উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের আল-খোব এবং আশ-শাআব শহরের হামলা চালায়। একইভাবে হামলা চালায় শা’দা প্রবেশের শা’আদা অঞ্চলে এবং মধ্যাঞ্চলীয় বাইদা প্রদেশের কানিয়ে অঞ্চলে।

    সৌদি জোট গত ৮ এপ্রিল দাবি করেছিল যে, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যে শান্তি প্রক্রিয়া চলছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা হামলা বন্ধ রেখেছে। এছাড়া, ইয়েমেনে যাতে করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেটিও তারা বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের জনগণ যেহেতু অত্যন্ত নিম্নমানের জীবনযাপন করছে এবং তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে সে কারণে করোনাভাইরাস ইয়েমেনের জন্য মারাত্মক রকমের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

    অথচ, তারাই এখন বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

    সূত্র : পার্সটুডে


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37802/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভেঙে যেতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন?



    গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে উদ্ভুত করোনাভাইরাস ইউরোপের মূল ভূখন্ডে এক লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটানোর পর এখন খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ইউরোপের ২৭ টি দেশ নিয়ে গঠিত এই জোট গত প্রায় চল্লিশ বছর যাবত অনেকটা মসৃণ পথে চললেও – এর অভ্যন্তরীণ দৈন্যতা সাধারণ মানুষের সামনে খোলাসা হয়ে গেছে করোনাভাইরাস তাণ্ডবে।

    ব্রেক্সিটের উন্মাদনার মধ্যেও ইইউ দেখা গিয়েছিলো সমন্বিত ও বলিষ্ঠ। কিন্তু করোনাভাইরাস যেন সবকিছু বদলে দিয়েছে। ইউরোপীয় ভ্রাতৃত্ব ও সমন্বিত মূল্যবোধের বুলি ভুলে দেশ গুলো যার যার মত করে করোনাভাইরাস মোকাবেলার চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় কমিশন প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন এ বিষয়ে সম্প্রতি ইইউ পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন – “যখন ইউরোপে একে অন্যকে সহযোগিতার প্রয়োজন সবথেকে বেশি, তখন অধিকাংশ দেশই কেবল নিজের স্বার্থকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।“

    ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি ইইউ এর অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খোলা রেখে বাকি বিশ্বের সাথে ইউরোপীয় সীমান্ত বন্ধের প্রস্তাব করলেও ইইউ সদস্যদের মধ্যে সে বিষয়ে কোন আগ্রহ দেখা যায় নি। বরং ভাইরাস ঠেকাতে দেশগুলো যার যার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ফলে ইউরোজোনে মুক্ত চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

    ইউরোপে মুক্ত সীমান্ত ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেক মানুষই এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে চাকরি করেন – সীমান্ত বন্ধের ফলে তাই কেবল এসব মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়েননি বরং সাথে সাথে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ শিল্প ও অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে। সুইডেনের স্বাস্থ্যখাত অনেকটাই নির্ভর করে পাশের দেশ ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর। সুইডেন থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধের চিন্তা-ভাবনা করছে ফিনল্যান্ড – সেক্ষেত্রে সুইডেনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কর্মীর অভাবেই ভেঙ্গে পড়বে।
    করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি ও স্পেনকে সাহায্যের বদলে অন্যদেশগুলো বাহ্যত অনেকটাই বয়কট করেছে। ইতালি যখন বার বার মানবিক সাহায্য এবং মাস্ক, স্যানিটাইজারের মত অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য উপকরণ চেয়ে আবেদন করেছে, তখন জার্মানি, ফ্রান্স তাদের দেশ থেকে এসব উপকরণ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করেছে। ফলে অর্থনৈতিক মন্দা ও বেকারত্বের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ইউরোপীয় ঐক্যের ব্যাপারে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ।

    ফ্রান্স ঐক্যের কথা বললেও, ফরাসি অর্থমন্ত্রী বলেছেন – পুরো ইউরোপ এখন জার্মানির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু বিবিসির কাটিয়া এডলারের রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ জার্মান মনে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা নিজেরাই হিমশিম খাচ্ছে। আর ইউরোপের মধ্যে আগে থেকেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা ইতালি, স্পেন এই অবস্থায় একেবারেই বিপন্ন ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। চীন, রাশিয়া কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য উপকরণ ও ডাক্তার পাঠিয়ে সাহায্য করার কারণে এ দেশগুলোর জনগণের মাঝে প্রতিবেশিদের চেয়ে দূরের দেশগুলোর প্রতিই ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে।

    সমালোচনার মুখে ইতালি, ফ্রান্সের কোভিড-১৯ রোগীদের জন্যে জার্মানির হাসপাতালগুলো খুলে দেয়া হলেও অর্থনৈতিক সহায়তার প্রশ্নে ইইউ এখনো একমত হতে পারেনি। পর্যুদস্ত ইতালি, স্পেনসহ নয়টি দেশ অর্থনীতি ও শ্রমবাজার সামাল দিতে প্রয়োজনীয় জরুরি তহবিল হিসেবে ‘করোনাবন্ড’ নামের বিশেষ বন্ড চালুর প্রস্তাব করলেও ধনীদেশ জার্মানি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড এর বিরোধিতা করেছে। আস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ড এর পরিবর্তে ইইউ এর জরুরী তহবিল থেকে কঠিন শর্তে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণ সহায়তার কথা বলেছে – যাকে ইতালি দেখছে হঠকারিতা হিসেবে।

    ফলে আগে থেকেই থাকা অর্থনৈতিক বিভাজন পেয়েছে নতুন মাত্রা। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, “ইউরোপীয় প্রোজেক্টের ভবিষ্যৎ এখন সংকটাপন্ন, আমাদেরকে হয় সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ ইউরোপ নতুবা একাকি চলার পথ – দুটোর যে কোন একটা পছন্দ করতে হবে।“

    স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিন্নতার পাশাপাশি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি এমনকি কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায়ও ভিন্নতার কারণে ইইউ ভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধে কোন সমন্বিত উদ্যোগ এই মুহূর্তে নেয়া সম্ভব নয়। এমনকি কোয়ারেন্টিন ও লকডাউনের ব্যাপারেও কোন সমন্বয় নেই। ড্যানিশ ইন্সটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিস এর গবেষক সেসিলে ফেলিসিয়া স্টকহোম বাংকে বলেছেন, “এই পরিস্থিতি আমাদেরকে এটাই দেখিয়ে দিচ্ছে যে ইইউ সদস্যরা এক্ষেত্রে কতটা বিভক্ত”।

    অন্যদিকে প্রতিটি সরকার এখন তাদের নিজেদের জনগণ, চাকরি ও অর্থনীতি নিয়েই ব্যস্ত এবং এমনকি অনেকটা বিপন্ন সময় পার করছে। সেন্টার ফর ইউরোপীয়ান রিফর্ম এর প্রতিনিধি আগাথা গোস্তিনস্কা-জাকুভস্কা মনে করেন, “প্রাথমিকভাবে ইতালিকে সাহায্য না করাটা এরই মধ্যে ইইউ এর সুখ্যাতি অনেকখানি নষ্ট করেছে।”
    আর এই দুরবস্থার সুযোগ ভালভাবে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে – নব্যনাতসীবাদের প্রবর্তক অভ্যন্তরীণ জাতীয়তাবাদীরা। ইতালির সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সিলভানি টুইটারে লিখেছেন – “আমাদের উচিত ই ইউএর কার্যকারিতা পুনঃনিরীক্ষা করা, তারা আমাদের কোন সাহায্য করেনি।” যদিও তার কথা পুরোপুরি ঠিক নয় – কারণ এরই মধ্যে জার্মানি থেকে স্বাস্থ্য-উপকরণ পাঠানো হয়েছে ইতালিতে, তবে এ কথাও সত্য যে সেটা হয়েছে ব্যাপক সমালোচনার পর।
    হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এরই মধ্যে পার্লামেন্টে আইন পাশ করে ক্ষমতা অনির্দিষ্টকালের জন্যে নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। গণতন্ত্রকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ইইউ এর জন্যে যেটা বড় হুমকি। ফরাসি কট্টর-ডানপন্থী নেত্রী মেরি লি পেন রাশিয়া টুডে’র এক সাক্ষাৎকারে প্যান্ডেমিক মোকাবেলায় ইইউ এর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, করোনাভাইরাসে ইউরোপে প্রথম মৃত্যু হয়েছে ইইউ’র।
    কার্নেগী ইউরোপের খন্ডকালীন গবেষক মার্ক পিয়েরিনি মনে করেন, করোনা প্যান্ডেমিক বিশেষ রাজনৈতিক স্বার্থের পালে হাওয়া দেবে কারণ এটা এমন সময়ে এল যখন আমরা কেবলই একটা দশক পার করেছি যখন দেশে দেশে স্বার্থান্বেষী জাতীয়তাবাদীদের উত্থান ঘটেছে যাদের নেতারা খোলাখুলি ভাবেই ইইউ এর বিরোধিতা করেন।

    তবে এরই মধ্যে চাকরির বাজার ঠিক করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সাহায্যের জন্যে ইউরোপিয়ান কমিশন ১০০ বিলিয়ন ইউরোর প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও ইতালির জন্যে ৫০ মিলিয়ন ইউরোর স্বাস্থ্য-সামগ্রী বরাদ্দ করেছে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক ৭৫০ বিলিয়ন ইউরোর প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইইউ যদি তার খ্যাতি ও অবস্থান ধরে রাখতে চায় তাহলে বর্তমানে পরিস্থিতি যে পর্যায়ে পৌছেছে তাতে প্রণোদনা যথেষ্ট নয় বরং শক্তিশালী জোট হিসেবে তাদেরকে সিদ্ধান্থীনতার দৈন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
    সময়টা খুবই নাজুক, গোস্তিনস্কা-জাকুভস্কার কথায় – “এটা ইউরোজোনের জন্যে এমন এক কঠিন পরীক্ষা যা ইউরোপকে আরো সংহত করতে পারে কিংবা ইইউ কেই ভেঙ্গে দিতে পারে।” হতাশার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারা আশার কথাও শোনাচ্ছেন – স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন – আমাদের উচিত অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া এবং ইউরোপের সাধারণ জনগণ যেন আবারও ব্যর্থতায় না ডোবে সেটা নিশ্চিত করা।
    করোনাউত্তর ইউরোপে ইইউ তার কার্যকারিতা হারাবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো স্পষ্ট কিছু বোঝা না গেলেও ইইউকে কেবল সুসময়ের জোট বলেই মনে করছেন ইউরোপের সাধারণ মানুষ।

    আবু আফিয়া


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37781/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মানবেতর জীবনযাপন করছেন নির্মাণশ্রমিকরাও



      করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া নির্মাণশ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চার পাশে ত্রাণ বিতরণ চললেও রাজধানীর বেশির ভাগ নির্মাণশ্রমিক পাননি কোনো ধরনের সহায়তা। কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সংসার চালালেও এখন আর সেটাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। শেষমেশ ত্রাণের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে ওই সব পরিবারের।

      রাজধানীতে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন মো: বাবুল হোসেন। পরিবারের লোকসংখ্যা চারজন। থাকেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায়। তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। করোনায় ছুটি ঘোষণার আগে থেকেই আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো আয়-রোজগার নেই। বাবুল বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের এ এলাকায় কেউই কোনো ত্রাণ নিয়ে আসেনি। আমরা কোনো ত্রাণ পাইনি। আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে কত ঋণ নেয়া যায়! সবাইতো কষ্টে আছে। সামনে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছি।

      বাবুলের মতো আরেকজন মো: নাজমুল হুদা। রাজধানীতে রঙমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। পরিবারের লোকসংখ্যা সাতজন। থাকেন বাসাবো মাঠের পাশে। তিনি বলেন, কী বলব ভাই দুঃখের কথা, পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। করোনার মধ্যে সরকারি বেসরকারিভাবে কতজন কতভাবে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে শুনি, কিন্তু এ পর্যন্ত আমাদের এখানে কেউ কোনো ত্রাণ নিয়ে আসেনি, আমরা কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। তিনি বলেন, অনেকেই ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে গেছে। সবুজবাগ থানায় আইডি কার্ড দিয়ে এসেছি। কিন্তু ওই পর্যন্তই শেষ।

      বাসাভাড়া দেয়া প্রসঙ্গে নাজমুল বলেন, নিজেরাই খাইতে পারি না বাসাভাড়া কিভাবে দেবো! গত তিন মাস বাসা ভাড়া দিতে পারি না। কাজের কিছু বকেয়া টাকা ছিল সেগুলো উঠানোর চেষ্টা করছি। কেউ ফোন ধরলে, অনুনয় বিনয় করলে দুয়েক হাজার টাকা দেয়, আবার অনেকেই ফোনও ধরে না। এভাবেই ধারকর্জ করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছি।

      জানা গেছে, সারা দেশে নির্মাণশ্রমিক আছে ৩৫ লাখের মত। এর মধ্যে ঢাকা শহরে কাজ করেন প্রায় ১২ লাখ। করোনার এ পরিস্থিতির মধ্যে অনেকেই গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। যারা ঢাকায় আছেন তাদের বেশির ভাগ নির্মাণশ্রমিকের সংগঠন ইনসাবের সদস্য হননি। সদস্যদের মধ্যে থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫ হাজার ৯ জনের একটি তালিকা গত ২৮ এপ্রিল শ্রম মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন ইনসাব নেতারা। জেলা প্রশাসন আবার ওই তালিকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে সুপারিশ করে পাঠিয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন আবার ওই তালিকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। শ্রমিকদের ত্রাণসহায়তার ওই আবেদন এক অফিস থেকে আরেক অফিসে ঘুরছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই আবেদনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

      ইমারত নির্মাণশ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ-ইনসাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্মাণ শিল্পে লাখ লাখ হতদরিদ্র শ্রমিক কর্মহীন হয়ে অমানবিক জীবন অতিবাহিত করছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। গত ২৮ এপ্রিল কিছু সদস্যের একটি তালিকা ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছিলাম। কয়েক অফিস ঘুরে এখন সেটা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আছে শুনেছি। কিন্তু কোনো সাহায্য সহযোগিতা এখনো পাইনি। কবে পাবো তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। নয়া দিগন্তের রিপোর্ট

      তিনি বলেন, সরকারি অনুদান পেলে নির্মাণশ্রমিকদের সামান্য হলেও কষ্ট লাঘব হতো। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের হয়তো পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37784/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পছন্দের হিন্দু প্রার্থীর চাকরি না হওয়ায় ক্লিনিকে সন্ত্রাসী চেয়ার*ম্যানের তালা



        সাতক্ষীরায় পছন্দের লোকের চাকরি না হওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান। মোবাবাইল ফোনে ক্লিনিকটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারকে। বুধবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

        উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ৫ মে। পরীক্ষায় যোগ্য ও মেধাবীরা নিয়োগ পায়। নিয়োগ পরীক্ষায় চাম্পাফুল ইউপির চান্দুলিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের পছন্দের লোক নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। বুধবার সাকলে তিনি ওই ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। কালের কন্ঠের রিপোর্ট

        চান্দুলিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার জেসমিন সুলতানা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকাল ৯ টার দিকে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে ক্লিনিকে যান। যেয়ে দেখেন ওই ক্লিনিকের দরজায় দুইটি বড় আকৃতির তালা ঝোলানো। এরপর তিনি ক্লিনিকের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গণি গাজীকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন, তার পরামর্শে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ফোন দিলে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন হুমকি প্রদান করে বলেন, আমরা ক্লিনিকের সেবা চাই না ক্লিনিক উঠিয়ে ফেলবো।

        ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জমি দানকারীর ছেলের চাকরি হয়নি তাই তালা মারা হয়েছে। ক্লিনিক উঠিয়ে ফেলবো এরকম কথা বলিনি।

        এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে এভাবে তালা মেরে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করা উচিত হয়নি। ক্লিনিকে তালা মারার ব্যাপারে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

        গ্রামবাসী জানায়, চান্দুলিয়া এলাকার সুভাষ সরকার ক্লিনিকের জমি দাতা। তার ছেলে হিরণ চাকরি প্রার্থী। ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে হিরন ও তার গ্রুপের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের প্রসব-পূর্ব ও পরবর্তী সেবা, শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পরিবার-পরিকল্পনা শিক্ষা ও পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ জনপদের পিছিয়ে পড়া লোকজনদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা এ কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37790/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চাল আত্মসাত করলো দুই সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা



          দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই জন ডিলার চাল বিতরণ না করে আত্মসাত করেছে।

          এদের মধ্যে একজন পলাশবাড়ী ইউনিয়ন সন্ত্রাসী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুর অন্যজন ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রহিমুল ইসলাম। তারা দুই জনেই পলাতক রয়েছেন।

          জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরন না করে তা ২ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ডিলার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুর ২ নং ওয়ার্ডের ডিলার মো. ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রহিমুল ইসলাম আত্মসাৎ করে আসছিলেন।

          গত মঙ্গলবার ডিলার মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুরের বিরুদ্ধে মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. পারুল বেগম বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অভিযোগ করেন।

          অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বৈরবাড়ী গ্রামের বিরেন অধিকারীর ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ অধিকারী, ধূখোল মহন্ত ছেলে ফাগুনা মহন্ত, মৃত সচিন্দ্রের ছেলে রমেশ ও মহিলা ইউপি সদস্য পারুল বেগমের চাল না দিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে আত্মসাৎ করে আসছেন ডিলার মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুর।

          অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলমকে ঘটনা পরিদর্শনে পাঠান। এ সময় তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিযোগকারীদের অভিযোগ শুনেন। পরে ডিলার মো. নাজমুল হোসেন বাহাদুরকে ডাকলে তিনি পালিয়ে যান। একই অভিযোগ ২ নং ওয়ার্ডের ডিলার মো. ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রহিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে বিমল চন্দ্র সরকার, যতিশ চন্দ্র,জগদিস সরকার ও লাল বানু নামে চারজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের নামে কার্ড আছে কিন্তু তারা কোন দিনই চাল পাননি। তাদের চার গুলো ডিলার আত্মসাৎ করত। যেসব কার্ডের চাল আত্মসাৎ করা হতো তার মধ্যে কিছু কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। কার্ডধারীরা জানতইনা যে তাদের নামে কার্ড রয়েছে এবং চাল উত্তোলন করা হয়ে । খবর: কালের কন্ঠ

          এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুইজন ডিলার নাজমুল হোসেন বাহাদুর ও রহিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১০-১২জন উপকারভোগী অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা জানেনা তাদের নামে কার্ড বরাদ্দ আছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। যেই কার্ড দিয়ে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। আমি নিজেই বুধবার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। দুইজন ডিলারকে ডাক দেয়া হলে তারা মুঠোফোন বন্ধ করে পালিয়েছে।

          এই ঘটনায় বুধবার রাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: ফিরোজ আহম্মদ মোস্তফা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37793/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            রাণের চাল উদ্ধার করা হলো ইউপি মেম্বারের কাছ থেকে



            ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সংরক্ষিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) নিলুফা আক্তারের এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাড়ি থেকে ১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় বুধবার বিকেলে তাকে এ সাজা প্রদান করা হয়। সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

            খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চর ইসলামপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নিলুফা আক্তারের বাড়ি থেকে বুধবার বিকেলে ১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করে প্রশাসন। ওই চাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন নিলুফা আক্তার। পরে ত্রাণের চাল গোপনে মজুদ রাখার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ইউপি সদস্যকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
            সূত্র: কালের কন্ঠ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37796/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              করোনা আক্রান্ত নারীকে পালাতে সাহায্য করলী সন্ত্রাসী আ.লীগ নেতা



              সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীকে পালাতে সহায়তা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদুর ঢালী। তবে পালিয়েও রক্ষা পাননি করোনা আক্রান্ত ওই নারী। শেষ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

              গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১০টার দি*কে দিনভর চেষ্টার পর সাতক্ষীরার আশাশু*নির কুল্যা ইউ*নিয়*নের মহাজনপুর বিল থে*কে তা*কে উদ্ধার করা হয়। এর আগে বিকেলে ওই নারীকে পালাতে সাহায্য করা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি লকডাউন করা হয়।

              সাঈদুর ঢালী আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। করোনা আক্রান্ত ওই নারী সম্পর্কে তার ভাগনি। তিনি (ওই নারী) আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের দেউলা গ্রামের বাসিন্দা।

              জনগণ সাঈদুর ঢালীকে ওই নারীর অবস্থান বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে তিনি করোনা আক্রান্ত নারীর অবস্থান বলে দেন। পরে সাড়ে ১০টায় কুল্যা ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের একটি বিল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
              সূত্র: আমাদের সময়


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/15/37799/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X