শেষ পর্যন্ত কী হলো দয়া করে বিস্তারিত বলুন।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
দয়া করে কোন ভাই যদি বি বাড়ীয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানাতেন।
Collapse
X
-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন শান্ত
সমঝোতা বৈঠক এবং বৈঠকের শেষে মাওলানা সাজিদুর রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলায় একজন মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে সেখানকার আলেম-ওলামাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে বুধবারের হরতাল প্রত্যাহর করা হয়েছে। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে মুক্তি পেল। ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে জেলা শহরটি। জীবনের স্বাভাবিক কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে এসেছে।
মঙ্গলবার রাতে জামিয়া ইনুসিয়ায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সমঝোতা বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষে অংশ নেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, ১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নজরুল ইসালম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.এ মাসুদ, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যদিকে আলেম-ওলামার পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন, মাওলানা আশেকে ইলাহি, মুফতি মোবারক উল্লাহ (মহাপিরিচালক জামিয়া ইউনুসিয়া), মাওলানা সাজিদুর রহমান (মহাপরিচালক দারুল আরকাম), মুফতি শামসুল হক, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী (ভাইস চেয়ারম্যান ইসলামী ঐক্যজোট), মুফতি ফয়জুল্লাহ (মহাসচিব ইসলামী ঐক্যজোট), মাওলানা সাখাওয়াত ও মাওলানা আবদুর রহিম।
বৈঠকে আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে ৪টি দাবি করা হয়।
১. এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা। ২. হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশিচত করা। ৩. চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা। ৪. শহীদ পরিবাসহ আহত ছাত্রদের চিকিৎসা বাবদ ক্ষতিপূরণ দেয়া।
সমাঝোতায় বসার পূর্বেই প্রশাসন জেলা পুলিশের দুই সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়। শহীদ পরিবারকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়। বাকি দুটি দাবিও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন নিশ্চিয়তা দেয়া হয়েছে বলে কওমী নিউজকে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলেম-ওলামাদের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য মাওলানা সাজিদুর রহমান।
কওমীনিউজকে মাওলানা সাজেদুর রহমান আরও বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকালের সংঘর্ষের সময় পুলিশ এবং ছাত্রলীগ মিলে মাদরাসায় ঢুকে ছাত্রদের আক্রমণ করেছিল এবং গুলি চালিয়েছিল। সেজন্য তারা স্থানীয় পুলিশের দু’জন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
তবে মাদরাসার কোন ছাত্র জ্বলাও, পোড়াও কিংবা সহিংসতায় জড়িত ছিল না । তিনি বলেন, যারা সহিংস ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, তারা আমাদের কেউ নয়।
কওমীনিউজডটকম/এইচ
-
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া-বি বাড়িয়া
হাফেজ মাসুদের রক্ত সফল
--------------------------------
আলহামদুলিল্লাহ, সরকার আমাদের সকল দাবী মেনে নিয়েছে।
তাই আমাদের সিনিয়র লিডারদের পরামর্শক্রমে হরতাল প্রত্যাহান করা হল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮.৩০মিনিট পর্যন্ত প্রশাসন এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সকল দাবী মেনে নিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আমাদের দাবীঃ
১।নাসিরনগরে বন্ধ মাদ্রাসাদ্বয় খুলেদিতে হবে।
২।প্রশাসের কর্মকর্তা এ, এসপি, তাপস রঞ্জন ঘোষ এবং সদর থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস কে চাকরী থেকে অপসারন করতে হবে।
৩।হামলায় যারা জরীত তাদের কে আইনে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।
৪।আমাদের নামে মামলা প্রত্যাহান করিতে হবে।
৫।কোনো আলেমদের কে হয়রানী করতে পারবেনা।
৬।আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রশাসন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দাবী সরকার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এবং শহিদ হাফেজ মাসুদুর রহমান এর পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন ও তাদের পরিবার থেকে প্রশাসনে চাকুরী দেয়া হবে, এবং আমাদের সকল ক্ষতিপুরন দিবে।
বৈঠকে উপস্তিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমগন, কওমী ছাত্র ঐক্য ছাত্র পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন,
পুলিশের চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত
ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, ১২ বিজিবির
অধিনায়ক লে.কর্নেল নজরুল
ইসলাম,ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এম এ
মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
---খালেদ মোঃমোশাররফ
সাধারণ সম্পাদক
কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াLast edited by tamim rayhan; 01-14-2016, 09:27 AM.
Comment
-
আমার হাসি পাচ্ছে।
মাদরাসার কোন ছাত্র জ্বলাও, পোড়াও কিংবা সহিংসতায় জড়িত ছিল না
তেমনি হুজুরদেরকে ডেকে সেমিনার করে বলছে মাদ্রসার ছাত্ররা ব্লগার হত্যায় জরিত নেই অথচ কুকুর ওাশিক নির্মূলকারী ভাইদের সবার চোখের সামনে গ্রেফতার হয়েছে। যারা নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হয়েছে মাদ্রাসার ছাত্র।
কারন তারা বুঝে ফেলেছে জঙ্গী বিমানের বোমা মন্ত্রী বা জনগনকে ভাগ করে না। আর অরাজকতা সৃষ্টি হলে ফায়দা মুজাহিদদেরই হবে।
Comment
-
আসলে আমাদের চিন্তা চেতনায় কাপুরুষতা ঝেকে বসে আছে। সফলতার সংজ্ঞা কি আমরা জানি? এদিকে এক ভাইকে জুলুম করে শহীদ করা হয়েছে। যে একজন হাফেজ। ৩০ পারা কোরআন শরীফ যার সিনায় রয়েছে, তার সিনায় লাথি মেরে বলা হল "তোর আল্লাহ কই"। আর আরেক ভাই "খালেদ মোঃমোশাররফ" বলছেন উনারা সফল হয়েছেন। কয়েকদিন পর হয়তো আরো কিছু ভাইকে এভাবে শহীদ করে দেয়া হবে আর কাফের মুর্তাদরা "ট্যাকনিক্যালি" সান্ত্বনা দিবে, যে ভাবে এই ভাইয়ের বেলায় দিয়েছে। আর 'খালেদ মোঃমোশাররফ' এর মত কিছু ভাই বলবে উনারা সফল।
কিন্তু আমরা সেদিন বলব আমরা সফল, যেদিন আমরা ঐ যালিমদেরকে টুকরো টুকরো করে কাটব। সকল ত্বাগুত মুর্তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে আল্লাহর যামিনে এক আল্লাহ রাজ কায়েম করব। বেশী সময় অপেক্ষা করতে হবেনা। ইনশা আল্লাহ।
ভাই সাফল্যের সংজ্ঞাতো স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন। কারা সফল
"ওয়া যালিকা হুয়াল ফাঊযুল আযিম"Last edited by ABU Ubayda; 01-19-2016, 07:39 PM.
Comment
-
Originally posted by ABU Ubayda View Postকিন্তু আমরা সেদিন বলব আমরা সফল, যেদিন আমরা ঐ যালিমদেরকে টুকরো টুকরো করে কাটব। সকল ত্বাগুত মুর্তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে আল্লাহর যামিনে এক আল্লাহ রাজ কায়েম করব।
এক জন তালিবুল ইলমের রক্ত কি এত সস্তা ?!
Comment
Comment