Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ২১শে জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ২১শে জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী।


    অবৈধ বসতি স্থাপনের রেকর্ড : ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূখণ্ডে নতুন ২৭,০৫০ ইহুদি

    গ্রেটার ইসরাইল প্রতিষ্ঠার লক্ষে চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২৭ হাজার ৫০ জন জয়োনিস্ট ইহুদী ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূমিতে পদার্পন ও নতুন করে বসতি স্থাপন করেছে।

    অবৈধ বসতি নির্মাণ ও ইহুদিবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দখলদার ইসরাইল ৩০% বেশি জয়োনিস্ট ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনের ভূমিতে এনে মুসলিমদের ভূমি দখল করেছে।

    আল আক্বসার পবিত্র ভূমিতে ঘাঁটি গেড়ে বসা নব্য ঔপনিবেশিক ইহুদিদের অধিকাংশই উত্তর আমেরিকার বাসিন্দা। এবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪ হাজার অবৈধ ইহুদি ফিলিস্তিনে এসে নতুন বসতি গড়েছে।

    চলতি বছরে ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে আগত ৩ হাজার ৫০০ ইহুদি রয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৪০% বেশি।

    রাশিয়া থেকে এবছর ৭ হাজার ৫০০ ইহুদি ফিলিস্তিনে বসতি গড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০% বেশি।

    ইউক্রেন থেকে ৩ হাজার ও ইথিওপিয়া থেকে ১ হাজার ৬৩৬ ইথিওপিয়ান ইহুদি ফিলিস্তিনে এসে মুসলিমদের ভূমি দখল ও বাড়িঘর উচ্ছেদ করে বসতি স্থাপন করেছে।

    তাছাড়াও, চলতি বছর আর্জেন্টিনা থেকে ৯০০, যুক্তরাজ্য থেকে ৬৫০, ব্রাজিল থেকে ৫৫০, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৫৫০ ও মেক্সিকো থেকে ২৯০ দখলদার ইহুদি স্থায়ী বসতি নির্মাণের লক্ষে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আগমন করেছে।

    উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে মুসলিমদের জাতিগত উৎখাত করে ফিলিস্তিন থেকে দখল করে নেয়া তেলআবিবের গ্রামগুলোতে অধিকাংশ ইহুদিরা অবৈধ বসতি নির্মাণ করছিল।

    বর্বর এই জায়নবাদী ইহুদিরা মূলত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের হত্যা কিংবা জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে এসব বসতি নির্মাণ করে থাকে।

    সন্ত্রাসী ইসরাইল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগমনকারী ইহুদিদের ইসরাইলি নাগরিকত্ব ও আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে ফিলিস্তিনের ভূমিতে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণে সহায়তা করে যাচ্ছে।

    তবে আমাদের জন্য অজানা ও আশ্চর্যজনক একটি তথ্য হল এই যে, পূর্ব ভারতের মিজোরাম ও মনিপুর ও নাগাল্যান্ড থেকেও হাজার হাজার ইহুদি ইতিমধে নানান সময়ে ইসরায়েলে এসে বসতি স্থাপন করেছে। ইহুদি প্রতারক পণ্ডিতদের দাবি, তারা ছিল ইহুদিদের হারিয়ে যাওয়া বনি মনেসা গোত্রের, যারা এখন আবার তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছে।

    তথ্যসূত্র :
    ——-
    ১। Israeli government: 27,050 new foreign colonizers settled in Palestine in 2021 –


    ২। Bnei Menashe Documentary – from India to Israel –



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    একশত হিন্দু ২০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করতে প্রস্তুত হয় তাহলে আমরা সফল হবো সাধ্বী অন্নপূর্ণারা

    ভারত থেকে মুসলিম নিধনের প্রকাশ্য ঘোষণা দিতে শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী উগ্র ধর্মগুরুরা। শুধু ঘোষণাতেই শেষ নয়, ১০০ জন হিন্দু যেন ২০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করার টার্গেট নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্যেই।

    হিন্দুত্ববাদী উগ্র নেত্রী সাধ্বী অন্নপূর্ণা বলেছে, মুসলিমদের জনসংখ্যা কমাতে তাদের হত্যা করতে হবে।
    “অস্ত্র ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। আপনি যদি তাদের জনসংখ্যা নির্মূল করতে চান তবে তাদের হত্যা করুন। হত্যার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং জেলে যেতে প্রস্তুত থাকুন। এমনকি যদি আমাদের মধ্যে ১০০ জন তাদের (মুসলিম) ২০ লক্ষকে হত্যা করতে প্রস্তুত হয়, তবে আমরা বিজয়ী হব, তাহলে আমরা সফল হব’।

    তার এই মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র মন্তব্যের ব্যাপারে টাইমস নাউ এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করে যে, ২০ লক্ষ মানুষকে হত্যার ডাক দেওয়া কি ধর্ম?’
    জবাবে ঐ সন্ত্রাসী সাধ্বী অন্নপূর্ণা বলেছে, “হ্যাঁ, এটা আমাদের কর্তব্য।” সে আরো বলেছে “আমরা হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠা করতে তাদের হত্যা করতেই থাকবো।

    রাজনৈতিক দল হিন্দু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক সাধ্বী অন্নপূর্ণা অস্ত্র দিয়ে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর আহ্বানও জানিয়েছে।

    তথ্যসূত্র:
    ——-
    ১. অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও

    ২. https://tinyurl.com/2p92t56f
    ৩. Hindutva leaders call for killing Muslims at recent ‘hate speech conclave’ in India: reports


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কক্সবাজারে স্বামীকে জিম্মি করে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : দায় কার?

      মনে আছে, গত বছরের সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের গণধর্ষণের কথা। স্বামীকে আটকে রেখে প্রাইভেটকারের মধ্যেই গৃহবধূকে একে একে ধর্ষণ করে আট নরপশু। তারা দম্পতির সাথে থাকা টাকা, স্বর্ণের চেইন ও কানের দুলও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আটকে রাখে তাদের প্রাইভেটকারও। নানা ইস্যুর চাপে আমরা ভুলে যাই। আর অপরাধীরা সরকার দলীয় অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের হওয়ায় তেমন কোন বিচারও হয় না। যার কারণে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হতে থাকে।

      এবারের ঘটনা আরো মারাত্মক।

      ধর্ষণের শিকার ওই নারী গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে এসে শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে গিয়ে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

      আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তিন যুবক তাকে তুলে নিয়ে যান পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে। সেখানে তারা পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

      ওই নারী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি।
      এদিকে, স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতা চাইলেও ওই নারীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি পুলিশ। কথিত জনগণের বন্ধু পুলিশ তাকে সাহায্য কিংবা উদ্ধার করার পরিবর্তে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেয়।

      ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পেয়েছি সেই খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো নয়।’
      এঘটনার সাথেও সরকার দলীয় ক্যাডাররা জড়িত থাকায় মিডিয়া তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে নানা তালবাহানা করতে থাকে। সামাজিক মাধ্যমে তাদের পরিচয় প্রকাশ হয়ে তীব্র সমালোচনা হওয়ায় মিডিয়া তাদের পরিচয় প্রকাশ করে। যে, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনই কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। ঘটনার পর থেকে সাদ্দামের সঙ্গে আশিক, জয়া ও অন্যদের বিভিন্ন সময় তোলা নানা ধরনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

      স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী পরিচয় দিয়ে আশিক, বাবু জয়া, রেশাদ, হাসান, আমিনসহ আরও অনেকে হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় মাদক, ছিনতাই, দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চান না। বুধবারও নারীকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আশিকসহ অন্যন্যরা।

      মানবরচিত গণতন্ত্রের বিচারহীন ব্যবস্থায় এই ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসীরা জানে যে, ধরা পড়ে গেলেও দের কোন সমস্যা হবে না।
      সঠিক ইসলামী বিচার ব্যবস্থা থাকলে এমন কাজ করার করার দুঃসাহস কেউ করতো না বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। এই মানবরচিত সিস্টেমের পরিবর্তন ছাড়া তাই ন্যায়বিচার ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তারা।

      তথ্যসূত্র:
      —-
      ১.নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৭ জনকে আসামি করে মামলা

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিম যুবককে গুলি করে খুন : ৪০ ঘণ্টা পরেও লাশ ফেরত দেয়নি সন্ত্রাসী বিএসএফ


        এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে মুসলিম যুবককে গুলি করে খুন করার ৪০ ঘণ্টা পরও মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী বাহিনী বিএসএফ।
        নিহত যুবকের নাম মো. ইব্রাহিম হোসেন। তিনি উপজেলার শাহবাজপুরের ঢুলিপাড়া গ্রামের আবু তাহের দুঃখ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ইব্রাহিম।

        হিন্দুত্ববাদী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে হত্যা বন্ধের বারবার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে লাশের মিছিল থামছে না। একের পর এক খালি হচ্ছে দুঃখিনী মায়ের বুক।

        নিহত ইব্রাহীম হোসেনের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত হওয়ার একদিন পার হয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত দিচ্ছে না বিএসএফ। বিজিবির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কিছুই লাভ হচ্ছে না। গতকাল শুনলাম পতাকা বৈঠক করে মরদেহ ফেরত দেবে কিন্তু আজ তাও হয়নি।’
        তিনি আরও বলেন, ইব্রাহিম পরিবারের কাউকে না জানিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রাত দুইটার দিকে তাকে গুলি করার বিষয়টি জানতে পাই।

        শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাত ২টার দিকে আজমতপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে আহত হন ইব্রাহিম। পরে তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তখন থেকেই স্বজনরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমার জানামতে এখনও মরদেহ ফেরত পাননি তারা।’

        চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা বলেন, আজমতপুর সীমান্ত পিলার ১৮২/১-এস ও ১৮২/২-এস এলাকায় মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা গুলিতে নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

        উল্লেখ্য, ভারত বরাবর বাংলাদেশকে নানা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। যার কোনটাই এখনো বাস্তবায়ন করেনি। তবুও বাংলাদেশের ভারতপ্রেমী ক্ষমতাসীন হোমড়াচোমড়ারা সেই হিন্দুত্ববাদীদেরই বন্ধুরুপে তুলে ধরতে চায়।

        একদিকে ভারত সীমান্তে মুসলিমদের পাখির মতো গুলি করে মারছে, বাংলাদেশের বিষয় দিবসকে তারা নিজেদের বিজয় দিবশ বলে আখ্যায়িত করছে, আবার অপর দিকে সেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রপতিকেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হচ্ছে।

        তথ্যসূত্র:
        —-
        ১। ৪০ ঘণ্টা পরও গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X