Tweet
গোলান মালভূমিতে ইহুদি বসতি দ্বিগুণ করার ঘোষণা ইসরাইলের
দখলদার ইসরাইল গোলান মালভূমির দখলকে সুসংহত করার লক্ষ্যে কোটি কোটি ডলারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সেখানে বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চাই।
৫০ বছর আগে ভূখণ্ডটি মুসলিম ভূমি সিরিয়া কাছ থেকে দখল করে নেয় সন্ত্রাসী ইসরাইল।
গোলান মালভূমি থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার একটি বড় অংশ স্পষ্ট দেখা যায়। সে হিসেবে ভূখণ্ডটি সিরিয়ান সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটা এক আদর্শ জায়গা। কৌশলগতভাবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
তাছাড়া এটি প্রাকৃতিক পানির উৎস। গোলান মালভূমি থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে জর্ডান নদীতে। আর এটি হচ্ছে ইসরাইলের পানি সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশের উৎস। জায়গাটি বেশ উর্বর এবং এখানে ফল ও আঙুরের চাষ হয়, পশুপালন হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে এই দখলদারি বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে ইসরাইলের ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যা গোলান মালভূমিতে দখলদারদের বিনিয়োগের পথ সুগম করে।
গত রবিবার ২৬ ডিসেম্বর গোলান মালভূমিতে বিশেষ মন্ত্রিসভা বৈঠকে দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করে যে, এটাই আমাদের সময়। এটা গোলান মালভূমির মুহূর্ত। আমাদের এখনকার লক্ষ্য হলো গোলান মালভূমিতে বসতি দ্বিগুণ করা।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়া থেকে গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল এবং ১৯৮১ সালে এটিকে নিজেদের ভূমির সঙ্গে সংযুক্ত করে। কথিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বিশ্বের বড় একটি অংশ এ কার্যক্রম বেআইনি বলে বিবেচনা করে।
তা সত্বেও এ অঞ্চলকে ইসরাইলের হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া প্রথম দেশ হলো বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা।
আমেরিকা এ বিষয়টি বৈধতা দিয়েছে তাই জাতিসংঘ, হলুদ মিডিয়া, সুশীল সমাজ বিষয়টি নিয়ে একদম চুপ।
অথচ এই জাতিসংঘ, হলুদ মিডিয়া, সুশীল সমাজ-ই এতোদিন ধরে শান্তির মিথ্যা স্লোগান তুলে আমেরিকার ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে সাফাই গেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বরাবরই ধোকা খেয়েছে। আর ধ্বংস হয়ে গেছে ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়াসহ অসংখ্য মুসলিম জনপদ।
এ জন্য জাতিসংঘ, হলুদ মিডিয়া এবং কথিত সুশীল সমাজের মনভুলানো কথা-বার্তা উপেক্ষা করে মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের নিরাপত্তা ও ভূমি পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম নিজেদেরকেই চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
=====
১.Israel says will ‘double settlements’ in occupied Golan Heights-
দখলদার ইসরাইল গোলান মালভূমির দখলকে সুসংহত করার লক্ষ্যে কোটি কোটি ডলারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সেখানে বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চাই।
৫০ বছর আগে ভূখণ্ডটি মুসলিম ভূমি সিরিয়া কাছ থেকে দখল করে নেয় সন্ত্রাসী ইসরাইল।
গোলান মালভূমি থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার একটি বড় অংশ স্পষ্ট দেখা যায়। সে হিসেবে ভূখণ্ডটি সিরিয়ান সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটা এক আদর্শ জায়গা। কৌশলগতভাবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
তাছাড়া এটি প্রাকৃতিক পানির উৎস। গোলান মালভূমি থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে জর্ডান নদীতে। আর এটি হচ্ছে ইসরাইলের পানি সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশের উৎস। জায়গাটি বেশ উর্বর এবং এখানে ফল ও আঙুরের চাষ হয়, পশুপালন হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে এই দখলদারি বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে ইসরাইলের ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যা গোলান মালভূমিতে দখলদারদের বিনিয়োগের পথ সুগম করে।
গত রবিবার ২৬ ডিসেম্বর গোলান মালভূমিতে বিশেষ মন্ত্রিসভা বৈঠকে দখলদার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী দাবি করে যে, এটাই আমাদের সময়। এটা গোলান মালভূমির মুহূর্ত। আমাদের এখনকার লক্ষ্য হলো গোলান মালভূমিতে বসতি দ্বিগুণ করা।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়া থেকে গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল এবং ১৯৮১ সালে এটিকে নিজেদের ভূমির সঙ্গে সংযুক্ত করে। কথিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বিশ্বের বড় একটি অংশ এ কার্যক্রম বেআইনি বলে বিবেচনা করে।
তা সত্বেও এ অঞ্চলকে ইসরাইলের হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া প্রথম দেশ হলো বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা।
আমেরিকা এ বিষয়টি বৈধতা দিয়েছে তাই জাতিসংঘ, হলুদ মিডিয়া, সুশীল সমাজ বিষয়টি নিয়ে একদম চুপ।
অথচ এই জাতিসংঘ, হলুদ মিডিয়া, সুশীল সমাজ-ই এতোদিন ধরে শান্তির মিথ্যা স্লোগান তুলে আমেরিকার ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে সাফাই গেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বরাবরই ধোকা খেয়েছে। আর ধ্বংস হয়ে গেছে ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়াসহ অসংখ্য মুসলিম জনপদ।
এ জন্য জাতিসংঘ, হলুদ মিডিয়া এবং কথিত সুশীল সমাজের মনভুলানো কথা-বার্তা উপেক্ষা করে মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের নিরাপত্তা ও ভূমি পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম নিজেদেরকেই চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
=====
১.Israel says will ‘double settlements’ in occupied Golan Heights-
Comment