Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ২৮শে জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ০২রা জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ২৮শে জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ০২রা জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    পুলিশ আমাদের সাথেই থাকবে: উগ্র হিন্দুত্ববাদী জ্যোতি নরসিংহানন্দ

    সম্পতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর তাতেই, ভারতীয় আইনের প্রতি যাদের অতিরিক্ত ন্যূনতম শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল তাদের চক্ষু চড়কগাছ।

    ভিডিওটিতে দেখা গেছে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে গেল ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর মুসলিম গণহত্যার আহ্বানকারীরা এক কথিত সন্ন্যাসী ও আরেক উগ্র সাধ্বী পুলিশ অফিসারকে উল্টো মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছে।

    ঐ উগ্র হিন্দু সাধ্বী হাসতে হাসতে পুলিশ অফিসারকে লক্ষ্য করে বলে, আপনার একটি বার্তা পাঠানো উচিৎ যে, আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন না। আমরা আপনাকে আমাদের পাশেই পাব। এটা বলার পর পাশে থাকা জ্যোতি নরসিংহানন্দ বলে উঠে, লাড়কা হামারে তরফ হোগা। যার অর্থ হল- সে আমাদের পক্ষেই থাকবে।

    গণহত্যা চালিয়ে মুসলিমমুক্ত অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার নেশায় উন্মাদ হিন্দুত্ববাদীরা – প্রকাশ্যে মুসলিম গণহত্যার আহ্বান জানানোর কারণে যাদের কারাগারে থাকা উচিত ছিল – তারাই আবার কোরআনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে থানায়। হিন্দুত্ববাদীদের প্রকাশ্যে মুসলিম নিধনের কথা বলতে পারার এটাও একটা কারণ যে, পুলিশ প্রশাসন তাদের পক্ষেই আছে।

    এনডিটিভিকে হিন্দুরক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ বলেছিল, আমি যা বলেছি, তাতে লজ্জার কিছু নেই। আমি পুলিশকে ভয় পাই না। নিজের বক্তব্যের পক্ষেই আমি অবস্থান নিয়েছি।

    এরা প্রকাশ্যে মুসলমানদের গণহত্যার ডাক দিয়েও পুলিশের সঙ্গে খোঁশ মেজাজে গল্প করতে পাড়ছে। অপরদিকে, শুধু মুসলিম হওয়ায় শারজিল ইমাম, উমর খালিদরা কথিত অশান্তি ছড়ানোর মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আছেন। যাদের ব্যাপরে কোন প্রমাণও নেই।

    ভিডিওটিতে উপস্থিত কুখ্যাত হিন্দু সন্ত্রাসীদের মধ্যে ছিল-

    ১. হিন্দুসভার নেতা জ্যোতি নরসিংহানন্দ
    সে ধর্ম সংসদে বলেছিল, মুসলিমদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বয়কট কাজ করছে না। হিন্দুগোষ্ঠীগুলোর উচিত নিজেদের আরও হালনাগাদ করা। তরবারি কেবল মঞ্চেই ভালো দেখায়। যাদের হাতে ভালো অস্ত্র আছে, এই যুদ্ধে তারাই জয়ী হবে।

    ২.হিন্দু রক্ষা সেনার সভাপতি স্বামী প্রাবোধানন্দ
    সে বলেছিল মিয়ানমারের মতো আমাদের পুলিশ, রাজনীতিবিদ, সামরিক বাহিনী ও প্রতিটি হিন্দুকে অবশ্যই অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে। এরপর নিধনযজ্ঞ চালাতে হবে। এর বাইরে আর কোনো বিকল্প অবশিষ্ট নেই।

    ৩. রাজনৈতিক দল হিন্দু মহাসভার মহাসচিব সাধ্বী অন্নপূর্ণাও
    সে বলেছিল অস্ত্র ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব না। আপনি যদি তাদের জনসংখ্যাকে উৎখাত করতে চান, তবে তাদের হত্যা করুন। আমাদের একশজন যদি তাদের (মুসলমান) ২০ লাখ লোককে হত্যায় প্রস্তুত থাকে, তবে আমরা বিজয়ী হব।
    ওয়াসিম রেজভী ওরফে যতীন্দ্র নারায়ণসহ আরো অন্যান্য উগ্র হিন্দু নেতারা উপস্থিত ছিল।

    তথ্যসূত্র
    ——-
    Genocidal maniacs who should be in jail for openly calling for a genocide of Muslims are filing a complaint against the Qur’an & Maulvis.

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জায়নিস্ট আগ্রাসন | নতুন ৯৫০ স্থাপনা ধ্বংস, ফিলিস্তিনিদের বিশাল জায়গা বাজেয়াপ্ত


    দিন শেষে ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষের স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার শেষ ঠিকানা বাড়িঘর। ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সেই শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিচ্ছে হানাদার ইহুদি বাহিনী।

    সন্ত্রাসী ইসরাইল নিয়মিতভাবে মুসলিমদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে ইহুদি জন্য নির্মাণ করছে নতুন নতুন বসতি ও স্থাপনা। তবে মুসলিমদের আফগান বিজয়ের পর থেকে মুসলিমদের বাড়িঘর থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার যেন হিরিক লাগিয়ে দিয়েছে বর্বর ইহুদিরা।

    ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম কুদ্‌স নিউজ নেটওয়ার্ক (QNN) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে অন্তত ৯৫০ টি ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন ঘরবাড়ি ধ্বংস করে মুসলিমদের উচ্ছেদ ও তাদের ভু-সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করেছে বর্বর দখলদাররা। এছাড়াও ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন ২৪,৭৫০ ডুনাম বা প্রায় ২৪৭ বর্গ কিলোমিটার জায়গা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছে। ফলে মুসলিমরা এখন আর এসব ভূমি ব্যবহার করতে পারবে না।

    বিপরীতে ইহুদিদের জন্য ৫৫টি নতুন বসতি গড়ে তুলেছে দখলদার ইসরাইল। তৈরি করেছে ইহুদিদের জন্য রাস্তা ও ১৫টি পুলিশ ফারি। বৃদ্ধি করেছে অন্তত ২৫টি বসতির কাজ। এছাড়াও ১০০টি নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে দখলদার ইসরাইল।

    ১৯৬৭ সাল থেকে সন্ত্রাসী ইসরাইল লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনবাসীকে বিচারবহির্ভূতভাবে গুম, হত্যা ও বন্দী করে নির্যাতন চালিয়েছে। প্রতিদিন দখল করে নিচ্ছে মাইলের পর মাইল এলাকা।

    এরপরও, উড়ে এসে জুড়ে বসা জায়োনিস্ট ইহুদিদের আগ্রাসন ও বর্বরতার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কথিত জাতিসংঘ বা বিশ্ব সম্প্রদায়, এমনকি কোন আরব রাষ্ট্রও না।
    তবে ইসরাইলকে সহায়তায় কোন কমতি করছেনা পশ্চিমারা। উল্টো ফিলিস্তিনিদের দ্বারা কোন প্রকার হুমকিতে থাকবে ইসরাইল এটাও সহ্য করা হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের মুসলিনদের নির্যাতন বন্ধ ও পবিত্র মসজিদ আল আকসা পুনরুদ্ধার করতে জাতিসংঘ বা আরব শাসকগোষ্ঠীর সাহায্য নয়, প্রয়োজন নববী মানহাজের অনুসরণ।
    আর অনেক মুসলিম চিন্তাবিদ এখন জাতিসংঘকে ‘অমুসলিম সংঘ’ বলেই অভিহিত করে থাকেন।

    তথ্যসূত্র:
    ======
    ১। Statistics: ‘Israel’ demolished 950 West Bank, Jerusalem structures in 2021-

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আবারও মুসলিম গণহত্যার ও ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর শপথ : তবে এবার স্কুল ছাত্ররা

      গোটা ভারতজুড়ে মুসলিম গণহত্যা ও হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের প্রকাশ্য ঘোষণা ও শপথ গ্রহণের হিরিক লেগেছে। সকল শ্রেণীর হিন্দুদের উদ্ধুদ্ধ করতে প্রকাশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র বানাতে বিশেষ করে মুসলিম ও অন্যান্যদের হত্যা করার শপথ নেওয়ানো হচ্ছে।

      সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সােশ্যাল মিডিয়ায়। সুদর্শন নিউজ ও সংবাদ সংস্থার এডিটর ইন চিফ সুরেশ চাভানকে তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তেমনই একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। আবারো ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানাের শপথ গ্রহণের ভিডিও ২৯ ডিসেম্বর সে পােস্ট করে। যাতে দাবি করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের সােনভদ্রার একটি স্কুলের ছাত্ররা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার শপথ করানো হয়েছে।

      শপথে তারা বলছে, আমরা সবাই শপথ নিচ্ছি,কথা দিচ্ছি,সংকল্প করছি।
      ‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য লড়াই করতে হবে, প্রয়ােজনে মরতে হবে বা মারতে হবে। যেমন করেই হােক ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
      আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত, আমরা ভারতকে হিন্দু জাতিতে পরিণত করব, এটিকে শুধুমাত্র হিন্দু জাতি হিসেবে রাখব। আমরা যেকোনো মূল্যে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে একটুও দ্বিধা করব না।

      এটা সেই একই ভাষা, আরএসএস এর শপথ, যা ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বরের উগ্র সমাবেশগুলো থেকে নেওয়া হয়েছিল।

      সুদর্শন টিভির রােল্টার রাজেশ সিং এর রেকর্ড করা সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ভারত মাতার জয়, জয় হিন্দ স্লোগান দিচ্ছে। স্কুল চলাকানীলই শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরে একটি স্কুল মাঠে জড় হয়েছে। স্কুল চত্ত্বরের মধ্যেই তাদেরকে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করার শপথ করানো হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে তাদের বাবা মাকেও এজাতীয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যােগ দিতে দেখা গেছে। দাবি করা হয়েছে অভিভাবকরাও ভারতেকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির করার শপথ নিয়েছে।

      মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর সুদর্শন নিউজ উত্তর প্রদেশের রূপাইডিহা ও নাগপুরে একই ধরনের শপথ গ্রহণের আরও দুটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেই ভিডিওটিতেও শপথ গ্রহণকারীদের বলতে শােনা গেছে, “আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে ভারতেকে তৈরি করা ও ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা সর্বদা কাজ করব। আমরা এর জন্য লড়াই করব, হত্যা করব প্রয়ােজনে নিজেরাও মরব। আমাদের পূর্বপুরুষ, শিক্ষক, ভারতমাতা আমাদের পর্যাপ্ত শক্তি দেন, যাতে আমরা অঙ্গীকার পুরণ করতে পারি।”

      তথ্যসূত্র
      —–
      Adolf Hitler’s Hindus vow to turn India into Hindu-only nation, saying they’re “willing to kill [Muslims, Christians and Sikhs].
      ১। https://tinyurl.com/y6k99r95
      ২। https://tinyurl.com/24uzwktz
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        তৃণমূল বিধায়ককের ‘গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায়’ নেই কোন মুসলিমের নাম


        শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে হিন্দুত্ববাদীদের নানা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন মুসলিরা। শিক্ষা, সরকারী চাকরীসহ অনেক ক্ষেত্রে বেচেঁ থাকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

        মালদা-মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গাভাঙ্গন অতি পুরনাে সমস্যা। বিজেপি, কংগ্রেস, বামেরা – কেউ এটাকে গুরুত্ব দেয়নি। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস হােক কিংবা তৃণমূল- মুসলিমদের ভােট ব্যাংক বাগিয়ে রাখাটাই শুধু ওদের প্রধান লক্ষ্য।

        গঙ্গাভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সকল ধর্মের লােকেরাই, তবে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিকদের অধিকাংশই মুসলিম।
        আর বিধায়িকা চন্দনা সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারি অনুদান প্রদানের জন্যে ১৩৯ জনের একটা লিষ্ট পারমিট করেছেন, যেখানে ১৩৯জনই হিন্দুধর্মের লােক। একজন মুসলিমকেও অনুদান প্রদানের লিষ্টে জায়গা দেওয়া হয়নি।

        তাহলে কি বিজেপির রাজনৈতিক CAA-CAB মতাদর্শে দীক্ষিত হয়েই এই লিষ্ট তৈরি করেছে চন্দনা!
        ইনিই সেই নেত্রী, যিনি ভােটের সময বড় বড় ভাষনে সম্প্রীতির ডায়লগ দেন! ভােটের সময় হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই বলে ভােট নিয়ে, ভােটের পরে জাত যায় যায় রাজনীতির নােংরা খেলা শুরু করে।

        বিশ্লেষকরা তাই বলছেন যে, মুখে যে যত সম্প্রীতির কথাই বলুক না কেন, এটা তাদের আলগা পোশাক। ভারতে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই মূলত ভেতরে ভেতরে আরএসএস-এর অখণ্ড ভারতের আদর্শ লালন করে।

        তথ্যসূত্র:
        —–
        ১। গঙ্গাভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় নেই কোন মুসলিমের নাম
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X