চুরির অভিযোগে মুসলিম দম্পতিকে পুলিশ হেফাজতে সারা রাত শারীরিক নির্যাতন
ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে এক মুসলিম দম্পতিকে পুলিশ হেফাজতে সারা রাত শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
৪৭ বছর বয়সী একজন শিক্ষক আমানত হুসেন অভিযোগ করেছেন যে, চুরির সন্দেহে বোকারোর বালিদিহ থানায় তিনি এবং তার স্ত্রী হাজরা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করার পরে তার পায়ের নখ ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং অতিরিক্ত আঘাতের কারণে তার পায়ের পাতা ফেটে যায়।
হুসেন বলেছেন ১৫ই ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে চুরি সংক্রান্ত একটি মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় ডাকা হয়। থানায় যাওয়ার পর কোন চুরির ব্যাপারে কোন তথ্য না পেয়ে তাকে এবং তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে একটি কক্ষে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে সারা রাত এসএইচও নূতন মোদী ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মারধর করে।
‘আমাকে এসএইচও তার সহকর্মীদের সাহায্যে বেঁধে রেখে সারা রাত তাদের সর্বশক্তি দিয়ে মারধর করতে থাকে। আমার সামনেই পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমার স্ত্রীকে চুল ধরে হেনস্থা করতে থাকে।
মারধরের তীব্রতা এমন ছিল যে, “লাঠির আঘাতে আমার পায়ের পাতা ফেটে যায়। তারা সেখানেই থেমে থাকেনি, আমার পায়ের নখ ছিঁড়তে গিয়ে এত যন্ত্রণা দিয়েছিল যে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমাকে এবং আমার স্ত্রী উভয়কেই কঠোর অপরাধী হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী নির্যাতন করা হয়েছিল।
এই দম্পতি মুসলিম হওয়ায় শুধু সন্দেহের বশে এমন পৈশাচিক আচরণ করা হয়। অন্যথায় অন্যদের বেলায় চুরি/ আরো বড় অপরাধ প্রমাণিত হলেও এমন অমানবিক আচরণ করা হয় না।
পুলিশের নির্মমতায় পুরো রাতে মুসলিম দম্পতিকে খাবারও দেওয়া হয়নি। রাতভর নির্যাতনের পর শুক্রবার সকালে তার গ্রামের লোকেরা পুলিশের দ্বারস্থ হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতভর দম্পতিকে লকআপে মারধরের কারণে তারা হাঁটতেও পারছিলেন না।
স্থানীয়রা বলছেন, হুসেন সাহেব একজন শিক্ষক ও তার গ্রাম মখদুমপুরে সুনামধন্য, সম্মানিত ব্যক্তি। পুরো গ্রামের সবাই তার ভালো চরিত্রের সাক্ষ্য দেয়। তার বিরুদ্ধে চুরির সন্দেহ করাটা শুধু মুসলিম বিদ্বেষেরই বহিঃপ্রকাশ। কেননা পুলিশ কীভাবে তাকে চুরির সন্দেহ করতে পারে যখন তার বিরুদ্ধে একটি বিন্দু পরিমাণ অপরাধের প্রমাণ নেই। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের করা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
হুসেন দাবি করেছেন, যদি দোষী অফিসার ও সদস্যদের বহিষ্কার না করা হয় তাহলে এসপি অফিসের সামনে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মহত্যাও করতে পারেন।
স্থানীয় এক কর্মী সাজিদ হুসেন বলেন, বালিদিহ থানার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও আদিবাসী নাবালক ছেলেদের নির্যাতনের একটি মামলার ব্যাপারে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
—–
1.‘Tortured whole night in police custody’: Muslim couple in Jharkhand
2. Bokaro: Muslim Teacher, Wife Allegedly Tortured in Police Custody Entire Night
3. VIDEO LINK
ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে এক মুসলিম দম্পতিকে পুলিশ হেফাজতে সারা রাত শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
৪৭ বছর বয়সী একজন শিক্ষক আমানত হুসেন অভিযোগ করেছেন যে, চুরির সন্দেহে বোকারোর বালিদিহ থানায় তিনি এবং তার স্ত্রী হাজরা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করার পরে তার পায়ের নখ ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং অতিরিক্ত আঘাতের কারণে তার পায়ের পাতা ফেটে যায়।
হুসেন বলেছেন ১৫ই ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে চুরি সংক্রান্ত একটি মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় ডাকা হয়। থানায় যাওয়ার পর কোন চুরির ব্যাপারে কোন তথ্য না পেয়ে তাকে এবং তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে একটি কক্ষে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে সারা রাত এসএইচও নূতন মোদী ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মারধর করে।
‘আমাকে এসএইচও তার সহকর্মীদের সাহায্যে বেঁধে রেখে সারা রাত তাদের সর্বশক্তি দিয়ে মারধর করতে থাকে। আমার সামনেই পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমার স্ত্রীকে চুল ধরে হেনস্থা করতে থাকে।
মারধরের তীব্রতা এমন ছিল যে, “লাঠির আঘাতে আমার পায়ের পাতা ফেটে যায়। তারা সেখানেই থেমে থাকেনি, আমার পায়ের নখ ছিঁড়তে গিয়ে এত যন্ত্রণা দিয়েছিল যে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমাকে এবং আমার স্ত্রী উভয়কেই কঠোর অপরাধী হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী নির্যাতন করা হয়েছিল।
এই দম্পতি মুসলিম হওয়ায় শুধু সন্দেহের বশে এমন পৈশাচিক আচরণ করা হয়। অন্যথায় অন্যদের বেলায় চুরি/ আরো বড় অপরাধ প্রমাণিত হলেও এমন অমানবিক আচরণ করা হয় না।
পুলিশের নির্মমতায় পুরো রাতে মুসলিম দম্পতিকে খাবারও দেওয়া হয়নি। রাতভর নির্যাতনের পর শুক্রবার সকালে তার গ্রামের লোকেরা পুলিশের দ্বারস্থ হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতভর দম্পতিকে লকআপে মারধরের কারণে তারা হাঁটতেও পারছিলেন না।
স্থানীয়রা বলছেন, হুসেন সাহেব একজন শিক্ষক ও তার গ্রাম মখদুমপুরে সুনামধন্য, সম্মানিত ব্যক্তি। পুরো গ্রামের সবাই তার ভালো চরিত্রের সাক্ষ্য দেয়। তার বিরুদ্ধে চুরির সন্দেহ করাটা শুধু মুসলিম বিদ্বেষেরই বহিঃপ্রকাশ। কেননা পুলিশ কীভাবে তাকে চুরির সন্দেহ করতে পারে যখন তার বিরুদ্ধে একটি বিন্দু পরিমাণ অপরাধের প্রমাণ নেই। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের করা সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
হুসেন দাবি করেছেন, যদি দোষী অফিসার ও সদস্যদের বহিষ্কার না করা হয় তাহলে এসপি অফিসের সামনে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মহত্যাও করতে পারেন।
স্থানীয় এক কর্মী সাজিদ হুসেন বলেন, বালিদিহ থানার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও আদিবাসী নাবালক ছেলেদের নির্যাতনের একটি মামলার ব্যাপারে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
—–
1.‘Tortured whole night in police custody’: Muslim couple in Jharkhand
2. Bokaro: Muslim Teacher, Wife Allegedly Tortured in Police Custody Entire Night
3. VIDEO LINK
Comment