Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ০১লা জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৫ই জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ০১লা জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৫ই জানুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    রক্তাক্ত কাশ্মীর | সন্তানের লাশ ফেরত পেতে অসহায় পিতার আহাজারি

    কাশ্মীরি মায়েরা বন্দী ছেলেকে দেখার আক্ষেপ নিয়েই চলে যান। শুধু রয়ে যায় তাদের বোবা কান্না – আর্তনাদ হয়ে ঘুরতে থাকে উপত্যকার সবুজ পাহাড় আর ঝাউবনে।

    আর কাশ্মীরি পিতারা, সন্তানের লাশ ফেরত চেয়ে মিছিলে শ্লোগান তুলেন, আবার ঘরে থাকা কন্যাদের আব্রুর নিরাপত্তা চিন্তায় উদ্বেগে দিন কাটান।

    উদ্বিগ্ন হবার কারণও যথেষ্ট।
    উপত্যকায় প্রতি ১০ জন কাশ্মীরি মুসলিমের জন্য নিয়োজিত রয়েছে একজন করে সশস্ত্র রক্তপিপাশু ভারতীয় সৈনিক। আর এই নিষ্ঠুর হিন্দুত্তবাদী সন্ত্রাসী বাহিনী যখন ইচ্ছা, যাকে ইচ্ছা হত্যা করতে পারে, তাদের জবাবদিহি করার কেউ নেই সেখানে।

    এই দখলদারদের পাশবিকতার বলি হয়ে গত ৩০ বছরে ১১ হাজার কাশ্মীরি মুসলিম নারী ধর্ষিতা হয়েছেন

    কাশ্মীরি এক হতভাগ্য পিতা মুশতাক ওয়ানি।
    গত ১২ মাস ধরে মুশতাক ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত তার ১৬ বছরের ছেলের লাশ ফেরত চাইছেন। ছেলে আতহার মুশতাকের জন্য তিনি ১২ মাস আগে থেকে কবরও খুঁড়ে রেখেছেন, সেই কবরে ছেলেকে দাফন করতে চান তিনি।



    আতহার মুশতাক ও তার ২ বন্ধুকে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভুয়া এনকাউন্টারে খুন করে বর্বর ভারতীয় দখলদার বাহিনী।

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা এক ভিডিওতে তিনি বলছিলেন –
    “ভারতের সৈনিক, পদবি পাওয়ার জন্য কাকে খুন করে… ঐ ছোট ছোট বাচ্চাদের। ঐ বোনদেরকে আমি মোবারকবাদ জানাই, গোটা হিন্দুস্তানকে মোবারকবাদ জানাই,
    মিডিয়ায় যা দেখায়- আমরা এনকাউন্টার করেছি, এটা তো শুধু এমনই, ভুয়া এনকাউন্টার। … এখন আমি ইনসাফ চাই। আমাকে এখন আমার ছেলের লাশ ফেরত দিন। এখন আমি ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করব, যতক্ষণ আমি জিবিত থাকবো।”

    তিনি আরও বলেন, “আর আমি কাকে শ্রীনগরেও যাচ্ছি, অখানে যদি আমার ছেলের লাশ না পাই, তাহলে আমি আত্মহত্যা করে ফেলব, ওখানেই। ব্যস, আর কিছু বাকি নেই…
    আমি অপেক্ষা করব।”

    অসহায় এই পিতা এমন আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ভাবছেন, এভাবে বুঝি তিনি তার ছেলের লাশ ফেরত পাবেন। কিন্তু অসহায় পিতা এটা জানেন না যে, দখলদার হিন্দুত্ববাদী সেনাদের মন এভাবে গলানো যাবে না।

    এভাবেই রক্ত ঝরছে কাশ্মীরে, আর এভাবেই নিশ্চুপ হয়ে আছে বিশ্ববিবেক। কেউ যেন কিছুই শুনছে না, কিছুই দেখছ না, আর কিছু বলছেও না।

    একসময় কাশ্মীরি মুসলিমরা স্যেকুলার পাকিস্তানের গাদ্দার সেনাদের ফাঁদে পা দিয়েছিল। ঐ গাদ্দাররা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই কাশ্মীরি মুসলিমদের প্রতিরোধ যুদ্ধকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইতো। কেউ কেউ আবার নিজেদের আন্দোলন সংগ্রামকে স্যেকুলারদের বেঁধে দেওয়া ছকে আটকে রেখেছিল।

    তবু তারা রক্ত দিয়েছেন অনেক, অনেক ত্যাগ স্বীকারের পরেও তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা বা ইনসাফভিত্তিক শরয়ি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি।

    কিন্তু সময় এখন পালটেছে; তাওহীদবাদী কাশ্মীরি মুসলিমরা নতুন উদ্যমে তাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছেন। এখন তারা আর শুধু রক্ত দিচ্ছেন না, জালেম ভারতীয় দখলদারদের শিবিরে পাল্টা আঘাতও হানছেন।

    ইসলামি চিন্তাবীদগণ তাই এখন বলছেন, বিশ্ববাসীর এখন উচিৎ কাশ্মীরি মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সর্বাগ্রে সহায়তা করা। আর হিন্দুত্ববাদী দখলদারদের মোকাবেলায় চালিত এই প্রতিরোধ যুদ্ধে কাশ্মীরি মুসলিমদের কাঁধের সাথে নিজেদের কাঁধ মিলিয়ে দেওয়া। তাহলেই কেবল কাশ্মীর ও এর অধিবাসী মুসলিমদেরকে দখলদার ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর আগ্রাসন ও জুলুম থেকে মুক্ত করা সম্ভব।

    তথ্যসূত্র :
    ——
    ১। For 12 months, Mushtaq Wani has been waiting for the body of his 16-year-old son to be returned to him so he can bury his son in a grave he dug 12 months ago –

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিম শিক্ষাথী সহ সকলকে সূর্যের পূজা করানোর নির্দেশ দিয়ে মোদী সরকারের চিঠি

    ভরতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুসলিমসহ সকল শিক্ষার্থীর বাধ্যতামূলকভাবে সূর্য নমস্কার তথা সূর্যের পূজা করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার।

    ‘সূর্য নমস্কার’ করা মানে সূর্যের পূজা করা, আর সূর্যের পূজা করা সম্পুর্ণ রূপে ইসলামী শরিয়াত বিরোধী। যা লঙ্ঘন করা কোনো মুসলিমের পক্ষে কোনো মতেই সম্ভব নয়।
    তাদের মনগড়া লিখিত সংবিধানেও বলা হয়নি কোনও সরকারি স্কুলের পঠন পাঠনে কোনও বিশেষ ধর্মের শিক্ষা দেওয়ার কথা। অথবা কোনও বিশেষ ধর্মের উৎসবে সকলকে বাধ্য করার কথা।

    ‘আজাদি কা অমৃত মহােৎসব’ পালনের নাম করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রনালয় স্কুলে স্কুলে ছাত্রদের সূর্য নমস্কার করার নির্দেশ জারি করে। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৩০ হাজার স্কুলে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। ১ থেকে ৭ জানুয়ারি সেই কর্মসূচী চলবে। পাশাপাশি ২৬ জানুয়ারি সূর্য নমস্কার নিয়ে একটি কনসার্টের আয়ােজন করার কথাও বলেছে কেন্দ্রীয় হিন্দুত্ববাদী সরকার।

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ইউজিসি-র সচিব রজনীশ জৈন ইতিমধ্যেই দেশের এক হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ৪০ হাজার কলেজের অধ্যক্ষদের চিঠি দিয়ে ৩ লক্ষ শিক্ষার্থীদের যাতে এই সূর্য নমস্কার কর্মসূচিতে অংশ নেয় তার ব্যবস্থা করতে বলেছে। অথচ ৩ লক্ষের মাঝে মুসলিম শিক্ষার্থীও রয়েছে। কোন মুসলিম পড়ুয়াদের পক্ষে এই সূর্য নমস্কারে অংশ নেওয়া কোনাে ভাবেই সম্ভব নয়। কেননা এটা স্পষ্ট আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক। যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    যুগ যুগ ধরে মুখোশধারী হিন্দুরা অসাম্প্রদায়িকতার মিথ্যা বুলিতে বিশ্বাস করিয়েছে যে “ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এ দেশ বহু সংস্কৃতি ও বহু ধর্মের মিলন ক্ষেত্র। মুসলিমরা সরলমনে তাদের কথা বিশ্বাস করলেও বিভিন্ন সময় আসল খোলসে বের হয়ে আসে উগ্র হিন্দুরা, এখন যার পূর্ণ রূপ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    বর্তমান হিন্দুত্ববাদী সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ সরিয়ে রেখে কল্পিত রাম রাজ্য বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা দেশের সর্বত্র সংখ্যাগুরু হিন্দুদের আদর্শ ও ঐতিহ্য মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলান বা সবসেশ এই সূর্যপুজার নিয়ম চাল করে – এসব ঘটনা তারই ইঙ্গিত।

    ভারতে মুসলিমদের শাসন-কর্তৃত্ব না থাকার সুযোগে, মুসলিমদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের জঘন্য শিরকী কর্মকাণ্ডগুলো চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে বলেই মতামত ব্যক্ত করেছেন ইসলামি বিশ্লেষকগণ।

    তথ্যসূত্র:
    ——-
    ১.সূর্যের নমস্কার করানোর নির্দেশ দিয়ে মোদী সরকারের চিঠি


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X