কুড়িগ্রামে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডব, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষক। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের গেট খুলে দেয়ায় প্রতিদিন হাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাকা ধানক্ষেত নষ্ট করছে। হাতির অব্যাহত তাণ্ডবে সীমান্তবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বুধবার রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন জানান, বন্যহাতির দল এ পর্যন্ত ৪০ কৃষকের ২৫ হেক্টরের মতো পাকা ধানক্ষেত নষ্ট করেছে। এ অবস্থায় হাতির দল সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, সন্ধ্যায় এক দল ঢুকছে এবং সকালে চলে যাচ্ছে। আবার সকালে আসছে আরেক দল।
বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে দেয়ায় হাতির দলগুলো একের পর এক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে। এ জন্য চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে হাতির দলকে তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত টর্চলাইট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবের স্বীকার হচ্ছেন সীমান্তবাসী।
এদিকে গেল এক সপ্তাহ ধরে হাতির তাণ্ডবে শেষ সম্বল পাকাধান রক্ষা করতে না পেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন সীমান্তের কৃষক। রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করে ভারতীয় এসব বন্যহাতি।
এর মধ্যে অন্যতম হাতি প্রবেশের পথ হলো রৌমারীর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭১/৭২-এর উত্তর পাশে আলগাচরে কাঁটাতারের গেট খুলে দেয় বিএসএফ। ভারতের গারোহীলসহ নিকটবর্তী পাহাড় থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর] ২০-৩০টি ভারতীয় বন্যহাতির দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।
এসব হাতির দল আগে শুধু রাতে এলেও এখন দিনের বেলাতেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে।
মঙ্গলবার দিনের বেলায় ২৬টি ভারতীয় বন্যহাতির একটি দল রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামে চষে বেড়াচ্ছিল। ফলে সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, চুলিয়ারচর ও ঝাউবাড়ি এবং যাদুরচর ইউনিয়নের পাহাড়তলী বিক্রিবিল দক্ষিণ আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্ধাসহ আট গ্রামের হেক্টরের পর হেক্টর পাকা ধান ক্ষেত তছনছ করছে বন্যহাতির দল।
উপজেলার মিয়াপাড়া, বাউলপাড়া, জালচিড়াপাড়া, বালিয়ামারী, লাঠিয়ালডাঙ্গা, বাগানবাড়ী, বংশির ভিটা, আলগারচর, উত্তর আলগারচর, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর, বারবান্দা এবং ভারতের বলদাং গিরি, কালাইয়ের চর, শটিমারী, ভাটিরগাঁও, শদুরটিলা, কারিপারাসহ এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
বড়াইবাড়ী গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিনের আড়াই বিঘা, দক্ষিণ আলগারচরের হায়দার আলীর দু’একর এবং খেওয়ার চরের এমদাদুল হকের পাঁচ বিঘা ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা জানান, ঋণ নিয়ে আবাদ করায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সেই সঙ্গে হাতির দল কখন লোকালয়ে ঢুকে জানমালের ক্ষতি করবে এই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা ।
হায় ! এই ভূখণ্ডের মুসলিমরা আজ প্রতিটি পদে পদে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের স্বীকার । আফসোস কখন এই ভূখণ্ডের মুসলিমদের হুশ আসবে !
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে খবর টিতে বলা হয়েছে "এ জন্য চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে হাতির দলকে তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।" রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভারতের প্রতি কতটা দুর্বল হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে এটির কোনো সুরাহা করা যায় । আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে তাদের এসব আগ্রাসন প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি গ্রহনের তাওফিক দান করুন । আমীন ।
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষক। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের গেট খুলে দেয়ায় প্রতিদিন হাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাকা ধানক্ষেত নষ্ট করছে। হাতির অব্যাহত তাণ্ডবে সীমান্তবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বুধবার রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়ার হোসেন জানান, বন্যহাতির দল এ পর্যন্ত ৪০ কৃষকের ২৫ হেক্টরের মতো পাকা ধানক্ষেত নষ্ট করেছে। এ অবস্থায় হাতির দল সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, সন্ধ্যায় এক দল ঢুকছে এবং সকালে চলে যাচ্ছে। আবার সকালে আসছে আরেক দল।
বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে দেয়ায় হাতির দলগুলো একের পর এক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে। এ জন্য চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে হাতির দলকে তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত টর্চলাইট সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবের স্বীকার হচ্ছেন সীমান্তবাসী।
এদিকে গেল এক সপ্তাহ ধরে হাতির তাণ্ডবে শেষ সম্বল পাকাধান রক্ষা করতে না পেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন সীমান্তের কৃষক। রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করে ভারতীয় এসব বন্যহাতি।
এর মধ্যে অন্যতম হাতি প্রবেশের পথ হলো রৌমারীর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭১/৭২-এর উত্তর পাশে আলগাচরে কাঁটাতারের গেট খুলে দেয় বিএসএফ। ভারতের গারোহীলসহ নিকটবর্তী পাহাড় থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর] ২০-৩০টি ভারতীয় বন্যহাতির দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।
এসব হাতির দল আগে শুধু রাতে এলেও এখন দিনের বেলাতেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে।
মঙ্গলবার দিনের বেলায় ২৬টি ভারতীয় বন্যহাতির একটি দল রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামে চষে বেড়াচ্ছিল। ফলে সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, চুলিয়ারচর ও ঝাউবাড়ি এবং যাদুরচর ইউনিয়নের পাহাড়তলী বিক্রিবিল দক্ষিণ আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্ধাসহ আট গ্রামের হেক্টরের পর হেক্টর পাকা ধান ক্ষেত তছনছ করছে বন্যহাতির দল।
উপজেলার মিয়াপাড়া, বাউলপাড়া, জালচিড়াপাড়া, বালিয়ামারী, লাঠিয়ালডাঙ্গা, বাগানবাড়ী, বংশির ভিটা, আলগারচর, উত্তর আলগারচর, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর, বারবান্দা এবং ভারতের বলদাং গিরি, কালাইয়ের চর, শটিমারী, ভাটিরগাঁও, শদুরটিলা, কারিপারাসহ এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
বড়াইবাড়ী গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিনের আড়াই বিঘা, দক্ষিণ আলগারচরের হায়দার আলীর দু’একর এবং খেওয়ার চরের এমদাদুল হকের পাঁচ বিঘা ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা জানান, ঋণ নিয়ে আবাদ করায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সেই সঙ্গে হাতির দল কখন লোকালয়ে ঢুকে জানমালের ক্ষতি করবে এই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা ।
হায় ! এই ভূখণ্ডের মুসলিমরা আজ প্রতিটি পদে পদে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের স্বীকার । আফসোস কখন এই ভূখণ্ডের মুসলিমদের হুশ আসবে !
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে খবর টিতে বলা হয়েছে "এ জন্য চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে হাতির দলকে তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।" রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভারতের প্রতি কতটা দুর্বল হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে এটির কোনো সুরাহা করা যায় । আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে তাদের এসব আগ্রাসন প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি গ্রহনের তাওফিক দান করুন । আমীন ।
Comment