মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যের পরপরই কর্ণাটকে মুসলিম যুবককে খুন
ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে হিন্দুদের জিঘাংসাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংঘগঠনগুলো নেতাদের উসকানিমূলক বক্তক্যে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে মুসলিমদের উপর হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলা পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
গত ১৭/০১/২২ রোজ সোমবার সন্ধ্যা। কর্ণাটকের গদগ জেলার নারগুন্দের দুই মুসলিম যুবক সমীর (১৯) এবং শামসীর (২১)বাড়ী ফিরছিলেন।
তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সন্ত্রাসীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ১৯ বছর বয়সী সমীর মঙ্গলবার সকালে হুবলির কর্ণাটক ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (KIMS) হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। শমসের এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে সন্ত্রাসীরা সাঙ্গারওয়ারার কাছে নারাগুন্ডা স্টেট ব্যাংকে অপেক্ষা করছিল, তারা সমীর এবং শামসীরের বাইক থামিয়ে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা মাকতুব মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে আরএসএসের সন্ত্রাসীরারা ছুরি দিয়ে সমীরের বুকে ছুরিকাঘাত করে। তারা শামসিরকেও মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে।
হুসেন আরও বলেছিলেন যে মুসলিমদের উপর এই মারাত্মক আক্রমণটি সোমবার নারাগুন্ডে বজরং দল দ্বারা আয়োজিত একটি সমাবেশের পরপরই ঘটে। যেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নারাগুন্ড তালুকের প্রাক্তন সচিব সঞ্জু নালভাদে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে। সঞ্জয় নালওয়াদ সে মুসলমানদের হত্যা করতে উৎসাহ দিচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সে এসব কথা বললেও তার ব্যাপারে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মিডিয়া তাদের সন্ত্রাসী, উগ্র বলে গালি দেয়নি। কথিত সুশীল সমাজ,বুদ্ধিজীবীরাও চুপ করে থাকে। অথচ, উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার মিথ্যে অভিযোগে আটক করা অনেক মুসলিমকে বিনা বিচারে এখনো কারাগারে বন্দী থাকতে হচ্ছে।
মুসলিমরা ইসলামের কথা বললেই মিডিয়া উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী বলে গালি দিচ্ছে।
মুসলিমদের মাঝে ঐক্য,ভ্রাতৃত্ববোধ, শাসন ক্ষমতা না থাকায়, হিন্দুরা মুসলিমদের উপর চড়াও হয়েছে।
তাই মুসলিমদের হারানো ঐক্য ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তল্র উপর জোড় দিয়ে থাকেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।
তথ্যসূত্র:
-----
১। Soon after Hindutva hate speech, 19-year-old Muslim man killed in Karnataka
ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে হিন্দুদের জিঘাংসাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংঘগঠনগুলো নেতাদের উসকানিমূলক বক্তক্যে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফলে মুসলিমদের উপর হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলা পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
গত ১৭/০১/২২ রোজ সোমবার সন্ধ্যা। কর্ণাটকের গদগ জেলার নারগুন্দের দুই মুসলিম যুবক সমীর (১৯) এবং শামসীর (২১)বাড়ী ফিরছিলেন।
তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সন্ত্রাসীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ১৯ বছর বয়সী সমীর মঙ্গলবার সকালে হুবলির কর্ণাটক ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (KIMS) হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। শমসের এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে সন্ত্রাসীরা সাঙ্গারওয়ারার কাছে নারাগুন্ডা স্টেট ব্যাংকে অপেক্ষা করছিল, তারা সমীর এবং শামসীরের বাইক থামিয়ে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা মাকতুব মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে আরএসএসের সন্ত্রাসীরারা ছুরি দিয়ে সমীরের বুকে ছুরিকাঘাত করে। তারা শামসিরকেও মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে।
হুসেন আরও বলেছিলেন যে মুসলিমদের উপর এই মারাত্মক আক্রমণটি সোমবার নারাগুন্ডে বজরং দল দ্বারা আয়োজিত একটি সমাবেশের পরপরই ঘটে। যেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নারাগুন্ড তালুকের প্রাক্তন সচিব সঞ্জু নালভাদে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে। সঞ্জয় নালওয়াদ সে মুসলমানদের হত্যা করতে উৎসাহ দিচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সে এসব কথা বললেও তার ব্যাপারে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মিডিয়া তাদের সন্ত্রাসী, উগ্র বলে গালি দেয়নি। কথিত সুশীল সমাজ,বুদ্ধিজীবীরাও চুপ করে থাকে। অথচ, উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার মিথ্যে অভিযোগে আটক করা অনেক মুসলিমকে বিনা বিচারে এখনো কারাগারে বন্দী থাকতে হচ্ছে।
মুসলিমরা ইসলামের কথা বললেই মিডিয়া উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী বলে গালি দিচ্ছে।
মুসলিমদের মাঝে ঐক্য,ভ্রাতৃত্ববোধ, শাসন ক্ষমতা না থাকায়, হিন্দুরা মুসলিমদের উপর চড়াও হয়েছে।
তাই মুসলিমদের হারানো ঐক্য ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তল্র উপর জোড় দিয়ে থাকেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।
তথ্যসূত্র:
-----
১। Soon after Hindutva hate speech, 19-year-old Muslim man killed in Karnataka
Comment