Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ১৮ই জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২২শে জানুয়ারী, ২০২২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ১৮ই জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২২শে জানুয়ারী, ২০২২

    এবার মুসলিমদের কবরস্থান দখলে নিতে হিন্দুত্ববাদীদের হামলা

    ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের ঘৃণ্য আগ্রাসনে মুসলিমরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। নামাযের জায়গা দখল করার পর এবার মুসলিমদের কবরস্থানগুলোকেও দখল করে নিচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা।

    ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চাতারা জেলায় একটি কবরস্থানের জমিকে হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সন্ত্রাসীরা খেলার মাঠ দাবি করে সেখানে মুসলমানদের কবর দেওয়া বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। মুসলিমদের উপর সেখানে তারা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায়। হিন্দুত্ববাদীরা অনবরত পাথর ছুঁড়তে থাকলে সেখানে অনেক মুসলিম গুরুতর আহত হন।

    সাব ডিভিশনাল অফিসার চাতরা (এসডিও)মুসলিমদের কবরস্থানের জন্য ৫০% জমির অনুমতি দিয়েছিল, সেখান থেকে মুসলমানরা মাত্র ২৫% জায়গা পেয়েছে। এখন সেই ২৫% জায়গাকেও হিন্দু্ত্ববাদী দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

    এর আগে গুরুগায়ে প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে মুসলিমদের নামাযের জন্য ২৭ টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা সে স্থানগুলোতে ভলিবল খেলার কথা বলে নামায পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েক জুমায় সেখানে উগ্রবাদী ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে মুসলিমদের উপর হামলা চালিয়েছিল।

    ভারতে মুসলিমরা বেঁচে থাকতে হিন্দু সন্ত্রাসীদের জন্য নামাযও পড়তে পারছে না, আবার মারা যাওয়ার পর কবরের জায়গাটুকু হিন্দু সন্ত্রাসীরা দখল করে নিচ্ছে। তাই এখন মুসলিমদের সেকুলারদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মিথ্যে স্বপ্নে বিভোর না হয়ে বাস্তবতাকে উপলব্দি করা উচিৎ বলে মনে করছেন অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    ১। Bajrang Dal claimed playground on Muslim’s graveyard, they tried to stop burial of Muslim. Including SHO, people injured in stone pelting

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে মুসলিমদের গণহত্যার দিকে এগুচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা: অ্যামনেস্টি


    ভারতীয় মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের নির্মম অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। যা বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে। অমুসলিম সংস্থাগুলো মুসলমানদের পক্ষে কাজ না করলেও এখন এ কথা বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, হিন্দুত্ববাদীরা ভারতকে মুসলিম গণহত্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।গেরুয়া সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের গণহত্যার ডাক দিয়েছে। হরিদ্বারের যে সমাবেশে মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া হয়েছিল তার নাম ছিল ধর্ম সংসদ। এসব সমাবেশ থেকে ধর্ম রক্ষার নামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের উসকে দেওয়া হচ্ছে।অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার জেনোসাইড ওয়াচের বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ব মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ইসলামফোবিক নীতি’র তীব্র সমালোচনা করেছে। তার এই নীতির কারণেই মুসলিমদের গণহত্যার জন্য প্রকাশ্য উসকানি দেওয়া হচ্ছে। মূলত নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতাতেই ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে।ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক সভায় বিশেষজ্ঞরা মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু সন্ন্যাসীদের এই বিষ উগরানোকে মোদি সরকারের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছে।
    জেনোসাইড ওয়াচের প্রেসিডেন্ট ডক্টর গ্রেগরি স্ট্যান্টন বলেছেন, উত্তর ভারতের হরিদ্বার শহরে গত মাসে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গেরুয়াধারী হিন্দু সন্ন্যাসীরা মুসলিমদের গণহত্যার ঘোষণা দেয়। অবশ্যই এই গণহত্যামূলক উসকানি মন্তব্যের নিন্দা করার বাধ্যবাধকতা মোদির রয়েছে।কিন্তু তারপরও নিন্দা করা তো দূর, মোদি এ বিষয়ে একটি কথাও বলেনি! রোহিঙ্গা মুসলিমদের যেভাবে গণহত্যা করে দেশছাড়া করা হয়েছিল, ভারতেও মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুরা সেটাই করতে চায় বলে আশংকা প্রকাশ করেছে মার্কিন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাশ্মীর বিশেষজ্ঞ গোবিন্দ আচার্য। তিনি বলেন, ব্যাপক হারে মুসলিমদের হত্যা করে ভারতে হিন্দু আধিপত্যবাদের সূচনার চেষ্টা হচ্ছে।মোদির দলের নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্ষ বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ধর্ম সংসদের প্রকাশ্য উসকানি সমর্থন করেছিল। গোবিন্দ আচার্য বলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পর্বতের চূড়া স্পর্শ করেছে। হরিদ্বারে বিদ্বেষী সমাবেশে হিন্দু মহাসভার নেতারা বলেছিল ২০ কোটি মুসলিমকে হত্যা করতে হিন্দুদের হাতে তুলে নিতে হবে অস্ত্র। কেবল হরিদ্বার নয় দিল্লিতেও মুসলিমদের বিরুদ্ধে একইভাবে বিদ্বেষ উগড়ে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার হিন্দু মুসলিম বিদ্বেষী সমাবেশে অংশ নিয়ে মুসলিমদের হত্যা করার শপথ নিয়েছে। তারা সকলেই মুসলিমদের হত্যা করতে পণ করেছে। আজ ভারতে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে, স্কুল শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত মুসলিমদের খুন করার শপথ শিক্ষা দিচ্ছে। তারা শপথ নিয়েছে, ‘হয় মারব নয় তো মরব’। মুসলিমদের হত্যা করে হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার শপথ করানো হচ্ছে স্কুলপড়ুয়াদের।গণহত্যা প্রসঙ্গে জেনোসাইড এক্সপার্ট প্রফেসর স্ট্যান্টন বলেন, ‘গণহত্যা অকস্মাৎ কোনও ঘটনা নয়। এটি একটি প্রক্রিয়া। এই গণহত্যা প্রসঙ্গে গুজরাট দাঙ্গার কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহিংসা শুরু হয়েছিল ২০০২ – এ। মোদি তখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তখন যা শুরু হয়েছিল, আজও চলছে। এছাড়া তিনি রুয়ান্ডার গণহত্যার পূর্বেও সতর্ক করেছিলেন।স্ট্যান্টন স্পষ্ট বলেন, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের বিদ্বেষ মোদি জমানায় প্রশ্রয় পাচ্ছে। তাকে লালন করা হচ্ছে। জেনোসাইড ওয়াচ সেই ২০০২ সাল থেকে ভারতে আসন্ন গণহত্যা’র সতর্কতা জারি করে আসছে। তখন গুজরাটে মুসলিমদের গণহত্যা করা হয়েছিল। বর্তমানেও যেভাবে কাশ্মীরে মুসলিমদের অসহায় করা হয়েছে, অনলাইনে মুসলিম মহিলাদের যেভাবে নিলামে তোলা হয়েছে, এগুলো সরকারের বিশেষ প্রশ্রয়ে হচ্ছে বলে মার্কিন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখ করেছে।হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তার বার্ষিক প্রতিবেদনে মুসলিমসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করেছে।তার বিশ্ব প্রতিবেদন ২০২২-এ এইচআরডব্লিউ বলেছে, ‘এ সরকার কিছু বিজেপি নেতা কর্তৃক মুসলমানদের অপমান এবং সহিংসতাকারী বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। সাথে পুলিশের ব্যর্থতা, হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে মুসলমানদের এবং সরকারের সমালোচকদের দায়মুক্তির ব্যাপারে উৎসাহিত করেছে’। ভারত সরকার মুসলিম সাংবাদিক, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী এবং এমনকি কবিদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।ভারতীয় দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (আইআইওজেকে) সম্পর্কে এইচআরডব্লিউ বলেছে, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ২০২১ সালের প্রথম নয় মাসে নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে ১৪৩টি মৃত্যু এবং ১০৪টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের অভিযোগ রেকর্ড করেছে’।মুসলিম বিশ্লেষক, সংগঠন থেকে শুরু করে অমুসলিমরা এ ব্যাপারে একমত যে হিন্দুরা মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর মাঠ প্রস্তুত করছে। হিন্দুরা প্রকাশ্যেই মুসলিম মুক্ত করে অখণ্ড ভারতে তাদের কল্পিত দেবতা রামের শাসন প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিচ্ছে। তাই ইসলামি চিন্তাবিদগণ বলছেন, মুসলিমদের উচিৎ মতানৈক্য ভুলে দুনিয়ার ভোগ বিলাস ত্যাগ করে হিন্দুত্ববাদী ঝড়ের কবলে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া।তথ্যসূত্র:
    ভারতকে মুসলিম গণহত্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে: অ্যামনেস্টি

    Predicted genocide in Rwanda, I warn same could happen in India: Dr Gregory Stanton

    মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন করেছে ভারত

    India is in 8th stage of genocide, just one step away from extermination: Genocide Watch founder Prof Stanton

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীরে যুদ্ধাপরাধের জন্য ভারতীয় সেনা প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিচারের উদ্যোগ কতটা কার্যকর?



      ব্রিটেনভিত্তিক এক আইন সংস্থা কাশ্মিরে ‘যুদ্ধাপরাধের’ দায়ে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ও চরম ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে গ্রেফতারের জন্য ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আবেদন করেছে।

      স্টোক হোয়াইট নামের এই আইন সংস্থাটি তাদের আবেদনে জেনারেল নারাভানে ও অমিত শাহের নেতৃত্বে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে কাশ্মিরে অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতিত, অপহৃত ও হত্যার শিকার হওয়ার বিপুল প্রমাণ জমা দিয়েছে।

      কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটির প্রতিবেদনে প্রায় দুই হাজার সাক্ষীর বক্তব্য যোগ করা হয়। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই সাক্ষীদের বক্তব্য নেয়া হয় এবং এতে কাশ্মিরে সরাসরি যুদ্ধাপরাধ ও নিপীড়নের দায়ে অনুল্লিখিত শীর্ষস্থানীয় আরো আট ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

      উল্লেখ্য, কাশ্মিরে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা জিয়া মোস্তফা ও মানবাধিকার কর্মী মুহাম্মদ এহসান আনতুর পরিবারের পক্ষ থেকে এই তদন্ত ও গ্রেফতারির আবেদন করা হয়। জিয়া মোস্তফাকে গত বছর হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সামরিক বাহিনী বিচার বহির্ভূতভাবে খুন করে। অপরদিকে চলতি মাসে এহসান আনতুকে গ্রেফতারের পর ভারতীয় কারাগারে তার ওপর নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

      হিন্দুত্ববাদী ভারত তাদের এজেন্ডা অর্থাৎ অখন্ড ভারত বাস্তবায়নের জন্য কাশ্মীরে গণহত্যা চালাচ্ছে। এবং ইতোমধ্যে হিন্দুত্ববাদী ভারত গোটা দেশে মুসলিম গণহত্যার চূড়ান্ত ধাপ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে।

      তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, পশ্চিমারা ভারতের মিত্র- তাই তারা শুধুমাত্র বিশেষ কিছু স্বার্থ হাসিলের জন্য বা লোক দেখানোর জন্যই এমন বিচারের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। আর এতে মুসলিমদের খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। মুসলিমদেরকে তাই নিজেদের ন্যায়বিচার আদায়ের দায়িত্ব নিজেদেরকেই নিতে হবে বলে মত দিয়েছেন অনেকেই।

      তথ্যসূত্র:
      —–
      ১। কাশ্মিরে-যুদ্ধাপরাধ-ভারতীয়-সেনাপ্রধানকে-গ্রেফতারের-আবেদন

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X