Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ১৯শে জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৩শে জানুয়ারী, ২০২২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ১৯শে জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৩শে জানুয়ারী, ২০২২

    আমারা মরে গেলেও পর্দার বিধান রাক্ষা করবো : আফগান জনগণের প্রতিজ্ঞা

    হিজাব পোড়ানোর প্রতিবাদে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আজ ২৩ জানুয়ারিও বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ আফগানরা। এসময় তাঁরা পশ্চিমাদের পোষা নারীদের তীব্র নিন্দা করেন, যারা নিজের দ্বীন ও মান-মরিয়াদা কিছুদিন আগেই হিজাব ও বোরকা পুড়িয়েছিল। পশ্চিমা দালাল ঐ ইসলামবিদ্বেষী নারীবাদীরা কিন্তু পশ্চিমা আগ্রাসনের সময় আফগান নারীদের ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের দাবিতে ভুলেও কোনদিন রাস্তায় নামেনি।

    স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, আজ ২৩ জানুয়ারিতেও আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হিজবা ও বোরকা পুড়ানোর প্রতিবাধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আফগান জনগণ। গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই এসবের নিন্দা করে আসছেন আফগান জনগণ।

    দেশটির সাধারণ জনতা বিক্ষোভ থেকে এই স্লোগান দিচ্ছেন যে, “আমরা মরে গেলেও পর্দার ও মাথার স্কার্ফ রক্ষা করবো।” এসময় তারা এও জানান যে, আমরা আফগানিস্তানে একটি ইসলামী প্রশাসনকে সমর্থন করি। এটি একটি ইসলামি রাষ্ট্র, তাই এখানে ইসলামই হবে সমুন্নত।



    এবিষয়ে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদ এএফপিকে বলেন, “কারো জন্যই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং সিস্টেমকে বিঘ্নিত করা উচিত নয়।”

    মুজাহিদ (হাফি) আরও বলেন, ইসলামের অবমাননা বা কোন বিধান নিয়ে যারা কটাক্ষ করবে এবং যারা দেশের আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের আটক ও বন্দী করার অধিকার সরকারের রয়েছে।












    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মুসলিম নিধন ও ইসলাম বিদ্বেষের পুরস্কার হিসেবে মনিরুল ও বনজ কুমারসহ ৭ পুলিশের পদন্নোতি

    বাংলাদেশি মুসলিমদের বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে, নাটক সাজিয়ে, সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন, স্থার্থ উদ্ধার না হলে হত্যা করা। এদেশে হিন্দুত্ববাদীদের অবস্থান পাকাপোক্ত করা। মুসলিমদের গুম,খুন করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা পুলিশ বাহিনীর নিত্য দিনের কাজ। এসব কাজের পুরস্কার হিসেবে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) গ্রেড-২ পদে ৭ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালাল হাসিনার কথিত আওয়ামী সরকার।

    গত ২২ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।
    অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হল—পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এই মনিরুলই কথিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং নবী অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ও ইসলামপ্রিয় যুবকদের গুম-গ্রেফতার ও হত্যায় সে ছিল সবচেয়ে বেশি তৎপর।

    এছাড়া পদোন্নতি পাওয়া আরেক বিতর্কিত অফিসার হল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই’র প্রধান হিন্দুত্ববাদী বনজ কুমার মজুমদার।

    উল্লেখ্য, এই তালিকার প্রায় সকল অফিসারেরই ভারত প্রীতি ও ইসলাম বিদ্বেষের রেকর্ড খুব শক্তিশালী। গুঞ্জন আছে যে, ভারত ও র’এর সরাসরি সুপারিশেই তাদের এই পদোন্নতি হয়ে থাকতে পারে।

    মুসলিমদের শাসন ব্যবস্থা না থাকায় এই বর্বর পুলিশ বাহিনী একের পর এক অন্যায়ভাবে গুম, খুন, চাঁদাবাজি,রাহাজানী করে যাচ্ছে। অনেক মুসলিমদেরকে বিনা অপরাধে কারাগারে আটক করে রেখেছে। এসমস্ত দালালদের হাতে থেকে কোন মুসলিমই নিরাপদ নয়।
    আর এসব সন্ত্রাসী অফিসারদেরকে পদোন্নতি সহ নানা প্রেরণা দিয়ে যারা দিন দিন মুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত ও আব্রুর নিরাপত্তাকে আরো হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে, সেই ভারতভক্ত দালাল রাজনৈতিক ও সরকারি হর্তাকর্তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করে জনগণকে দ্বীনে হক্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন উম্মাহ দরদী উলামাগণ।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    মনিরুল ইসলাম, বনজ কুমারসহ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হলেন ৭ জন
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইসলামবিদ্বেষী কিছু নারীর হিজাব পোড়ানোর কঠোর শাস্তি দাবিতে আফগান নারীদের বিক্ষোভ

      সম্প্রতি আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের পোষা কিছু বুদ্ধিহীন পশ্চিমা অনুসারী নারী এক্টিভিস্ট হিজাব পুড়িয়ে শরয়ী বিধান পর্দা ও মুসলিম নারীদের অবমাননা করেছে। যেই পর্দার বিধান মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা মুসলিম নারীদের পবিত্রতা রক্ষায় দিয়েছেন।

      এসব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে হিজাবের সমর্থনে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছেন আফগান নারীরা। সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারী নারীরা তালিবান সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, 'আমরা চাই আমাদের সরকার যেন ইসলামের পবিত্রতা রক্ষায় কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। সেই সাথে ইসলামের বিধান ও নারীদের অবমাননাকারীদের শরয়ী আদালতের সম্মুখীন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এধরণের স্পর্ধা দেখাতে না পারে।'



      গত ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এমন দাবি তুলেন আফগান নারীরা। এরপর শুক্রবারেও জুম'আর নামাজের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্দার বিধান ও নারীদের অবমাননা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। এসময় রাজধানীর আব্দুল হক স্কোয়ারেও মিছিল করেন মুসলিমরা। তাঁরা জানান যে, পশ্চিমাদের অনুসারী ও কিছু পোষা নারীরা হিজাব পুড়িয়ে লক্ষ লক্ষ আফগানদের জাতীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবমাননা করেছে।



      বিক্ষোভকারী আফগান জনগণ বলেন, হিজাব মহান আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার পক্ষ হতে দেওয়া একটি ফরজ বিধান। যেই বিধানটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আফগানরা পালন করে আসছে।

      আন্দোলনকারীদের অন্যতম একজন মৌলভী রশিদ বলেন, যারা ইসলামী পবিত্রতার প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রাখছে, ইসলামি শরিয়ার অবমাননা করছে তাদেরাে কঠোর হস্তে থামাতে হবে।



      সমর গুল নামে আরেকজন প্রতিবাদী বলেন, "এটা ইসলামি ভূমি এবং এখানে একমাত্র ইসলামি আইনই বলবৎ থাকবে। শুধু আমরা পুরুষরাই নই, বরং শহরের অন্য প্রান্তেও আজ শত শত নারী হিজাবের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন।"

      বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ থেকে একটি বিবৃতিও জারি করেন। যেখানে তারা ইমারতে ইসলামিয়ার কর্তৃপক্ষকে দেশে ইসলামী সংস্কৃতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সেই সাথে যারা ইসলামের কোন বিধানের অপমান করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

      রাজধানী কাবুলের আব্দুল হক স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকেও এমন দাবি জানানো হয়। সেখানে তারা পশ্চিমাদের পোষা কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী কর্তৃক ইসলামের পবিত্র বিধান পর্দার অবমাননা ও ইচ্ছাকৃতভাবে হিজাবে আগুন দেওয়া বেশ কিছু মহিলার বিচারের দাবি জানান।

      উল্লেখ্য যে, কয়েকদিন আগে কাবুলের নিউ সিটিতে এক বিক্ষোভের সময় কয়েক মহিলা হিজাবকে আরব সংস্কৃতি বলে আখ্যা দেয়। এসময় এসব বুদ্ধিহীন নারীরা হিজাবে আগুন দেয়। পশ্চিমাদের পোষা এই নারীদের এমন উদ্ধত আচরণ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত আফগানদেরকে খুবই ব্যথিত করেছিল।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X