মুসলিমদের বাড়িঘর এবং অটোরিক্সায় আগুন দিল সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী দল ভিএইচপি
ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলায় গত (২০/০১/২২) বৃহস্পতিবার রাতে দুটি মুসলিম পরিবারের বাড়ি ও একটি অটোরিকশায় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল ভিএইচপি আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
ঘটনার একদিন আগে স্থানীয় এক হিন্দু ব্যক্তি - 'ইয়ে হিন্দুও কা কলোনি হ্যায়, ইয়াহা মুসলিম নেহি চাহিয়ে' (এটি হিন্দুদের কলোনি, আমরা এখানে মুসলমান চাই না) বলে মুসলিম বিদ্বেষী হুমকি দিচ্ছিল। আর এর পরদিনই হিন্দুত্ববাদী দল ভিএইচপি’র সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিল।
খান্ডোয়া পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দলটি কয়েকটি পরিবারের সম্পত্তির উপর আক্রমণ করে। যাতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুন লাগনোর ঘটনার কিছুদিন আগেই আরেকটি উল্লেখযোগ্য মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনা ঘটেছে।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জাইন রেলওয়ে স্টেশনে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে তার সাথে থাকা হিন্দু ভ্রমণ সঙ্গীর কারণে 'লাভ জিহাদ'-এর অভিযোগ তুলে বজরং ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর গুণ্ডারা। পরে আজমীরগামী ট্রেন থেকে মুসলিম যুবককে টেনে হিঁছড়ে নামিয়ে মারধর করে। পরে তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে যায়।
সরকারি রেলওয়ে পুলিশের সুপার নিবেদিতা গুপ্ত আইএএনএসকে বলেছে যে, শেখ এবং মহিলাটি পারিবারিক বন্ধু এবং বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনেন।
"লাভ জিহাদের অভিযোগকারী বজরং দলের লোকেরা তাদের থানায় আনার পরে, আমরা তাদের বিবৃতি রেকর্ড করেছি এবং যেহেতু তারা উভয়ই প্রাপ্তবয়স্ক এবং কোন অপরাধ ছিল না, তাই তাদের যেতে দেওয়া হয়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় সন্ত্রাসী নেতা কুন্দন চন্দ্রাবত আইএএনএসকে বলেছে, তারা নাকি তথ্য পেয়েছিল যে একজন মুসলিম পুরুষ একজন হিন্দু মহিলাকে তার সাথে নিয়ে ভ্রমনে যাচ্ছে। আর এতেই উগ্র হিন্দু দলটির কর্মীরা তাদেরকে আটক করে।
ওই মুসলিম যুবক ছোট একটি ইলেকট্রনিক দোকানের মালিক, আসিফ শেখ নামে পরিচিত তিনি। আর হিন্দু মহিলাটি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা।
মহিলাটি উগ্র হিন্দুদের বলছিল “তোমাদের একটা ভুল বোঝাবুঝি আমার জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি স্কুলে শিক্ষক হিসাবে কাজ করি, আমি বাচ্চাদের পড়াই।”
রেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা বজরং দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অথচ, উগ্র হিন্দুরা মুসলিম যুবককে হয়রানী, গালাগাল, টানা হেঁছড়া ও মারধর করেছে। তারা এমনকি সুযোগ পেলে ঐ মুসলিমকে খুন পর্যন্ত করে দিত। কেননা লাভ জিহাদের অভিযোগে পূর্বেও বহু মুসলিমকে হিন্দু সন্ত্রাসীরা হতাহত করেছে। তবু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি।
তবে যদি মুসলিমরা কোন হিন্দুকে বিনা অপরাধে এমন হয়রানী, মারধর করার শুধু উদ্যোগও নিতো তাহলে প্রশাসন, হলুদ মিডিয়া, দালাল বুদ্ধিজীবীরা কেমন উচ্চবাচ্য করতো- তা সহজেই অনুমান করা যায়।
তাই মিডিয়া ও কথিত সুশীল এবং এই ধোঁকাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থার ধোঁকা বুঝে মুসলিমদেরকে তা থেকে বেড়িয়ে এসে নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামষ্টিক অবস্থানকে সুসংহত করার কথা বলা হচ্ছে বিশ্লেষক মহল থেকে।
তথ্যসূত্র:
-----
১। MP: A Week After VHP Men Dragged Muslim Man From Train, House and Auto-rickshaw of Muslims Burnt in Khandwa, FIR Lodged
২। ভিডিও লিংক -
ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলায় গত (২০/০১/২২) বৃহস্পতিবার রাতে দুটি মুসলিম পরিবারের বাড়ি ও একটি অটোরিকশায় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল ভিএইচপি আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
ঘটনার একদিন আগে স্থানীয় এক হিন্দু ব্যক্তি - 'ইয়ে হিন্দুও কা কলোনি হ্যায়, ইয়াহা মুসলিম নেহি চাহিয়ে' (এটি হিন্দুদের কলোনি, আমরা এখানে মুসলমান চাই না) বলে মুসলিম বিদ্বেষী হুমকি দিচ্ছিল। আর এর পরদিনই হিন্দুত্ববাদী দল ভিএইচপি’র সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিল।
খান্ডোয়া পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দলটি কয়েকটি পরিবারের সম্পত্তির উপর আক্রমণ করে। যাতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুন লাগনোর ঘটনার কিছুদিন আগেই আরেকটি উল্লেখযোগ্য মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনা ঘটেছে।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জাইন রেলওয়ে স্টেশনে একজন মুসলিম ব্যক্তিকে তার সাথে থাকা হিন্দু ভ্রমণ সঙ্গীর কারণে 'লাভ জিহাদ'-এর অভিযোগ তুলে বজরং ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর গুণ্ডারা। পরে আজমীরগামী ট্রেন থেকে মুসলিম যুবককে টেনে হিঁছড়ে নামিয়ে মারধর করে। পরে তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে যায়।
সরকারি রেলওয়ে পুলিশের সুপার নিবেদিতা গুপ্ত আইএএনএসকে বলেছে যে, শেখ এবং মহিলাটি পারিবারিক বন্ধু এবং বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনেন।
"লাভ জিহাদের অভিযোগকারী বজরং দলের লোকেরা তাদের থানায় আনার পরে, আমরা তাদের বিবৃতি রেকর্ড করেছি এবং যেহেতু তারা উভয়ই প্রাপ্তবয়স্ক এবং কোন অপরাধ ছিল না, তাই তাদের যেতে দেওয়া হয়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় সন্ত্রাসী নেতা কুন্দন চন্দ্রাবত আইএএনএসকে বলেছে, তারা নাকি তথ্য পেয়েছিল যে একজন মুসলিম পুরুষ একজন হিন্দু মহিলাকে তার সাথে নিয়ে ভ্রমনে যাচ্ছে। আর এতেই উগ্র হিন্দু দলটির কর্মীরা তাদেরকে আটক করে।
ওই মুসলিম যুবক ছোট একটি ইলেকট্রনিক দোকানের মালিক, আসিফ শেখ নামে পরিচিত তিনি। আর হিন্দু মহিলাটি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা।
মহিলাটি উগ্র হিন্দুদের বলছিল “তোমাদের একটা ভুল বোঝাবুঝি আমার জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি স্কুলে শিক্ষক হিসাবে কাজ করি, আমি বাচ্চাদের পড়াই।”
রেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা বজরং দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অথচ, উগ্র হিন্দুরা মুসলিম যুবককে হয়রানী, গালাগাল, টানা হেঁছড়া ও মারধর করেছে। তারা এমনকি সুযোগ পেলে ঐ মুসলিমকে খুন পর্যন্ত করে দিত। কেননা লাভ জিহাদের অভিযোগে পূর্বেও বহু মুসলিমকে হিন্দু সন্ত্রাসীরা হতাহত করেছে। তবু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি।
তবে যদি মুসলিমরা কোন হিন্দুকে বিনা অপরাধে এমন হয়রানী, মারধর করার শুধু উদ্যোগও নিতো তাহলে প্রশাসন, হলুদ মিডিয়া, দালাল বুদ্ধিজীবীরা কেমন উচ্চবাচ্য করতো- তা সহজেই অনুমান করা যায়।
তাই মিডিয়া ও কথিত সুশীল এবং এই ধোঁকাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থার ধোঁকা বুঝে মুসলিমদেরকে তা থেকে বেড়িয়ে এসে নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামষ্টিক অবস্থানকে সুসংহত করার কথা বলা হচ্ছে বিশ্লেষক মহল থেকে।
তথ্যসূত্র:
-----
১। MP: A Week After VHP Men Dragged Muslim Man From Train, House and Auto-rickshaw of Muslims Burnt in Khandwa, FIR Lodged
২। ভিডিও লিংক -
Comment