এরাব স্কুল প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করায় হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে মুসলিম শিক্ষার্থীরা
ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে হিন্দুত্ববাদীদের নগ্ন হস্তক্ষেপ বেড়ে্েই চলেছে। উদুপির কলেজে হিজাব পড়ে আসায় মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে টুকতে দেয়া হচ্ছিল না। এর মধ্যে এবার কর্ণাটকে হিন্দুত্ববাদী গুন্ডারা কোলার জেলার একটি স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং মুসলিম ছাত্রদের স্কুল প্রাঙ্গণে নামাজ পড়তে দেখে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠে। চিৎকার চেচামেচি করে ভয় ভীতি দেখাতে থাকে।
গত ২৩ ডিসেম্বর তারিখ রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুসলিম ছাত্রদের একটি শ্রেণীকক্ষের মধ্যে নামাজ পড়তে দেখা যায়। একই ভিডিওতে খানিক পরেই দেখ যায় হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের চিৎকার করতে এবং স্কুল পরিচালকদের ভয় দেখায়।
চাংপ্পা সরকারি কন্নড় মডেল উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে স্কুল প্রাঙ্গণের ভিতরে নামায পড়ছে। কেননা নামাজ ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। স্কুলে ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬৫ জন ছাত্রই মুসলিম। তাই স্কুল প্রাঙ্গনে মুসলিম ছাত্রদের নামাজ পড়াটা খুবই স্বাভিাবিক।
কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষের কারণে নামাজে’র মত বিধান পালনেও বাধা দিচ্ছে।
অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদকে রক্ষা করতে, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য হিন্দু শিক্ষার্থীদের ঠিকই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, স্কুলপ্রাঙ্গনে মুসলিম বিদ্বেষী ও মুসলিম গণহত্যার শপথ পর্যন্ত নেওয়ানো হচ্ছে।
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের রোষানলে ও চাপে নামাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য, এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদনও চেয়েছে ডিসি। হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের দ্বারা সৃষ্ট হট্টগোলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর, জেলার ডেপুটি কমিশনার উমেশ কুমার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।
স্কুলের হিন্দু শিক্ষিকা উমা দেবী বলেছে, “এটা আমার অজান্তেই হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা এটা হতে দেব না। আমাদের জন্য সব শিক্ষার্থী সমান। আমরা কাউকে নামাজ বা কিছু করতে বলিনি।”
তবে স্কুলের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলি বলছে যে, মহামারীর পরে স্কুলটি পুনরায় খোলার পর স্কুল প্রাঙ্গনের মধ্যে নামাজ পড়তে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে মুসলিমদের কোন প্রকার কর্তৃত্ব বা শাসনক্ষমতা না থাকার সুযোগে হিন্দুত্ববাদীরা এখন ইসলামের বিধি বিধান পালনেও প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। অথচ, হাজার বছরের মুসলিম শাসনামলে না কোন হিন্দুকে জুলুমের স্বীকার হতে হয়েছে আর কাউকে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে জবরদস্তি করা হয়েছে।
হিন্দুত্ববাদীদের এই আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে উপমহাদেশের ম্যুসলিমদেরকে তাই নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন উম্মাহ দরদী আলেমগণ।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Karnataka: Hindutva goons prevent students from offering namaz –
২। ভিডিও লিংক –
ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে হিন্দুত্ববাদীদের নগ্ন হস্তক্ষেপ বেড়ে্েই চলেছে। উদুপির কলেজে হিজাব পড়ে আসায় মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে টুকতে দেয়া হচ্ছিল না। এর মধ্যে এবার কর্ণাটকে হিন্দুত্ববাদী গুন্ডারা কোলার জেলার একটি স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং মুসলিম ছাত্রদের স্কুল প্রাঙ্গণে নামাজ পড়তে দেখে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠে। চিৎকার চেচামেচি করে ভয় ভীতি দেখাতে থাকে।
গত ২৩ ডিসেম্বর তারিখ রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুসলিম ছাত্রদের একটি শ্রেণীকক্ষের মধ্যে নামাজ পড়তে দেখা যায়। একই ভিডিওতে খানিক পরেই দেখ যায় হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের চিৎকার করতে এবং স্কুল পরিচালকদের ভয় দেখায়।
চাংপ্পা সরকারি কন্নড় মডেল উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে স্কুল প্রাঙ্গণের ভিতরে নামায পড়ছে। কেননা নামাজ ইসলামের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। স্কুলে ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬৫ জন ছাত্রই মুসলিম। তাই স্কুল প্রাঙ্গনে মুসলিম ছাত্রদের নামাজ পড়াটা খুবই স্বাভিাবিক।
কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষের কারণে নামাজে’র মত বিধান পালনেও বাধা দিচ্ছে।
অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদকে রক্ষা করতে, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য হিন্দু শিক্ষার্থীদের ঠিকই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, স্কুলপ্রাঙ্গনে মুসলিম বিদ্বেষী ও মুসলিম গণহত্যার শপথ পর্যন্ত নেওয়ানো হচ্ছে।
হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের রোষানলে ও চাপে নামাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য, এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদনও চেয়েছে ডিসি। হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের দ্বারা সৃষ্ট হট্টগোলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর, জেলার ডেপুটি কমিশনার উমেশ কুমার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।
স্কুলের হিন্দু শিক্ষিকা উমা দেবী বলেছে, “এটা আমার অজান্তেই হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা এটা হতে দেব না। আমাদের জন্য সব শিক্ষার্থী সমান। আমরা কাউকে নামাজ বা কিছু করতে বলিনি।”
তবে স্কুলের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলি বলছে যে, মহামারীর পরে স্কুলটি পুনরায় খোলার পর স্কুল প্রাঙ্গনের মধ্যে নামাজ পড়তে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে মুসলিমদের কোন প্রকার কর্তৃত্ব বা শাসনক্ষমতা না থাকার সুযোগে হিন্দুত্ববাদীরা এখন ইসলামের বিধি বিধান পালনেও প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। অথচ, হাজার বছরের মুসলিম শাসনামলে না কোন হিন্দুকে জুলুমের স্বীকার হতে হয়েছে আর কাউকে ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে জবরদস্তি করা হয়েছে।
হিন্দুত্ববাদীদের এই আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে উপমহাদেশের ম্যুসলিমদেরকে তাই নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন উম্মাহ দরদী আলেমগণ।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Karnataka: Hindutva goons prevent students from offering namaz –
২। ভিডিও লিংক –
Comment