Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ২৪শে জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৮শে জানুয়ারী, ২০২২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ২৪শে জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৮শে জানুয়ারী, ২০২২

    তালিবান মুজাহিদদের আদর্শ ও নৈতিকতা দেখে এক মার্কিনির ইসলাম গ্রহণ


    তালিবান মুজাহিদদের ব্যাপারে হলুদ মিডিয়াগুলো নানা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহকে বিশ্ববাশীর সামনে সন্ত্রাসী হিসেবে আর ইসলামকে চিত্রিত করছে ভয়ঙ্কর রুপে। অথচ, ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম। এই ধর্মের শ্রেষ্ঠ ও পবিত্রতম গ্রন্থ কুরআনের বাণী ও ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজের টানে এর আগেও অনেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন স্বেচ্ছায়।

    বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে মানুষের। মানুষ এখন বুঝতে পারছে, আসলে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা বা রাজনৈতিক দল তার স্বার্থসিদ্ধির জন্যই ইসলাম নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এরকমই একজন বুঝদার মানুষ হলেন মুহাম্মদ ইসা। আগে তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান, নাম ছিল তাঁর খ্রিস্টোফার।

    খ্রিস্টোফারও বেশিরভাগ পশ্চিমা নাগরিকের মতো হলুদ মিডিয়ার প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়ে ইসলাম ও মুসলিমদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আফগানিস্তানে থেকে ও মুসলিম ভাইদের সঙ্গে কথা বলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাঁর মনোভাব বদলে যায়। তাই তিনি নিজে থেকেই ঠিক করেন ইসলামের ছায়াতলে আসবেন, মহান রব আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে নিজের জীবন কাটিয়ে দেবেন।

    পরে ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানে তালিবানের শীর্ষ মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের কাছেই শাহাদাহ্‌ পাঠ করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, তালিবানের প্রয়োগ করা শরিয়াহ আইন, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখেই তিনি ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

    জাবিউল্লাহ মুজাহিদই (হাফি:) ওই মার্কিনিকে শাহাদাহ্‌ পাঠ করান এবং তাঁকে মুহাম্মদ ইসা নাম দেন। শাহাদাহ্‌ পাঠ করার সময় আবেগে চোখের কোন থেকে পানির ফোঁটা গড়িয়ে পড়তে থাকে মুহাম্মদ ইসার। এরপর তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মুহাম্মদ ইসাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
    উল্লেখ্য, আগেও অনেক অমুসলিম তালেবান মুজাহিদদের উত্তম আচরণে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

    তথ্যসূত্র:

    ১। তালিবানের আদর্শ ও নৈতিকতা দেখে ইসলাম গ্রহণ এক মার্কিনির -

    ২। ভিডিও লিংক -
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদীদের ক্রমবর্ধমান আঘাতে বাড়ছে মুসলমানদের মানসিক উদ্বেগ ও অসুস্থতা

    ভারতে মুসলিমদের উপর নানাবিদ জুলুম অত্যাচারের পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মানসিক চাপও বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে মুসলিম মহিলাদের ইজ্জত আব্রু, মান সম্মানের উপর হস্তক্ষেপ করে মানসিক পেরেশানীতে ফেলছে। রাস্তা ঘাটে, স্কুল কলেজে সব জায়গায় মুসলিম নারীদের হেনস্থা করছে হিন্দু সন্ত্রাসীরা। অনলাইনেও চলছে মুসলিম নারীদের নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের উল্লাসে মেতে উঠার ঘৃণ্য আয়োজন। সাল্লি ডিলস, বুল্লি বাই অ্যাপ বানিয়ে মুসলিম নারীদের ছবি দিয়ে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়। চ্যাটরুম বানিয়ে মুসলিম মহিলাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে।

    এই ধরনের ঘটনাগুলো মুসলিম মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। মানসিক যন্ত্রণা অবশ্যই আরও তীব্র হয়ে উঠছে। দিনে দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা মূলধারায় পরিণত হয়েছে।

    স্বাস্থ্য বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে দেখা গেছে যে হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানরা ভারতে উদ্বেগের ঝুঁকিতে বেশি।
    মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া এবং সরকারের ভূমিকাই প্রধানত দায়ী। এর ফলে, মুসলিমদের মানসিক যন্ত্রণা আরও গভীর হচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের একজন মুসলিম ছাত্র শারজিল উসমানি এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক যন্ত্রণার সমস্যাটি এতটাই জটিল আকার ধারণ করছে অনেক লোক বুঝতেও পারে না যে, তারা তাদের চারপাশের হিন্দুত্বাদীদের দ্বারা কতটা তীব্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।

    আমার কাছে অনেক মুসলিম আসে, যারা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারা আর কিছুই অনুভব করতে পারে না। কোনো আবেগ অনুভুতি নেই। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি যে তারা কোন ধরণের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা। প্রায় অর্ধেক হ্যাঁ বলেছে। বাকি অর্ধেক স্বীকার করে তারা পুরাপুরি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছেন।

    নিজের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে উসমানি বলেছেন যে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক হামলা ভারতে প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে।

    সানিয়া আহমেদ, শারজিল উসমানি বা আইমান খানের মত অসংখ্য মুসলিমরা বিভিন্ন মিডিয়াকে জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে, এটা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের ‘মুসলিম’ পরিচয় হওয়ার কারণেই মূলত মানসিক আঘাতের শেষ নেই।

    মুম্বাই ভিত্তিক গুফতাগু থেরাপির প্রতিষ্ঠাতা এবং থেরাপিস্ট সাদাফ বিধা বলেছেন যে যখন কেউ মানসিক থেরাপিস্ট খোঁজেন তখন মুসলিম হওয়ার বিষয়টি প্রাধান্য দেয়। একজন মুসলিম থেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজন অনুভব করেন তারা। কারণ তারা মনে করে যে, একজন উচ্চবর্ণের হিন্দু তাদের অবস্থান বুঝতে সক্ষম নাও হতে পারে এবং এই সমস্যাটি কত বড় তা বুঝতে নাও পারে।

    ভারতীয়রা মুসলিমরা এখন সর্বগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের শিকার হচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের জাতিগত নির্মূলের পরিকল্পিত ছকে সামনে অগ্রসর হচ্ছে।
    ভারতীয় মুসলিমদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে সেক্যুলার রাজনীতিবিদদের মিথ্যা প্রবঞ্চনায় না মেতে বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা। নিজেদের জান মাল ইজ্জত আব্রু হেফাজতের জন্য তন্ত্র মন্ত্র ভুলে নববী মানহাজের অনুসরণ করা।


    তথ্যসূত্র:১। The ‘othering’ of Muslims is triggering mental health issues in India
    https://hindutvawatch.org/the-otheri...sues-in-india/

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X