রেলস্টেশনে ঢুকে মুসলিমদের নামাজের স্থান বন্ধের দাবি হিন্দু গুণ্ডাদের
মুসলিমদের নামাজে বাঁধা সৃষ্টি করাটা এখন ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসীদের নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নানা অজুহাতে মুসলিমদের নামাজ পড়ার স্থানগুলোকে বন্ধ করে দিচ্ছে তারা।
এবারের ঘটনা ভারতের কর্ণাটকে; একটি হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন বেঙ্গালুরু রেলওয়ে স্টেশনে একটি পুরানো কক্ষে নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এবং হলে নামাজ পড়ার অনুমতি প্রত্যাহার না করা হলে কঠিন পরিণতির হুমকি দিয়েছে তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উগ্র সংগঠন হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সদস্যরা কর্ণাটকের কেএসআর রেলওয়ে স্টেশনে বহু পুরনো নামাজের স্থানে প্রবেশ করে। পরে মুসলিমদের নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তুলে। এবং, নামায বন্ধ করা না হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়।
ঐ উগ্র হিন্দু সংগঠনটি রায়না রেলওয়ে স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মুসলিমদের নামাজের জায়গার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্টেশন ম্যানেজারের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে।
তারা মুসলিমদের নামাজের জায়গাকে “গুরুতর সমস্যা” এবং “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি” বলে অভিহিত করেছে। অথচ, প্রায় ২০-৩০ কোটি মুসলিম যে দেশে বাস করেন, সেখানে এটি অত্যন্ত একটি স্বাভাবিক বিষয়। যুগ যুগ ধরে এমনটিই চলে আসছে।
ঐ সন্ত্রাসীরা আরো বলেছে, নামাজের অনুমতি দেওয়ায় স্টেশনটি একটি “ষড়যন্ত্রের” এবং শহরটি “সন্ত্রাসী কার্যকলাপের” কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
ভারতে উন্মুক্ত জায়গায় ও কলেজে মুসলিমদের নামাজ, সালাম দেওয়া, উর্দুতে কথা বলা ও ছাত্রীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করেছে উগ্র হিন্দুরা। আর এখন করলো রেলওয়ে স্টেশনে। এখন তো তারা এমনকি কবরস্তান দখলের তোড়জোড় ও শুরু করেছ নানান জায়গায়।
মুসলিমদের ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে ছোট-বড় বাঁধা ও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হিন্দুদের সরস্বতী পূজা, সুরুজ পূজা সবাইকে করানোর আদেশ দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এই হচ্ছে কথিত বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের কথিত গণতান্ত্রিক সংবিধানের কথিত ধর্মীয় স্বাধীনতা, যা অবাক করেছে বিশ্লেষকদের।
সম্পতি ভারতের উদুপি কলেজে হিজাব পড়ার কারণে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে টুকতে নিষেধ করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। সেই উদুপির বিজেপির মন্ত্রী (এমএলএ) রঘুপতি ভাট বলেছে কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ হলেও সরস্বতী পূজা চলবে। কারণ এটি শুধু ভারতীয় সংস্কৃতি নয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি। এটা থেকেই বুঝা যায় মুসলিমদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের কি পরিমাণ বিদ্বেষ রয়েছে।
এই মুসলিম বিদ্বেষ ভারতের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দুত্ববাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেল ছাড়া মুসলিমদের এই ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষক মহল।
তথ্যসূত্র
১। Hindutva goons barge into railway prayer hall, demand its closure
– https://tinyurl.com/2s3zfhcw
– https://tinyurl.com/37832um3
মুসলিমদের নামাজে বাঁধা সৃষ্টি করাটা এখন ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসীদের নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নানা অজুহাতে মুসলিমদের নামাজ পড়ার স্থানগুলোকে বন্ধ করে দিচ্ছে তারা।
এবারের ঘটনা ভারতের কর্ণাটকে; একটি হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন বেঙ্গালুরু রেলওয়ে স্টেশনে একটি পুরানো কক্ষে নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এবং হলে নামাজ পড়ার অনুমতি প্রত্যাহার না করা হলে কঠিন পরিণতির হুমকি দিয়েছে তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উগ্র সংগঠন হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সদস্যরা কর্ণাটকের কেএসআর রেলওয়ে স্টেশনে বহু পুরনো নামাজের স্থানে প্রবেশ করে। পরে মুসলিমদের নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তুলে। এবং, নামায বন্ধ করা না হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়।
ঐ উগ্র হিন্দু সংগঠনটি রায়না রেলওয়ে স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মুসলিমদের নামাজের জায়গার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্টেশন ম্যানেজারের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে।
তারা মুসলিমদের নামাজের জায়গাকে “গুরুতর সমস্যা” এবং “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি” বলে অভিহিত করেছে। অথচ, প্রায় ২০-৩০ কোটি মুসলিম যে দেশে বাস করেন, সেখানে এটি অত্যন্ত একটি স্বাভাবিক বিষয়। যুগ যুগ ধরে এমনটিই চলে আসছে।
ঐ সন্ত্রাসীরা আরো বলেছে, নামাজের অনুমতি দেওয়ায় স্টেশনটি একটি “ষড়যন্ত্রের” এবং শহরটি “সন্ত্রাসী কার্যকলাপের” কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
ভারতে উন্মুক্ত জায়গায় ও কলেজে মুসলিমদের নামাজ, সালাম দেওয়া, উর্দুতে কথা বলা ও ছাত্রীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করেছে উগ্র হিন্দুরা। আর এখন করলো রেলওয়ে স্টেশনে। এখন তো তারা এমনকি কবরস্তান দখলের তোড়জোড় ও শুরু করেছ নানান জায়গায়।
মুসলিমদের ধর্মীয় বিধিবিধান পালনে ছোট-বড় বাঁধা ও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হিন্দুদের সরস্বতী পূজা, সুরুজ পূজা সবাইকে করানোর আদেশ দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এই হচ্ছে কথিত বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের কথিত গণতান্ত্রিক সংবিধানের কথিত ধর্মীয় স্বাধীনতা, যা অবাক করেছে বিশ্লেষকদের।
সম্পতি ভারতের উদুপি কলেজে হিজাব পড়ার কারণে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে টুকতে নিষেধ করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। সেই উদুপির বিজেপির মন্ত্রী (এমএলএ) রঘুপতি ভাট বলেছে কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ হলেও সরস্বতী পূজা চলবে। কারণ এটি শুধু ভারতীয় সংস্কৃতি নয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি। এটা থেকেই বুঝা যায় মুসলিমদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের কি পরিমাণ বিদ্বেষ রয়েছে।
এই মুসলিম বিদ্বেষ ভারতের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে পড়েছে। হিন্দুত্ববাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেল ছাড়া মুসলিমদের এই ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষক মহল।
তথ্যসূত্র
১। Hindutva goons barge into railway prayer hall, demand its closure
– https://tinyurl.com/2s3zfhcw
– https://tinyurl.com/37832um3