Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#|০৬ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#|০৬ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ০৮ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    জামিন পেল মুসলিম গণহত্যার ডাক দেওয়া হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী নরসিংহানন্দ

    ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন শুধু উসকানীমূলক বক্তৃতার ভ্রান্ত্র অভিযোগ তুলে অনেক মুসলিমকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে বছরের পর বছর। অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলেও তাদেরকে কোন প্রকার জামিন দেওয়া হচ্ছে না।

    অন্যদিকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও প্রকাশ্যে গণহত্যা চালানো আহ্বান জানাচ্ছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। অনেকে আবার মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করতে উৎসাহ দিয়েছে। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিচ্ছে। তবুও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

    অবশেষে জাতিয় ও আন্তর্জাতিক প্রবল চাপের মুখে লোক দেখানো জন্য জ্যোতি নরসিংহানন্দকে আটক করা হয়েছিল।
    গতকাল সোমবার ৭ই ফেব্রুয়ারী হরিদ্বারের একটি আদালত হিন্দু ধর্মীয় নেতা ইয়াতি নরসিংহানন্দকে হরিদ্বার 'ধর্ম সংসদ'-এর সাথে সম্পর্কিত একটি মামলায় জামিন দিয়েছে। অথচ এই নরসিংহ মাত্র এক মাস আগেই মুসলমানদের গণহত্যার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। মুসলিম নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছে।

    অনুষ্ঠানের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ-স্ট্রিম করা হয়েছিল। কিছু বক্তৃতার ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। তার বিদ্বেষমূলক বক্তৃতাগুলো এখনো ইন্টারনেটে দেখা যাচ্ছে।

    এতকিছুর পরও তার জামিন মঞ্জুর করে হিন্দুত্ববাদী আদালত বলেছে, আদালত বিবেচনায় নিয়েছে যে নরসিংহানন্দকে এখনও পর্যন্ত কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। গত বছরও জ্যোতি নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল।

    ভারতের মুসলিমরা অপরাধ না করেও দোষী, জেলে বন্দী। জামিন হয়না। আর হিন্দু হলে তাদের সাত খুন মাফ। আর যদি কোন কারণে জেলে নেওয়াও হয় তাহলেও সহজেই জামিন হয়ে যায়।

    তথ্যসূত্র:
    -----
    ১। Haridwar 'Dharam Sansad': Religious Leader Yati Narsinghanand Granted Bail

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরি মুসলিম সাংবাদিককে অন্যায়ভাবে ১০ দিনের রিমান্ডে নিলো দখলদার ভারতীয় বাহিনী

    স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরিদের পক্ষে লেখায় অন্যায়ভাবে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলো কাশ্মীরের মুসলিম সাংবাদিক ফাহাদ শাহ্‌কে। গত শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারী পুলওয়ামা জেলার স্থানীয় একটি আদালত এ আদেশ দেয়।

    এমনকি জামিন চেয়ে ফাহাদের আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের কথিত ‘আদালত’। উল্টো তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। তবে রিমান্ডে কাশ্মীরি মুসলিমদের উপর দখলদার হিন্দুত্ববাদী পুলিশ যে অকত্থ নির্যাতন চালায়, সেটা জানার পরেও ফাহাদের নিরপত্তার খাতিরে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেনি হিন্দুত্ববাদী আদালত

    সন্ত্রাসী ভারতীয় বাহিনীর নানা অপকর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার কারণেই মূলত ফাহাদ শাহ্‌কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবং সুনির্দিষ্ট কোন কারণ উল্লেখ না করেই তাঁকে রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।

    ফাহাদ শাহের এই ঘটনা থেকে এটা আবারো প্রমাণিত হল যে, দখলদার হিন্দুরা সেখানে কাশ্মীরি মুসলিমদের সাথে যখন যা ইচ্ছা তখন তা-ই করবে। এবং এজন্য তারা কোন আইনের ধার ধারবে না, না ধার ধারবে তাদেরই ঘোষিত মানবাধিকার রেজুলেশনের।

    বিশ্লেষকরা তাই বলছেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতের এমন কাজকর্ম শুধু মুসলিম বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশই নয় বরং এটি কথিত মানবাধিকার নিয়ে তাদের দ্বিমুখীতা ও দ্বিচারিতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ

    তথ্যসূত্র:

    ১। কাশ্মীরে গ্রেপ্তার সাংবাদিক ফাহাদ ১০ দিনের রিমান্ডে


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পূর্ব তুর্কিস্তান | ভুলে যাওয়া ১৯৯৭ সালের গুলঝা গণহত্যা

      গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল পূর্ব তুর্কিস্তানের গুলঝা গণহত্যার ২৫ তম বছর। ১৯৯৭ সালের এই দিনে অন্তত ২০০ উইঘুর মুসলিমকে নির্বিচারে হত্যা করে দখলদার চীনা কমিউনিস্ট সরকার

      এর আগে খবর বের হয় যে দখলদার চীনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অন্তত ৩০ জন উইঘুর মুসলিমকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে নিষ্ঠুর চীনা দখলদাররা। দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে চালানো হচ্ছিল চতুর্মুখী নির্যাতন। মুসলিমদের ধর্ম পালনের অধিকার দেয়া হচ্ছিল না।

      মুসলিমদের ভূমি দখলকারী কমিউনিস্ট চীনা সরকারের এসব নির্যাতন, বৈষম্য এবিং ধর্ম পালনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানতে একটি মিছিল বের করে মুসলিমরা।

      মুসলিমদের উক্ত সামান্য মিছিলের প্রতিবাদকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে চীনা সরকার উইঘুরদের উপর চালায় বর্বরোচিত গণহত্যা।



      মিছিলে অংশ গ্রহণকারীদের দমনের নামকরে গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার মানুষকে। গুলি, ফাসি, বাড়িঘরে অভিযান এবং আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় অসংখ্য মুসলিমকে।

      সেদিনের সেই গণহত্যার সময় থেকে এখন পর্যন্ত কেউ চীনের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করেনি। ফলে দিনকে দিন চীনা নাস্তিক্যবাদী সন্ত্রাসী সরকার আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।



      বর্তমানে পূর্ব তুর্কিস্তানে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মুসলিম বন্দী কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। তাদের উপর চলছে অমানুষিক নির্যাতন। গণধর্ষণ, শ্রমদাসত্ব, মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট, জোরপূর্বক গর্ভপাত, অর্গান হারভেস্টিং-এ জোরপূর্বক ব্যবহার – এগুলো সেখানকার বন্দী মুসলিমদের জন্য নিত্যদিনের অনুসঙ্গ।

      ভবিষ্যতের কোনো কল্পকাহিনী না, বরং উম্মাহর অতীত নির্লিপ্ততার ফল। পূর্ব তুর্কিস্তানের কোটি কোটি মুসলিমের জীবনের কথা। নীরবতার প্রাচীরের আড়ালে উইঘুর-কাযাখ মুসলিমদের ওপর চালানো চীনের গণহত্যার চিত্র এটি। এই চিত্র ১৯৪৯ সালে যেমন ছিল, ১৯৯৭ সালেও তেমনি ছিল; আর এখন ২০২২ সালে এসেও ঠিক তেমনই।

      অকেজো বিশ্বব্যবস্থা আর কৃত্রিম জাতিরাষ্ট্রের সীমানায় আটকে পরা উম্মাহর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে পূর্ব তুর্কিস্তানে নির্বিঘ্নে গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নাৎসিদের চাইতেও অনেক হিসেবী এই গণহত্যা। আরো অনেক পরিপাটি চীনের এই আগ্রাসন।

      তথ্যসূত্র:
      ১. Gulja massacre –



      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X