গেরুয়াই হবে হিন্দুত্ববাদী ভারতের জাতীয় পতাকা: বিজেপি মন্ত্রী
হিন্দুত্ববাদীরা এখন ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ খোলে প্রকাশ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দিচ্ছে। ভারতকে তারা এমন এক কট্টর হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিচ্ছে, যে রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা হবে গেরুয়া পতাকা। সেখানে অন্য কোন জাতি ধর্মের মানুষ থাকতে পারবে না। এর জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুর প্রস্তুতি চালাচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। যার চূড়ান্ত রুপ প্রকাশ পাবে গণহত্যার মাধ্যমে।
গণহত্যার অজুহাত হিসেবে একেরপর এক মুসলিম বিদ্বেষী ইস্যু পরিকল্পিতভাবে সামনে আনা হচ্ছে। সে ইস্যুগুলোর অন্যতম হচ্ছে, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানো, মুসলিমদের হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা। এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে ভারতের পতাকাকে গেরুয়া পতাকা বানানোর ঘোষণা।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক চরম বিতর্ক ও উত্তেজনার মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছে কর্নাটক রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপির এক মন্ত্রী। রাজ্যটির গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা বলেছে, ভবিষ্যতে গেরুয়া পতাকাই দেশের (ভারতের) জাতীয় পতাকা হয়ে যাবে।
গত বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিতর্ক চলছে দক্ষিণের বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকে।
এই বিতর্কের মাঝেই একদিন আগে একটি ভিডিওতে একদল উগ্র হিন্দু শিক্ষার্থীকে কলেজে হিজাব পরার বিরোধিতা করে একটি ফ্ল্যাগপোস্টে গেরুয়া পতাকা লাগাতে দেখা যায়। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এরই মধ্যে বিজেপির মন্ত্রীও গেরুয়া পতাকা নিয়ে ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রকাশ করে দিয়েছে।
যা থেকে বুঝা যায়, যা কিছু হচ্ছে- সবই উচ্চপদস্থ হিন্দুত্ববাদী নেতাদের পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে।
ঐ উগ্র হিন্দু মন্ত্রী আরও বলেছে, ‘আমরা যারা গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করি- আজ নয়, তবে ভবিষ্যতে এদেশে হিন্দু ধর্মের উত্থান হবে। সেই সময় আমরা লাল কেল্লায় তা উত্তোলন করব।… এখন না হলেও ভবিষ্যতে লাল কেল্লায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হতেই পারে।’
অথচ, লাল কেল্লার সাথে মিশে আছে মুসলিমদের ইতিহাস ঐতিহ্য। ভারতেকে মুসলিম মুক্ত করে লাল কেল্লায় হিন্দুত্ববাদীদের গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের কাল্পনিক স্বপ্ন নিয়েই এগুচ্ছে বর্তমান বিজেপির সাঙ্গপাঙ্গরা।
কর্ণাটকের এই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মন্ত্রী বলেছে, ‘হিন্দু বিচার এবং হিন্দুত্ব নিয়ে দেশে আজ আলোচনা চলছে। একটা সময় ছিল যখন আমরা বলতাম অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবে, তখন লোকে হাসতো। এখন কি আমরা রামমন্দির নির্মাণ করছি না? একইভাবে ভবিষ্যতে কোনো একসময় ১০০-২০০ বা ৫০০ বছর পর গেরুয়া পতাকাই আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারে। আমি জানি না।’
উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরী মসজিদকে শহীদ করে দিয়েছে। পরে হিন্দুত্ববাদী আদালত উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীদের বিচার করার পরিবর্তে প্রমাণহীন বাবরী মসজিদের স্থানে রাম মন্দির বানানোর জঘন্য রায় দেয়।
হিন্দুত্ববাদীরা ভুলেই গেছে মুসলিমরা ভারতকে ৬০০ বছরের অধিক শাসক করেছে। মুসলিমদের সাথে গাদ্দারী করে হিন্দুত্ববাদী অপশক্তিরা যে তাসের রাজত্ব বানিয়েছে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। অচিরেই আবার মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধভাবে হারানো শাসন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
তথ্যসূত্র
—–
১। https://tinyurl.com/9cyk5kcn
২। ভবিষ্যতে গেরুয়াই ভারতের জাতীয় পতাকা হতে পারে : বিজেপি মন্ত্রী –
হিন্দুত্ববাদীরা এখন ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ খোলে প্রকাশ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দিচ্ছে। ভারতকে তারা এমন এক কট্টর হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর শপথ নিচ্ছে, যে রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা হবে গেরুয়া পতাকা। সেখানে অন্য কোন জাতি ধর্মের মানুষ থাকতে পারবে না। এর জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুর প্রস্তুতি চালাচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসীরা। যার চূড়ান্ত রুপ প্রকাশ পাবে গণহত্যার মাধ্যমে।
গণহত্যার অজুহাত হিসেবে একেরপর এক মুসলিম বিদ্বেষী ইস্যু পরিকল্পিতভাবে সামনে আনা হচ্ছে। সে ইস্যুগুলোর অন্যতম হচ্ছে, ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানো, মুসলিমদের হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা। এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে ভারতের পতাকাকে গেরুয়া পতাকা বানানোর ঘোষণা।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক চরম বিতর্ক ও উত্তেজনার মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছে কর্নাটক রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপির এক মন্ত্রী। রাজ্যটির গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা বলেছে, ভবিষ্যতে গেরুয়া পতাকাই দেশের (ভারতের) জাতীয় পতাকা হয়ে যাবে।
গত বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিতর্ক চলছে দক্ষিণের বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকে।
এই বিতর্কের মাঝেই একদিন আগে একটি ভিডিওতে একদল উগ্র হিন্দু শিক্ষার্থীকে কলেজে হিজাব পরার বিরোধিতা করে একটি ফ্ল্যাগপোস্টে গেরুয়া পতাকা লাগাতে দেখা যায়। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এরই মধ্যে বিজেপির মন্ত্রীও গেরুয়া পতাকা নিয়ে ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রকাশ করে দিয়েছে।
যা থেকে বুঝা যায়, যা কিছু হচ্ছে- সবই উচ্চপদস্থ হিন্দুত্ববাদী নেতাদের পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে।
ঐ উগ্র হিন্দু মন্ত্রী আরও বলেছে, ‘আমরা যারা গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করি- আজ নয়, তবে ভবিষ্যতে এদেশে হিন্দু ধর্মের উত্থান হবে। সেই সময় আমরা লাল কেল্লায় তা উত্তোলন করব।… এখন না হলেও ভবিষ্যতে লাল কেল্লায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হতেই পারে।’
অথচ, লাল কেল্লার সাথে মিশে আছে মুসলিমদের ইতিহাস ঐতিহ্য। ভারতেকে মুসলিম মুক্ত করে লাল কেল্লায় হিন্দুত্ববাদীদের গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের কাল্পনিক স্বপ্ন নিয়েই এগুচ্ছে বর্তমান বিজেপির সাঙ্গপাঙ্গরা।
কর্ণাটকের এই হিন্দুত্ববাদী বিজেপি মন্ত্রী বলেছে, ‘হিন্দু বিচার এবং হিন্দুত্ব নিয়ে দেশে আজ আলোচনা চলছে। একটা সময় ছিল যখন আমরা বলতাম অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবে, তখন লোকে হাসতো। এখন কি আমরা রামমন্দির নির্মাণ করছি না? একইভাবে ভবিষ্যতে কোনো একসময় ১০০-২০০ বা ৫০০ বছর পর গেরুয়া পতাকাই আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারে। আমি জানি না।’
উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরী মসজিদকে শহীদ করে দিয়েছে। পরে হিন্দুত্ববাদী আদালত উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীদের বিচার করার পরিবর্তে প্রমাণহীন বাবরী মসজিদের স্থানে রাম মন্দির বানানোর জঘন্য রায় দেয়।
হিন্দুত্ববাদীরা ভুলেই গেছে মুসলিমরা ভারতকে ৬০০ বছরের অধিক শাসক করেছে। মুসলিমদের সাথে গাদ্দারী করে হিন্দুত্ববাদী অপশক্তিরা যে তাসের রাজত্ব বানিয়েছে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। অচিরেই আবার মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধভাবে হারানো শাসন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
তথ্যসূত্র
—–
১। https://tinyurl.com/9cyk5kcn
২। ভবিষ্যতে গেরুয়াই ভারতের জাতীয় পতাকা হতে পারে : বিজেপি মন্ত্রী –
Comment