অমুসলিমরা কখনোই তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হবে না!
ভারতীয় মুসলিমরা ইসলামের বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনেক রকম ছাড় দিয়েছে। স্যেকুলার ধর্মনিরপেক্ষ আর রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা বুলিতে, তাদের সাধুবাদ কুড়াতে ইসলামের উপর পরিপূর্ণ আমল করা ছেড়ে দিয়েছিল। এত কিছু করার পরেও হিন্দুত্ববাদীদের মন জয় করতে পারিনি তারা।
হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্ষমতাবানরা স্বার্থ হাসিলের জন্য এতদিন মাঝে মাঝে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই স্লোগান দিলেও, সময়ের সাথে সাথে তাদের আসল চেহারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
কথিত গণতন্ত্রের পূজারীরা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে। তাদের খুশিমত পোশাক পড়তে পারবে। কিন্তু যখনই কোন মুসলিম মহিলা ইসলামের বিধান বা ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলেও হিজাব পড়বে, তখনই তারা বাঁধা হয়ে দাড়াবে।
ভারতে মুসলিম মহিলাদের হিজাবকে কার্যত অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। হিজাবের কারণে অনেক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলিম নারীরা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিজাব পরা ছবির জন্য ‘বাতিল’ করে দেয়া হয় পুলিশে চাকরির আবেদনপত্র।
২০২০ সালে কনস্টেবল হিসেবে প্রায় সাড়ে আট হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার মধ্যে মহিলা কনস্টেবলের শূন্যপদ ছিল ১ হাজার ১৯২। ওই পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে যারা হিজাব পরা ছবি দিয়েছিলেন, তাদের সকলের আবেদনপত্র বাতিল করে দেয়া হয়।
ভারতে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা যে হিজাব পড়ে তাতে ইসলামের পরিপূর্ণ পর্দার হুকুম পালন করা হয় কি না- সেই বিতর্কে না গেলেও, তাদের মুখ খোলা থাকে, হাত খোলা থাকে, পা খোলা থাকে। শরীরের অঙ্গ ভঙ্গি ও তেমন ঢাকা পড়ে না। এর পরেও হিন্দুত্ববাদীদের মন রক্ষা হয়নি। পরিপূর্ণ পর্দার বিধান ছেড়ে দেওয়ার পরেও শুধু হিজাব দিয়ে মাথা ঢেকে রাখাকেও তারা মানতে নারাজ। কারণ এটা পরিপূর্ণ পর্দা আদায় না হলেও ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত।
অনেক শিক্ষার্থীরা মাক্স পড়ে থাকার কারণে চেহারার কিছু অংশ ঢাকা পড়ছে। আর অনেকের চেহারা খোলাই থেকে যাচ্ছে। তবুও হিন্দুত্ববাদীরা এখন এতোটুকুর সুযোগ দিতেও নারাজ।
মুসলিম সাহসী তরুণী মুসকানকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। শত শত গেরুয়া সন্ত্রাসীদের সামনে ‘আল্লাহু আকবারের’ তাকবীর দিয়ে ইমানী জযবার পরিচয় দিয়েছেন। তিনিও যখন কলেজে গিয়েছিলেন, তারও কিন্তু হাতে পায়ে মোজা বা পূর্ণ নিকাব ছিলনা, মুখেরও কিছু অংশ খোলা ছিল। তবুও হিন্দুত্ববাদীরা তাকেও কলেজে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। তাকে হেনস্থা করেছে, তার পিছনে পিছনে জয়-শ্রী-রা-মের উগ্র স্লোগান দিয়েছে। তাকে ঘিরে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
কারণ একটাই- সে পুরোপুরি পর্দা না করলেও সামান্য হলেও করেছেন। তারা চায় মুসলিমরা পরিপূর্ণ ইসলামের বিধান ছেড়ে তাদের মতোই হয়ে যাক। নাউযুবিল্লাহ। তার আগ পর্যন্ত তারা মুসলিমদের উপর সন্তুষ্ট হবে না। যদিও তা নাম মাত্র ইসলামের বিধান মানুক। এমনকি কোন নামধারী মুসলমান যদি ইসলামে সকল বিধিবিধান ছেড়েও দেয় তবুও শুধু নামের কারণে হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশের শিকার হবে।
যার বাস্তব নমুনা দেখা গেছে কিছুদিন আগে ভারতের সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর মারা যাওয়ার পর। মুসলিম নামধারী শাহরুখ খান নিজেকে উদার মনা সেকুলার প্রমাণের জন্য হিন্দু মুশরিক মহিলার শেষকৃত্যে যায়। সে নিজেও তার বাড়িতে বিভিন্ন পূজা করে এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে।
নিজেকে উদারমনা প্রমাণ করতে সে হিন্দু মুশরিক মহিলাকে বিবাহ করেছে। তার কার্যকলাপ অধিকাংশ হিন্দুয়ানী। তার চলা ফেরা লাইফ-স্টাইল, সন্তানদের লালন পালন সবই হিন্দুয়ানী পন্থায়। এরপরেও যখন সে লতা মোঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে যায়, সেখানে গিয়েও হিন্দুয়ানী কায়দায় লতা মোঙ্গেসকারকে শ্রদ্ধা জানায়।
তারপর সে নামধারী মুসলমান হওয়ার কারণে তার রীতি অনুযায়ী সূরা পড়ে ফু দেয় মৃত ব্যক্তির জন্য সম্মানী মনে করে।
যদিও তার কাজের কারণে অনেক আগেই সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। আবার কোন মুশরিকের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতিও ইসলাম দেয়নি।
তবুও হিন্দুত্ববাদীদের আজম্ম মুসলিম বিদ্বেষ থেকে রেহাই পায়নি শাহরুখ খান। হিন্দুদের জন্য এত কিছু করার পরেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাকে নিয়ে ট্রল শুরু হয়েছে। বিজেপি আরএসএস সন্ত্রাসীরা তার শাস্তি দাবি করেছে।
কারণ তাদের অভিযোগ সে নাকি লতা মোঙ্গেসকারকে থুতু দিয়েছে। তাকে অপমান করেছে। হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া এ নিয়ে তোলপাল শুরু করেছে।
এটার কারণ একটাই সে সারাজীবন যতই হিন্দুদের পূজার আয়োজন করুক, বা সারা জীবন যতই হিন্দুয়ানী নিয়ম নীতি অনুসরণ করুক, তার নামটা এখনো মুসলিমদের মতই রয়ে গেছে। তাই হিন্দুদের সবকিছু মানলেও মুসলিম নাম হওয়ায় হিন্দুত্ববাদীরা তার খুঁত ধরার চেষ্টা করবে। ভুল ধরার চেষ্টা করবে। তাকে অপমানিত করার চেষ্টা করবে।
অমুসলিমরা মুসলিমদের কোন চিহ্ন বাকি থাকা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। যতক্ষণ না পুরাপুরি তাদের সাদৃশ হয়ে আল্লাহর গযবে পতিত হয়। যা আল্লাহ তায়ালা কোরআনে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন।
ইহুদি নাসারারা কখনই তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তাদের মতবাদ অনুসরণ করছ। বলে দাও, “আল্লাহর تعالى পথনির্দেশ একমাত্র সঠিক পথনির্দেশ।” তোমার কাছে এই জ্ঞান আসার পরেও তুমি যদি তাদের ইচ্ছাকে মেনে চলতে চাইতে, তাহলে আল্লাহর تعالى কাছ থেকে তোমাকে রক্ষা করার জন্য তুমি কাউকে পেতে না, কোনো সাহায্যকারীও না। [আল-বাক্বারাহ : ১২০]
সালমান খুরশিদ তো এমনকি কংগ্রেস আমলে ভারতের মন্ত্রীও ছিলেন। তবুও তাঁর বইতে হিন্দুত্ববাদীদের সামান্য সমালোচনা করায় তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা। তাঁর সারা জীবনের হিন্দুতোষণেও হিন্দুত্ববাদীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি সে।
মেরুদণ্ডহীন কিছু নামধারি মুসলিম হিন্দুদের রীতিনীতি অনুসরণ করলেও, হিন্দুদেরকে কখনোই মুসলিমদের রীতিনীতি অনুসরণ করতে দেখা যায় না।
মুসলিমদেরকে তাই উদারতার নামে দ্বীনে ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতা বাদ দিয়ে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের বিধি বিধানের সামনে নিজেদের জাগতিক ইচ্ছা-আকাঙ্খা ও কামনা-বাসনাকে সমর্পণ করতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন হক্কানি উলামাগণ।
লিখেছেন : উসামা মাহমুদ
ভারতীয় মুসলিমরা ইসলামের বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনেক রকম ছাড় দিয়েছে। স্যেকুলার ধর্মনিরপেক্ষ আর রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা বুলিতে, তাদের সাধুবাদ কুড়াতে ইসলামের উপর পরিপূর্ণ আমল করা ছেড়ে দিয়েছিল। এত কিছু করার পরেও হিন্দুত্ববাদীদের মন জয় করতে পারিনি তারা।
হিন্দুত্ববাদী ভারতের ক্ষমতাবানরা স্বার্থ হাসিলের জন্য এতদিন মাঝে মাঝে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই স্লোগান দিলেও, সময়ের সাথে সাথে তাদের আসল চেহারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
কথিত গণতন্ত্রের পূজারীরা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে। তাদের খুশিমত পোশাক পড়তে পারবে। কিন্তু যখনই কোন মুসলিম মহিলা ইসলামের বিধান বা ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলেও হিজাব পড়বে, তখনই তারা বাঁধা হয়ে দাড়াবে।
ভারতে মুসলিম মহিলাদের হিজাবকে কার্যত অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। হিজাবের কারণে অনেক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলিম নারীরা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিজাব পরা ছবির জন্য ‘বাতিল’ করে দেয়া হয় পুলিশে চাকরির আবেদনপত্র।
২০২০ সালে কনস্টেবল হিসেবে প্রায় সাড়ে আট হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার মধ্যে মহিলা কনস্টেবলের শূন্যপদ ছিল ১ হাজার ১৯২। ওই পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে যারা হিজাব পরা ছবি দিয়েছিলেন, তাদের সকলের আবেদনপত্র বাতিল করে দেয়া হয়।
ভারতে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা যে হিজাব পড়ে তাতে ইসলামের পরিপূর্ণ পর্দার হুকুম পালন করা হয় কি না- সেই বিতর্কে না গেলেও, তাদের মুখ খোলা থাকে, হাত খোলা থাকে, পা খোলা থাকে। শরীরের অঙ্গ ভঙ্গি ও তেমন ঢাকা পড়ে না। এর পরেও হিন্দুত্ববাদীদের মন রক্ষা হয়নি। পরিপূর্ণ পর্দার বিধান ছেড়ে দেওয়ার পরেও শুধু হিজাব দিয়ে মাথা ঢেকে রাখাকেও তারা মানতে নারাজ। কারণ এটা পরিপূর্ণ পর্দা আদায় না হলেও ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত।
অনেক শিক্ষার্থীরা মাক্স পড়ে থাকার কারণে চেহারার কিছু অংশ ঢাকা পড়ছে। আর অনেকের চেহারা খোলাই থেকে যাচ্ছে। তবুও হিন্দুত্ববাদীরা এখন এতোটুকুর সুযোগ দিতেও নারাজ।
মুসলিম সাহসী তরুণী মুসকানকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। শত শত গেরুয়া সন্ত্রাসীদের সামনে ‘আল্লাহু আকবারের’ তাকবীর দিয়ে ইমানী জযবার পরিচয় দিয়েছেন। তিনিও যখন কলেজে গিয়েছিলেন, তারও কিন্তু হাতে পায়ে মোজা বা পূর্ণ নিকাব ছিলনা, মুখেরও কিছু অংশ খোলা ছিল। তবুও হিন্দুত্ববাদীরা তাকেও কলেজে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। তাকে হেনস্থা করেছে, তার পিছনে পিছনে জয়-শ্রী-রা-মের উগ্র স্লোগান দিয়েছে। তাকে ঘিরে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
কারণ একটাই- সে পুরোপুরি পর্দা না করলেও সামান্য হলেও করেছেন। তারা চায় মুসলিমরা পরিপূর্ণ ইসলামের বিধান ছেড়ে তাদের মতোই হয়ে যাক। নাউযুবিল্লাহ। তার আগ পর্যন্ত তারা মুসলিমদের উপর সন্তুষ্ট হবে না। যদিও তা নাম মাত্র ইসলামের বিধান মানুক। এমনকি কোন নামধারী মুসলমান যদি ইসলামে সকল বিধিবিধান ছেড়েও দেয় তবুও শুধু নামের কারণে হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশের শিকার হবে।
যার বাস্তব নমুনা দেখা গেছে কিছুদিন আগে ভারতের সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর মারা যাওয়ার পর। মুসলিম নামধারী শাহরুখ খান নিজেকে উদার মনা সেকুলার প্রমাণের জন্য হিন্দু মুশরিক মহিলার শেষকৃত্যে যায়। সে নিজেও তার বাড়িতে বিভিন্ন পূজা করে এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে।
নিজেকে উদারমনা প্রমাণ করতে সে হিন্দু মুশরিক মহিলাকে বিবাহ করেছে। তার কার্যকলাপ অধিকাংশ হিন্দুয়ানী। তার চলা ফেরা লাইফ-স্টাইল, সন্তানদের লালন পালন সবই হিন্দুয়ানী পন্থায়। এরপরেও যখন সে লতা মোঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে যায়, সেখানে গিয়েও হিন্দুয়ানী কায়দায় লতা মোঙ্গেসকারকে শ্রদ্ধা জানায়।
তারপর সে নামধারী মুসলমান হওয়ার কারণে তার রীতি অনুযায়ী সূরা পড়ে ফু দেয় মৃত ব্যক্তির জন্য সম্মানী মনে করে।
যদিও তার কাজের কারণে অনেক আগেই সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। আবার কোন মুশরিকের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতিও ইসলাম দেয়নি।
তবুও হিন্দুত্ববাদীদের আজম্ম মুসলিম বিদ্বেষ থেকে রেহাই পায়নি শাহরুখ খান। হিন্দুদের জন্য এত কিছু করার পরেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাকে নিয়ে ট্রল শুরু হয়েছে। বিজেপি আরএসএস সন্ত্রাসীরা তার শাস্তি দাবি করেছে।
কারণ তাদের অভিযোগ সে নাকি লতা মোঙ্গেসকারকে থুতু দিয়েছে। তাকে অপমান করেছে। হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া এ নিয়ে তোলপাল শুরু করেছে।
এটার কারণ একটাই সে সারাজীবন যতই হিন্দুদের পূজার আয়োজন করুক, বা সারা জীবন যতই হিন্দুয়ানী নিয়ম নীতি অনুসরণ করুক, তার নামটা এখনো মুসলিমদের মতই রয়ে গেছে। তাই হিন্দুদের সবকিছু মানলেও মুসলিম নাম হওয়ায় হিন্দুত্ববাদীরা তার খুঁত ধরার চেষ্টা করবে। ভুল ধরার চেষ্টা করবে। তাকে অপমানিত করার চেষ্টা করবে।
অমুসলিমরা মুসলিমদের কোন চিহ্ন বাকি থাকা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। যতক্ষণ না পুরাপুরি তাদের সাদৃশ হয়ে আল্লাহর গযবে পতিত হয়। যা আল্লাহ তায়ালা কোরআনে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন।
ইহুদি নাসারারা কখনই তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তাদের মতবাদ অনুসরণ করছ। বলে দাও, “আল্লাহর تعالى পথনির্দেশ একমাত্র সঠিক পথনির্দেশ।” তোমার কাছে এই জ্ঞান আসার পরেও তুমি যদি তাদের ইচ্ছাকে মেনে চলতে চাইতে, তাহলে আল্লাহর تعالى কাছ থেকে তোমাকে রক্ষা করার জন্য তুমি কাউকে পেতে না, কোনো সাহায্যকারীও না। [আল-বাক্বারাহ : ১২০]
সালমান খুরশিদ তো এমনকি কংগ্রেস আমলে ভারতের মন্ত্রীও ছিলেন। তবুও তাঁর বইতে হিন্দুত্ববাদীদের সামান্য সমালোচনা করায় তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা। তাঁর সারা জীবনের হিন্দুতোষণেও হিন্দুত্ববাদীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি সে।
মেরুদণ্ডহীন কিছু নামধারি মুসলিম হিন্দুদের রীতিনীতি অনুসরণ করলেও, হিন্দুদেরকে কখনোই মুসলিমদের রীতিনীতি অনুসরণ করতে দেখা যায় না।
মুসলিমদেরকে তাই উদারতার নামে দ্বীনে ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতা বাদ দিয়ে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের বিধি বিধানের সামনে নিজেদের জাগতিক ইচ্ছা-আকাঙ্খা ও কামনা-বাসনাকে সমর্পণ করতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন হক্কানি উলামাগণ।
লিখেছেন : উসামা মাহমুদ
Comment