পশ্চিমা কালো সংস্কৃতির থাবা : প্রায় রাতেই মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
ইসলাম বিদ্বেষী দালাল সরকারগুলোর প্রকাশ্য মদদে ইসলামের বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে রমরমা চলছে মদের বারগুলো। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীতি নৈতিকতা আর ইসলামি মূলবোধ অনেক আগেই কৌশলে বাতিল করেছে হিন্দুত্ববাদের দালাল প্রশাসন। কোন মুসলিম ইসলাম মানতে চাইলেও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। শুধু তাই নয় ইসলামের বিধি বিধানগুলোকে কথিত জঙ্গিবাদের আলামত হিসেবে তুলে ধরেছে হিন্দুত্ববাদের গোলাম প্রশাসন। ফলে ইসলামি মূলবোধ হারিয়ে শিক্ষাঙ্গন গুলো মদ, জুয়া আর যিনা-ব্যভিচারের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত মদপানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
প্রায় রাতেই মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে প্রতিদিন রাতেই চিকিৎসার জন্য আসেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থার এতটাই অবনতি যে, এর মধ্যে কারও কারও উন্নত চিকিৎসারও প্রয়োজন হয়।
মদপানে ধারাবাহিক মৃত্যুর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বলেন, প্রায় রাতেই শিক্ষার্থীরা মদপানে অসুস্থ হয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অনেকেই পেটব্যথা, শারীরিক অসুস্থতা, ঘুমের সমস্যা ও শরীর জ্বালাপড়ার কথা বলেন। তাদের কথাবার্তা ও অসুস্থতার লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, মদপানের কারণে এমনটি হয়েছে। যাদের সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখি, তাদের চিকিৎসা ও ওষুধ দিই। আবার কারও কারও শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে, তাদেরকে মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে হয়। এই সমস্যা এখন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অতিরিক্ত মদপানে গত বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে যে শিক্ষার্থী মারা গেছে, সে ছিল অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী বেলায়েত হোসেন। সেদিন ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে চবি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোর ৬টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, বেলায়েত যখন মেডিক্যালে আসেন তখন অ্যালকোহল পয়জনিংয়ের কারণে অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এজন্য দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠাই। এটা ছিল রেয়ার কেস। এত জটিল কন্ডিশন নিয়ে খুব কম রোগীই আসেন। তার মুখ থেকে অ্যালকোহলের গন্ধ বের হচ্ছিল। তখন চিৎকার করে বেলায়েত বলছিলেন, আমার পেট জ্বালাপোড়া করছে, সব বেরিয়ে যাচ্ছে। এটি অ্যালকোহল পয়জনিংয়ের কারণে হয়েছিল। পরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, তাকে নিয়ে মেডিক্যালে যে এসেছিল তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী খেয়েছিল বেলায়েত? তখন জানিয়েছে সন্ধ্যারাতে বন্ধুরা মিলে ‘কেরুর’ অ্যালকোহল খেয়েছে। বেলায়েত একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিল।
দেশে শুধু এক বেলালত নয়, হাজারো বেলায়েত পশ্চিমা নোংরা কালচারের থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে। মদ পান করে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবার ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধেও লিপ্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসলামে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করা নিষিদ্ধ। তবে বহুকাল থেকে এদেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা না থাকায়, মুসলিম নামধারী ইসলামবিরোধী সরকারগুলো এসব বন্ধ করার পরিবর্তে উৎপাদন ও বিপণন বৃদ্ধি করছে।
যুগ যুগ ইসলামকে পাশ কাটিয়ে রোপন করা কথিত গণতন্ত্র নামক বিষবৃক্ষের ফল এখন পাকতে শুরু করেছে। যা এক সময় মহামারির আকার ধারণ করবে।
এমতাবস্থায় যুব সমাজকে সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক অধঃপতন থেকে বাঁচাতে হলে তাদেরকে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার অধীনে আনার কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র :
——–
১। প্রায় রাতেই মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
লিখেছেন : মাহমুদ উল্লাহ্
ইসলাম বিদ্বেষী দালাল সরকারগুলোর প্রকাশ্য মদদে ইসলামের বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে রমরমা চলছে মদের বারগুলো। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীতি নৈতিকতা আর ইসলামি মূলবোধ অনেক আগেই কৌশলে বাতিল করেছে হিন্দুত্ববাদের দালাল প্রশাসন। কোন মুসলিম ইসলাম মানতে চাইলেও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। শুধু তাই নয় ইসলামের বিধি বিধানগুলোকে কথিত জঙ্গিবাদের আলামত হিসেবে তুলে ধরেছে হিন্দুত্ববাদের গোলাম প্রশাসন। ফলে ইসলামি মূলবোধ হারিয়ে শিক্ষাঙ্গন গুলো মদ, জুয়া আর যিনা-ব্যভিচারের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত মদপানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
প্রায় রাতেই মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে প্রতিদিন রাতেই চিকিৎসার জন্য আসেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থার এতটাই অবনতি যে, এর মধ্যে কারও কারও উন্নত চিকিৎসারও প্রয়োজন হয়।
মদপানে ধারাবাহিক মৃত্যুর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বলেন, প্রায় রাতেই শিক্ষার্থীরা মদপানে অসুস্থ হয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অনেকেই পেটব্যথা, শারীরিক অসুস্থতা, ঘুমের সমস্যা ও শরীর জ্বালাপড়ার কথা বলেন। তাদের কথাবার্তা ও অসুস্থতার লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, মদপানের কারণে এমনটি হয়েছে। যাদের সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখি, তাদের চিকিৎসা ও ওষুধ দিই। আবার কারও কারও শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে, তাদেরকে মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে হয়। এই সমস্যা এখন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অতিরিক্ত মদপানে গত বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে যে শিক্ষার্থী মারা গেছে, সে ছিল অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী বেলায়েত হোসেন। সেদিন ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে চবি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোর ৬টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, বেলায়েত যখন মেডিক্যালে আসেন তখন অ্যালকোহল পয়জনিংয়ের কারণে অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এজন্য দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠাই। এটা ছিল রেয়ার কেস। এত জটিল কন্ডিশন নিয়ে খুব কম রোগীই আসেন। তার মুখ থেকে অ্যালকোহলের গন্ধ বের হচ্ছিল। তখন চিৎকার করে বেলায়েত বলছিলেন, আমার পেট জ্বালাপোড়া করছে, সব বেরিয়ে যাচ্ছে। এটি অ্যালকোহল পয়জনিংয়ের কারণে হয়েছিল। পরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, তাকে নিয়ে মেডিক্যালে যে এসেছিল তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী খেয়েছিল বেলায়েত? তখন জানিয়েছে সন্ধ্যারাতে বন্ধুরা মিলে ‘কেরুর’ অ্যালকোহল খেয়েছে। বেলায়েত একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিল।
দেশে শুধু এক বেলালত নয়, হাজারো বেলায়েত পশ্চিমা নোংরা কালচারের থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে। মদ পান করে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবার ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধেও লিপ্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসলামে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করা নিষিদ্ধ। তবে বহুকাল থেকে এদেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা না থাকায়, মুসলিম নামধারী ইসলামবিরোধী সরকারগুলো এসব বন্ধ করার পরিবর্তে উৎপাদন ও বিপণন বৃদ্ধি করছে।
যুগ যুগ ইসলামকে পাশ কাটিয়ে রোপন করা কথিত গণতন্ত্র নামক বিষবৃক্ষের ফল এখন পাকতে শুরু করেছে। যা এক সময় মহামারির আকার ধারণ করবে।
এমতাবস্থায় যুব সমাজকে সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক অধঃপতন থেকে বাঁচাতে হলে তাদেরকে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার অধীনে আনার কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র :
——–
১। প্রায় রাতেই মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
লিখেছেন : মাহমুদ উল্লাহ্