Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৮ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৮ই রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    ইসরাইলের মদদপুষ্ট ফিলিস্তিনি সরকারের আগ্রসনে অতিষ্ঠ ফিলিস্তিনি মুসলিমরা


    একদিকে জায়নবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন, অন্যদিকে ইহুদি মদদপুষ্ট কথিত ফিলিস্তিনি সরকারের দমন-পীড়ন – সব মিলিয়ে এক দুর্বিষহ জীবন পার করছে মাজলুম ফিলিস্তিনিরা।ফিলিস্তিনি সংবাদ মাধ্যম কুদস নিউজে বলা হয়, পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সমানতালে আগ্রাসন চালাচ্ছে। ইসরাইলের পক্ষে এ বছর অন্তত ২৬৫টি অভিযান চালানোর তথ্য প্রকাশ করেছে ‘দ্যা কমিটি অফ ফ্যামিলি অফ পলিটিকাল ডিটেইনিজ’ নামক একটি ফিলিস্তিনি সংস্থা।ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার, মারধর, থানায় ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করা এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে গ্রেফতার অভিযান চালানো আর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গ দেয়া এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে গাদ্দার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য।কথিত ঐ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গত বছর ২০২১ সালে ২৫৭৮ টি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। যাকে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনি সরকারের কালো অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন।উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও, কথিত এ সরকারকে ফিলিস্তিনের বৈধ সরকার বলে স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে- যেন ইহুদিদের স্বার্থ উদ্ধার করা যায়।
    একারনেই হয়তো, উম্মাহর সাতে গাদ্দারি করা এই কথিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ)-কে ব্যাপক আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে অ্যামেরিকা এবং এমনকি খোদ ইসরাইল। নির্যাতিত ফিলিস্তিনি মুসলিমদের শাসক সেজে তাই এরা এখন মুসলিমদেরই ক্ষতি করছে বেশি।
    সচেতন উয়ালামায়ে কেরাম তাই ইসরাইলকে দমনের আগে এখন এই কথিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা পিএ-কে নির্মূল করার কথা বলে থাকেন প্রায়সই।

    তথ্যসূত্র:
    1) PA committed 265 violations against Palestinians in January, says report-



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদী প্রিন্সিপাল হিজাব খুলতে বলায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন মুসলিম শিক্ষিকা

    ভারতের কর্নাটকের শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক চলছে, মামলা চলছে হাই কোর্টে।

    এই আবহে চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের জৈন পিইউ কলেজের এক অধ্যাপিকা। চাঁদনি নামে ওই অধ্যাপিকার অভিযোগ, তাঁকে কলেজে ঢোকার মুখে হিজাব খুলতে বলে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। এর পরেই তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    টুমাকুরু-র জৈন পিইউ কলেজের ওই অধ্যাপিকার দাবি, গত তিন বছর ধরে চাকরি করছেন। হিজাব পরেই পড়ুয়াদের পড়িয়েছেন। কখনও তাঁকে কেউ বলেননি, হিজাব খোলার কথা। এই প্রথম তাঁকে এ ভাবে বাধা দেওয়া হল। চাঁদনি-র কথায়, “হঠাৎ করে (১৬ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ বললেন, হিজাব অথবা অন্য কোনও ইসলাম ধর্মীয় চিহ্ন থাকে, এমন পোশাক পরে ক্লাস নেওয়া যাবে না। কিন্তু গত তিন বছর ধরে তো আমি হিজাব পরেই ক্লাস নিলাম!”

    চাকরি ছাড়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “এই নতুন সিদ্ধান্ত আমার আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছে, তাই ইস্তফা দিলাম।” ইস্তফাপত্রেও এ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। হিজাব নিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি লেখেন, “আপনাদের এই অগণতান্ত্রিক কাজের আমি তীব্র নিন্দা করছি।”

    উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব থাকবে কিনা- এ নিয়ে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে গোটা ভারতবর্ষে, বিশেষত কর্নাটকে।
    হিজাবের বিরুদ্ধে গেরুয়া মিছিলের সামনে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ভাইরালও হয়েছিলেন এক তরুণী। বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালতেও।

    হিজাব নিষেধাজ্ঞার পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। মঙ্গলবার কর্নাটক হাই কোর্টে এক আন্দোলনকারী ছাত্রীর আইনজীবী সওয়াল করেন, কলেজে যদি দোপাট্টা, বালা, ঘোমটা দিয়ে যাওয়া যায়, তা হলে হিজাবে আপত্তি কেন? হিজাবের মতো এগুলিও একটি একটি সম্প্রদায়ের পোশাক।

    তবুও হিন্দুত্ববাদের দোসর হাই কোর্ট তার পরবর্তী সিদ্ধান্তে আসা পর্যন্ত কর্নাটক রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে হিজাব পরে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয় একটি অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশে

    এটাই ভারতের কথিত গণতন্ত্রের আসল চেহারা। অন্যদের জন্য নিষেধ না হলেও মুসলিমদের বেলায় ঠিকই রয়েছে নানা বিধি-নিষেধ। এটা তাদের হিজাবের প্রতি বিদ্বেষ নয়, বরং মুসলিম জাতির প্রতি এবং ইসলামের প্রতি তাদের আজন্ম লালিত বিদ্বেষ।

    উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে তাই এই হিন্দুত্ববাদের জাল থেকে বেড়িয়ে আসার নববি উপায় অন্বেষণ করতে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সেই অনুযায়ী আমল করতে বলেছেন হক্কানি উলামাগণ।

    তথ্যসূত্র:

    ১। হিজাব খুলতে বলায় চাকরি ছেড়ে দিলেন মুসলিম শিক্ষিকা

    ২। হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে বাধা, চাকরি ছাড়লেন অধ্যাপিকা

    https://tinyurl.com/4hus9ppd

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের দাঁড়ি ছিঁড়ে হিন্দুদের টিকি বানানোর হুমকি হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সাংসদের

      ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষ তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করছে। তাদের ভাষণ বক্তৃতাগুলোয় থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, মুসলিমদের প্রতি তাদের অন্তরে কি পরিমাণ বিদ্বেষ রয়েছে।

      সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বিজেপির এক সংসদ সদস্য বলছে, “হিন্দুরা যদি জাগে তাহলে মুসলিম পুরুষদের দাড়ি ছিঁড়ে হিন্দুদের পনিটেল (হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতীক টিকি) বানাবে।”

      এ কথা বলার পর উপস্থিত উগ্র হিন্দুরা জয় শ্রী-রাম স্লোগান দিতে থাকে।

      ঐ হিন্দু সন্ত্রাসী আরো বলেছে, “মুসলিমরা যদি হিন্দুস্তানে (ভারতে) থাকতে চায়, তাহলে অবশ্যই হিন্দুদের মত রাধে রাধে মন্ত্র পড়তে হবে। অন্যথায় পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

      উল্লেখ্য, ভারতকে মুসলিমরা দীর্ঘ সময় শাসন করার সময় চাইলেই হিন্দুদের শেষ করে দিতে পারতেন। কিন্তু ইসলাম এশিক্ষা দেয় না অন্যায়ভাবে কারো ক্ষতি করার। মুসলিমদের দুর্বলতার সুযোগে হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুসলিমদের নির্মুল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

      এক সময়ের শক্তিধর মুসলিমদের কথায় কথায় পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আর এখন তারা সরাসরি বলছে যে, হিন্দুদের মন্ত্র না পড়লে, অর্থাৎ ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ না করলে- তাদেরকে দেশ থেকে বিতারিত করা হবে!

      মুসলিমদেরকে তাই আসন্ন হিন্দুত্ববাদী ঝড়ের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন চিন্তাশীল উলামায়ে কেরাম।

      তথ্যসূত্র:

      1. this BJP parliamentarian urge Hindus to “wake up” and make ponytails out of hair plucked from Muslim men.

      2. video link –


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X