Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৯শে রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৯শে রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ঈসায়ী।

    দেশে দেশে ইসলামবিদ্বেষ | | নিউজিল্যান্ডে মুসলিম কিশোরীর হিজাব ছিঁড়ে মারধর

    নিউজিল্যান্ডের একটি গার্লস স্কুলে মুসলিম কিশােরীকে নৃশংসভাবে মারধর করার পর হিজাব টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে ক্রুসেডীয় আদর্শধারী একদল খ্রিস্টান।

    বার্তা সংস্থা ডকুমেন্টস অপরেশন এগেইনস্ট মুসলিম (DOAM) জানায়, স্থানীয় কয়েকজন খ্রিস্টান যুবক মুসলিম শিক্ষার্থীদের অপমান করার উদ্দেশ্যে আরবি শব্দের অর্থ জানতে চায়। মুসলিম শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

    এর পরই কিশোরীদের উপর চড়াও হয় ঐ খ্রিস্টান যুবকরা। এসময় তারা কিশোরীদের শারীরিকভাবে আঘাত করতে থাকে। কিল-ঘুষি মারতে মারতে এক সময় তাদের হিজাব টেনে ছিঁড়ে ফেলে।

    পরে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পরও আক্রমণকারীরা সহিংস ছিল। তারা সেখানে চিৎকার করে মুসলিম নারীদের নিয়ে অশ্লীল গালাগালি ও সন্ত্রাসী বলতে থাকে।

    উল্লেখ্য যে, নিউজিল্যান্ডের এ ঘটনাটি হলুদ মিডিয়া ঠাই পায়নি। কেননা এ ঘটনাটি ঘটেছে মুসলিমদের সাথে।

    আর নিউজিল্যান্ডে মুসলিম নির্যাতন কোন নতুন ঘটনা নয়। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় উগ্র সেতাঙ্গবাদী ব্রেন্টন হ্যারিসন কর্তৃক ৫০ জন মুসলিমকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করার ঘটনা সহ অন্যান্য ইসলামবিদ্বেষী ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে সেখানে। এর পরেও পশ্চিমা দালাল মিডিয়া মিডিয়া নিউজিল্যান্ডকে ‘শান্তির দেশ’ বলে প্রচার করে থাকে।

    বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের উপর বিভিন্ন জাতির চালানো অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘ, কথিত সুশীল সমাজ বা হলুদ মিডিয়া – এরা সবাই সম্পূর্ণ নির্বাক ভূমিকা পালন করে।
    অথচ যদি বিশ্বের কোথাও কোন নামধারি মুসলিমও অন্য কাউকে অত্যাচার তো দূরের কথা, নিজের উপর হওয়া অন্যায়-অবিচারের বদলা নেওয়ার জন্যেও যদি কিছু করে, তখন ঐ মানবতাবাদের মুখোশ পরিহিত কথিত সুশীলরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে, আর পক্ষপাতিত্বমূলক মানবাধিকারের বুলি আওড়াতে থাকে।

    এভাবেই তারা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে মুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদকারী ও প্রতিরোধকারী উম্মাহর বীর সন্তানদেরকে সন্ত্রাসী-উগ্রবাদী বলে ক্রমাগত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকে। মুসলিমদের প্রতি মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ ও বিদ্বেষ ছড়াতে কিংবা উম্মাহর বীরদের নামে কুৎসা রটনা করতে তারা সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করে না, এতটুকু দ্বিধা বোধ করে না।

    তথ্যসূত্র:

    1. Muslim teen brutally beaten and #Hijab Ripped Off in #NewZealand school –


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কর্নাটকে হিজাব পরে কলেজে আসায় ৫৮ জন মুসলিম ছাত্রীকে বহিষ্কার

    ভারতের কর্নাটকে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মুসলিম শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে হিজাব পরার নিসেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। একারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে, কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার একটি স্কুল থেকে ৫৮ জন মুসলিম শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।

    এদিকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পরও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড়। তারা বলেন, “হিজাব আমাদের অধিকার। আমরা মরতে রাজি আছি। তবে হিজাবের সঙ্গে আপস করব না।”

    বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

    মামলার ঘটনা ঘটেছে তুমাকুরু জেলার একটি সরকারি প্রি ইউনিভার্সিটি কলেজেও। ওই ছাত্রীরা হিজাব পরে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তখন পুলিশ তাদের পথ আটকায়। ওই ছাত্রীরা তাদের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে জবাব চাইছিলেন- কেন হিজাব পরে তাদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
    এই ঘটনার পরেই কলেজের প্রিন্সিপাল পুলিশের কাছে ওই ছাত্রীদের নামে মামলা করে।

    হিজাব পরা নিয়ে বিক্ষোভ রাজ্যের কোডাগু, চিত্রদুর্গ, দাভানগেরি, ব্যাঙ্গালোর সহ নানা জায়গাতেই হচ্ছে।
    ব্যাঙ্গালোরের কাছে তুমাকুরুর একটি কলেজে একজন শিক্ষিকাকে হিজাব খুলতে বলার কারণে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ওই শিক্ষিকা ইংরেজি পড়াতেন কলেজে। কর্তৃপক্ষ তাকে হিজাব ছাড়া ক্লাস নিতে বললে তিনি ইস্তফা দেন।

    এভাবেই হিন্দুত্ববাদীরা গণতন্ত্রের ধোঁকায় ফেলে মুসলিমদেরকে দুর্বল করে ও নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে। আর এখন তারা মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে। তাই মুসলিমদেরকে এই ‘গণতান্ত্রিক ধোঁকাবাজি’ থেকে বেরিয়ে এসে নববী মানহাজ অনুসারে সমাধান খোঁজার আহবান জানিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।



    তথ্যসূত্র:


    ১। ভারতে হিজাব বিতর্ক: কর্নাটকে হিজাব পরে কলেজে আসার জন্য ৫৮ জন মুসলিম ছাত্রী বহিষ্কার

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকে মুসলিম ছাত্রনেতাকে খুন


      ভারতে মুসলিমদের জান মালের কোন নিরাপত্তা নেই। এমনকি নিজের বাড়িতেও নয়। হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে যেসব মুসলিমরা প্রতিবাদ করছেন, তাদেরকে নানা কৌশলে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আর কাউকে খুন করে। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা জানে মুসলিমদের হত্যা করলেও তাদের কোন শাস্তি হবে না।

      হত্যাযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় এবার তারা বাড়িতে ঢুকে মুসলিম প্রতিবাদী ছাত্রনেতাকে অভিনব কায়দায় খুন করেছে। পুলিশের পোশাক পরিহিত একজনসহ চার অজ্ঞাত হিন্দুত্ববাদী যুবক ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তাকে খুন করে।

      ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়ার আমতায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
      নিহত ছাত্রনেতার নাম আনিস খান (২৮)। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তিনি। বর্তমানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। পরিবারের লোকেরা শুক্রবার রাতে তাকে তিনতলা বাড়ির নিচে পড়ে থাকতে দেখেন।

      পরিবারের দাবি, জোর করে তিন দুষ্কৃতকারী ঘরে ঢুকে ছাদে উঠে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করেছে। আনিস এলাকায় অন্যায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ বলে পরিচিত ছিলেন।

      স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বাড়িতে ছিলেন আনিস। ওই সময় চারজন দুষ্কৃতকারী তাঁদের বাড়িতে আসে। তিনজন সাধারণ পোশাকে থাকলেও একজন ছিল পুলিশের পোশাকে এবং তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

      পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা বারবার আনিসের নাম করে ডাকছিল। ওই সময় আনিসের বাবা সালাম খান বেরিয়ে আসেন। প্রথমে দরজা খুলতে চাননি তিনি, পরে দুষ্কৃতকারীরা হুমকি দিয়ে দরজা খুলতে বাধ্য করে।

      দুষ্কৃতকারীরা জানায়, বাগনান থানায় আনিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করতে এসেছে।

      সালাম খান দরজা খুলে দিলে আনিস কোথায় জানতে চায় তারা। সালাম জানান, আনিস বাড়িতে নেই। তার পরেও সাধারণ পোশাকে থাকা তিনজন সোজা ছাদে উঠে যায়। পুলিশের পোশাক পরা যুবক সালাম খানকে নিচে আটকে রাখে। আনিস ওই সময় বাড়ির ছাদে বসে ছিলেন।

      আনিসের বাবা বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর এই তিনজন নেমে আসে এবং পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তিকে বলে, ‘স্যার হয়ে গেছে চলুন।’ এর পরেই তারা বেরিয়ে যায়।

      তিনি আরও বলেন, ‘ধপ করে কিছু একটা পড়ার আওয়াজ শুনি। এর পরে নিচে গিয়ে দেখি ছেলে পড়ে রয়েছে।’

      এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী জড়ো হয়। খবর পেয়ে আসে আমতা থানার পুলিশ। পুলিশকে প্রথমে মরদেহ সরাতে দেয়নি স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের ধরার দাবি জানান তারা। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তদন্ত করার পরিবর্তে ১০টার দিকে এসে মরদেহ নিয়ে যায়।

      জানা গেছে, আনিস কলকাতায় থাকেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত। সাধারণত সপ্তাহে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি এসেছিলেন ওই এলাকায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে রাত ১টার পরে বাড়ি ফেরেন তিনি।

      ভারতের একজন আইন বিশেষজ্ঞ মুফাক্কিরুল ইসলাম বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ হিন্দুত্ববাদীদের পরিকল্পিত ঘটনা। অন্যথায় কোন আসামি রাইফেল নিয়ে মর্ডার করতে যায় না।

      গত এক মাসের ভিতরে প্রায় ৪জন মুসলিম যুবককে হিন্দুত্ববারীরা খুন করেছে একই কায়দায়। এই হত্যাগুলোকে তাই বর পরিসরে গণহত্যা শুরু করার আলামত হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

      তথ্যসূত্র:

      ১।Anis Khan’s murder: Bengal student leader earlier told police his “life is in danger”

      ২।পুলিশের পোশাকে ছাদ থেকে ফেলে ছাত্রনেতাকে হত্যা!

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        উত্তর প্রদেশের মতো আসামেও ইতিহাস মুছে দিতে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম নাম পরিবর্তন


        আগামী মুসলিম প্রজন্মকে পূর্বসূরিদের গৌরবমাখা ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে হিন্দুত্ববাদীরা নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুসলিম মনীষীদের ইতিহাস বাদ দিয়ে দিচ্ছে। মুসলিমদের ইতিহাস জড়িত বিভিন্ন অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে দিচ্ছে।

        গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যেসব এলাকায় ক্ষমতায় রয়েছে সেসব এলাকার বিভিন্ন স্থানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বছর তিনেক আগে উত্তর প্রদেশের বড় শহর এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে প্রয়াগরাজ করা হয়েছে। দিল্লির লাগোয়া গুরগাঁওয়ের নাম হয়েছে গুরুগ্রাম। ফইজাবাদ শহরের নাম পাল্টে অযোধ্যা করা হয়েছে।

        এবার সেই হাওয়া লেগেছে ভারতের আসামে। ভারতের আসামের বিভিন্ন অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
        গত বুধবার (১৬/০২/২২)এবিষয়ে সে টুইট করে। এতে সে বলেছে, ‘কোনো শহর, নগর বা গ্রামের নাম তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সভ্যতার সঙ্গে সংগতি রেখে হওয়া উচিত।’

        ঐ হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা হবে। সেখানে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হবে। আসামের যেসব স্থানের মুসলিম নাম রয়েছে, সেগুলো পরিবর্তনের ব্যাপারে পরামর্শ নেবে রাজ্য সরকার।

        তবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিষয়ক একজন গবেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, আসামে দীর্ঘ সময় ধরেই মুসলমান সম্প্রদায়ের বাস। এখানে মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ মুসলমান। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নামের সঙ্গে সংগতি রেখে বিভিন্ন স্থানের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন বরাক উপত্যকার নাম করিমপুর। হয়তো এমন জায়গাগুলোর নাম পাল্টে যাবে।

        আসাম এবং পূর্ব ভারতে এই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া এখনো সেভাবে চালু না হলেও এবার তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
        আসামে দীর্ঘ সময় ধরেই মুসলমান সম্প্রদায়ের বাস। এখানে মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ মুসলমান। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নামের সঙ্গে সংগতি রেখে বিভিন্ন স্থানের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন বরাক উপত্যকার নাম করিমপুর। হয়তো এমন জায়গাগুলোর নাম পাল্টে যাবে।

        এদিকে ১৮ শতকের মহীশূরের মুসলিম শাসক টিপু সুলতান হিন্দুদের উপর অত্যাচার করেছিল বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তার নামে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় কোনও বিষয়ের নাম রাখা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি।

        এদিকে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে স্থাপনা ও এলাকার মুসলিম নাম বদলে হিন্দু নাম রাখার ধুম পড়েছে। মোঘলসরাইয়ের নাম বদলে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর করা হয়েছে। এলাহাবাদের নাম হয়েছে প্রয়াগরাজ। একইভাবে ফইজাবাদ হয়েছে অযোধ্যা। সেই নামবদলের হিড়িকে এবার রাতারাতি বদলে দেওয়া হলো প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো স্টেশনের নাম। সেখানে ঐতিহাসিক ফইজাবাদ স্টেশন এখন থেকে পরিচিত হবে অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন হিসেবে। উত্তর প্রদেশ সরকার সূত্রে খবর, মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হবে এই নয়া রেল স্টেশন।

        মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই ধরণের কাজই খুব মন দিয়ে করেছে হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথ। মেরুকরণের পালে হাওয়া দিতেই রাজ্যে একের পর এক মুসলিম এলাকার নাম বদলাচ্ছে।

        ক্ষুব্ধ ইতিহাসবিদদের একাংশের বক্তব্য, শুধু মুসলিম বিদ্বেষের মেরুকরণে সুড়সুড়ি দিতেই নামবদলের এই উদ্যোগ। এতে জায়গাটির ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সেটি ক্ষতিকর। তাদের আশঙ্কা, এই ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো দ্রুতই রাজ্যের ইতিহাস বিজড়িত সব মুসলিম নামই বদলে দেওয়া হবে।

        আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিক দলিল বা তথ্যকে উপেক্ষা করে যখন কেউ বা কারা ইতিহাস নিয়ে বুলি আওড়ান, তখন তাদের ‘বোধহীন’ অথবা ‘বিকৃতমনষ্ক’ বলে দাবি করতে হয়।

        বিশ্লেষকরা বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, যোগী আদিত্যনাথের ইতিহাসের যথেষ্ট জ্ঞান নেই। তা নিয়ে সে যে আজগুবি কথা বলছে, তার পিছনে আবার একটি মস্ত চক্রান্ত রয়েছে। গৈরিক ঐতিহাসিকরা ভারতীয় ইতিহাস চর্চায় নতুন ব্যাখ্যার আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে। তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে সেই বিতর্ক হলে তর্ক করতে অসুবিধা নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা হচ্ছেও। কিন্তু যোগী যে ইতিহাস বলছে, তা বিতর্কেরও অযোগ্য। ভাবতে অবাক লাগে, তার পারিষদগণ, তার আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন না বা ভয় পান।

        তারা বলেন, তিনি আসলে ঐতিহাসিক তথ্যকে বিকৃত করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে। যোগীর রাজনীতিটা হচ্ছে হিন্দুত্বের রাজনীতি। তাই অতীতের মুসলিমদের সোনালী শাসনকে তার কাছে দাসত্ব ছাড়া আর কিছু নয়। সে জন্যই ইতিহাস বদলে দেয়ার চেষ্টা। এটা কট্টর মানসিকতাকে তুষ্ট করবে, তার প্রশাসনিক ব্যর্থতা থেকে নজর অন্যদিকে ঘোরাবে। হয়তো বা ভোট পেতেও ঢালাও সাহায্য করবে। তবে বলে রাখা ভালো, এক বা একাধিক ব্যক্তি শত চেষ্টা করলেও ইতিহাস বদলাবে না। ঐতিহাসিক দলিল আগুন দিয়েও পুড়িয়ে ফেলা যায়, কিন্তু সত্যকে আড়াল করা যায় না।

        ভারত মুসলিমরা দীর্ঘদিন শাসন করেছে। তাদের রয়েছে এক সোনালী অতীত। কালচক্রে, হিন্দুদের ধোঁকাবাজি বুঝতে না পেরে শাসন ক্ষমতা হারালেও তারা তাদের অতীতের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ভুলে যাবে না। বরং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের অবসান ঘটাবে।
        তারা যতই বলুক লাল কেল্লায় গেরুয়া পতাকা উড়াবে, মুসলিম মুক্ত হিন্দু রাষ্ট্র বানাবে। এগুলো দিবাস্বপ্নই থেকেই যাবে।
        মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে শুধু দিল্লি নয় সমগ্র ভারতে মুসলিমরা তাওহিদের পতাকাই উড়াবে। হাদিসের আলোকে এমনটাই মত ব্যক্ত করেছেন ইসলামিক চিন্তাবীদগণ।

        তথ্যসূত্র:

        ভারতের উত্তর প্রদেশের মতো আসামে শুরু হচ্ছে স্থানের মুসলিম নাম পরিবর্তন

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পবিত্র মসজিদুল আকসার নিচে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল

          সম্প্রতি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, দখলদার ইসরাইল মুসলিমদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা মসজিদের নিচে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা এই অঞ্চলকে বিপন্ন করে তুলবে।

          জেরুজালেম বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ‘ফাহরি আবু দিয়াব’ জানিয়েছেন, দখলদার ইসরায়েলি প্রশাসন ইহুদি বসতি সমিতির সহযোগিতায় নতুন করে আল-আকসা মসজিদের নিচে খনন কাজ শুরু করেছে।

          জানা যায় যে, এই খনন কাজটি পুরাতন শহরের পশ্চিম অংশের আল-হালিল গেটের নীচ থেকে শুরু করা হয়েছে। যা আল-আকসা কমপ্লেক্সের বুরাক প্রাচীরের দিকে অগ্রসর হয়েছে। যাকে অভিশপ্ত ইহুদিরা ওয়েলিং ওয়াল বলে। এটি মসজিদুল আকসার পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

          প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টারের খবরে বলা হয়েছে যে, দখলদার ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলো মাটির নিচে একটি টানেলের আকারে এই খননকাজের আয়োজন করেছে। তারা এর নাম দিয়েছে “মন্দিরে প্রবেশের পথ”। অনুমান করা হয় যে মসজিদুল আকসা এবং বুরাক প্রাচীরের সামনের চত্বরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের চলাচলের সুবিধার্থে এই খনন কাজটি করা হচ্ছে।

          আবু দিয়াব আরও জানিয়েছেন যে, খনন কাজটি আল-হালিল গেট ব্রিজের নীচ থেকে শুরু হয়েছে, এবং মামিলা অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়ে তা ওমর ইবনু খাত্তাব স্কয়ারের নীচে চলে গেছে। এটি এখন সুবেয়কা আলুন মসজিদ হয়ে মসজিদুল আকসার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

          আবু দিয়াব উল্লেখ করেছেন যে, টানেলের কাজটি সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মধ্যে করা হচ্ছে। এটি কথিত আন্তর্জাতিক আইন এবং ইউনেস্কোর রেজুলেশনের সম্পূর্ণ বিপরীত।

          গত বছর টেম্পল ইনস্টিটিউট একটি ভিডিওতে ইহুদিদের তৃতীয় মন্দির বানানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিল। বর্তমানে ইহুদিদের কাজকর্ম মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল আকসা ভেঙ্গে ইহুদিদের সেই তৃতীয় মন্দির বানানোর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হিসেবেই মনে করছেন বিশ্লেষকগণ।

          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X