ইউক্রেন যুদ্ধ | মিডয়া ও পশ্চিমাদের ভণ্ডামি
গত তিনদিন আগে রাশিয়ার আগ্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে বেজে ওঠে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব মিডিয়া থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ ও কথিত সুশীল সমাজ সবারই সরব ভুমিকা দেখা যাচ্ছে।যুদ্ধে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে উদ্বেগ ও বিবৃতি প্রকাশ করছে তারা। গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে যুদ্ধের খবরাখবর। আগ্রাসী এ হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে বেশ কয়েকটি দেশের সাধারণ মানুষ।রাশিয়া শুধু ইউক্রেনেই আগ্রাসী হামলা চালিয়েছে এমন নয়। এর আগে আগ্রাসন চালিয়েছে চেচনিয়া, ক্রাইমিয়া, সিরিয়া ও লিবিয়ায়। হামলা চালিয়ে গোরস্থানে পরিণত করা হয়েছে এসব দেশকে।মুসলিম দেশসমূহে যখন লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। নির্মমভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে মুসলিম নারী ও শিশুদের উপর৷ কথিত সুশীল সমাজ, হলুদ মিডিয়া, মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা বিশ্ব ঐ সময় কোন কথা বলেনি। নির্যাতনের খবর প্রচার করবে তো দূরে থাক উল্টো হলুদ মিডিয়া ও সুশীল সমাজ আগ্রাসী রাষ্ট্রের সুরে সুর মিলিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগিয়ে বৈধতা দিয়েছে মুসলিমদের হত্যার।হলুদ মিডিয়া ও পশ্চিমারা মুসলিমদের কেমন চোখে দেখে- তার কিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওয়া যায় সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে সিবিএস নিউজের একটি অনুষ্ঠানে।সিবিএস নিউজের এক সাংবাদিক অনুষ্ঠানে দাবি করে যে, ‘ইউক্রেন একটি সভ্য ইউরোপীয় রাষ্ট্র, ইউক্রেন আফগানিস্তান বা ইরাক নয়’। অর্থাৎ মুসলিম জাতিকে তারা অসভ্য জাতি মনে করে, যাদেরকে জেকন সময় যেকোন অজুহাতে হত্যা করা যায়। অথচ এই মুসলিমরাই পশ্চিমাদেরকে সভ্যতা শিখিয়েছে, অন্ধকার ইউরোপে জ্বেলেছে জ্ঞানের আলো।মানে তারা বলতে চাইছে, ইউক্রেনের সভ্য জাতীকে রক্ষা করা বিশ্ববাসীর দায়িত্ব। পক্ষান্তরে আফগানিস্তান ও ইরাকের মুসলিমদের হত্যা করা যেন রাশিয়ার পক্ষে ভাল কাজই হয়েছিল!এজন্য এসব হলুদ মিডিয়াকে বয়কট করে মুসলিমদের নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মিডিয়া গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন আলিম সমাজ।তথ্যসূত্র:
——-
১। Hypocrisy of the west-
গত তিনদিন আগে রাশিয়ার আগ্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে বেজে ওঠে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব মিডিয়া থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ ও কথিত সুশীল সমাজ সবারই সরব ভুমিকা দেখা যাচ্ছে।যুদ্ধে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে উদ্বেগ ও বিবৃতি প্রকাশ করছে তারা। গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে যুদ্ধের খবরাখবর। আগ্রাসী এ হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে বেশ কয়েকটি দেশের সাধারণ মানুষ।রাশিয়া শুধু ইউক্রেনেই আগ্রাসী হামলা চালিয়েছে এমন নয়। এর আগে আগ্রাসন চালিয়েছে চেচনিয়া, ক্রাইমিয়া, সিরিয়া ও লিবিয়ায়। হামলা চালিয়ে গোরস্থানে পরিণত করা হয়েছে এসব দেশকে।মুসলিম দেশসমূহে যখন লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। নির্মমভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে মুসলিম নারী ও শিশুদের উপর৷ কথিত সুশীল সমাজ, হলুদ মিডিয়া, মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা বিশ্ব ঐ সময় কোন কথা বলেনি। নির্যাতনের খবর প্রচার করবে তো দূরে থাক উল্টো হলুদ মিডিয়া ও সুশীল সমাজ আগ্রাসী রাষ্ট্রের সুরে সুর মিলিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগিয়ে বৈধতা দিয়েছে মুসলিমদের হত্যার।হলুদ মিডিয়া ও পশ্চিমারা মুসলিমদের কেমন চোখে দেখে- তার কিঞ্চিৎ প্রমাণ পাওয়া যায় সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে সিবিএস নিউজের একটি অনুষ্ঠানে।সিবিএস নিউজের এক সাংবাদিক অনুষ্ঠানে দাবি করে যে, ‘ইউক্রেন একটি সভ্য ইউরোপীয় রাষ্ট্র, ইউক্রেন আফগানিস্তান বা ইরাক নয়’। অর্থাৎ মুসলিম জাতিকে তারা অসভ্য জাতি মনে করে, যাদেরকে জেকন সময় যেকোন অজুহাতে হত্যা করা যায়। অথচ এই মুসলিমরাই পশ্চিমাদেরকে সভ্যতা শিখিয়েছে, অন্ধকার ইউরোপে জ্বেলেছে জ্ঞানের আলো।মানে তারা বলতে চাইছে, ইউক্রেনের সভ্য জাতীকে রক্ষা করা বিশ্ববাসীর দায়িত্ব। পক্ষান্তরে আফগানিস্তান ও ইরাকের মুসলিমদের হত্যা করা যেন রাশিয়ার পক্ষে ভাল কাজই হয়েছিল!এজন্য এসব হলুদ মিডিয়াকে বয়কট করে মুসলিমদের নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মিডিয়া গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন আলিম সমাজ।তথ্যসূত্র:
——-
১। Hypocrisy of the west-