Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৭শে রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ০১লা মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৭শে রজব, ১৪৪৩ হিজরি।। ০১লা মার্চ, ২০২২ ঈসায়ী।

    হিজাব মামলায় আবেদনকারী মুসলিম ছাত্রীদের টুকরো টুকরো করা হবে: হিন্দুত্ববাদী এবিভিপি নেতা

    হিন্দুত্ববাদীরা ভারতকে কথিত বৃহত গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে। সকলের সমান অধিকারের কথা বললেও সব সময় মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের বৈষম্যের শিকার হয়। ন্যায় বিচার পাওয়া তো দুরের কথা বিচার চাইলেও হিন্দুত্ববাদীরা ভয় ভীতি আর হত্যার হুমকি দিতে থাকে। যদিও হিন্দুত্ববাদী আদালত থেকে মুসলিমরা বিচার পায় না। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো মুসলিমদের বাবরি মসজিদ মামলায় প্রমাণ ছাড়াই আদালত হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষে রায় দেয়।।

    এবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)এবিভিপি নেতা একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তার একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে যে ছয়জন মুসলিম ছাত্রী হিজাব নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেছে।

    সে বলেছে, “আপনি জল চাইলে ভারতীয়রা আপনাকে জুস দেবে। আপনি যদি দুধ চান, আমরা আপনাকে দই দেব। কিন্তু, ভারতে আপনি যদি চান যে কেউ হিজাব পরুক, আমরা শিবাজীর তলোয়ার নিয়ে আপনাকে টুকরো টুকরো করে ফেলব।আরএসএস-এর ছাত্র শাখা এবিভিপি-র নেত্রী পূজাকে বিজয়পুরা জেলায় অভিনন্দন জানাতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সে এ কথা বলেছে।

    পরে হিন্দু জনতার উদ্দেশে উগ্র পূজা বলেছে: “আমাদের দেশ জাফরান তথা গেরুয়া। যতগুলো মুসলিম গ্রেফতার করা হয়েছে তাতে আমরা খুশি, কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়...যদি আপনি (সরকার) এটা করতে না পারেন...আমাদের ২৪ ঘন্টা সময় দিন.(এটা না পারলে)..সরকার আমাদের মাত্র এক ঘন্টা সময় দিন...শুধু হিজাব পরা এই ছয় মুসলিম মেয়ে নয়, আমরা'৬০,০০০ হিজাবধারীকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলব।

    সে যে ছয়জন মেয়ের কথা উল্লেখ করছে তারা হলেন উদুপির সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মুসলিম ছাত্রী, যারা হিজাব পরার কারণে হিন্দুত্ববাদী কলেজে কর্তৃপক্ষ প্রবেশ করতে ও ক্লাস করতে দেয়নি। পরে তারা কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। যদিও হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্ট কখনোই মুসলিমদের পক্ষে রায় দেয়নি। দিবেও না। তবুও শুধু আবেদন করাটাও হিন্দুত্ববাদীদের সহ্য হয় না।

    গত বছরের ডিসেম্বরে, হরিদ্বারে তিন দিনের ধর্মীয় সমাবেশে হিন্দুত্ববাদী বক্তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সহিংসতার আহ্বান জানায়।
    হিন্দুত্ববাদীদের একেরপর এক হামলা চালানোর প্রকাশ্য ঘোষণা বিশ্লেষন করে সচেতন মহল বার বার মুসলিদের উপর হিন্দুত্ববাদীদের গণহত্যা চালানোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাই মুসলিমদের উচিত বোদ্ধা মহলের সতর্কবার্তা আমলে নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়া।

    তথ্যসূত্র:
    ১।Hijab case petitioners will be cut into pieces: ABVP leader

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিজাব পরে ডিউটিতে আসায় মুসলিম স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থা

    ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোই নয়, পশ্চিমবঙ্গেও ছড়িয়েছে মুসলিম বিদ্বেষ। কিছুদিন আগে স্কুলে হিজাব পরে আসা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী প্রধান শিক্ষক। এবার বাংলার মালদায় হিজাব পরে ডিউটিতে আসায় স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটেছে।
    হিজাব পরে ডিউটিতে গিয়েছিলেন এক মুসলিম স্বাস্থ্যকর্মী।
    তাঁর অভিযোগ যে তিনি স্বাস্থ্য দফতর নির্ধারিত পোশাক পরেই নিয়মিত ডিউটি করেন। নির্ধারিত সেই পোশাকের রংয়ের হিজাব বহুদিন থেকেই পরেন তিনি। গত বুধবার হিজাব পরে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স তাঁকে অপমান করে তাঁর রুমে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি। সংশ্লিষ্ট নার্স তাঁকে জানিয়ে দেয় হিজাব খুলে না আসলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

    আনোয়ারার বয়ান অনুযায়ী ‘আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করছি। গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে গোরক্ষা গ্রামে কাজ করি। সরকার নির্ধারিত পোশাক পরেই সবসময় ডিউটি করি। তবে সেই পোশাকের রংয়ের হিজাবও পরি। এনিয়ে আগে কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। তবে হিজাব পরে কাজ করায় সিনিয়র হিন্দু নার্স তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন করেছে।

    সমস্যা দেখা দেয় মাস তিনেক আগে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতি মাসে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হিজাব পরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সবার সামনে তাকে বলা হয়, যেন হিজাব পরে বৈঠকে না আসেন তিনি। শুধু তাই নয় হিজাব পরে তিনি যেন ডিউটি কিংবা তাঁর রুমেও না যান। কারণ জানতে চাইলে হিন্দু নারী তাকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। মুসলিম নার্স বলেন, যাইহোক তারপরেও এতদিন কেটে গিয়েছে। আমি হিজাব ছাড়িনি। কিন্তু ফের সমস্যা দেখা দেয় বুধবার। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরে মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে এসে হিজাব পরে থাকায় সিনিয়র নার্স বলে দেয় যে সে আমার রিপোর্ট জমা নিবে না। হিজাব পরে আমাকে তাঁর রুমেও ঢুকতে দেয়নি।

    আমি প্রতিবাদ করলে আমার কথা না শুনে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। চিৎকার চেঁচামেচির জেরে বিএমওএইচ আমাকে ডেকে পাঠান। আমার কাছে গোটা ঘটনা শোনেন। তিনিও বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার কোনও কথায় সে কান দিতে চায়নি। বিএমওএইচের সঙ্গেও তিনি ঝামেলা শুরু করে দেয়। অগত্যা রিপোর্ট জমা না দিয়েই আমাকে সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়।

    তথ্যসূত্র:
    -----
    ১। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে হিজাব পরে ঢুকতে বাধা মালদার রতুয়ায়

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হিন্দুত্ববাদীদের আসন্ন গণহত্যার সম্মুখীন ভারতীয় মুসলিমরা: শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের মতামত

      ভারতে মুসলিমদের আসন্ন ভবিষ্যত এক ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। মুসলিম রক্তখেকু হিন্দুত্ববাদীদের হিংস্রতা এখন বহু গুণে বেড়ে গেছে। রক্ত পিপাসু হিন্দুত্ববাদীরা যেকোন সময় মেতে উঠতে পারে মুসলিম গণহত্যায়। এনিয়ে বহুদিন ধরেই ইসলামিক বিশ্লেষকগণ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

      এবার বিশ্বব্যাপী গণহত্যা বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, এবং সাংবাদিকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু আধিপত্যবাদী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত শক্তিশালী হিন্দুত্ববাদীদের গণহত্যার আহ্বানের পরে ভারতের ২০ কোটি মুসলিমরা একটি ভয়ানক এবং অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
      "ইন্ডিয়া অন দ্য ব্রিঙ্ক: প্রিভেনটিং জেনোসাইড" নামে তিনদিনের ভার্চুয়াল কনফারেন্সের প্রথম দিনে তারা কথা বলছিলেন।

      হেগের ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক জ্যান ব্রেম্যান বলেছেন, "ভারত হিন্দুত্ববাদীদের একপাক্ষিক শাসন ক্ষমতা চলছে। তারা মুসলিম জনগণের কথা চিন্তা করে না।"

      প্রফেসর ব্রেম্যান, যিনি ভারতের গুজরাট রাজ্যে ব্যাপক মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন, তিনি বলেছেন ,হিন্দুত্বের মতবাদ - হিন্দু জাতীয়তাবাদের সিস্টেমটাই এমন যা - "মুসলমানদের সুরক্ষা এবং সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে।"

      প্রফেসর ব্রেম্যানম আরো বলেছেন, যে হিন্দুত্ববাদ এবং সন্ত্রাসী অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি আমলের মধ্যে মিল রয়েছে: কারণ তাদের আইডিয়া ছিল "আধিপত্যের জন্য তারাই শ্রেষ্ঠ", আর হিন্দুদের আইডিয়া"হিন্দুত্ব হল শ্রেণিবদ্ধ" এবং "শ্রেষ্ঠ। যা অন্যদের প্রতি নিকৃষ্টতার ধারণা তৈরি করে। এবং "যারা শত্রু হিসাবে বিবেচিত হয়" তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর, নির্বাসিত এবং নির্মূল করা শুরু করে।" যা ইতিমধ্যে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করছে।

      "গুজরাট ২০০২: দ্য বিগিনিং অফ জেনোসাইড" শিরোনামের একটি প্যানেলে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রখ্যাত মানবাধিকার রক্ষক তিস্তা সেটালভাদ বলেন, "ঘৃণাত্মক বক্তৃতা এবং ঘৃণামূলক অপরাধ গুজরাটে গণহত্যাকে সক্রিয় করেছে" ২০০২সালে, যেখানে ২,০০০ জনেরও বেশি মুসলিম নিহত হয়েছে। "তিন মাস ধরে, মুসলমানদের তাদের গ্রামে ফিরে যেতে দেওয়া হয়নি," তিনি গুজরাটের কসাই মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে হিন্দুত্ববাদীদের পরিচালিত গণহত্যার সহিংসতার ঘটনার কথা স্মরণ করে দেন।

      তিনি আরও যোগ করেছেন যে, তাদের পৃষ্টপোষকতায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উত্তর ভারতের শহর হরিদ্বারে হিন্দুত্ববাদীরা ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করেছিল, যেখানে দুই মিলিয়ন মুসলমানকে হত্যা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেটালভাদ বলেছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে " মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।"

      তিনি ফেব্রুয়ারী ২০০২ এ একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তার অনুসন্ধানের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন, যেখানে প্রায় ৬০জন নিহত হয়েছিল, যা রাজ্য জুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু করার অজুহাত হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের জন্য ভিত্তিহীনভাবে মুসলিমদের দায়ী করা হয়েছিল।

      গুজরাটের প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক, আরবি শ্রীকুমার, যিনি একজন হুইসেলব্লোয়ার হিসাবে ২০০২সালের সহিংসতায় মোদির ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)এগণহত্যা চালিয়েছিল।

      তার এই স্বীকারোক্তির জন্য, শ্রীকুমারকে ক্রমাগত আঘাত করা হয় এবং নির্যাতিত করা হয়। এমনকি সত্য না বলার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়। তিনি তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বেশ কয়েকটি হলফনামাও জমা দিয়েছিল।

      আরেকজন আলোচক, ডক্টর রাকেশ পাঠক, একজন পুরষ্কারপ্রাপ্ত হিন্দু সাংবাদিক, বলেছেন এমনকি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও "বিভাজনের ভাষা [বলে] হিন্দুরা বিপদে আছে" ব্যবহার করেননি। কিন্তু সন্ত্রাসী আরএসএসের উত্থানের সাথে সাথে "হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরিতে কাজ করছে। আরএসএস এবং এর নেতারা তাদের হিন্দু রাষ্ট্রের এজেন্ডা অর্জন করতে প্রস্তুত। মুসরিম গণহত্যা ঘটতে পারে না বলে মনে করা বিপদকে উপেক্ষা করা। কারণ কোনো গণহত্যা রাতারাতি সংঘটিত হয় না বরং তা পরিকল্পিত এবং ধীরে ধীরে সংঘটিত হয়। যার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে। মুসলিমদের "কি পরতে হবে এবং খাবে" বলাটা ছিল আমাদের কথিত গণতান্ত্রিক দেশের হিন্দুত্ববাদের অন্যতম লক্ষণ।

      তথ্যসূত্র:
      -----
      1।Muslims in India face imminent threat of genocide: Experts at global summit on genocide




      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X