হিজাব পরিধান করায় মুসলিম ছাত্রীদের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার
ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন মুসলিম ছাত্রীরা। এনিয়ে আদালতে মামলা হলে হিন্দুত্ববাদী আদালত সমাধান না দিয়ে উল্টো ইসলাম বিরুধী অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছে। ফলে মুসলিম ছাত্রীরা আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন। কারণ এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বরাত দিয়ে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরিধান করে কলেজে প্রবেশ করতে বাঁধা দিচ্ছে।
যে ছয়জন মুসলিম ছাত্রীকে উদুপির গভর্নমেন্ট পিইউ গার্লস কলেজে হিজাবে থাকার কারণে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, তাদের মাঝে তিনজন মুসলিম ছাত্রীর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞানের ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তাদের পরীক্ষাও দিতে দেয়নি হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।
গত জানুয়ারিতে, একই কলেজের ছয় শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি কর্ণাটকের অন্যান্য কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এখন দেশব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ছয়জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বিজ্ঞান শাখায়। গত সোমবার তারা হিজাব পরে কলেজে পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বরাত দিয়ে অধ্যক্ষ রুদ্রে গৌড়া তাদের হিজাব পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই হিজাব খুলতে না চাওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
তাদের মধ্যে একজন, হাইকোর্টের মামলার আবেদনকারী, দ্য নিউজ মিনিটকে বলেছে, “আমরা আজ আবারও অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরীক্ষা লিখতে দেওয়ার জন্য। দুই মাস ধরে আমাদের ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি কিন্তু আমরা ইউটিউব ভিডিও দেখেছি এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছি এবং আমরা ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিতে পারব।”
মুসলিম ছাত্রী আরও বলেছে, “আজ আমাদের শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। আমরা আমাদের পাঠ্য বই শেষ করেছি। এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এটা ছিল খুবই হতাশাজনক । যখন আমাদের প্রিন্সিপাল আমাদের হুমকি দিয়েছে যে ‘তোদের চলে যাওয়ার জন্য পাঁচ মিনিট সময় দিচ্ছি, যদি না চলে যাস, আমরা পুলিশে অভিযোগ জানাবো।”
“এই মুহূর্তে, আমাদের ল্যাবে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু চলে যেতে বাধ্য করা হলো। কলেজ থেকে আমার যে আশা ছিল এবং স্বপ্ন ছিল সবই ভেঙে গেছে।।”
এদিকে, শিবমোগায় ডিভিএস কলেজের ভিতরে ১৫ জন মুসলি ছাত্রীকে হিজাব বা বোরকা পরে ক্লাসে যোগ দিতে পারবে না জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।
মেয়েরা কলেজ গেটে জড়ো হয়েছিল কিন্তু সেখানে মোতায়েন করা হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সদস্যরা বলেছিল যে, তারা একত্রিত হতে পারবে না। কারণ সিআরপিসির ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ রয়েছে।
হিন্দুত্ববাদের বিসাক্ত এই ইসলামবিদ্বেষী পরিবেশেই চরম উৎকণ্ঠায় এভাবে অপমানিত হয়েই দিন কাটাচ্ছেন ভারতের মুসলিম নারীরা; হিন্দুত্ববাদের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা ব্যতীত মুসলিমদের এমন দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে না বলেই মত ইসলামি চিন্তাবীদদের।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Karnataka: Udupi College Denies Hijab-Clad Students Entry for Practical Exams
ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন মুসলিম ছাত্রীরা। এনিয়ে আদালতে মামলা হলে হিন্দুত্ববাদী আদালত সমাধান না দিয়ে উল্টো ইসলাম বিরুধী অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছে। ফলে মুসলিম ছাত্রীরা আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন। কারণ এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বরাত দিয়ে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরিধান করে কলেজে প্রবেশ করতে বাঁধা দিচ্ছে।
যে ছয়জন মুসলিম ছাত্রীকে উদুপির গভর্নমেন্ট পিইউ গার্লস কলেজে হিজাবে থাকার কারণে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, তাদের মাঝে তিনজন মুসলিম ছাত্রীর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞানের ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। কিন্তু তাদের পরীক্ষাও দিতে দেয়নি হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।
গত জানুয়ারিতে, একই কলেজের ছয় শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি কর্ণাটকের অন্যান্য কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এখন দেশব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ছয়জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বিজ্ঞান শাখায়। গত সোমবার তারা হিজাব পরে কলেজে পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বরাত দিয়ে অধ্যক্ষ রুদ্রে গৌড়া তাদের হিজাব পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই হিজাব খুলতে না চাওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
তাদের মধ্যে একজন, হাইকোর্টের মামলার আবেদনকারী, দ্য নিউজ মিনিটকে বলেছে, “আমরা আজ আবারও অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরীক্ষা লিখতে দেওয়ার জন্য। দুই মাস ধরে আমাদের ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি কিন্তু আমরা ইউটিউব ভিডিও দেখেছি এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছি এবং আমরা ভেবেছিলাম পরীক্ষা দিতে পারব।”
মুসলিম ছাত্রী আরও বলেছে, “আজ আমাদের শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। আমরা আমাদের পাঠ্য বই শেষ করেছি। এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এটা ছিল খুবই হতাশাজনক । যখন আমাদের প্রিন্সিপাল আমাদের হুমকি দিয়েছে যে ‘তোদের চলে যাওয়ার জন্য পাঁচ মিনিট সময় দিচ্ছি, যদি না চলে যাস, আমরা পুলিশে অভিযোগ জানাবো।”
“এই মুহূর্তে, আমাদের ল্যাবে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু চলে যেতে বাধ্য করা হলো। কলেজ থেকে আমার যে আশা ছিল এবং স্বপ্ন ছিল সবই ভেঙে গেছে।।”
এদিকে, শিবমোগায় ডিভিএস কলেজের ভিতরে ১৫ জন মুসলি ছাত্রীকে হিজাব বা বোরকা পরে ক্লাসে যোগ দিতে পারবে না জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।
মেয়েরা কলেজ গেটে জড়ো হয়েছিল কিন্তু সেখানে মোতায়েন করা হিন্দুত্ববাদী পুলিশ সদস্যরা বলেছিল যে, তারা একত্রিত হতে পারবে না। কারণ সিআরপিসির ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ রয়েছে।
হিন্দুত্ববাদের বিসাক্ত এই ইসলামবিদ্বেষী পরিবেশেই চরম উৎকণ্ঠায় এভাবে অপমানিত হয়েই দিন কাটাচ্ছেন ভারতের মুসলিম নারীরা; হিন্দুত্ববাদের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা ব্যতীত মুসলিমদের এমন দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে না বলেই মত ইসলামি চিন্তাবীদদের।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Karnataka: Udupi College Denies Hijab-Clad Students Entry for Practical Exams