Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভারতে মুসলিম ছাত্রের সঙ্গে এক রুমে হিন্দু ছাত্রকে থাকতে দেওয়ায় বাবার মুসলিম বিদ্বেষী পোস্ট

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভারতে মুসলিম ছাত্রের সঙ্গে এক রুমে হিন্দু ছাত্রকে থাকতে দেওয়ায় বাবার মুসলিম বিদ্বেষী পোস্ট

    ভারতে মুসলিম ছাত্রের সঙ্গে এক রুমে হিন্দু ছাত্রকে থাকতে দেওয়ায় বাবার মুসলিম বিদ্বেষী পোস্ট


    হিন্দুরা কল্পিত দেব দেবীকে আল্লাহ তায়ালার সাথে অংশিদারিত্ব মানার কারণে নিজেরাই নাপাক। তবু তারা মুসলিমদেরকে অচ্ছুত মনে করে। মুসলিমদের দ্বিতীয শ্রেণীর নাগরিক মনে করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। যা বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
    ভারতে মুসলমান ছাত্রের সঙ্গে সরকারি এস এস কে এম হাসপাতালের হোস্টেলে এক হিন্দু ছাত্রের এক ঘরে থাকা নিয়ে ওই হিন্দু ছাত্রের বাবা ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, মেডিকেল কলেজে ছেলের প্রথম দিনের ক্লাস শুরু আজ থেকে, ছেলেকে নিয়ে এসে বসে আছি একাডমিক বিলডিং এর ওয়েটিং রুমে, আজ হোষ্টেল পেয়ে গেছে শিফ্ট করাবো রবিবার, প্রতি রুমে দুজন করে ষ্টুডেন্ট, অস্বস্তিকর বিষয় হলো ছেলের রুম মেইট আল আমিন মিশনের একজন মুসলিম ছাত্র বাড়ী মুর্শিদাবাদ, আপাতত কিছু দিন এই রুম মেটের সাথেই থাকতে হবে পরে অবশ্য রুম মেইট পাল্টিয়ে নিতে পারবে। হোষ্টেলে দেখলাম অলইন্ডিয়া কোটার অনেক মুসলিম ছাত্র এবং রাজ্যেরও বহু মুসলিম ছাত্র, রাজ্যের মুসলিম ছাত্র সবই আল আমিন মিশনের, আল আমিন মিশন কি পড়াশুনায় এতই অগ্রতি করে নিয়েছে? না কি এখানেও অন্য খেলা চলছে…….?
    এ কেমন বিচার। ওদের সঙ্গে আমাদের হিন্দুদের রীতিনীতি, আচার-আচরণের তফাৎ আছে। একঘরে হিন্দু-মুসলিমকে রক্ষা কি সমীচীন? হিন্দু ছাত্রের বাবার এই পোস্ট ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ডা. কৌশিক চাকি বলেছেন, এইরকম সংকীর্ণ মানসিকতা অসমীচীন। কারণ, চিকিৎসা বিদ্যা আয়ত্ত করার পর মানুষের চিকিৎসা করতে হয়।রোগী হিন্দু না মুসলিম তার বিচার হয় না।
    হোস্টেলে একঘরে হিন্দু-মুসলমান ছাত্রের থাকার মধ্যে কোনও ভুল নেই। সংশ্লিষ্ট হিন্দু ছাত্রও ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, আমার বাবার মুসলিম ফোবিয়া আছে। কেন জানি না। তিনি মুসলিমদের একদম সহ্য করতে পারে না।’
    এটাই আসল কথা। হিন্দুত্ববাদীরা যতই বলুক হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, কিন্তু বাস্তবে তাদের অন্তর মুসলিম বিদ্বেসে ভরপুর।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    ১।ভারতে মুসলিম ছাত্রের সঙ্গে রুম শেয়ার, হিন্দু বাবার পোস্ট ঘিরে নিন্দার ঝড়
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘হিজাব পড়তে চাওয়া’ মুসলিমদের গণহত্যার আহ্বান হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের


    কিছুদিন আগেই ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ‘ধর্ম সংসদ’-এ মুসলিম বিদ্বেষী ঘৃণাত্মক বক্তৃতা এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার আহ্বান জানায় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। এর পরেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায শুরু গণহত্যা চালানোর প্রকাশ্য আহ্বান।

    গণহত্যার সূচনা করতে উসকানীমূলক ভাষণ ও ইসলাম ধর্মীয় বিধি বিধান মানার ব্যাপারে হুশিয়ারী দিচ্ছে। গরুর গোস্ত বহন করা, খাওয়ার ব্যাপারেতো বহু আগেই পিটিয়ে মারার রেওয়াজ চালু করেছে উগ্র হিন্দুরা। এবার হিজাব যারা পড়তে চায় তাদেরকেও হত্যার আহ্বান জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বজরং।

    ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, ১৯ বছর বয়সী পূজা, বজরং দলের অন্যতম মুখপাত্র, বিজয়পুরায় বজরং দলের এক ব্যক্তির মৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য খোলাখুলিভাবে আহ্বান জানায়।

    এই অনুষ্ঠানে ৫০০ জনেরও বেশি উগ্র হিন্দু উপস্থিত ছিল। হর্ষ নামের এক ব্যক্তি ২০শে ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে শিবমোগায় একদল অজ্ঞাত লোকের দ্বারা ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। কোন প্রমাণ ছাড়াই দোষ চাপানো হয় মুসলিমদের উপর। ফলে হিন্দু সন্ত্রাসীরা মুসলিম এলাকা ভাংচুর করেছে এবং তাদের গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরদিন জেলাজুড়ে পাথর ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। তার মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দশজন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    “আপনি জল চাইলে ভারতীয়রা আপনাকে জুস দেবে। আপনি যদি দুধ চান, আমরা আপনাকে বাটার মিল্ক দেব। কিন্তু, আপনি যদি সারা ভারতে হিজাব চান, আমরা শিবাজির তলোয়ার দিয়ে তোমাদের (মুসলিমদের) সবাইকে কেটে ফেলব” – এভাবেই পূজা বলেছিল আর শত শত উগ্র হিন্দু জনতা তার বক্তৃতায় উল্লাস ও করতালি দিচ্ছিল।

    হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের এমন গণহত্যার প্রকাশ্য ঘোষণার পরও পুলিশ এই উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেনি। অন্যদিকে অনেক মুসলিমকে উসকানীমূলক বক্তৃতার মিথ্যে মামলায় ফাসিয়ে দীর্ঘদীন ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

    মুসলিমদের বেলায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করছে, কিন্তু হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধের প্রমাণ আছে,গণহত্যার আহ্বান জানানোর ভিডিও রয়েছে। তবুও তাদের কিছুই করছে না।

    মুসলিম বিদ্বেষী সহিংসতার কারণে অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হিন্দুত্ববাাদী বজরং দল মুসলিমদের হত্যা করতে হিন্দু যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ঘৃণাত্মক বক্তব্য ব্যবহার করে অন্যান্য হিন্দুদের উস্কে দিতে উৎসাহিত করছে৷ অন্যান্য হিন্দুরা তাদের বক্তৃতার প্রশংসা করার অর্থ হল- তাদের কথার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

    এমন পরিস্থিতিতে তাই ভারতে পূর্ণ মাত্রায় মুসলিম গণহত্যা শুরু হওয়াটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। এমন পরিস্থিত মোকাবালায় মুসলিমদেরকে এখন থেকেই সচেতন হতে বলেছেন তাঁরা।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. Teenage Bajrang Dal Worker in Karnataka Calls for Genocide of ‘Those Who Want Hijab’

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীরে দখলদার সেনাদের সাথে তীব্র লড়াই, ৩ জন প্রতিরোধ যোদ্ধার শাহাদাত বরণ


      হিন্দুত্ববাদী ভারত কর্তৃক জবরদখলকৃত কাশ্মীরের দু’টি পৃথক অঞ্চলে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ও ভারতীয় দখলদার বাহিনীর সাথে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে। ভারতীয় দখলদার সেনারা দাবি করে যে, এসময় তাদের হামলায় ৩ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছেন।

      কাশ্মীর ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম জানায় যে, আজ ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোরে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার নাইনা এলাকায় প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ভারতীয় দখলদার সেনা ও পুলিশ বাহিনীর একটি যৌথ দলকে টার্গেট করে বোমা বিস্ফোরণ করেন এবং গুলি চালান। এতে বেশ কয়েকটা ভারতীয় দখলদার সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়।

      এই হামলার পর হিন্দুত্ববাদী ভারত দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা এবং শোপিয়ান জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে শুরু হয় পুলওয়ামার লিটার বেল্টের নাইনা এলাকায় ভারতীয় দখলদার সেনাদের অভিযান। সকাল থেকেই পুরো এলাকা ঘিরে চলে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি। যা দুপুর নাগাদ চলতে থাকে।

      অভিযান শেষে ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর দাবি করে যে, দীর্ঘ এই অভিযানের সময় তাদের হামলায় ২ জন কাশ্মিরী প্রতিরোধ যোদ্ধা বীরত্বের সাথে লড়াই করতে করতে শাহাদাত বরণ করেন (ইনশাআল্লাহ্)। তবে দখলদার ভারতীয় বাহিনী কৌশলে এই অভিযানে তাদের সেনা ও পুলিশ সদস্যদের হতাহতের ঘটনাটি এড়িয়ে যায়।

      এদিকে কাশ্মীরি প্রতিরোধ বাহিনী ও ভারতীয় দখলদার বাহিনীর মধ্যকার এই লড়াইয়ের সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ কাশ্মীরিরাও। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারী ও দখলদার বাহিনীর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।

      এদিন কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের হজরতবাল এলাকায়ও একটি সংক্ষিপ্ত লড়াই সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করে দখলদার ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী পুলিশ মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার। তার ভাষ্যমতে, শ্রীনগরের উপকণ্ঠে হজরতবাল এলাকায় পুলিশের সাথে সংক্ষিপ্ত একটি লড়াই হয় কাশ্মীরি বীর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। যেখানে দখলদার সাথে লড়াইয়ে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। এসময় হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় দখলদার বাহিনীর অবরোধ ভেঙে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন অন্য দুইজন প্রতিরোধ যোদ্ধা। যাদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলচ্ছে দখলদার সেনারা।

      দিন যতই যাচ্ছে, কাশ্মীরে ততোই জোরদার হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দখলদারদের উপর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা। আর এটিকে কাশ্মীরের মুক্তি ও ইসলামের ছায়াতলে আসার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন ইসলামি বিশ্লেষকগণ।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গুয়ানতানামোর কয়েদী মোহাম্মদ আল-কাহতানিকে সৌদি কারাগারে হস্তান্তর


        সৌদি নাগরিক মোহাম্মদ আল-কাহতানি ২০০২ সাল থেকে কুখ্যাত গুয়ানতানামোতে বন্দী ছিলেন। চলতি মাসে তাকে সৌদি আরবের একটি কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

        মোহাম্মদ আল-কাহতানি ইমারাতে ইসলামিয়ার ছায়াতলে বসবাস করতে সৌদি আরব থেকে হিজরত করে পাড়ি জমান আফগানিস্তানে। পরে ইমারাতে ইসলামিয়াকে রক্ষায় এবং দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানি গাদ্দার বাহিনী তাকে বন্দী করে। পরে নিজেদের প্রভু অ্যামেরিকাকে সন্তুষ্ট করতে মোহাম্মদ আল-কাহতানীকে তুলে দেয় ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ক্রুসেডাররা তাকে আল-কায়েদার সদস্য হওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগারে নিক্ষেপ করে। যেখানে তাঁর উপর চালানো হয় অমানবিক সব নির্যাতন।



        তাঁর আইনজিবী মুর্তজা হোসেন, ২০১৮ এর এপ্রিলে তাঁর উপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দেন এভাবে, তাঁকে “একাকীত্বের” শিকার করা হয়, ঘুম থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। উচ্চ তাপমাত্রা, বিকট শব্দ, স্ট্রেস পজিশন, জোরপূর্বক নগ্ন করা, যৌন নিপীড়ন, বিভিন্নভাবে অপমান, মারধর এবং শ্বাসরোধ করা হতো। দুবার তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

        ফেব্রুয়ারির শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, বন্দীদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কাহতানিকে সৌদি আরবে স্থানান্তর করা হবে। আরও বলা হয় যে, কাহতানিকে মার্চ মাসে সৌদি আরবে পাঠানো হবে।

        সর্বশেষ গত ৮ মার্চ এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, কাহতানিকে বিমানে করে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।



        কাহতানির সৌদি আরবে স্থানান্তরের পর গুয়ানতানামোতে এখনো আরও ৩৮ জন মুসলিম বন্দী রয়ে গেছেন। যাদেরকে অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X