নানা ছলনার পর ভারতের আদালতে হিজাব ও ইসলামের বিরুদ্ধে রায়
ভারতে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে কর্নাটক রাজ্যে হাইস্কুল ও কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে আসা নিষিদ্ধ করে। আর এ নিয়ে গেরুয়া স্কার্ফধারী হিন্দুত্ববাদীদের সাথে সংঘাতকে কেন্দ্র করে হঠাৎ সারা ভারত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলো। কর্নাটক রাজ্যের সেই বিক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিলো। তখন হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের জাগরণের ভয়ে আদালদের মাধ্যমে একটি সাময়িক আদেশ জারি করে যে, পুরোপুরি রায় প্রকাশের আগে মুসলিম নারীরা হিজাব ব্যবহার করতে পারবে না। এ সময়ের মাঝে অনেক মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পড়ে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দেয়নি হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।অতীত থেকে শিক্ষা না নেওয়া অনেক মুসলিমও আশায় ছিল, আদালত হয়তো হিজাবের পক্ষে রায় দিবে। মুসলিমদের হয়রানি করার কারণে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় আনবে!কিন্তু না! হিন্দুত্ববাদী আদালত বরাবরের মতই ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী রায় দিয়েছে। যেমনটা দিয়েছিল বাবরি মসজিদ মামলায়, গুরগাওয়ে মুসলিমদের খোলা জায়গায় নামায আদায় করার মামলায়।ভারতের কর্নাটক রাজ্যের উচ্চ আদালত ক্লাসে হিজাব পরা নিষিদ্ধের পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দায়ের করা পাঁচটি পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে।মঙ্গলবার দেওয়া রায়ে রাজ্যটির উচ্চ আদালত মূর্খতা ও ইসলাম বিদ্বেষের পরিচয় দিয়ে বলেছে, “হিজাব পরা বাধ্যতামূলক কোনো ধর্মীয় অনুশীলন না।”অথচ, পর্দা নারীদের জন্য আবশ্যকীয় ফরজ বিধান। হিজাবের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। হিজাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার।হিন্দুত্ববাদী আদালত মুসলিম বিরুধী এমন রায় দেওয়ার আগেই কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাজ্যের স্কুল, কলেজও বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। যেন মুসলিমরা কোন প্রতিবাদ করতে না পারে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ধারা।ওই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে যে শিক্ষার্থীরা আদালতে গিয়েছিল তারা বলেছেন, হিজাব ইসলাম ধর্মের আবশ্যকীয় অনুশীলন এবং ভারতের সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার।
কিন্তু শুধু মুসলিম হওয়ায় ধর্মের আবশ্যকীয় বিধান এবং ভারতের কথিত সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।বিশ্বব্যাপী যখন ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ ইসলামের দিকে ঝুঁকছে, পর্দা ও হিজাবে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছে। সে মুহুর্তে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ। তাই মুসলিমদের কথিত গণতান্ত্রিক ধোঁকা বুঝে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম।তথ্যসূত্র:
——–
১। ক্লাসে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে রায় কর্নাটক হাই কোর্টের
ভারতে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে কর্নাটক রাজ্যে হাইস্কুল ও কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে আসা নিষিদ্ধ করে। আর এ নিয়ে গেরুয়া স্কার্ফধারী হিন্দুত্ববাদীদের সাথে সংঘাতকে কেন্দ্র করে হঠাৎ সারা ভারত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলো। কর্নাটক রাজ্যের সেই বিক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিলো। তখন হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের জাগরণের ভয়ে আদালদের মাধ্যমে একটি সাময়িক আদেশ জারি করে যে, পুরোপুরি রায় প্রকাশের আগে মুসলিম নারীরা হিজাব ব্যবহার করতে পারবে না। এ সময়ের মাঝে অনেক মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পড়ে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দেয়নি হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।অতীত থেকে শিক্ষা না নেওয়া অনেক মুসলিমও আশায় ছিল, আদালত হয়তো হিজাবের পক্ষে রায় দিবে। মুসলিমদের হয়রানি করার কারণে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় আনবে!কিন্তু না! হিন্দুত্ববাদী আদালত বরাবরের মতই ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী রায় দিয়েছে। যেমনটা দিয়েছিল বাবরি মসজিদ মামলায়, গুরগাওয়ে মুসলিমদের খোলা জায়গায় নামায আদায় করার মামলায়।ভারতের কর্নাটক রাজ্যের উচ্চ আদালত ক্লাসে হিজাব পরা নিষিদ্ধের পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দায়ের করা পাঁচটি পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে।মঙ্গলবার দেওয়া রায়ে রাজ্যটির উচ্চ আদালত মূর্খতা ও ইসলাম বিদ্বেষের পরিচয় দিয়ে বলেছে, “হিজাব পরা বাধ্যতামূলক কোনো ধর্মীয় অনুশীলন না।”অথচ, পর্দা নারীদের জন্য আবশ্যকীয় ফরজ বিধান। হিজাবের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। হিজাব মুসলিম নারীদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার।হিন্দুত্ববাদী আদালত মুসলিম বিরুধী এমন রায় দেওয়ার আগেই কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাজ্যের স্কুল, কলেজও বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। যেন মুসলিমরা কোন প্রতিবাদ করতে না পারে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ধারা।ওই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে যে শিক্ষার্থীরা আদালতে গিয়েছিল তারা বলেছেন, হিজাব ইসলাম ধর্মের আবশ্যকীয় অনুশীলন এবং ভারতের সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার।
কিন্তু শুধু মুসলিম হওয়ায় ধর্মের আবশ্যকীয় বিধান এবং ভারতের কথিত সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হিন্দুত্ববাদী আদালত।বিশ্বব্যাপী যখন ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ ইসলামের দিকে ঝুঁকছে, পর্দা ও হিজাবে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছে। সে মুহুর্তে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক বিশ্লেষকগণ। তাই মুসলিমদের কথিত গণতান্ত্রিক ধোঁকা বুঝে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম।তথ্যসূত্র:
——–
১। ক্লাসে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে রায় কর্নাটক হাই কোর্টের
Comment